নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩০ এএম, ২১ নভেম্বর, ২০১৮
ভোট কেন্দ্র পাহারায় দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলীয় প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণকালে স্কাইপে এবং ফেসটাইমে তিনি নেতাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন। তারেক রহমান ভোটের দিন যাতে দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সংঘবদ্ধ থাকেন এবং অতন্দ্র প্রহরীর মতো যাতে কেন্দ্রে-কেন্দ্রে কর্মীরা উপস্থিত থেকে ভোট কারচুপিতে বাধা প্রদান করেন এমন নির্দেশনা দেন। প্রার্থীদের সরাসরি বলেন, ‘জান দেবেন তবু ভোট কেন্দ্র ছাড়বেন না’। সাক্ষাৎ প্রত্যাশী নেতারা তারেক রহমানকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, যে কোনো মূল্যেই হোক তারা স্ব-স্ব ভোট কেন্দ্র পাহারা দেবেন। দলের নেতা-কর্মীদের ভোট কেন্দ্রের আশপাশে জড়ো রাখবেন যাতে কোনো ভাবেই ক্ষমতাসীন দল যাতে ভোট কেন্দ্র দখল কিংবা ভোট ছিনতাই না করতে পারে। তারেক রহমানের এমন কঠোর নির্দেশনা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও প্রার্থীদের সঙ্গে আলাদা-আলাদা বৈঠক করে তারেক রহমানের এমন কঠোর নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য তাগিদ দেন।
বিএনপির গুলশান অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে তারেক রহমান দীর্ঘ সময় তিনি কথা বলেন ছাত্রদল সভাপতির সঙ্গে। এবিষয়ে তাঁকে বেশ কিছু নির্দেশনাও দেন তারেক রহমান। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট নিয়োগের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। দলের ত্যাগী এবং পরীক্ষিত কর্মীদের পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেবার জন্য দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দেন। জানা গেছে, দলীয় প্রার্থীদের কাছে স্ব-স্ব ভোট কেন্দ্রের তালিকা এবং পোলিং এজেন্ট নিয়োগের তালিকা চাওয়া হয়েছে। এগুলো অধিকতর যাচাই-বাছাই করে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেবার সুপারিশ করবে কেন্দ্রীয় বিএনপি হাইকমান্ড। বিগত নির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে, বিএনপির কোন এজেন্ট পাওয়া যায়নি ভোট কেন্দ্রগুলোতে। এসব বাস্তবতা মাথায় রেখে এবার কঠোর অবস্থানে বিএনপি। এদিকে, এসব কৌশল নির্ধারণ করতে সহসাই বৈঠক করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবার পরই ড. কামাল হোসেনের সাথে বৈঠক করবে বিএনপি হাইকমান্ড। যুক্তরাজ্য থেকে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজনেরা জানান, ভাইয়া (তারেক রহমান) নিজ থেকেই বিভিন্ন জেলার নেতাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন এবং তাদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি
সম্মান জানিয়ে তার ছবি সম্বলিত একটি বড় ব্যানার টানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের উদ্যোগে এ ব্যানার টানানো হয়।
মায়েদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার
বিশ্ব মা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ বছর রোববার (১২ মে) পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার
উন্মোচন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ের সামনে থেকে আশপাশের এলাকায় পোস্টার লাগিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, যুবদলের
সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইমতিয়াজ বকুল প্রমুখ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দেয়ালে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার টানান যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।