নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আচরণে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিএনপি। বিএনপির একাধিক নেতা বলেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন সব বক্তব্য রাখছেন, তাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাচ্ছে, সেই সুযোগ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ধন্যবাদ জানান। ঐদিন নির্বাচন কমিশন বিএনপির মনোনয়ন বাতিল হওয়া ৩৮ জন প্রার্থীর মনোনয়ন ফিরিয়ে দেন। ইসিতে প্রথমদিন প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার আপিলে মোট ১৬০ জনের আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির ৩৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশন বিএনপির এই ৩৮ জনের প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেওয়ার পর তাৎক্ষনিক এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, একইভাবে যদি নিরপেক্ষভাবে দেখলে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও হয়তো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থীতা ফিরে পাবেন। তবে বিএনপির একাধিক নেতা বলেছে, নির্বাচন কমিশন সারাদেশে যখন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে, নির্বাচন কমিশন যখন সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা, সরকারী দলের নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গনের বিষয়ে টুঁশব্দও করছেনা তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য নির্বাচন কমিশনকে আরও বেপরোয়া করে তুলেব। বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতা গয়েস্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিভাবে এমন মন্তব্য করেছে তা আমি জানিনা, নির্বাচন কমিশন এখনও অনেক দূরে।’ একই মন্তব্য করেছেন বিএনপির আরেকজন নেতা রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এখনো নিরপেক্ষতার কোন প্রমান দিতে পারেনি। বিএনপির কয়েকজন প্রার্থী যাদের মণোনয়ন বাতিল হওয়ার কারন ছিলনা, তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করে রিটার্নিং অফিসার যে অন্যায় করেছিল, সেই অন্যায় নির্বাচন কমিশন শুধরেছে। এটা করা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের কোন উপায় ছিলনা। কারন চক্ষু লজ্জারোতো একটা ব্যাপার থাকে। তিনি মনে করেন, নির্বাচন কমিশনকে ঢালাওভাবে সার্টিফিকেট দেওয়ার ফলে, নির্বাচন কমিশন আরও পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে যাবে।’
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।