নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৯ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৭৮৬ জন প্রার্থীর মনোনন বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসাররা। এর মধ্যে আপিলকৃত ৫৩৪ জনের মধ্যে প্রথম দিনে ১৬০ জনের আপিলের শুনানি শেষে ৮১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন। বাতিল হয়েছে ৭৭ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা।
মোট ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাচাইয়ের পরে ৭৮৬ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর ফলে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ২৭৯ জনে। এরপর গত ০৩ ডিসেম্বর থেকে ০৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল। ৭৮৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৩৪ আপিল করেন। বৃহষ্পতিবার থেকে শুরু হলো আপিলের শুনানি।
০৬ ডিসেম্বর থেকে ০৮ ডিসেম্বর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে আপিলের শুনানি শুরু হচ্ছে। প্রথম দিনে ১-১৬০ পর্যন্ত আপিলের শুনানি হলো। আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ১৬১-৩১০ পর্যন্ত। আর অবশিষ্ট আপিলের শুনানি হবে শনিবার।
প্রথমদিনে যারা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন তাদেরে মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন: বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি প্রার্থী মোর্শেদ মিল্টন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, চট্টগ্রাম-৩ আসনে মোস্তফা কামাল পাশা।
অন্যদিকে যাদের আপিল খারিজ হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন: বগুড়া-৪ আশরাফুল হোসেন আলম, ঢাকা-১৪ সাইফুদ্দিন আহমেদ, মৌলভীবাজার-২ মহিবুল কাদির চৌধুরী।
এছাড়া স্থগিত রয়েছে ঝিনাইদহ-৩ আসনের মো. কামরুজ্জামান স্বাধীন ও চট্টগ্রাম-৫ আসনের মির মোহাম্মদ নাছিরের আপিল।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন
মন্তব্য করুন