নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিগত ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশ পরিচালনার পর বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়। কিন্তু ক্ষমতায় থাকাকালীন হওয়া ভবনের দুর্নীতি, জঙ্গিবাদসহ সন্ত্রাস, বিভিন্ন কেলেঙ্কারি ও অনিয়মের জন্য এখনো সমালোচিত দলটি। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে বিএনপি। এবার অবশ্য দলটির নীতিনির্ধারকরা বলছে, তারা ক্ষমতায় এলে পরিবর্তিত রূপে আবির্ভূত হবে। পরিবর্তনের লক্ষ্যেই তাঁরা ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, আ. স. ম. আবদুর রবেকে নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে। কিন্তু দলটি যে একেবারেই পাল্টায়নি তা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নে অনেকটাই স্পষ্ট। কেননা এবারের মনোনয়নে বিগত সময়ের সেই বিতর্কিত মানুষগুলোর উপরেই আস্থা রেখেছে তারা। বিগত ২০০১ থেকে ২০০৬ সময়কালীন এদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ছিল। এমনকি এমন প্রার্থীদেরও দলটি মনোনয়ন দিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদসহ যুদ্ধাপরাধের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তা ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারেই হোক কিংবা ২০ দলের ব্যানারেই হোক তাদের যে কোনো বদল হবে না তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেই জানান দিয়েছে দলটি। কেননা, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত নিজেদের অপকর্মগুলোর জন্য এখনো পর্যন্ত জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কিংবা দুঃখ প্রকাশ করেনি বিএনপি। এই প্রেক্ষাপটে আমরা ধারণা করতে পারি, বিএনপি যদি এবার ক্ষমতায় আসে তবে রাজনৈতিক দুষ্টচক্ররা যাদেরকে ম্যাকিয়াভেলির ভাষায় ডেভিল বলা হয়, সে সব ডেভিলরা দেশে ফিরে আসবে। বিগত ২০০৬ সাল থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে দেশ ত্যাগ করেছিল এরা। এইসব ডেভিলরা যে বিএনপির ক্ষমতায় আসার জন্য অপেক্ষা করছে তা স্পষ্ট। দলটি ক্ষমতায় আসলে আবার দেশে ফিরে আসবে তারা, কেননা মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব বিতর্কিত মানুষদের উপর আস্থা রেখেছে বিএনপি।
১.তারেক জিয়া : যে সকল দুষ্টচক্র দেশের রাজনীতিকে দূষিত-কলুষিত করেছিল এমনকি খোদ বিএনপিকেই বিতর্কিত করেছিল তাদের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছেন তারেক জিয়া। এখনো দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিনি। যদিও ২০০৭ এর সেপ্টেম্বরে মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি আর না করার জানান দেন তিনি। এরপর চিকিৎসার অজুহাতে যুক্তরাজ্যে যান তিনি। অতঃপর বাংলাদেশের পাসপোর্ট জমা দিয়ে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন তারেক জিয়া। অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বিভাজনের বলিরেখা তৈরি হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের লালন হয়েছে, প্রতিহিংসার চর্চা হয়ে থাকে তার উত্থান হয়েছে স্বয়ং তারেক জিয়ার হাতেই। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, বাংলা ভাইয়ের উত্থান, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্য প্রদানসহ নানা ধরনের অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে তারেকের নাম। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ মানি লন্ডারিং মামলায় সাত বছরের সাজায় দণ্ডিত তিনি। ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড আসামিদের মধ্যে তারেক একজন। বিশ্বের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারেকের সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এমনকি বিশ্বব্যাপী কালো টাকার লেনদেনেও সম্পৃক্ততা রয়েছে তার। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র`-এর মতে, ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তারেকের। বিএনপি যদি এবার ক্ষমতায় আসে তবে সর্বপ্রথম বীরদর্পে যে ব্যক্তিটি দেশে ফিরে আসবেন তিনি আর কেউই নন স্বয়ং তারেক জিয়াই। রাজনীতিতে তারেক মানেই হাওয়া ভবন, কমিশন বাণিজ্য, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা। এমন একজন দুষ্টগ্রহ যদি বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার ফিরে আসে তাহলে দেশের আপামর জনগণের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত অনেকেই।
২. হারিছ চৌধুরী : বিগত ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ রয়েছে, সেই অভিযোগে তারেক জিয়ার যতটুকু অংশীদারিত্ব, ঠিক ততটুকুই অংশীদারিত্ব রয়েছে হারিছ চৌধুরীর। ঐ সময়কার বেগম জিয়ার রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তারেক জিয়া ও বেগম জিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন ছিলেন এই হারিছ চৌধুরী। হাওয়া ভবনের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অবস্থান করতেন তিনি। তৎকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নিয়োগ বাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্যসহ সকল অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে আছে হারিছ চৌধুরীর নাম। ১/১১ এর সময়কালীন দেশ থেকে পালিয়ে যান তিনি। কিন্তু এখনো তারেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। লন্ডন, আমেরিকা, ভারতে খন্ডকালীন অস্থায়ীভাবে অবস্থান করেন তিনি। হাজার হাজার কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগ রয়েছে এই হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তবে এই রাজনৈতিক দুর্বৃত্তের আবার অনুপ্রবেশ হবে বাংলাদেশে, আবার কলুষিত হবে দেশের রাজনীতি।
৩. ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক : জামাত নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক একজন যুদ্ধাপরাধী। যখন যুদ্ধাপরাধী বিচার শুরু হয়, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রস্তুতিকালেই পালিয়ে লন্ডনে যান ব্যারিস্টার রাজ্জাক। এখনো পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধী হিসেবে হাতে গোনা দু’একজন বিচারের আওতার বাইরে আছেন তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক একজন। অনেকেই বলে গোলাম আজমের দ্বিতীয় সংস্করণ হচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক। জামাতের অনেক শীর্ষ নেতা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় জামাতের মূল নেতা এখন তিনিই। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ বিরোধী যত ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হচ্ছে, তার নেতৃত্বই দিচ্ছেন এই আব্দুর রাজ্জাক। যেহেতু এবার জাতীয় নির্বাচনে জামাত ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য ২৫ টি আসন পেয়েছেন, সেহেতু বিএনপি ক্ষমতায় আসলে অবিসংবাদিতভাবেই দেশে ফিরে আসবেন তিনি। সেইসঙ্গে দেশে ফিরে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনকে আবার সংগঠিত করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
৪. মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ: বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকাকালীন মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ছিলেন কুমিল্লার এমপি, পাশাপাশি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ সারা দেশে জঙ্গি নেটওয়ার্ক প্রসারে সম্পৃক্ত আছেন তিনি। বর্তমানে সৌদি আরবে পলাতক আছেন কায়কোবাদ। বিএনপি-জামাত এবার ক্ষমতায় আসলে দেশে ফিরে আসবেন এই জঙ্গি নেতা, শুরু করে দেবেন অতীতের সেই তাণ্ডব লীলা।
৫. সাদেক হোসেন খোকা : বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি একাধারে ছিলেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। বিগত সময়ে একাধিক মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে খোকার বিরুদ্ধে রয়েছে হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ। বর্তমানে পলাতক অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তিনি। এবার বিএনপি থেকে তার ছেলে ইশরাক হোসেনের মনোনয়ন পেয়েছেন। এই প্ররিপ্রেক্ষিতে বিএনপি-জামাত যদি ক্ষমতায় আসে, তবে সাদেক হোসেন খোকার দেশে ফেরা সময়ের ব্যাপার মাত্র। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের মধ্যে খোকা অন্যতম। এই খোকা দেশে ফিরলে দেশের রাজনীতিতে আবার দুর্নীতির দুষ্টচক্রের প্রবাহ শুরু হবে তা নির্দ্বিধায় বলাই যায়।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
প্রায় ১০ হাজারের বেশি অবৈধভাবে বসবাস করা বাঙালিকে যুক্তরাজ্য ফেরত পাঠিয়েছে। তাদের সেখানে থাকার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের দৈনিক টেলিগ্রাফ এবং স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, ১১ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, ভ্রমণ কিংবা অন্য কোন কাজের পেশায় যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তারা বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। বাকি ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আবেদন খারিজ হওয়া এসব বাংলাদেশীকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন’ চুক্তির আওতায় এসব বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানানো গেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন’ চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তি অনুযায়ী যারা যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাস করবেন তাদেরকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, তারেককে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কৌশল হিসেবেই যুক্তরাজ্যের সাথে ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এই চুক্তির আওতায় শুধুমাত্র অবৈধ ব্যক্তিদেরকেই দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে না, বাংলাদেশে দন্ডিত, অপরাধী এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদেশে বসে অপপ্রচারকারীদেরও ফিরিয়ে নানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই চুক্তিতে বলা হয়েছে, যারা বাংলাদেশে অপরাধ করে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যাবে তাদেরকে যুক্তরাজ্য ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করবে এবং তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করার জন্য প্রক্রিয়া করবে। সেই বিবেচনায় তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের একটি অন্যতম রাজনৈতিক কৌশল হল, তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে দন্ড কার্যকর করা। ইতোমধ্যে তারেক জিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেননি এবং আপিল করার সময়সীমাও পেরিয়ে গেছে। এছাড়াও অর্থপাচারের একটি মামলায় হাইকোর্ট তাকে ৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন। তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ সরকার নানা রকম দেন দরবার করে আসছেন। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে তারেক জিয়াকে দেশে আনা সম্ভব হয়নি।
তারেক এখন যুক্তরাজ্যে আছে রাজনৈতিক আশ্রয়ে এবং রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করা ব্যক্তিকে যে সমস্ত শর্ত এবং নিয়ম মানতে হয় তা মানছেন না বলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একাধিকবার অধিকার করা হয়েছে। যেমন- লন্ডনে বসে তারেক বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্র এবং সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম বিষেদাগার করছেন, সরকার পতনের জন্য ষড়যন্ত্র করছেন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর অন্তত ৩টি সফরে তারেক জিয়া লন্ডনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন এবং তার নির্দেশে সেখানে সহিংস ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। বাংলাদেশ দূতাবাসেও তারেক জিয়ার নির্দেশে হামলা করা হয়েছিল এবং এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ বলে বাংলাদেশ সরকার মনে করে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাস তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছে এবং কূটনৈতিকরা মনে করছেন, তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার স্বার্থেই ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
তবে কোন কোন মহল বলছে, তারেক জিয়ার বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাকে যেহেতু যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে এবং তারেক জিয়া সেই রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের আবেদন সংক্রান্ত চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশে এলে তার জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে সেকারণেই তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টি এত দ্রুত নাও হতে পারে। তবে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এ ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখবে বলেই জানা গেছে।
তারেক জিয়া বিএনপি যুক্তরাজ্য ফাস্ট ট্র্যাক চুক্তি
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রায় ১০ হাজারের বেশি অবৈধভাবে বসবাস করা বাঙালিকে যুক্তরাজ্য ফেরত পাঠিয়েছে। তাদের সেখানে থাকার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের দৈনিক টেলিগ্রাফ এবং স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, ১১ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, ভ্রমণ কিংবা অন্য কোন কাজের পেশায় যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তারা বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। বাকি ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আবেদন খারিজ হওয়া এসব বাংলাদেশীকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন’ চুক্তির আওতায় এসব বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানানো গেছে।
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।