ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক কারণেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে দল সরকার গঠন করবে সে দলের নেতৃত্বেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন হবে। একই সঙ্গে ওই দলের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের বিজয়ের রজত জয়ন্তীও পালন করা হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সব বক্তব্যেই এই বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন।

আমরা সবাই জানি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন একে অপরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত, একে অপরের পরিপূরক। জাতির পিতা ছাড়া যেমন স্বাধীনতা অসম্পূর্ণ, তেমনি স্বাধীনতা মানেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই বিবেচনায় এবারের নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের ভূমিকা কি হবে সেটা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম জল্পনা কল্পনা চলছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা। তিনিই এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। তাঁর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা এবং ইমেজই এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান ভরসা। নির্বাচনে তিনি তিনটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন বলে জানা গেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যরা এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন ও বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাকে নির্বাচন করার জন্য গোপালগঞ্জের জনসাধারণ বারবার দাবি তুলছে যে। কিন্তু তিনি নির্বাচন করবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি নির্বাচন না করলেও নির্বাচনের প্রচারনা এবং নীতি নির্ধারনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে। তিনি ইতিমধ্যেই দেশে ফিরে এসেছেন। অতীতে বিভিন্ন সময় সংকটে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতিকে যেভাবে পরামর্শ ও সাহস জুগিয়েছেন এবারের নির্বাচনেও তিনি একই কাজ করবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।

এবারের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার আরেকটি কারণ হলো এটিই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেষ নির্বাচন। তিনি সত্তর পেরিয়েছেন এবং নিজেই বলছেন, এবারের পর তিনি আর নির্বাচন করতে চান না। এরপর অবসর জীবন যাপন করতে চান তিনি। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য উত্তরাধিকার মনোনয়ন এবারের নির্বাচনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

আমরা যা-ই বলি না কেন, শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু পরিবারই আওয়ামী লীগকে অটুট ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখতে পারে। তাই এই নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার কে হবেন তা নির্ধারন করা অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই চট জলদি করে কোনো উত্তরাধিকারের নাম বলতে রাজি নন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই সন্তান। দুজনেই বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এবং সৃষ্টিশীল বিনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে পুরোধা পুরুষের ভূমিকা পালন করেছেন। একইভাবে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিশেষ করে অটিজম ইস্যুতে শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই দুজন সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না হলেও নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিশেষ করে সজীব ওয়াজেদ জয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারনা কৌশল প্রনয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একই সাথে তিনি বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ গ্রহণ করবেন। তরুনদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ২০০৮ এর নির্বাচনেও প্রচারনায় অংশ নিয়েছিলেন। সেবারের নির্বাচনে তিনি জনগণের মধ্যে বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছিলেন।

এবারের নির্বাচনের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিকের মধ্যে একটি হলো, তারুণ্যের প্রভাব। এবারে নির্বাচনে প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ তরুণ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তাঁরাই ভোটের নির্ধারক হিসেবে কাজ করবে। তরুনদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় সজীব ওয়াজেদ জয়। এবারের নির্বাচনে মূল ধারার গণমাধ্যমের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই বেশি ভূমিকা রাখবে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে সরাসরি না দাড়ালেও সজীব ওয়াজেদ জয় নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের একজন মূল সৈনিক হিসেবে কাজ করবেন তা নিয়ে কারোরই কোনো সন্দেহ নেই। তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রংপুরের পীরগঞ্জ এলাকাবাসীর চাপ রয়েছে। কিন্তু সজীব ওয়াজেদ জয় এখনই নির্বাচন করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। 

বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেকজন সদস্য এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সিআরআই (সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশন) পরিচালিত হচ্ছে। নির্বাচনের আগে সিআরআই ‘হাসিনা, অ্যা ডটার’স টেল’ নামের একটি প্রামান্য চলচ্চিত্র নির্মান করেছে। এই প্রামান্য চলচ্চিত্রটি নির্বাচনে ভূমিকা রাখবে বলে সিআরআই মনে করছে। পাশাপাশি তরুনদেরকে উদ্দীপ্ত করা এবং সারা বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিস্থিতি, আওয়ামী লীগের অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে জরিপ করার কাজে সিআরআই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, তিনি যতটা না বাইরের বক্তা এবং মাঠে কাজ করেন তাঁর চেয়ে বেশি তিনি গবেষনা বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আওয়ামী লীগের যে গবেষণা কার্যক্রম তাঁর নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনিই। আওয়ামী লীগ প্রথমবারের মতো এবারের নির্বাচনে একটি সুনির্দিষ্ট জরিপ ও গবেষণার ভিত্তিতে নির্বাচনি কৌশল প্রনয়ন করেছে। এই গবেষণার পুরোটাই রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নেতৃত্বে করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু পরিবার কখনোই ক্ষমতার মোহে নয় বরং জনগণের কল্যাণ এবং জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবেই কাজ করেন। এই নির্বাচনে যেন জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয় এবং জনগণের যে অগ্রগতি এবং উন্নয়নের ধারার সূচনা হয়েছে সেই ধারা অব্যাহত থাকে সেটার জন্যই বঙ্গবন্ধু পরিবার এবার নির্বাচনে কাজ করবে। শেখ রেহানার অন্য দুই সন্তান টিউলিপ সিদ্দিকি এবং রূপন্তী সিদ্দিকি। টিউলিপ সিদ্দিকি ব্রিটেনের সংসদ সদস্য। এজন্য তিনি এবারের নির্বাচনের প্রচারে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন না। অন্যদিকে অক্সফোর্ড থেকে সদ্য পাশ করেছেন রুপন্তী। তিনিও নির্বাচনে ভূমিকা পালন করবেন বলে মনে হচ্ছে না।

এবারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারজন সহযোদ্ধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এই চারজনই হলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য। তারা হলেন, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। প্রতিবারই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু পরিবার একটা না একটা চমক সৃষ্টি করে। এবার তারা কি চমক সৃষ্টি করবে সেটা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেই বোঝা যাবে।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন বাম নেতা

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন ৭১ জন। তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সচিব, বর্তমান বিচারপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তালিকায় প্রবীণ রাজনীতিক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মো. মঞ্জুরুল আহসান খানের নাম রয়েছে।

সরকারের আর্থিক সহায়তায় হজ পালনে যাওয়া ব্যক্তিদের নামে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে তারা আগামী ৬ জুন সৌদি আরব যাবেন। হজ শেষে তাদের দেশে ফেরার কথা আগামী ১০ জুলাই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এতে সরকারের খরচ হবে প্রায় তিন কোটি টাকা।

এবার সরকারি খরচে হজে যাওয়া ব্যক্তিরা বিমানের টিকিট বাবদ ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা জমা দেবেন। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩৫ হাজার টাকা করে হজ অফিসে জমা দিতে হবে খাওয়া বাবদ।

উল্লেখ্য, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মনজুরুল আহসান খানকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টার পদ থেকে স্থায়ী অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সরকারি খরচ   হজ   মঞ্জুরুল আহসান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাষ্ট্র-বিএনপির সম্পর্কে দূরত্ব কেন?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। আজ তিনি আওয়ামী লীগের বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হবেন। এছাড়াও তিনি সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাতেরও কথা রয়েছে। আর এই সফর সূচিতে বিএনপির সঙ্গে তাদের কোনো বৈঠক নেই। বিএনপি এখন ডোনাল্ড লু কে নিয়ে সুর পাল্টেছে, ভিন্ন সুরে কথা বলছেন।  


বিএনপি নেতারা বলছেন, ডোনাল্ড লু’র ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ নেই। এই সফর নিয়েও তারা উৎসাহি নয়। কিন্তু এর আগে যখন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তখন বিএনপির উত্তেজনা এবং আগ্রহ কেউ চাপিয়ে রাখতে পারেনি। বরং বিএনপির নেতারা এ নিয়ে তাদের আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছিলেন। সেই সময় বিএনপি নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে হটিয়ে দিবে এমন প্রত্যাশায় বিভোর ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটি হয়নি। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের এক ধরনের ফাটল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গেও বিএনপি নেতাদেরকে মাত্র দু’টি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে দেখা গেছে। 

আফরিন আখতার বাংলাদেশের সফরে এলে বিএনপি নেতারা ওয়েস্টিন হোটেলে একটি বৈঠক করেন৷ তবে সেই বৈঠক ইতিবাচক ছিল না। তাছাড়া এখন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকেও বিএনপির সঙ্গে আগের মতো আর যোগাযোগ করা হয় না। তাহলে কি বিএনপি-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ফাটল ধরেছে? বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে?

এরকম প্রশ্নের উত্তরে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, নানা কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর এটি বোঝার কারণেই বিএনপি এখন নিজেদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবমুক্ত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। 

অন্যদিকে বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করেছে এবং বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির কারণে প্রতারিত হয়েছে। 

বিএনপির নেতা গোলাম মাওলা রনি বিভিন্ন টকশোতে বলছেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন বিএনপি তা বুঝতে পারেননি।’ আর এ ধরনের বক্তব্য এখন বিএনপির প্রায় সব নেতাই করছেন।

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য ভারতের পক্ষে কাজ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা এই ধরনের বক্তব্যের কোনো যৌক্তিকতা পায়নি। তবে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এই দূরত্বের কারণ একাধিক। 


১.  ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক এবং এই নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করে। বিএনপিকে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধও জানিয়েছিলো। কিন্তু বিএনপি তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র ক্ষমতার পালাবদলের অন্য কোন উপায় নেই। বিএনপির এই নির্বাচনে না যাওয়াটাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একপ্রকার হতাশা হিসেবে দেখছে। 

২. বিএনপির নেতৃত্বশূন্যতা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ওপর কিছুটা বিরক্ত বলেও কূটনৈতিক মহল আভাস দিয়েছেন। কারণ তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো কোন নেতা নেই। বিএনপির কাছে যখন কোন সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয় তখন বিএনপি নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। দলে যারা ক্রিয়াশীল এবং যারা কাজ করছেন তারা কেউই বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে নেই। আর একারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উপর আস্থা রাখতে পারছে না।

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস 

৩. জামায়াতের সাথে সম্পর্ক: তারা আবার স্বাধীনতা বিরোধী, উগ্র মৌলবাদি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে। এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে আর তাই তারা এখন বিএনপির ব্যাপারে তেমন একটা আগ্রহী নয়।


বিএনপি   লু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমের দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন, কই ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

এরপর ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।


বিএনপি   নেতানিয়াহু   দোসর   হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হযতর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যান তারা। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা দুইজনই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা কবে দেশে ফিরবেন সেটা এখনি বলতে পারছেন না তিনি। 


সিঙ্গাপুর   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতির পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে  বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?  

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।


মার্কিন স্যাংশন   ভিসানীতি   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন