নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর ওপর বেজায় ক্ষেপেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার একের পর এক টুইট বার্তায় ম্যাখোঁর তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডেপেন্ডেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সমস্যা হচ্ছে, ফ্রান্সে তার গ্রহণযোগ্যতা খুবই কম, মাত্র ২৬ শতাংশ। দেশটিতে বেকারত্বের হার প্রায় ১০ শতাংশ। ফলে সে অন্য একটি বিষয়কে সামনে নিয়ে আসতে চাইছে। যাই হোক, ফ্রান্সের চেয়ে বেশি জাতীয়তাবাদী আর কোনও দেশ নেই। তাদের জনগণ খুবই গর্বিত এবং এটাই সঠিক।
মিনিটখানেকের ব্যবধানে আরেকটি টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ফ্রান্সকে আবার মহান করে তুলুন।
অন্য একটি টুইটে ট্রাম্প বলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে রক্ষার জন্য ইউরোপকে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুটিতেই জড়িত ছিল জার্মানি। তারা কীভাবে ফ্রান্সের জন্য কাজ করবে?
ম্যাখোঁকে কটাক্ষ করে ট্রাম্পের টুইট বার্তা অবশ্য প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ চলতি সপ্তাহেই প্যারিসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্তি অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদের সমালোচনা করেছিলেন ম্যাখোঁ। ওই অনুষ্ঠানে ট্রাম্পসহ বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা উপস্থিত ছিলেন। ম্যাখোঁ তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন, দেশপ্রেমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাই জাতীয়তাবাদ। এছাড়া ডানপন্থী নীতিরও সমালোচনা করেছিলেন তিনি। কট্টর ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী হিসেবেই পরিচিত ট্রাম্প। তাছাড়া তিনি তাঁর নীতির সমালোচকদেরও ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করতে কখনো ছাড় দেননি। একারণে ম্যাখোঁ যে তাঁর তোপের মুখে পড়বেন এটা অনুমিতই ছিল।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু সহিংসতা-পরবর্তী থমথমে পরিস্থিতিতে শঙ্কা কাটেনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। এখন শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই দেশে ফিরতে চাচ্ছেন। ওই এলাকার নিরাপত্তায় প্রায় ২-৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
কিরগিজস্তানের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ডা. জেরিত ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘বর্তমানে কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষকরাও স্থানীয়দের বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তাদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থেকে বের হতে দিচ্ছি না। তবে আনুষঙ্গিক কেনাকাটার জন্য তাদের বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শান্ত।
কিরগিজস্তানের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ১ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাদের সবাই মেডিকেল শিক্ষার্থী। ডা. জেরিত বলেন, ‘এখানে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে হোস্টেলে থাকতে হয়। তৃতীয় বর্ষে ওঠার পর কেউ চাইলে বাইরে চলে যেতে পারেন। ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বর্তমানে তাদের হোস্টেলে অবস্থান করছেন। অন্যরা বাইরের বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন।’
হামলার ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হোস্টেলে মিসরীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সমস্যা হয়। পরে মিসরীয় শিক্ষার্থীরা স্থানীয়দের মারধর করেন। ঘটনাটি তিন-চার দিন আগের। এরপর সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। কিন্তু পরে সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।’
কিরগিজস্তানে স্থানীয়দের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া তাসখন্দে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে শিগগিরই কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেক সফর করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা উজবেকিস্তানে আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দূতাবাস কিরগিজস্তানের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও কিরগিজ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর নেই। দূতাবাস এরই মধ্যে তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি জরুরি যোগাযোগ নম্বর শেয়ার করেছে, যাতে এ বিষয়ে যে কোনো সমস্যার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাসখন্দে নিযুক্ত আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুস্থতা সম্পর্কে জানতে শিগগিরই বিশকেক সফর করতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত ১৩ মে কিরগিজ ও মিসরের ছাত্রদের মধ্যে মারামারির একটি ভিডিও ভাইরাল হলে স্থানীয় জনতা বিদেশি ছাত্রদের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ জনতা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিদেশি ছাত্রদের পেটাচ্ছে। ওই সংঘাতের কারণে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। দেশটিতে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কিরগিজস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সে দেশের সরকারকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পাওয়া গেছে। তুরস্কের আকিনসি ড্রোন দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করেছে। উদ্ধারকারী দল ওই স্থান থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন। সোমবার (২০ মে) এমন তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
তবে হেলিকপ্টারে থাকা প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা বেঁচে আছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনো গণমাধ্যমকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
এর আগেত রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।
এ ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজে ইরানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।
সোমবার (২০ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর রাশিয়া, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া এবং ইরাক উদ্ধারকাজে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুর্ঘটনার খোঁজ নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনার খবর বলছে, এখনো প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
ফলে ঘটনাস্থলে আরও কয়েকটি উদ্ধারকারী দলকে পাঠানো হয়েছে। তাই সময় যতো যাচ্ছে রাইসিকে জীবিত উদ্ধার করা নিয়েও ততো উদ্বেগ বাড়ছে।
খবরে বলা হয়েছে দুর্ঘটনা কিংবা হার্ড ল্যান্ডিংয়ে বাধ্য হওয়া রাইসির হেলিকপ্টারটির নির্দিষ্ট অবস্থান জানা যায়নি।
ইরানিদের রাইসির জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
বৈরি আবহাওয়ার কারণে আকাশপথে রাইসির অবস্থা শনাক্ত করার কাজও বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ফলে স্থলপথে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইব্রাহিম রাইসিকে (৬৩) মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন তিনি। রোববার (১৯ মে) আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় জলাধার প্রকল্প উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।
এই দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু হলে তা হবে ইরানের জন্য বিরাট এক ধাক্কা। দীর্ঘ দিন ধরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে ইরানের। ইব্রাহিম রাইসি ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় প্রতিবেশীদের পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন।
ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালে উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন।
১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত রাইসি তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।। সর্বোচ্চ ধর্মী নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন করে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইব্রাহিম রাইসি।
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট
ইবরাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানসহ অন্যদের এখনো খোঁজ মেলেনি।
এখনপর্যন্ত জানা যায়নি হেলিকপ্টারটির কী হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর
সর্ব শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী উদ্ধারকাজে
সহযোগিতার জন্য তুরস্ক বিশেষজ্ঞ একটি দল পাঠাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের জরুরি সহায়তা
সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধানে ইরানকে
সাহায্য করার জন্য তুরস্ক পাহাড়ে উদ্ধারকাজে বিশেষজ্ঞ ৩২ জনকে পাঠাচ্ছে।
এর আগে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়,
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি এক নির্দেশ জারি করেছেন। তিনি
সেনাবাহিনী, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) এবং আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য
বাহিনীকে হেলিকপ্টারটি খুঁজে বের করার জন্য সব সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা ব্যবহার করতে বলেছেন।
রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট
ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা
সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়। এরপর তাদের সন্ধানে নামে অনুসন্ধান দল।
হেলিকপ্টারটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন
আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার
নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে
হেলিকপ্টারে ছিলেন।
ইবরাহিম রাইসি ইরানের প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন
কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু সহিংসতা-পরবর্তী থমথমে পরিস্থিতিতে শঙ্কা কাটেনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। এখন শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই দেশে ফিরতে চাচ্ছেন। ওই এলাকার নিরাপত্তায় প্রায় ২-৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানসহ অন্যদের এখনো খোঁজ মেলেনি। এখনপর্যন্ত জানা যায়নি হেলিকপ্টারটির কী হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সর্ব শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য তুরস্ক বিশেষজ্ঞ একটি দল পাঠাচ্ছে।