ইনসাইড পলিটিক্স

কে বাংলাদেশের মাহাথির?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যখন গঠিত হয়েছিল তখন একে বলা হয়েছিল মাহাথির ফর্মুলা। আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক মাহাথির মোহাম্মদ অবসরে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি আবার রাজনীতিতে ফিরে আসেন। ফিরে এসে তিনি তাঁর দলের অনাচার, অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ান এবং নিজেরই এক সময়ের শীষ্য নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। আর এটি করতে গিয়ে মাহাথির তাঁর সময়ের প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলান। কারান্তরীণ আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে হাত মেলানোর সময় তাঁদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল যে জয়ী হলে দুই বছর মাহাথির প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, এর মধ্যেই তিনি আনোয়ার ইব্রাহিমকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনবেন এবং তাঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।

বাংলাদেশে যখন রাজনৈতিক মেরুকরণ হলো, ড. কামাল হোসেনের কাছে বিএনপির নেতারা গিয়ে ধরনা দিলেন। তখন এটাকে ‘মাহাথির ফর্মুলা’বলা হলো। ‘মাহাথির ফর্মুলা’ বলা হচ্ছিলো কারণ ড.কামাল হোসেনের যে দলের মাধ্যমে রাজনীতিতে উত্থান  সেই দলের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং খালেদা জিয়াকে আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে তিনি জনপ্রিয় এবং এজন্য তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছে।  সরকারের নানা অনিয়ম, মানবতা বিরোধী কাজ, দুর্নীতি ইত্যাদির বিরুদ্ধে মাহাথির হিসেবে ড. কামাল হোসেনকে প্রতিস্থাপন করা হলো। অবশ্য ভিতরে ভিতরে তাঁদের যে যোগসাজশ এবং সমঝোতা সেখানে বলা হয়েছে যে ঐক্যফ্রন্ট যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে ড. কামাল হোসেন দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং তিনি তখন খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা করবেন। তারপর খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হবেন।

কিন্তু, আমরা যদি মালয়েশিয়ার সঙ্গে তুলনা করি, মাহাথির মোহাম্মদ ছিলেন আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক, প্রতিষ্ঠাতা এবং তাঁর হাত ধরেই মালয়েশিয়ায় একটা বিপ্লব ঘটেছিল এবং তুমুল জনপ্রিয়তার মধ্য দিয়ে তিনি অবসর নিয়েছিলেন। ড. কামাল হোসেনের ক্ষত্রে ঘটনাটা তা নয়। ড. কামাল হোসেন রাজনীতিতে অভিষিক্ত হয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া একটি আসনে নির্বাচনে জয়ী হওয়া ছাড়া তাঁর রাজনৈতিক জীবনে কোনো সাফল্য নেই। এরপর তিনি তিনটি নির্বাচন করেছেন, তবে তিনবারই তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কাজেই ফর্মুলা যেটাই হোক না কেন, ড. কামাল হোসেন মাহাথির না, তাঁর রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করার কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। তিনি জাতির পিতার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে অর্ধেক সময় ছিলেন আইনমন্ত্রী, অর্ধেক সময় ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতির পিতার মৃত্যুর পরও তাঁর কোনো বলিষ্ঠ ভূমিকাও চোখে পড়েনি।

আবার যে আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে খালেদা জিয়ার তুলনা করা হচ্ছে সেই তুলনাও ভিত্তিহীন। আনোয়ার ইব্রাহিম মাহাথিরের দল করত এবং মাহাথির তাঁকে উত্তরাধিকার শীষ্যের মর্যাদা দিয়েছিলেন এবং তাঁকে উপপ্রধানমন্ত্রীও করেছিলেন। কাজেই আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গেও খালেদা জিয়ার তুলনা করাটাও অবান্তর। বরং রাজনীতিতে এখন যে ঘটনা প্রবাহগুলো চলছে সে ঘটনা প্রবাহে শেখ হাসিনাকেই এখন মাহাথিরের সঙ্গে তুলনা করা যায়।  কারণ: 

১. মাহাথির যেমন ব্যর্থ, একটি অনুন্নত রাষ্ট্র থেকে মালয়েশিয়াকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গিয়েছিলেন, দেশটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছিলেন, একই ভাবে শেখ হাসিনাও বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা, দারিদ্রের রাষ্ট্র থেকে, মোটামুটি ব্যর্থ একটি রাষ্ট্র থেকে আজ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।

২. মাহাথির যখন মালয়েশিয়ায় রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল তখন তাঁকে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছিল। বিশ্বব্যাংক মালয়েশিয়ায় অর্থায়ন বন্ধ করেছিল এবং মাহাথিরও মালয়েশিয়ায় বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছিলেন। ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। বিশ্বব্যাংক যখন পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করেছিলেন।

৩. মাহাথির যেমন একটি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রের প্রধান হয়েও সেদেশে জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছিলেন ঠিক সেরকমক ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন।

৪. মালয়েশিয়ায় যেমন মাহাথিরের এত উন্নয়ন এবং ভালো কাজের পরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মাহাথির ফোবিয়ায় ভুগত এবং মাহাথির কঠোর, নিষ্ঠুর, বিরোধী দলের প্রতি দমননীতি গ্রহণ করেন, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নেই ইত্যাদি নানারকম সমালোচনা ও অভিযোগ করত  পশ্চিমা বিশ্ব। ঠিক তেমনি ভাবে ইদানীংকালে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করার চেষ্টা করে কেউ কেউ। কাজেই মাহাথির যেমন শেষ বিচারে দলের উর্ধ্বে উঠে গিয়েছিলেন, দলের চেয়ে তাঁর একক জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী ছিল, মালয়েশিয়ায় তিনি অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়েছিলেন ঠিক তেমনি ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দলের উর্ধ্বে উঠে গেছেন। যে কোনো বিচারে, যে কোনো জরিপে তিনিই বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি এবং দলের উর্ধ্বে তিনি বাংলাদেশের একজন অবিসংবাদিত নেতা হয়েছেন। শেখ হাসিনার চরম শত্রুও বিশ্বাস করে বাংলাদেশের উন্নয়নের যে ধারা তিনি ছাড়া তা ব্যাহত হতেই পারে। বিশেষ করে সম্প্রতি রাজনৈতিক সংলাপ এবং কয়েকটি ঘটনাতে তিনি একটি বিষয় প্রমাণ করেছেন, দলের উর্ধ্বে উঠে একজন রাষ্ট্রনায়োকোচিত নেতায় পরিণত হয়েছেন। মাহাথির যেমন, জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন সেরকম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ঘোষণা করেছেন যে,  ‘এই নির্বাচনই আমার শেষ নির্বাচন। এই নির্বাচনের পরে আমি অবসরে যাবো।’ মাহাথির যেমন রাজনীতিতে অবসরের পরে জাতির বিবেক এবং অভিভাবক হিসেবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন, সবকিছুর উপর নজর রেখেছেন, যখন প্রয়োজন হয়েছে তিনি আবার ফিরে এসেছেন। তেমনি, শেখ হাসিনাও এই নির্বাচনের পর টুঙ্গিপাড়ায় চলে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। অবশ্য, চলে গেলেও তিনি জনগণের কণ্ঠস্বর হিসেবেই থাকবেন বলে আশা সবার।

ড. কামাল হোসেন নাকি শেখ হাসিনা এই দুই বিবেচনায় বাংলাদেশের মানুষকে যদি নির্বাচন করতে বলা হয় তাহলে বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকেই মাহাথির হিসেবে নির্বাচন করবে। মাহাথিরের মতই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রাজসিক একটা অবসর নিবেন আগামী মেয়াদের দায়িত্ব পালন শেষে এবং বাংলাদেশের প্রকৃত অভিভাবক হিসেবেই তিনি থাকবেন সবসময়। 

বাংলা ইনসাইডার/এসআর/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তারেক কি যুক্তরাজ্যে অবাঞ্ছিত হচ্ছেন?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় ১০ হাজারের বেশি অবৈধভাবে বসবাস করা বাঙালিকে যুক্তরাজ্য ফেরত পাঠিয়েছে। তাদের সেখানে থাকার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের দৈনিক টেলিগ্রাফ এবং স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, ১১ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, ভ্রমণ কিংবা অন্য কোন কাজের পেশায় যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তারা বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। বাকি ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আবেদন খারিজ হওয়া এসব বাংলাদেশীকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন’ চুক্তির আওতায় এসব বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানানো গেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন’ চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তি অনুযায়ী যারা যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাস করবেন তাদেরকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, তারেককে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কৌশল হিসেবেই যুক্তরাজ্যের সাথে ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এই চুক্তির আওতায় শুধুমাত্র অবৈধ ব্যক্তিদেরকেই দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে না, বাংলাদেশে দন্ডিত, অপরাধী এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদেশে বসে অপপ্রচারকারীদেরও ফিরিয়ে নানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এই চুক্তিতে বলা হয়েছে, যারা বাংলাদেশে অপরাধ করে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যাবে তাদেরকে যুক্তরাজ্য ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করবে এবং তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করার জন্য প্রক্রিয়া করবে। সেই বিবেচনায় তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের একটি অন্যতম রাজনৈতিক কৌশল হল, তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে দন্ড কার্যকর করা। ইতোমধ্যে তারেক জিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেননি এবং আপিল করার সময়সীমাও পেরিয়ে গেছে। এছাড়াও অর্থপাচারের একটি মামলায় হাইকোর্ট তাকে ৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন। তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ সরকার নানা রকম দেন দরবার করে আসছেন। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে তারেক জিয়াকে দেশে আনা সম্ভব হয়নি।

তারেক এখন যুক্তরাজ্যে আছে রাজনৈতিক আশ্রয়ে এবং রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করা ব্যক্তিকে যে সমস্ত শর্ত এবং নিয়ম মানতে হয় তা মানছেন না বলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একাধিকবার অধিকার করা হয়েছে। যেমন- লন্ডনে বসে তারেক বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্র এবং সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম বিষেদাগার করছেন, সরকার পতনের জন্য ষড়যন্ত্র করছেন।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর অন্তত ৩টি সফরে তারেক জিয়া লন্ডনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন এবং তার নির্দেশে সেখানে সহিংস ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। বাংলাদেশ দূতাবাসেও তারেক জিয়ার নির্দেশে হামলা করা হয়েছিল এবং এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ বলে বাংলাদেশ সরকার মনে করে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাস তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছে এবং কূটনৈতিকরা মনে করছেন, তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার স্বার্থেই ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।

তবে কোন কোন মহল বলছে, তারেক জিয়ার বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাকে যেহেতু যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে এবং তারেক জিয়া সেই রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের আবেদন সংক্রান্ত চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশে এলে তার জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে সেকারণেই তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টি এত দ্রুত নাও হতে পারে। তবে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এ ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখবে বলেই জানা গেছে।


তারেক জিয়া   বিএনপি   যুক্তরাজ্য   ফাস্ট ট্র্যাক চুক্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপির লিফলেট বিতরণ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।

তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।                     

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।


বিএনপি   লিফলেট   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। 

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, দল এখন আন্দোলনে ব্যস্ত, তবে আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের বিষয়টিও সম্পৃক্ত। আন্দোলন এবং সংগ্রাম একসাথেই চলবে। এই অংশ হিসেবেই আমরা দলের নেতৃত্বের পুনর্গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করছি। 

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক জিয়া যখন বলবেন তখনই কাউন্সিল করার জন্য তাদের প্রস্তুতি আছে। তবে বিএনপির একাধিক নেতা আভাস দিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ তারা একটি সংক্ষিপ্ত কাউন্সিল করতে পারেন এবং সংক্ষিপ্ত কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব পুনর্গঠন করা হতে পারে। 

বিএনপিতে এখন নীতি নির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটিতে পাঁচ সদস্য পদ শূন্য রয়েছে। আবার যারা স্থায়ী কমিটিতে আছেন এ রকম বেশ কয়েক জন এখন গুরুতর অসুস্থ এবং জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অনেকে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামের মতো নেতারা এখন এতই অসুস্থ যে তারা কোন রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের মতো অবস্থায় নেই। 

বিএনপির একজন নেতা স্বীকার করেছেন, তারা দলকে সার্ভিস দিতে পারছেন না। কিন্তু বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, অসুস্থ অবস্থায় তাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে অমানবিক। তবে বিএনপির তরুণ নেতারা মনে করেন, এটি মোটেও অমানবিক নয়। একজন পদে থাকা ব্যক্তি যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারেন তাহলে তাকে কোন আলঙ্কারিক পদ দিয়ে ওই শূন্যপদ পূরণ করা উচিত। বিএনপির মধ্যে একটি চাপ আছে যে, যারা মাঠের আন্দোলনে সক্রিয়, অপেক্ষাকৃত তরুণ তাদেরকে নেতৃত্বের সামনে আনা হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে তারেক জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। 

তারেক জিয়া বিএনপিতে তরুণদেরকে সামনে আনতে চান। তবে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন এ ধরনের ব্যক্তিদেরকে খালেদা জিয়া এখনই দল থেকে বাদ দিতে রাজি নন বলেই বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, রফিকুল ইসলাম মিয়া বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বিভিন্ন সংকটে তিনি বেগম জিয়ার পাশে ছিলেন। এ কারণেই দীর্ঘদিন রোগশয্যা থাকার পরও তাকে স্থায়ী কমিটিতে রাখা হয়েছে। যদিও তারেক জিয়া তাকে স্থায়ী কমিটি থেকে সরিয়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে দেওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার আপত্তির কারণে তিনি সেটি করতে পারেননি। 

একইভাবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকারকেও স্থায়ী কমিটিতে না রাখার ব্যাপারে তারেক জিয়ার আগ্রহ আছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ার কারণ তারেক জিয়ার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। আর এ কারণেই তারেক জিয়া কাউন্সিল করছেন না বলে অনেকে মনে করেন। কারণ এখন কাউন্সিল হলে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাকে সমঝোতা করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দের অনেক ব্যক্তিকে দলের নেতৃত্ব রাখতে হবে। সেটি তারেক জিয়া চান। খালেদা জিয়ার হাত থেকে বিএনপির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিলেও এখন তারেক বিএনপিকে খালেদা জিয়ার প্রভাব মুক্ত করতে পারেনি। তাই কাউন্সিলের জন্য তার অপেক্ষা। তবে একাধিক সূত্র বলছে, দলের নেতাকর্মী মধ্যে কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য একটি বড় ধরনের চাপ আছে।


কাউন্সিল   বিএনপি   তারেক জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বেগম খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামিনে কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

এ সময় কারাফটকে তাকে স্বাগত জানাতে শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন, পুরো দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে এই জালিম সরকার।

তারা শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, দেশের জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সবকিছুকে ধ্বংস করেছে। এই মাফিয়া আর পুতুল সরকার থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনের বিকল্প নাই। সেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান হাবিব।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে হাবিবুর রশীদ হাবিবকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাকে তিন মামলায় ৬ বছর নয় মাসের সাজা দেন আদালত।

এছাড়া দুটি মামলা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিলো। সব মামলায় জামিন শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

হাবিবুর রশিদ হাবিব   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের আগে ও পরে একই কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র: মঈন খান

প্রকাশ: ০৭:১৫ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও একই কথাই বলেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শুক্রবার (১৭ মে) কারামুক্ত বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবীর বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঈন খান বলেন, সরকার যদি ভাবে মার্কিন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে এসে কথা বলেছে আর সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, তাহলে সরকারের ধারণা ভুল। নির্বাচনে আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে।

তিনি বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও আটকের একমাত্র উদ্দেশ্য এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দেবে না। মানুষকে ভিন্নমত পোষণ করতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র দেওয়া হবে না। সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

এই সরকার সব অধিকার হরণ করেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের (সরকার) কোনো ভিত্তি নেই। এদেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এ জন্য সরকার ভীতু। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

মঈন খান বলেন, সরকার এদেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে আর সুস্থ ধরার রাজনীতি নেই। এখন আছে পরহিংসার রাজনীতি। সংঘাতের রাজনীতি।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বলে দেবে এ সরকারের পরিণতি কি হবে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের কি পরিণতি হয়ে ছিল। এ দেশের সরকারের বেলায় যে ভিন্ন কিছু হবে এটা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।

বিএনপি   ড. আব্দুল মঈন খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন