নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
কোন আসনে কোন প্রার্থী জয় পেতে যাচ্ছেন সেটা নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় উঠছে। অতীত নির্বাচনের ফলাফল এবং বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে বাংলা ইনসাইডার এবারের নির্বাচনের প্রেডিকশন করছে। নির্বাচনে ঢাকার আসনগুলোতে কি ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে সারা দেশেই বাড়তি আগ্রহ থাকে। ঢাকা মহানগরের ১৫টি আসন ছাড়াও এর বাইরে রয়েছে আরো ৫টি আসন। অতীতের নির্বাচনগুলোতে এই পাঁচ আসনের তথ্য উপাত্ত এবং সামগ্রিক ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করে বাংলা ইনসাইডার প্রেডিকশন করছে এখানে আওয়ামী লীগ ২টি, বিএনপি ২টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ১টি আসন পেতে পারে।
ঢাকা-১
এই আসনটি ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। জাতীয় সংসদের ১৭৪ নং আসন এটি। এবারের নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন সালমান এফ রহমান। আর বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক। তবে এই আসনের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী ভাবা হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলামকে। তিনি মোটরগাড়ি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তিনিই এই আসনের বর্তমান এমপি। সালমান এফ রহমান দীর্ঘদিন ধরেই এই আসনটি নিজের মুঠোবন্দী করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত ইমেজ নিয়ে একটা সংকট রয়েছে। আবার বিএনপি এখানে প্রচ্ছন্নভাবে সালমাকে সমর্থন দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে বাংলা ইনসাইডারের প্রেডিকশন হলো, সালমা ইসলামই এই দ্বিতীয়বারের মতো এই আসনটিতে জয় পেতে যাচ্ছেন।
ঢাকা-২
এই আসনটির মধ্যে রয়েছে-কেরানীগঞ্জের কিছু এলাকা, কামরাঙ্গীরচর ও সাভারের অংশবিশেষ। জাতীয় সংসদের ১৭৫নং আসনটি থেকে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন কামরুল ইসলাম। তিনি এই আসনের বর্তমান সাংসদ এবং খাদ্যমন্ত্রী। এখান থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন আমানুল্লাহ আমানের ছেলে ইরফান ইবনে আমান। আমানুল্লাহ আমান দণ্ডিত হওয়ার কারণে তিনি এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি।
ইরফান ইবনে আমান তরুণ এবং তাঁর পিতা নির্বাচন করতে না পারায় তিনি এলাকাবাসীর সহানুভূতি পেতে পারেন। অন্যদিকে কামরুল ইসলামের ব্যাপারে এলাকায় নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। সেজন্য আমাদের প্রেডিকশন হলো, ঢাকা-২ আসনে জয় পেতে যাচ্ছে ধানের শীষ প্রার্থী ইরফান আমান।
ঢাকা-৩
এই আসনটিতে রয়েছে কেরানিগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন। জাতীয় সংসদের ১৭৬ নং আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। এখানে বিএনপির প্রার্থী হেভিওয়েট নেতা গয়েশ্বরচন্দ্র রায়। ঢাকা-৩ এর নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নসরুল হামিদ বিপু ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। সারাদেশে মুষ্টিমেয় যেই এলাকাগুলোতে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো দলীয় কোন্দল নেই, কেরানিগঞ্জ তার মধ্যে অন্যতম। একারণে এই আসনে নৌকা জয় পেতে যাচ্ছে বলে মনে করছে বাংলা ইনসাইডার।
ঢাকা-১৯
জাতীয় সংসদের ১৯২নং আসনটি সাভার উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. এনামুর রহমান এনাম। তিনি আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য। মাত্র এক মেয়াদে সাংসদ থেকেই তিনি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। বিরোধীদের ক্রসফায়ারে দেওয়া ও দুর্নীতিসহ তাঁর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া এই নির্বাচনী এলাকাটিতে আওয়ামী লীগেও বিভক্তি রয়েছে। অন্যদিকে ঐতিহাসিকভাবেই এই এলাকাটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। একারণে আম্মাদের প্রেডিকশন হলো, ধানের শীষই এই আসনটি পেতে যাচ্ছে।
ঢাকা-২০
এই আসনের নির্বাচনি এলাকা হলো ধামরাই উপজেলা। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন বেনজীর আহমেদ। তিনি এলাকায় দারুন জনপ্রিয়। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তমিজুদ্দিন আহমেদ। তবে তাঁর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের নেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। তাই তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। এলাকায় তাঁর তেমন একটা পরিচিতিও নেই। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় আমাদের প্রেডিকশন হলো, এই আসনটিতে নৌকার প্রার্থী বেনজীর আহমেদই সাংসদ হতে যাচ্ছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
দীর্ঘদিন ধরে চলছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সরকারবিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলনকে ঘিরে নানা কারণে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারাও রয়েছেন। বহিষ্কার হওয়া এসব নেতারা এবার ভুল স্বীকার করে দলে ফিরতে চান।
এরই মধ্যে ক্ষমা চেয়ে অন্তত তিনশজন আবেদন করেছে দলীয় হাই কমান্ডের কাছে। আবেদনের পর এখন পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে মাত্র ২০ জনের। বাকিদের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তে অনড় হাইকমান্ড।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্ষমা না পেয়ে কেউ কেউ একাধিকবার আবেদনও করেছেন। ঘুরছেন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কাছে।
তবে কোনো সংকেত না মিললেও বিএনপির কর্মসূচিতে বহিষ্কৃত ও অব্যাহতি পাওয়া নেতাদের অনেকেই অংশ নিচ্ছেন।
ক্ষমা না করার কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, বেশ কয়েকজন একাধিকবার আবেদন করলেও স্থানীয় গ্রুপিং-দ্বন্দ্বের কারণে দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। আবার ঢালাওভাবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলে দলে চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়তে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বহিষ্কৃত নেতাদের আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের ১৪ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এর মধ্যে দুজন ছাড়া কেউ বিজয়ী হতে পারেননি। ফলে বাকিদের কেউ কেউ বিএনপিতে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত বহিষ্কার করা হয়েছে ২০৪ নেতাকে।
মন্তব্য করুন
প্রায় ১০ হাজারের বেশি অবৈধভাবে বসবাস করা বাঙালিকে যুক্তরাজ্য ফেরত পাঠিয়েছে। তাদের সেখানে থাকার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের দৈনিক টেলিগ্রাফ এবং স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, ১১ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, ভ্রমণ কিংবা অন্য কোন কাজের পেশায় যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তারা বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। বাকি ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আবেদন খারিজ হওয়া এসব বাংলাদেশীকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন’ চুক্তির আওতায় এসব বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানানো গেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন’ চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তি অনুযায়ী যারা যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাস করবেন তাদেরকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, তারেককে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কৌশল হিসেবেই যুক্তরাজ্যের সাথে ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এই চুক্তির আওতায় শুধুমাত্র অবৈধ ব্যক্তিদেরকেই দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে না, বাংলাদেশে দন্ডিত, অপরাধী এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদেশে বসে অপপ্রচারকারীদেরও ফিরিয়ে নানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই চুক্তিতে বলা হয়েছে, যারা বাংলাদেশে অপরাধ করে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যাবে তাদেরকে যুক্তরাজ্য ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করবে এবং তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করার জন্য প্রক্রিয়া করবে। সেই বিবেচনায় তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের একটি অন্যতম রাজনৈতিক কৌশল হল, তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে দন্ড কার্যকর করা। ইতোমধ্যে তারেক জিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেননি এবং আপিল করার সময়সীমাও পেরিয়ে গেছে। এছাড়াও অর্থপাচারের একটি মামলায় হাইকোর্ট তাকে ৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন। তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ সরকার নানা রকম দেন দরবার করে আসছেন। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে তারেক জিয়াকে দেশে আনা সম্ভব হয়নি।
তারেক এখন যুক্তরাজ্যে আছে রাজনৈতিক আশ্রয়ে এবং রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করা ব্যক্তিকে যে সমস্ত শর্ত এবং নিয়ম মানতে হয় তা মানছেন না বলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একাধিকবার অধিকার করা হয়েছে। যেমন- লন্ডনে বসে তারেক বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্র এবং সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম বিষেদাগার করছেন, সরকার পতনের জন্য ষড়যন্ত্র করছেন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর অন্তত ৩টি সফরে তারেক জিয়া লন্ডনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন এবং তার নির্দেশে সেখানে সহিংস ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। বাংলাদেশ দূতাবাসেও তারেক জিয়ার নির্দেশে হামলা করা হয়েছিল এবং এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ বলে বাংলাদেশ সরকার মনে করে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাস তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছে এবং কূটনৈতিকরা মনে করছেন, তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার স্বার্থেই ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
তবে কোন কোন মহল বলছে, তারেক জিয়ার বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাকে যেহেতু যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে এবং তারেক জিয়া সেই রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের আবেদন সংক্রান্ত চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশে এলে তার জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে সেকারণেই তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টি এত দ্রুত নাও হতে পারে। তবে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এ ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখবে বলেই জানা গেছে।
তারেক জিয়া বিএনপি যুক্তরাজ্য ফাস্ট ট্র্যাক চুক্তি
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দীর্ঘদিন ধরে চলছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সরকারবিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলনকে ঘিরে নানা কারণে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারাও রয়েছেন। বহিষ্কার হওয়া এসব নেতারা এবার ভুল স্বীকার করে দলে ফিরতে চান।
প্রায় ১০ হাজারের বেশি অবৈধভাবে বসবাস করা বাঙালিকে যুক্তরাজ্য ফেরত পাঠিয়েছে। তাদের সেখানে থাকার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের দৈনিক টেলিগ্রাফ এবং স্ট্যান্ডার্ডের খবরে বলা হয়েছে, ১১ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, ভ্রমণ কিংবা অন্য কোন কাজের পেশায় যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে তারা বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। বাকি ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আবেদন খারিজ হওয়া এসব বাংলাদেশীকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন’ চুক্তির আওতায় এসব বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানানো গেছে।
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।