নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের ৬টি আসনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে মনোনয়ন প্রার্থী মোট ৪১ জন। সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা থাকার কারণে এবার মনোনয়ন ফরম কম কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল, এখানে শতাধিক যোগ্য মানুষ আছে। সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা থাকার কারণে এবার মনোনয়ন ফরম কম কেনা হয়েছে।
৬টি আসনের মধ্যে যশোর-১ আসনে ৬ জন, যশোর-২ আসনে ৮ জন, যশোর-৩ আসনে ৩ জন, যশোর-৪ আসনে ৬ জন, যশোর-৫ আসনে ১০ জন ও যশোর-৬ আসনে ৮ জন বিএনপি প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন।
যশোর-১ (শার্শা) আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, সাধারণ সম্পাদক হাসান জহির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সম্পাদক আলহাজ মহসীন কবীর, শার্শা বিএনপির সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা নূরুজ্জামান লিটন ও পল্টন বিএনপি নেতা ওসমান গণি।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেরা নাজমুল মুন্নী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মুহম্মদ ইসহক, দলের সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট কাজী মুনিরুল হুদা, যশোর চেম্বারের সাবেক সভাপতি আলহাজ মিজানুর রহমান খান, উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি মোর্ত্তজা এলাহী টিপু, চৌগাছা বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলাম, চৌগাছা যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম।
যশোর-৩ (সদর) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও নগর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব ও তার স্ত্রী তানিয়া রহমান সুমী, অভয়নগর বিএনপির সভাপতি ফারাজি মতিয়ার রহমান, মেজর (অব.) কোহিনূর আলম নূর, উপজেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি আবু তাহের সিদ্দিকী, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা নূরে আলম সোহাগ।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল, যশোর নগর বিএনপির সেক্রেটারি মুনীর আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মুছা, সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ গফুর, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আফসার আহমেদ সিদ্দিকীর স্ত্রী জাহানারা বেগম,জেলা বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মেজবাহ উর রহমান, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম গোলাম মোস্তফা তাজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ইফতেখার সেলিম অগ্নি, জিয়া পরিষদের প্রকৌশলী শরিফুজ্জামান খান ও ফারুক হোসেন।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন কেন্দ্রীয় নেতা ও উপজেলা কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, সেক্রেটারি আলাউদ্দিন আলা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবু বকর আবু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মশিয়ার রহমান ও অ্যাডভোকেট নূরুজ্জামান তপন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ। সম্প্রতি এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ অভিনন্দন জানান তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান উল্লেখ করেন এন্থনি এলবানিজ।
প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অস্ট্রেলিয়া এন্থনি এলবানিজ বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কীভাবে সম্ভব হল, কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউটার্ন নিল? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির কারণে। এটি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর আরেকটি অংশ। ২০১৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। বিশেষ করে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতি বদলাতে থাকে। এসময় একের পর এক চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে বাংলাদেশের উপর।
বিশেষ করে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসার পর সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় মুখোমুখি একটি অবস্থানে চলে যায়। দুই দেশের মধ্যে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝি সৃষ্টি হয়েছিল। এর একটি বড় কারণ ছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিন্নরকম অবস্থান গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশের ব্যাপারে।
কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন ঘটে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকা কাজ করেছে বলেই অনেকে মনে করে যেটি ডোনাল্ড লু’র সফরে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে।
প্রথমত ভারতের প্রভাব। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে। ভারতের এই অবস্থানের প্রধান কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত বিশ্বাস করে তার উপর আস্থা রাখে এবং শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নেই, এই উপলব্ধি থেকেই নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন বলে কূটনৈতিক মহল মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাইনি।
দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেখানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও ভারত সফরের সময় তিনি অ্যান্থনি ব্লিনকেন এবং জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেন। সবকিছু মিলিয়ে তার উদ্যোগ সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সালমান এফ রহমানকেও দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।
তৃতীয়ত, বিরোধী দলের ভুল রাজনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেছিল যে, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং এই কারণেই নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের উপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন বিএনপি নির্বাচনে যায়নি, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। আর সবকিছু মিলিয়ে এখন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আছে, মার্কিন স্বার্থ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চায়, চীনের আগ্রাসন কমাতে চায়। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সামনে বর্তমান সরকারই একমাত্র বিকল্প। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, রীতিমতো ইউটার্ন নিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জো বাইডেন ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
১৭ মে, ১৯৮১ সাল। হঠাৎ করেই যেন দুলে উঠল বাংলাদেশ। জেগে উঠল ঘুমন্ত বাংলা। সামরিক শাসনের শিকলে বন্দী অযুত-নিযুত বাঙালী আড়মোড়া ভেঙে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। কারণ সেদিন দেশে এসেছিলেন বঙ্গববন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। দিনটি ছিলো ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ কান্না আবেগের একদিন। আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। তার বিমানটি যখন বাংলার মাটি স্পর্শ করে তখন ঢাকায় তুমুল বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি মুখর এক বিকেলে শেখ হাসিনা এক বুক কান্না নিয়ে বাংলার মাটিতে পা স্পর্শ করেন। বাংলার মাটি স্পর্শ করে প্রথমেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
১৭ মে ১৯৮১, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন। পিতার রক্তে ভেজা মাটিতে কপাল স্পর্শ করে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর কান্নার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল প্রকৃতিও। আর সে কারণেই ঢাকার আকাশ জুড়ে নেমেছিল মুষলধারে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো মানুষ শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিয়েছিল।
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।