ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএল নিলামে ১০ বাংলাদেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১২তম আসরের নিলাম বসবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর । সব মিলিয়ে এক হাজারের বেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন করা হয়েছে নিলামের জন্য যেখানে বিদেশি রয়েছে ২৩২ জন। বাংলাদেশের ১০ জন ক্রিকেটার নিলামের তালিকায় স্থান পেয়েছে। তবে অবাক করা বিষয় বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের চেয়েও আইপিএলে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা। তালিকায় জায়গা পেয়েছে আফগানিস্তানের ২৭ ক্রিকেটার।

সাকিব আল হাসান ছাড়া আইপিএলের কোন দলে নেই বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ সাকিবকে ধরে রেখেছে। গত আসরে মোস্তাফিজুর রহমান মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেললেও এই মৌসুমে মুম্বাই তাঁকে ছেড়ে দেয়। খসড়া তালিকায় বাংলাদেশের বাকি ৯ জন ক্রিকেটার কে কে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই ১০ জনের তালিকায় রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, রুবেল হোসেন।

নিলামে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো অবশিষ্ট ৭০ জন ক্রিকেটার দলে ভেড়াবেন। ২৩২ জন বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। দেশটির ৫৯ জন খেলোয়াড় নিলামের জন্য নিবন্ধন হয়েছে। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার ৩৫, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৩, শ্রীলঙ্কার ২৮ ও আফগানিস্তানের আছে ২৭ জন ক্রিকেটার। তালিকায় নিউজিল্যান্ড থেকে ১৭, ইংল্যান্ডের ১৪, বাংলাদেশের ১০ ও জিম্বাবুয়ের ৫ জন ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছে। একজন করে খেলোয়াড় আছেন হংকং, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস আর যুক্তরাষ্ট্রের।

বাংলা ইনসাইডার/এজেএস/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপ: বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কখন?

প্রকাশ: ০২:৩০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সারা বিশ্বে বেশ জোরেশোরে বাজতে শুরু করেছে টি-২০ বিশ্বকাপের দামামা। আর এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে ১৯ তম দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তদের স্কোয়াডে বড় ঘটনা বলতে দুটি। চোট শঙ্কায় থাকা তাসকিন আহমেদকে সহ-অধিনায়কের পদে রাখা এবং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন আহমেদের বাদ পড়া। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ মধ্যরাতেই বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল।

আগামী ২ জুন থেকে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। তবে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে ৮ জুন থেকে। যেখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন, ভেন্যু যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস।

এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। এরপর ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৯ দিন ব্যাপী এই বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে ২৯ জুন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে। মোট ৯টি ভেন্যুতে বিশ্বকাপের ৫৫টি ম্যাচ হবে। ভেন্যু হিসেবে রয়েছে বার্বাডোজের কেনিংটন ওভাল, ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি, ত্রিনিদাদের প্রোভিডেন্স স্টেডিয়াম, গায়ানার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম, অ্যান্টিগার ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও সেন্ট লুসিয়ার অ্যারন্স ভ্যালি স্টেডিয়াম।

গ্রুপ ‘এ’-তে তারা আছে আয়ারল্যান্ড, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে। ‘বি’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান খেলবে। আর ‘সি’ গ্রুপে আছে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি। গ্রুপ অব ডেথখ্যাত ‘ডি’-তে পড়েছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।


বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অভিজ্ঞদের সাথে তারুণ্যের মিশেলে এবারের বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সারা বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনে ইতোমধ্যেই উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কারণ আর কিছুদিন পর যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। আর এই আসরকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন আইসিসি ও আয়োজক দেশগুলো প্রস্তুতি শুরু করেছে, অন্যদিকে স্কোয়াড নিয়ে কাজ করছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো।

টি-২০ বিশ্বকাপের এবারের আসরটা অন্যান্যবারের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। কারণ এবার অন্যান্য বারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট। অন্যান্যবার এই টুর্নামেন্টে ১০ দল অংশগ্রহণ করলেও এবার অংশ নিচ্ছে ২০টি দল। সেই সাথে বদলেছে খেলার সমীকরণও।

বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই প্রায় প্রতিটি দলই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে শুধুমাত্র পাকিস্তান ছাড়া। আর প্রতিটি দলের স্কোয়াডেই রয়েছে সেই দেশগুলোর সেরা খেলোয়াড়রাই। যারা চার-ছক্কার খেলায় পারদর্শী এবং সম্প্রতি পারফরম্যান্সে যারা সেরা। শুধু তাই নয়, প্রতিটি দলের স্কোয়াডেই এবার তারুণ্য ও অভিজ্ঞদের মিশেল রয়েছে।

আর এবার ঠিক এমনই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশও। মঙ্গলবার (১৪ মে) ঘোষিত দলে যেমন রয়েছে মাহমুদুল্লাহ ও সাকিব আল হাসানের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, ঠিক তেমনই রয়েছে তানজিদ তামিম ও তানভীরের মতো তরুণ প্রতিভাবানরা।

তবে এবার তানজিদ তামিম ও তানভীরসহ মোট ৬ খেলোয়াড় এমন রয়েছেন যারা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জার্সিতে কোন টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেননি। অর্থাৎ আসন্ন এই টি-২০ বিশ্বকাপ দিয়েই বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টে অভিষেক হতে যাচ্ছে তাদের।

এই তারুণ্যের মিছিলে ওপেনিং ব্যাটার তানজিদ তামিম ও স্পিনার তানভীর ইসলামের সাথে রয়েছেন ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়, উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক, স্পিনার রিশাদ হোসেন এবং পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এদের মধ্যে তানজিদ তামিম গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন সবকটি ম্যাচ। তানজিম সাকিব সুযোগ পেয়েছিলেন দুই ম্যাচে। আর বাকি তিনজনের এটাই দেশের জার্সিতে প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট।

তারুণ্যে ভরা এই দলকে নিয়ে যেমন একদিকে উন্মাদনার শেষ নেই, ঠিক অন্যদিকে ডানা মেলে উঠেছে সন্দেহপ্রবণতা। কারণ সম্প্রতি পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে যে, এই তরুণদের প্রতি খুব একটা প্রত্যাশা রাখতে পারছে না ভক্ত-সমর্থক ও সংশ্লিষ্টরা। এদের মধ্যে এক-দুইজন ছাড়া বাকিরা এখন পর্যন্ত কোন চমক বলতে কিছু করে দেখাতে পারেননি যার জন্য তাদের প্রতি ভরসা করা যায়।

তবে এই তরুণদের মধ্যে আবার প্রতিভাবান খেলোয়াড়ও রয়েছেন যারা মূল দলে এখনও নিজেদের মেলে ধরতে না পারলেও বয়সভিত্তিক দলে দেখিয়েছিলেন নিজেদের কারিশমা। তাদের মধ্যে রয়েছেন, ওপেনিং ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম।

তানজিদ হাসান তামিম বাংলাদেশের উদীয়মান তারকাদের একজন। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতা যে দলটা এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি হয়ে আছে, সেই দলের ওপেনার ছিলেন জুনিয়র তামিম। ইমার্জিং এশিয়া কাপ দিয়ে জাতীয় দলের রাডারে এসেছিলেন। এরপর সরাসরি বিশ্বকাপে। খুব বড় কিছু করে না দেখালেও নিজের ভেতরে থাকা সম্ভাবনার কথা জানান দিয়েছিলেন ভালোভাবেই।

তবে শুধু যে তামিমের মধ্যেই সম্ভাবনা রয়েছে তা বলা টা ভুল হবে। কারণ তামিম ছাড়াও যেসব তরুণরা এবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইট ধরবেন তাদের মধ্যেও রয়েছে চমক দেখানোর সম্ভাবনা। যেমন- তানজিম সাকিব। তরুণ এই পেসারের শুরুটাও প্রায় সমসাময়িক। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন। এরপর বিতর্কের ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে ছিল তার ৩ উইকেট।

সেই সাথে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিনিশার রোলে উত্থান হয়েছে রিশাদ এবং জাকেরের। একজন ছিলেন টি-টোয়েন্টিতে। আরেকজন ওয়ানডেতে। রিশাদ জাতীয় দলের রাডারে ছিলেন লেগস্পিনার হয়ে। এরপর ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে চার-ছক্কার ঝড় তুলে নিজেকে করে তোলেন অপরিহার্য।

আর জাকেরের উত্থানে অবদান আছে বিপিএলের। ‘ছেলেটা কালো বলে আপনারা হয়ত চোখে দেখেন না’ এমন এক মন্তব্য করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এরপর ঠিকই জাকেরের সুযোগ মিলেছে বাংলাদেশ দলে। নিজেকেও প্রমাণ করেছেন তিনি।

বিপিএলে জাকেরের সতীর্থ হিসেবে ছিলেন তানভীর আহমেদ। এর আগেও খেলেছেন বাংলাদেশের জার্সিতে। তার পারফরম্যান্সটাও নেহাত ফেলনা নয়। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৬১ ইনিংসে বল করে পেয়েছেন ৭৪ উইকেট। ক্যারিবিয়ান পিচে সাকিব আল হাসান এবং শেখ মেহেদীর সঙ্গে তাকর ওপরই অঅস্থা রাখতে পেরেছেন নির্বাচকরা।

নতুনদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ নাম তাওহীদ হৃদয়। ২০২২ সালে অভিষেকের পর থেকেই বাংলাদেশের মিডল অর্ডার সামলেছেন তিনি। শুরু থেকে দারুণ ছন্দে ছিলেন। এবারের বিপিএলেও আলো কেড়ে নিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার সামলাবেন বগুড়ার এই ক্রিকেটার।

তারুণ্যের সাথে অভিজ্ঞদের এই মিশেলে এবারের বিশ্বকাপে কেমন করবে বাংলাদেশ দল তা নিয়েই এখন সকলের চিন্তা। সেই সাথে নিজেদের সামর্থ্যের কতটুকু দিতে পারবে এসকল তরুণরা এ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মধ্যে। তবে সবশেষে ভক্ত-সমর্থকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা প্রতিবারের মতো এবারও যেন দল ব্যর্থ না হয়।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড

লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। রিজার্ভ: হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।


বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টটেনহ্যাম জুজু কাটিয়ে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে ম্যানসিটি

প্রকাশ: ১২:২০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমানে ইউরোপিয়ান ফুটবলে কোন ক্লাব ফর্মের তুঙ্গে রয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে যে কোন ফুটবল ভক্তই নির্দিধায় বলবে ম্যানচেস্টার সিটি। কেননা গত কয়েক সিজনে এ দলটি নিজেদের সেরাটা দেখিয়েছে মাঠে। ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ প্রিমিয়ার লীগের তিনটি আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হলেও সিটি যেন টটেনহাম হটস্পারের মাঠে গেলে বাচ্চা শিশু। কেননা, ২০১৯ সাল থেকে হটস্পারদের মাঠে কখনোই জিততে পারেনি সিটি।

ম্যাচ জিতলেই ম্যান সিটি শিরোপার কাছে আর পয়েন্ট হারালেই আর্সেনাল এমন সমীকরণে গতকাল হটস্পারদের মাঠে আতিথেয়তা নিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। আশা আর উদ্বেগ নিয়ে ম্যাচের ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলো আর্সেনাল ফুটবলার থেকে শুরু করে কোচ, সমর্থক সবাই। এর আগেও ২০২২-২৩ মৌসুমে শেষ মুহুর্তে সিটির কাছে শিরোপা হারায় তারা।

আর অন্যদিকে সিটি সমর্থকদের মধ্যে ছিল উৎকন্ঠা। ‘হটস্পার জুজু’ যেন আবার চেপে না ধরে সেই আশায় করছিল সবাই। কারণ ২০১৯ থেকেই হটস্পারদের মাঠে কোন গোল পায়নি দলটি।

তবে সিটিজেনদের রুখে দিবে এমন সাধ্য কার! দল তথা ইপিএলের গোল মেশিন খ্যাত হলান্ডের জোড়া গোলে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে মাঠ ছাড়ে পেপ গার্দিওরার শিষ্যরা। আর এ জয়ে টানা চতুর্থ লীগ শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় তারা।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমন, পাল্টা আক্রমন চলতে থাকে। ফোডেন, ডি ব্রুইনারা ভালোই পরীক্ষায় ফেলেন হটস্পার গোলরক্ষককে। কিন্তু প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোন দলই।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫০ তম মিনিটে ডি ব্রুইনার দেয়া পাস থেকে টোকা মেরে বল জালে পাঠান হলান্ড। এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে আরেকটি গোল করেন হলান্ড।

সিটির এই জয়ে আর্সেনালকে পেছনে ফেলে আবারও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে সিটিজেনরা। আগামী ১৯ নভেম্বর ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে জয় পেলেই শিরোপা উৎসবে মাতবে তারা।

আর সেই ম্যাচে পয়েন্ট হারালে আর্সেনালের কাছে সুযোগ থাকবে এভারটনকে হারিয়ে শিরোপা জিতার।

উল্লেখ্য, লীগে সমান সংখ্যক ৩৭ ম্যাচ খেলে ম্যান সিটির পয়েন্ট ৮৮ পয়েন্ট। আর ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আর্সেনাল।


ইপিএল   শিরোপা   আর্সেনাল   ম্যান সিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসি–নেইমার–এমবাপ্পেরা পারেননি, কখনো কি জিততে পারবে পিএসজি!

প্রকাশ: ১০:৩৯ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

২০১৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে শেষ ষোলোতে হেরে বিদায় নেয় পিএসজি। এরপর আরও পাঁচটি মৌসুম কেটে গেল, পিএসজির আর চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতা হয়নি এখনো! কিন্তু হাল ছাড়েনি পিএসজি। প্যারিস থেকে তারকা গেছে, এসেছে নতুন তারকা; কিন্তু নেইমার-এমবাপ্পেকে সারথি বানিয়ে স্বপ্ন দেখে গেছে তারা।

২০২১ সালে তো বার্সেলোনার দুর্বলতাকে পুঁজি করে লিওনেল মেসিকে দলে ভেড়ান নাসের আল খেলাইফি। মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে; তর্কসাপেক্ষে সেই সময় ফুটবল বিশ্বের সেরা আক্রমণত্রয়ী গড়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তিনি।

মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে ত্রয়ী যুগে প্রবেশের আগে পিএসজিতে খেলাইফি-যুগ আর চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্নের সূচনা-পর্বটা একটু ঘুরে আসা যাক। প্যারিসের ক্লাবটিতে খেলাইফি-যুগের শুরু ২০১১ সালে। কাতারিদের বিশাল বিনিয়োগের ফল ফ্রান্সের ঘরোয়া ফুটবলে পিএসজি পেতে শুরু করে বছর তিনেক পর থেকে। ২০১৪-১৫ থেকে টানা জিততে শুরু করে ঘরোয়া লিগ আর কাপের ট্রফি।

পিএসজির সমর্থকদের তখন হয়তো মনে হচ্ছিল, গোলাপের পাপড়ি ছিটানো প্যারিসের সড়ক দিয়ে তো অনেক হাঁটা হলো, এবার ফরাসি সৌরভ ইউরোপের বন্দরে-অন্দরে ছড়িয়ে দেওয়া যাক! দামি, কিন্তু সুরভিত সব খেলোয়াড় কেনার জন্য কাতারি অর্থ তো আছেই। তাহলে আর দেরি কেন! প্যারিসের স্বপ্নাতুর আর ইউরোপসেরার ট্রফি জয়ের জন্য বিভোর চোখগুলো নজর এড়ায়নি খেলাফিরও। তাঁর অবস্থাও তো তখন পুর্ণেন্দুপত্রীর সেই কবিতার লাইনের মতো—সমস্ত পাওয়ার পরও মানুষের তবু বাকি থাকে/কোনোখানে একটি চুম্বন।

খেলাইফির সেই একটি চুম্বন যে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা, সেটা কারই বা আর অজানা আছে! তাই তো তিনি ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে নেইমার আর পরের বছর মোনাকো থেকে এমবাপ্পেকে দলে ভেড়ান। ফরাসি ফুটবলে তাঁরা দুজন তো তখন শাঁচ আর লা বেলে পারফিউমের মতোই সুরভিত আর বিখ্যাত। কিন্তু শাঁচ আর লা বেলের মতো নেইমার ও এমবাপ্পে শুধুই ফরাসি সৌরভ হয়েই রইলেন, গুচি বা ক্যালভিন ক্লেইনের মতো বৈশ্বিক হতে পারলেন কই! তাঁরাও পিএসজিকে শুধু ঘরের রাজা করেই রাখতে পারছিলেন, ইউরোপের নয়।

খেলাইফি এবার আরও মরিয়া হয়ে উঠলেন। বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের নেশায় উন্মত্ত আর চ্যাম্পিয়নস লিগের মাদকতায় আসক্ত ঘোলা চোখ খেলাইফি তখন হাত বাড়ালেন মেসির দিকে, পেয়েও গেলেন। ২০২১ সালে প্যারিসে গড়লেন এমএনএম ত্রয়ী। প্রথম মৌসুমে অতটা আশা হয়তো করেননি, ত্রয়ীটাকে জমে ওঠার সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর? ২০১৯ সালে কাভানি যেমন লিখে রেখেছিলেন ঘরে, ২০২৩ নেইমার ও এমবাপ্পের সঙ্গে মেসিকেও পেয়ে খেলাইফি নিজে লিখে রাখলেন পার্ক দ্য প্রিন্সেসের আনাচকানাচে—এবার আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতব! ফুটবল দেবতা হয়তো তখন আড়ালে মুচকি হাসছিলেন। আর চুপে চুপে বলছিলেন—ওরে নির্বোধ, টাকা দিয়ে ভাগ্য কিনতে চাইছিস। দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা!

পিএসজি সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতবে কী, শুরু হয়ে যায় গৃহদাহ! নেইমার-এমবাপ্পের বিরোধ, মেসির ঠিক ছন্দ খুঁজে না পাওয়ার আক্ষেপ মিলিয়ে পিএসজিতে সে এক তুমুল বিশৃঙ্খল পরিবেশ! শেষে তো মেসি বিদায় বলে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমালেন। সমর্থকদের জ্বালা সইতে না পেরে নেইমারও পাড়ি জমালেন মরুর দেশ সৌদি আরবে। প্যারিসের রাজা হয়ে পড়ে রইলেন শুধু এমবাপ্পে। কিন্তু কী জানি কী ভেবে—এমবাপ্পেও একটা সময় ঘোষণা দেন, তিনিও আর থাকবেন না প্যারিসে। পাড়ি জমাবেন স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে।

তা, এমবাপ্পে যাক, কিন্তু যাওয়ার বেলায় রাঙিয়ে দিয়ে যাক—পিএসজির সমর্থকদের মনোভাবটা ছিল এ রকম। এমবাপ্পেও মনে মনে চাইছিলেন, প্যারিস তিনি ছাড়বেন রাজার বেশেই। এ কারণেই কবে কখন পিএসজি ছাড়বেন, সেই ঘোষণা দেননি চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার আগে। ইউরোপে পিএসজির আরেকটা মৌসুম গেল, অধরা রইল চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি।

ফুটবলবিশ্বে এখন প্রশ্ন—দি মারিয়া চলে গেছেন, কাভানিও তো আগেই কেটে পড়েছেন—তারার হাট সেই কবেই তো ভেঙেছে। এখন তো নক্ষত্রেরও পতন ঘটেছে। পিএসজি কি আর কখনো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতবে?

প্যারিসের ক্লাবটির সমর্থকদেরও হয়তো হৃদয় বিদীর্ণ—আর পাওয়া হলো না শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটের স্বাদ! কখনো কখনো বড় কোনো ব্যর্থতায় মনে হতে পারে—পৃথিবী রং হারিয়ে একমুঠো ছাই হয়ে গেছে। মনে হতে পারে সব শেষ, সবকিছু থমকে গেছে।

কিন্তু না, হঠাৎ সেই ছাইয়ের মাঝ থেকে উঁকি মারে এক জোড়া সবুজ পাতা! মানে, সব হারানো মানুষের মনেও স্বপ্ন ঠিকই উঁকি দেয়, দোল দিয়ে যায় মন। সেই দোল কি দিচ্ছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে সেমিফাইনালে হেরে পিএসজি ছিটকে যাওয়ার পর কোচ লুইস এনরিকের আশ্বাসবাণীতে! স্প্যানিশ কোচ যে বলেছেন, ‘পিএসজি গ্রেট দলই থেকে যাবে। এমনকি এর চেয়ে ভালো দল হবে।’

কিন্তু মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের মতো মহাতারকা কি আর আসবে পিএসজিতে! তাঁরাই যখন পারেননি পিএসজিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে, আর কে পারবেন? এর উত্তরে পিএসজির কোনো পাঁড় সমর্থক জীবনানন্দ দাশের কবিতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলতেই পারেন—যদিও প্রত্যাশা সব সর্বস্বান্ত ব’লে মনে হয়—/আশার আস্থার আধার তবু নিজেই মানুষ/মহাকাশ কিংবা মহাসাগরের চিহ্নগুলো নয়। মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেরা যদি মহাকাশ আর মহাসাগর হন, তাঁদের চিহ্ন দিয়ে নয়; পিএসজি এগিয়ে যাবে নিজেদের আস্থা দিয়ে।

কিন্তু সেই আস্থা প্যারিসের দলটি পাবে কোথা থেকে? এই যে খেলাইফিসহ পিএসজির অন্য কর্মকর্তারা যে পিএসজির ভবিষ্যৎ প্রকল্প বা মহাপরিকল্পনার কথা বলেন, সেটা আসলেই কতটা দৃঢ়, তা–ও একটা বিষয়। অতীতে বারবারই ক্লাবটির ওপরের মহলের মধ্যে একটি চিন্তাধারার মধ্যে ‘স্টেজে মেরে দেব’ একটা ভাব দেখা গেছে। মানে লম্বা সময় ধরে কিছু গড়ে তোলার বদলে তারা সব সময়ই চেয়েছে তাৎক্ষণিক ফল।

তাই তো যখনই তাদের মনে হয়েছে, একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা খুব দরকার, তখনই এমন কোনো বড় তারকাকে দলে ভিড়িয়েছে, যাঁকে দেখে তাদের মনে হয়েছে—এ-ই তো আমাদের কাঙ্ক্ষিত সেই ‘সাত রাজার ধন’ এনে দিতে পারে। কে জানে ধনকুবেরদের ভাবনা বুঝি এ রকমই হয়!

কখনো নেইমার-এমবাপ্পে, কখনো মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেতে সওয়ার হয়ে তারা কাতারি ধনকুবেররা পিএসজিতে চূড়ান্ত সাফল্য আনতে চেয়েছে। এর জন্য যখন, যত প্রয়োজন অর্থ ব্যয় করেছে। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের ব্যাপারটা তো আর ‘যখন ইচ্ছা হলো মই বেয়ে আকাশে উঠে মদ পেরে’ খাওয়ার মতো নয়! তাই এমন স্বপ্ন পূরণ হয়নি পিএসজি-কর্তাদের। যেটা আসল জিনিস, সত্যিকারের ‘ক্লাব কালচার’, যে কালচার চর্চা করলে সাফল্য পাওয়া যায়, সেটা কি আসলেই তৈরি হয়েছে পিএসজিতে?

যদি সেটা হতোই, মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের মধ্যে দারুণ সমন্বয় আর সখ্য গড়ে না উঠে অহমের বৈরিতা তৈরি হবে কেন প্যারিসে। কই, রিয়াল মাদ্রিদের নক্ষত্রপুঞ্জের দিনগুলোতে রোনালদো নাজারিও, ডেভিড বেকহাম, জিনেদিন জিদান, রবার্তো কার্লোসদের মধ্যে অহমের ছিটেফোঁটাও তো দেখা যায়নি। কিংবা বার্সেলোনায় রোনালদিনিও, মেসি, ইতোরাও তো দলের জন্য লড়েছেন একযোগে। এর ফসলও তাঁরা ঘরে তুলেছেন।

শুধু এটাই কি পিএসজির ‘ক্লাব কালচার’ গড়ে না ওঠার একমাত্র কারণ? যদি অমন ‘কালচার’ থাকতই, তাহলে ক্রীড়া পরিচালক লুইস কাম্পোস ম্যাচ চলাকালে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে খেলোয়াড়দের উদ্দেশে চিল্লাতে পারেন না। যদি সেটাই থাকত, তাহলে কি আর ফি বছর কোচ বদল হতো পার্ক দ্য প্রিন্সেসে! গত তিন বছরের কথাই ধরুন না, ২০২১ সালে দলটির কোচ ছিলেন মরিসিও পচেত্তিনো, পরের বছর ক্রিস্টফ গালতিয়ের আর ২০২৩ সালে প্যারিসের ডাগআউটে লুইস এনরিকে।

পরিষ্কার করে এটা বলে দেওয়া মুশকিল যে আর মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেরা যখন পারেননি, পিএসজিও আর পারবে না চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে। ১৯৯১ সালে রেড স্টার বেলগ্রেড বা ২০০৪ সালে পোর্তো কি দলীয় প্রচেষ্টায় চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতেনি! পিএসজিও হয়তো একদিন পারবে। কিন্তু তার আগে যে ওই ‘ক্লাব কালচার’টা গড়ে উঠতে হবে সেখানে।


চ্যাম্পিয়নস লিগ   মেসি   নেইমার   এমবাপ্পে   পিএসজি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ব্যর্থতার পরও দলে লিটন, পারফরম্যান্সে এগিয়ে থেকেও কেন বাদ মিরাজ?

প্রকাশ: ০৯:০৩ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সারাবিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনে যেন সাজ সাজ রব। এশিয়া থেকে ইউরোপ, ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ সবখানেই যেন জমে উঠেছে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আমেজ। আগামী জুন মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যেই অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল বেশ শক্ত-পোক্তভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

শুধু তাই নয়, দল গোছানোতেও নিজেদের সেরাটাই দিচ্ছে প্রতিটি দেশ। তবে এই টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে যেখানে একসময়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা নিজেদের দল ঘোষণা করেছিল সেই শুরুর দিকে, সেখানে দ্বিতীয় রাউন্ড খেলা নিয়ে সংশয় থাকা দল বাংলাদেশ করেছে গড়িমসি। যদিও পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান এখনও দল ঘোষণা করেনি।

বড় কোনো টুর্নামেন্টের আগে দল ঘোষণা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নাটকের ঘটনা পুরোনো। যার ব্যক্তিক্রম হলোনা এবারের টি-২০ বিশ্বকাপেও। বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াড আইসিসির কাছে জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ১ মে। নিউজিল্যান্ড সবার আগে দল ঘোষণা করলে শুরু হয় বাকিদের দল ঘোষণার অপেক্ষা। একে একে সবাই দল ঘোষণা করলেও বাকি ছিল শুধু বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করে বিসিবি। জিম্বাবুয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে ইনজুরিতে পড়া তাসকিন আহমেদের দলে থাকা নিয়ে শঙ্কা ছাড়া তেমন কোনো উত্তাপ ছিল না এবারের দল ঘোষণা নিয়ে।

তবে বিসিবি গড়িমসি করে শেষ পর্যন্ত দল ঘোষণা করলেও, সমালোচনার বৃত্ত থেকে বেরোতে পারেনি এখানেও। কারণ হিসেবে অবশ্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকও রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হল, অফ ফর্মে থাকার পরও লিটনকে দলে ভেড়ানো এবং স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজকে বাদ দেওয়া। 

বিসিবি দল ঘোষণার আগ পর্যন্ত মেহেদী মিরাজকে নিয়ে নানা গুঞ্জন ডালপালা মেলেছিল। যার কারণ ছিলেন লিটন দাস। সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যাটে রান নেই। তাই টি-২০ বিশ্বকাপে বিকল্প ওপেনার হিসেবে মিরাজকে বিবেচনা করা হচ্ছিল। তবে সেটি গুঞ্জন পর্যন্তই রয়ে গেছে। কারণ, যার জন্য তাকে বিবেচনায় রাখা হয়েছিল শেষ পর্যন্ত সেই লিটনের ওপরই আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

কিন্তু দল ঘোষণার পর থেকে অফফর্মে থাকা লিটনকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। কারণ, চলতি বছরে ৬টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন লিটন। যেখানে মাত্র ১৩ গড়ে ৭৯ রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের আগে লিটনের এমন ফর্ম নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।

আর মিরাজ গত জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলেছেন। ব্যাটিংয়ে সাতে নামেন বলে এমনিতেও সুযোগ খুব একটা পান না। বিস্ময়করভাবে ১৬ জুলাইয়ের ম্যাচে বলও করেননি তিনি। এরপর বাংলাদেশ তিনটি টি-২০ সিরিজ খেললেও, কোনো সিরিজেই ছিলেন না তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেননি। শ্রীলংকার বিপক্ষে ছিলেন না। এমনকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে দুই দফায় ঘোষিত ২০ জন ক্রিকেটারের স্কোয়াডেও জায়গা হয়নি তার।

কিন্তু মিরাজ এবার বিপিএলে ছিলেন দারুণ ছন্দে। ব্যাটে বলে ছড়িয়েছেন দ্যুতি। ছিলেন বিজয়ী দলের সদস্যও। এমনকি সম্প্রতি পারফরম্যান্স বিবেচনায় লিটনের তুলনায় বেশ এগিয়ে রয়েছেন মিরাজ। বিপিএলে ২১৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করার রেকর্ডও রয়েছে তার। তবে এত সবকিছুর পরও বাদ পড়তে হয়েছে মিরাজকে। আর টানা অফ ফর্মে থেকেও ভরসা রাখা হয়েছে লিটন দাসের উপর।

এমন পরিস্থিতিতে ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে বিসিবি। ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। অনেকে বলছেন, মিরাজ রাজনীতির স্বীকার হচ্ছেন। আবার অনেকে জানাচ্ছেন বৈষম্যের কথা। আর লিটনকে এত কিছুর পরও সুযোগ দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। 

তবে এ বিষয়টি নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘লিটন কেবল ওপেনারই নয়, তার বিষয়টা তুললে উইকেটকিপিং সামর্থ্যের কথাও চলে আসে। আমাদের দুটো উইকেটকিপার নিয়ে যেতেই হবে। ওপেনিংয়ে হয়তো তার পরিবর্তে রিপ্লেস করতে পারছি।’

আর মিরাজ নয়, লিটনের বিকল্প হিসেবে এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমরা এনামুল হক বিজয়কে নিয়েও আলোচনা করেছিলাম। তবে ফর্মহীন থাকার পরও আমাদের লিটনের ওপর আস্থা রাখতে হয়েছে। কারণ তাকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং দুটো ম্যাচ যে তিনি খেলেননি সে সময়ও তার আস্থার জায়গা কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোচিং স্টাফরা।’

তবে বিসিবির প্রধান নির্বাচকের এমন বক্তব্যের পরও সমালোচনা করে চলেছেন ভক্ত সমর্থকরা। তাদের দাবি মিরাজকে নিয়েই বিশ্বকাপে উড়াল দেক বাংলাদেশ। 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পর প্রায় দীর্ঘ চার বছর টি-২০তে দেখা যায়নি মেহেদী মিরাজকে। তবে ৪ বছর পর সেই মিরাজ ঠিকই ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তবে এবার মিরাজের ঠাই হয়নি আসন্ন বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে। 

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। রিজার্ভ: হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।



ক্রিকেট   লিটন দাস   মিরাজ   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন