নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮
গণভবন এখন যেন আওয়ামী লীগ তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিচরণক্ষেত্র। হঠাৎ করেই যে কেউই গণভবন পা রাখলেই সেখানে জনসভা কিংবা কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যাবেন। কিন্তু কোনো জনসভা কিংবা অনুষ্ঠান নয়, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যারা এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন কিন্তু মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন, এমন অনেকেই ভিড় করেছেন গণভবনে। তাদের পদচারণায় মুখরিত এখন গণভবন। মনোনয়ন না পেয়ে অনেকেই আশাহত হলেও তাদের চাওয়া এখন একটাই, তাদের প্রাণের নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। এদিকে, শেখ হাসিনাও নিরাশ করছেন না তাদেরকে। বরং শত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি সময় দিচ্ছেন সকল মনোনয়ন বঞ্চিতদের। একটু পর পরই নেমে আসছেন তিনি, সেই সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়সহ তাদের সকল বক্তব্য শুনছেন। মনোনয়ন বঞ্চিতদের সব কথা শোনার পর, আওয়ামী লীগ সভাপতি তাদের বলেন, ‘তোমাদের যদি এতই নির্বাচন করার শখ থাকে, তবে আমার আসনটিই ছেড়ে দিচ্ছি। আমার আসনেই নির্বাচন করো তোমরা।’
কথাটা শোনার পর পরই আওয়ামী লীগ তৃণমূলের যেসব নেতা-কর্মীরা অভিমান ও অভিযোগ নিয়ে গণভবনে এসেছিলেন মুহূর্তের মধ্যেই তাদের সব মান-অভিমান ভুলে যান। গিয়েছিলেন অভিমান নিয়ে কিন্তু ফেরেন প্রশান্তি নিয়ে।
মনোনয়ন বঞ্চিতদের মধ্যে দু’ধরনের নেতা-কর্মীরা ভিড় করছেন গণভবনে। একপক্ষ হচ্ছে আওয়ামী লীগের অনেক ত্যাগী, পরিশ্রমী ও পরীক্ষিত নেতা, যারা আশা করেছিলেন মনোনয়ন পাবেন এবার। এদের মধ্যে অনেকেই বর্তমান এমপি’র বিরুদ্ধে অভিযোগের ডালা নিয়ে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও ধৈর্য্যের সঙ্গে তাদের সকল অভিযোগ শোনেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে বলেন, এখন অভিযোগের সময় না। সময় এখন ঐক্যবদ্ধ ভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার। যদি আমরা এখন ঐক্যবদ্ধ না থাকি, তবে তা দলের জন্যই বিপজ্জনক হবে। আওয়ামী লীগের অনেকেই এবার মনোনয়নের প্রত্যাশা করেছিলেন। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ২০০১ এর নির্বাচনে যারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন, সেই সঙ্গে নির্বাচনের পর যারা নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। এছাড়াও ১/১১ এর সময়ে যারা দলের জন্য কাজ করেছেন, আওয়ামী সভাপতির পক্ষে অবস্থান করেছিলেন কিন্তু গত ২০০৮ ও ২০১৪-এ মনোনয়ন পাননি, তারাই এবার মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী ছিলেন। এরাই মনোনয়ন পাবেন না এমন ধারণা থেকেই গণভবনে ভিড় করেছেন। গণভবনে ভিড় করা আরেকটি পক্ষ হচ্ছেন, যারা ২০০৮ কিংবা ২০১৪-তে এমপি ছিলেন কিন্তু কোনো কারণে এবার মনোনয়ন শঙ্কায় আছেন তারা। হয়তো জনমতের জরিপে পিছিয়ে থাকা কিংবা কিংবা শরিকদের আসন ছেড়ে দেওয়ার জন্যই মনোনয়ন পাচ্ছেন না তারা। বিগত সময়ের এসব এমপি’রাও ধরনা দিচ্ছেন গণভবনে। গত ৫ বছরে কিংবা ১০ বছরে এমপি থাকাকালীন নিজ নিজ এলাকাতে জনসাধারণের জন্য তারা কি কি কাজ করেছেন তার ফিরিস্তি তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রীর সামনে। কিন্তু, মজার বিষয় হচ্ছে, তারা যখন তাদের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ২/৩ টির বর্ণনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলছেন, সেটির সঙ্গে আরও ৩/৪ টির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিষয়টি নিজেই যোগ করে দিচ্ছেন আওয়ামী সভাপতি। কোনো এমপি যখন বলছেন, আমি এমপি থাকাকালীন ঐ রাস্তা কিংবা ব্রিজটা করেছি, একথা শুনার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, তুমি তো ওখানে একটি স্কুলও করেছো, তোমার সময় ঐ মাদ্রাসাটা হয়েছে। বিষয়টা এমন যেন, ঐ এমপির এলাকার সকল বিষয়াদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার থেকে বেশিই জানেন। সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে, একটুও বিরক্তি নেই যেন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যেও। কারও প্রতি রুষ্ট কিংবা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন না তিনি। বরং এতো কাজের চাপ ও ব্যস্ততার মাঝেও সময় নিয়ে খুব মনোযোগ দিয়ে তিনি তাদের কথা শুনছেন। শেষমেশ সকলকেই তিনি শুধু একটিই পরামর্শ দিচ্ছেন, ‘এখন কোন অভিমান, অভিযোগ কিংবা পাল্টা অভিযোগের সময় নয়। কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি এবার। প্রতীক একটাই, আর তা হচ্ছে নৌকা। তোমারা যদি আওয়ামী লীগের সত্যিকারের সমর্থক হও, যদি মন থেকেই দলকে ভালোবাসো, তবে সবাই নিজ নিজ এলাকাতে ফিরে যাও। ফিরে নৌকার জন্য কাজ করো। এরপরও যদি তোমাদের নির্বাচন করার খুব শখ থাকে, তাহলে আমি আমার আসনটি, গোপালগঞ্জ-৩ আসনটি ছেড়ে দিচ্ছি। তোমারা ওখানে যেয়ে নির্বাচন করো।’
এই সহানুভূতি ও ভালোবাসাকে একজন মা যেমন তার সন্তানকে লালন করে, ভালোবাসে; বড় বোন যেমন তার ছোট ভাইকে স্নেহ-আদর দিয়ে সান্ত্বনা দেয় তার সঙ্গেই তুলনা করা যেতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রী একটা ব্যাপার স্পষ্ট করে বলেছেন, শেষপর্যন্ত কেউ যদি দলের অবাধ্য হয়, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কিংবা কেউ যদি দল থেকে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে তবে তিনি কঠোর হতে বাধ্য হবেন। এখনই কঠোর হচ্ছেন না তিনি, শুধুমাত্র সান্ত্বনা দিয়েই তাদেরকে বুঝাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সকল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য এ বার্তাও পৌঁছে দেন যে, যদি কেউ দলের সিদ্ধান্ত মেনে না নেয়, তবে তার অত্যন্ত কঠিন শাস্তিই হবে। আবার যদি আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায়, তাহলে সবার ত্যাগ ও কষ্টের মূল্যায়ন করা হবে বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী সভাপতি।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। চলতি মাসের শেষের দিকে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীনে যাবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই সফর কর্মসূচির লক্ষ্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং মতবিনিময়।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ১৪ এপ্রিল এক চিঠিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছে ৫০ সদস্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগ এবং আওয়ামী লীগের ডেটাবেজ টিমের সদস্যরা রয়েছেন।
দলীয় একাধিক সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠন গড়ে তোলা, সুশাসন, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।
৫০ সদস্যের প্রতিনিধি টিমে রয়েছেন:
আওয়ামী যুব লীগ:
সহ সভাপতি মৃনাল কান্তি জোয়ারদার ও তাজউদ্দীন আহমদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম; সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মো জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো সাফেড আসফাক আকন্দ।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ:
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, তানভীর শাকিল জয় এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, একেএম আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল মো নাফিউল করিম, আবদুল্লাহ আল সায়েম৷
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ:
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রোকসানা, মিনা মালেক, সুলতানা রেজা, মিসেস রোজিনা নাসরিন, নীলিমা আক্তার লিলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝর্না বাড়ুই, মরিয়ম বিনতে হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেনিগার হোসেন।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ:
সভাপতি আলেয়া সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, সহ সভাপতি বিনা চৌধুরী, রাফিয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন।
মহিলা শ্রমিক লীগ:
সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার, কার্যকরী সভাপতি শামসুর নাহার, সহ সভাপতি মেহেরুন নেসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিনাত রেহেনা নাসরিন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ:
সহ সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, কুহিনূর আক্তার, খাদেমুল বাশার জয়, খন্দকার মো আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো হোসাইন আহমেদ, মো আবদুল্লাহ হিল বারী, এসডিজি বিষয়ক সম্পাদক রাইসা নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আখি।
ডেটাবেজ টিম মেম্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ:
মো নুরুল আলম প্রধান, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, কাজী নাসিম আল মমিন, জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, অদিত্য নন্দী, মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।