ইনসাইড পলিটিক্স

তবুও কেন নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

ছয় মাস আগে অনেকেই কল্পনা করতে পারেনি বিএনপি এবার নির্বাচনে যাবে। কার্যত গত পাঁচ বছর ধরে বিএনপি যে সকল দাবি-দাওয়া জানিয়ে আসছিল, তা মানা হয়নি একটিও। কোন দাবি অর্জন ছাড়াই এবারের নির্বাচনে যাচ্ছে দলটি। বিএনপি তার রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিনতম সময়ের মধ্য দিয়েই এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। একদিকে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দশ মাস ধরে কারাবন্দি, অন্যদিকে দলের দ্বিতীয় নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন লন্ডনে পলাতক এবং দু’টি মামলায় যাবজ্জীবন ও সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত। ২০১৪ তে নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের মূল কারণ হিসেবে বিএনপির নীতি নির্ধারকরা বলেছিল, নির্দলীয় নিরেপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না তারা। যদিও ঐ জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রতিটিতেই বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিল বিএনপি।

বিএনপি এবার শেষপর্যন্ত নির্বাচনে কেন গেল এটাই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মোটা দাগের কয়েকটি কারণ পেয়েছেন। সেগুলো হলো:

১. অস্তিত্ব রক্ষা : ২০১৪ তে নির্বাচনে না যাওয়া যে বিএনপির ভুল ছিল তা বিএনপি নেতারা এখন প্রকাশ্যেই বলে বেড়াচ্ছেন। ঐ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কারণেই আজ দলের এই সংকট বলে মনে করছেন তারা। এমন আর একটি ভুল করতে চান না তারা, বরং নির্বাচনের মাঠে থেকে শক্তি সঞ্চয় করে নিজেদের জনপ্রিয়তার প্রমাণ রাখতে চান। বিএনপির অনেক নেতাই জানেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করা অত্যন্ত কঠিন হবে তাদের জন্য। এমনকি ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনে কারচুপিসহ প্রশাসনও সরকারের পক্ষে কাজ করবে। তবুও তারা এবার নির্বাচনে যাচ্ছেন। কেননা বিএনপির নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া অন্য কোন বিকল্প পথ নেই তাদের। কেননা এবারও নির্বাচন বর্জন করলে অস্তিত্ব বিপন্ন হবে তাদের।

২. নাটকীয় ফলাফলের আশা : বিএনপি মনে করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দশ বছর ধরে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আছে। এতো দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার কারণে অনেক জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রভাবের সৃষ্টি হয়েছে, পরিবর্তন চায় অনেকেই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কোন সরকার পর পর দুই মেয়াদে দেশ পরিচালনার পর তৃতীয়বার আবার ক্ষমতায় আসার কোন পরিসংখ্যান নেই।  তাই এবার জনমত পরিবর্তনের পক্ষেই বলে বিএনপি নেতারা মনে করছেন। এজন্য নির্বাচনে যাবার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে দলটি।

৩. আন্দোলনের অক্ষমতা : ২০১৩ সাল থেকে বিএনপি নির্দলীয় নিরেপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিল। সেই দাবিতে টানা অবরোধ দিয়েছিল দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ তে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিল দলটি। এই অবরোধ পালনের ফলে দলটির অধিকাংশ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়েছিল, সহিংসতার অভিযোগে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন অনেকেই। যে কারণে রাজপথের আন্দোলন জমাতে ব্যর্থ তারা। বিশেষ করে ২০১৪ তে ঢাকার বাইরে অল্প কিছু আন্দোলন হলেও ঢাকার মধ্যে কোন আন্দোলনেই দাঁড়াতে পারেনি বিএনপির নেতা-কর্মীরা। খোদ বিএনপির নীতি নির্ধারকরাই জানেন, এবারও যদি তারা নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলনের ডাক দেন, তবে তা গতবারের মতো ব্যর্থই হবে। কাজেই আন্দোলনের ব্যর্থতাই তাদের নির্বাচনের দিকে প্ররোচিত করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

৪. আন্তর্জাতিক চাপ : এবারের নির্বাচনে যেন বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তার জন্য আগে থেকেই আন্তর্জাতিক মহলের একটি চাপ ছিল দলটির উপর। বিশেষ করে প্রতিবেশী বন্ধুদেশ ভারত চাইছিল যে কোন পরিস্থিতিতে এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক বিএনপি। কেননা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপক্ষ হবে না এমন বক্তব্য গ্রহণযোগ্য ছিল না তাদের কাছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতেই চাপেই এবার নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি এমন গুঞ্জনই রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

৫. খালেদা জিয়ার মুক্তি : বিএনপির নীতি নির্ধারকরা মনে করছে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে যদি তারা জয়লাভে ব্যর্থও হয় তবে জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হিসেবে তাদের আবির্ভাব নিশ্চিত। এক্ষেত্রে সকারের সঙ্গে দেন-দরবার, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির পথও সুগম হবে।

মূলত এই পাঁচ কারণেই এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে বিএনপি। যদিও বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, নির্বাচনের মাঠ এবার বিএনপির পক্ষে থাকবে। কেননা দেশের জনগণ এখন পরিবর্তন চায়। এবারের নির্বাচনে নাটকীয় ফলাফল করবে বিএনপি। কিন্তু ভঙ্গুর শক্তি নিয়ে বিএনপি কতটুকু নাটকীয় ফলাফল করবে তা বুঝা যাবে ৩০ ডিসেম্বরের পর।

বাংলা ইনসাইডার/বিকে



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন বাম নেতা

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন ৭১ জন। তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সচিব, বর্তমান বিচারপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তালিকায় প্রবীণ রাজনীতিক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মো. মঞ্জুরুল আহসান খানের নাম রয়েছে।

সরকারের আর্থিক সহায়তায় হজ পালনে যাওয়া ব্যক্তিদের নামে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে তারা আগামী ৬ জুন সৌদি আরব যাবেন। হজ শেষে তাদের দেশে ফেরার কথা আগামী ১০ জুলাই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এতে সরকারের খরচ হবে প্রায় তিন কোটি টাকা।

এবার সরকারি খরচে হজে যাওয়া ব্যক্তিরা বিমানের টিকিট বাবদ ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা জমা দেবেন। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩৫ হাজার টাকা করে হজ অফিসে জমা দিতে হবে খাওয়া বাবদ।

উল্লেখ্য, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মনজুরুল আহসান খানকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টার পদ থেকে স্থায়ী অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সরকারি খরচ   হজ   মঞ্জুরুল আহসান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাষ্ট্র-বিএনপির সম্পর্কে দূরত্ব কেন?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। আজ তিনি আওয়ামী লীগের বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হবেন। এছাড়াও তিনি সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাতেরও কথা রয়েছে। আর এই সফর সূচিতে বিএনপির সঙ্গে তাদের কোনো বৈঠক নেই। বিএনপি এখন ডোনাল্ড লু কে নিয়ে সুর পাল্টেছে, ভিন্ন সুরে কথা বলছেন।  


বিএনপি নেতারা বলছেন, ডোনাল্ড লু’র ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ নেই। এই সফর নিয়েও তারা উৎসাহি নয়। কিন্তু এর আগে যখন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তখন বিএনপির উত্তেজনা এবং আগ্রহ কেউ চাপিয়ে রাখতে পারেনি। বরং বিএনপির নেতারা এ নিয়ে তাদের আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছিলেন। সেই সময় বিএনপি নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে হটিয়ে দিবে এমন প্রত্যাশায় বিভোর ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটি হয়নি। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের এক ধরনের ফাটল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গেও বিএনপি নেতাদেরকে মাত্র দু’টি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে দেখা গেছে। 

আফরিন আখতার বাংলাদেশের সফরে এলে বিএনপি নেতারা ওয়েস্টিন হোটেলে একটি বৈঠক করেন৷ তবে সেই বৈঠক ইতিবাচক ছিল না। তাছাড়া এখন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকেও বিএনপির সঙ্গে আগের মতো আর যোগাযোগ করা হয় না। তাহলে কি বিএনপি-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ফাটল ধরেছে? বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে?

এরকম প্রশ্নের উত্তরে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, নানা কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর এটি বোঝার কারণেই বিএনপি এখন নিজেদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবমুক্ত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। 

অন্যদিকে বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করেছে এবং বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির কারণে প্রতারিত হয়েছে। 

বিএনপির নেতা গোলাম মাওলা রনি বিভিন্ন টকশোতে বলছেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন বিএনপি তা বুঝতে পারেননি।’ আর এ ধরনের বক্তব্য এখন বিএনপির প্রায় সব নেতাই করছেন।

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য ভারতের পক্ষে কাজ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা এই ধরনের বক্তব্যের কোনো যৌক্তিকতা পায়নি। তবে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এই দূরত্বের কারণ একাধিক। 


১.  ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক এবং এই নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করে। বিএনপিকে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধও জানিয়েছিলো। কিন্তু বিএনপি তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র ক্ষমতার পালাবদলের অন্য কোন উপায় নেই। বিএনপির এই নির্বাচনে না যাওয়াটাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একপ্রকার হতাশা হিসেবে দেখছে। 

২. বিএনপির নেতৃত্বশূন্যতা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ওপর কিছুটা বিরক্ত বলেও কূটনৈতিক মহল আভাস দিয়েছেন। কারণ তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো কোন নেতা নেই। বিএনপির কাছে যখন কোন সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয় তখন বিএনপি নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। দলে যারা ক্রিয়াশীল এবং যারা কাজ করছেন তারা কেউই বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে নেই। আর একারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উপর আস্থা রাখতে পারছে না।

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস 

৩. জামায়াতের সাথে সম্পর্ক: তারা আবার স্বাধীনতা বিরোধী, উগ্র মৌলবাদি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে। এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে আর তাই তারা এখন বিএনপির ব্যাপারে তেমন একটা আগ্রহী নয়।


বিএনপি   লু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমের দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন, কই ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

এরপর ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।


বিএনপি   নেতানিয়াহু   দোসর   হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হযতর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যান তারা। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা দুইজনই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা কবে দেশে ফিরবেন সেটা এখনি বলতে পারছেন না তিনি। 


সিঙ্গাপুর   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতির পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে  বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?  

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।


মার্কিন স্যাংশন   ভিসানীতি   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন