নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব আসনগুলোতে শক্তিশালী প্রার্থীদের মুখোমুখি লড়াই হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো ঠাকুরগাঁও-১ আসন। এই আসনটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ২১ হাজার ৬২২ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ১০ হাজার ৯৬ জন এবং পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৫২৬ জন। এই আসনটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি বলা চলে। কারণ স্বাধীনতার পর থেকে অধিকাংশ সময়েই এটা আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। এই আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান এমপি রমেশ চন্দ্র সেন। এরা দুজনই তাঁদের নিজ নিজ দলের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের নেতা। জনপ্রিয়তা, অভিজ্ঞতা ও সামর্থের দিক থেকে দুজনই প্রায় সমানে সমান। নির্বাচনে জয় পেতে তাঁরা দুজন যেমন মরিয়া তেমনি তাঁদের দলের জন্যেও এই জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একারণে এই আসনটিকে কুরুক্ষেত্রের সঙ্গে তুলনা করা যায়।
এবারের নির্বাচনে ১০ বছর পর মুখোমুখি হচ্ছেন রমেশ চন্দ্র সেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঠাকুরগাঁও-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র। নির্বাচনে মাঠে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে তাঁর দুবার সরাসরি লড়াই হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমবার ২০০১ সালে জয়ী হন মির্জা ফখরুল। তিনি প্রায় ৩৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে রমেশ চন্দ্রকে হারিয়ে দেন। তবে পরের নির্বাচনেই প্রতিশোধ নেন রমেশ চন্দ্র। ২০০৮ সালের ওই নির্বাচনে তিনি ৫৬ হাজার ৬৯০ ভোটের বিশাল ব্যাবধানে মির্জা ফখরুলকে পরাজিত করেন। মির্জা ফখরুল যেমন বিএনপির অন্যতম কান্ডারি। ঠিক তেমনি রমেশ চন্দ্রও আওয়ামী লীগের নীতি ও কৌশল প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর আগে পানিসম্পদমন্ত্রী হিসেবেও দ্বায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
ঠাকুরগাও-১ আসনে অতীত রেকর্ডের দিক থেকে আওয়ামী লীগ বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও এবারের নির্বাচনে কী ঘটতে যাচ্ছে তা বলা মুশকিল। সর্বশেষ পৌরসভা ও সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেছে। এর কারণ হিসেবে অনেকেই আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলকে দায়ী করেন। অন্যদিকে এই আসনে বিএনপি দলগতভাবে ঐক্যবদ্ধ বলেই দাবি করছেন নেতা কর্মীরা। নির্বাচনের মনোনয়ন দৌড়েও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। মির্জা ফখরুল ছাড়া আর কেউ এই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন ফরমই কেনেননি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ১৪ জন নেতা এই আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে দলে কোনো বিভেদ নেই বলেই দাবি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। রমেশ চন্দ্রের প্রতি সবার সমর্থন আছে বলেও জানান তাঁরা।
এবারের নির্বাচনে বিএনপি ঠাকুরগাঁও-১ আসনটি দখল করতে মরিয়া থাকবে তা বোঝাই যাচ্ছে। আর আওয়ামী লীগও এই আসনটিতে তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দু’দলই সর্ব শক্তি নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমে পড়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল কি হয় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।