ইনসাইড পলিটিক্স

খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে আইএসআই কর্মকর্তার ফোনালাপ ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৪৫ এএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে এক ব্যক্তির ফোনালাপ হাতে পাওয়ার দাবি করেছে থাইল্যান্ড ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল এশিয়ান ট্রিবিউন।  তাদের দাবি, মেহমুদ নামের ওই।  ব্যক্তি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) কর্মকর্তা।

ফোনালাপটি তাদের দু`জনেরই কিনা সেটা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে এশিয়ান ট্রিবিউনের দাবি, ৭ মিনিটের ফোনালাপটির বিষয়ে তাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ আছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে সাহায্য করার জন্য আইএসআই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ফোনালাপে দাবি করেন মেহমুদ নামের ওই ব্যক্তি। ফাঁসকৃত ফোনালাপে নির্বাচনে বিএনপিকে জয়ী করতে আইএসআই`র কাছে খন্দকার মোশাররফকে সাহায্য চাইতে শোনা যায়।

এজন্য একপর্যায়ে তিনি চীনকে ম্যানেজ করার জন্য মেহমুদের কাছে সাহায্য চান। মেহমুদ তার জবাবে জানান চীনের সঙ্গে বিএনপিকে সাহায্যের ব্যাপারে তাদের (আইএসআই) যোগাযোগ চলছে।  বিএনপির এ নেতাকে আইএসআই`র বিশ্বস্ত বন্ধু বলে আখ্যায়িত করেন। খন্দকার মোশাররফও তাদের বন্ধু হয়েই থাকতে চান বলে মেহমুদকে আস্বস্ত করেন।  

ফোনালাপে এ বিষয়টি স্পষ্ট যে আগেও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার এই এজেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন বিএনপির সিনিয়র এ নেতা।

দু`জনের ফোনালাপটি তুলে ধরা হল-

মোশাররফ: আসসালামু আলাইকুম ভাইজান।

মেহমুদ: আসসালামু আলাইকুম ভাইজান। কেমন আছেন?

মোশাররফ: ভালো আছি। ধন্যবাদ।

মেহমুদ: অনেকদিন পর আপনার সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগছে।

মোশাররফ: জী, জী। আমার কথা মনে আছে! ওই যে শেষবার ইসলামাবাদের একটা হোটেলে আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছিলো।

মেহমুদ: হ্যাঁ, হ্যাঁ। এখন মনে পড়ছে।

মোশাররফ: হোটেলে আপনি একজন অতিথির সঙ্গে এসেছিলেন আমার সঙ্গে দেখা করতে।

মেহমুদ: হ্যাঁ, হ্যাঁ। মনে পড়েছে।

মোশাররফ: কেমন আছেন আপনি? কোথায় আছেন?

মেহমুদ: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি এখন দুবাই আছি। যদি সম্ভব হয় এবং সময় পেলে আমার সঙ্গে দেখা করেন। আপনার সঙ্গে দেখা করা জরুরি।

মোশাররফ: অবশ্যই। আমি কিছু বলতে চাই। আমরা এখন বাংলাদেশে বেশ সমস্যার মধ্যে আছি। আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। একটি মামলায় আমার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। আমি দেশের বাইরে যেতে পারছি না। এই হলো আমার অবস্থা। 

মেহমুদ: আমার যতদূর মনে পড়ে আপনি আমাদের একজন এজেন্টের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

মোশাররফ: হ্যাঁ, আমি আপনাদের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম।

মেহমুদ: ঠিক আছে। তবে আমাদের সঙ্গে আপনার দেখা হওয়াটা জরুরি।

মোশাররফ: দেখা হলে তো ভালই হতো। তবে আমরা এখন ভীষণ সমস্যার মধ্যে আছি। এই বিপদ থেকে আপনারাই আমাদের উদ্ধার করতে পারেন। আপনারা সবই জানেন।

মেহমুদ: জ্বী, জ্বী।

মোশাররফ: আমার মনে হয় আপনি সবই জানেন।

মেহমুদ: আপনি বাংলাদেশে আমাদের একমাত্র প্রকৃত বন্ধু। আমরা আপনার সঙ্গে আমাদের কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম।

মোশাররফ: আমি আপনাদের বন্ধু হিসেবেই থাকতে চাই। যদিও আপনাদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত করাটা আমার পক্ষে এখন সম্ভব নয়। সেটি করতে পারলে উপকৃত হতাম। তবে আমি বাংলাদেশে আপনাদের এজেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করবো। আপনি সেটার খবর অবশ্যই পাবেন। আমি বলতে চাই, আপনারা যদি চীনকে ম্যানেজ করতে পারেন তবে এই নির্বাচনে আমরা ভালো ফল পেতে পারি।

মেহমুদ: অবশ্যই। আমরা চীনের বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। কাজ অলরেডি শেষ হয়ে গিয়েছে। আপনার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত হলে আরো অনেক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যেত। যাই হোক সেটি তো আর সম্ভব হচ্ছে না।

মোশাররফ: আপনারা চাইলে এখানে আমি আপনাদের যেকোনো লোকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথা বলতে পারি। তবে আমার পক্ষে বিদেশে গিয়ে সাক্ষাৎ করাটা সম্ভব নয়।

মেহমুদ: বুঝতে পেরেছি। তবে আপনি চিকিৎসা বা ওমরাহ করার বাহানায় বিদেশে আসতে পারলে আপনার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা যেত। যাই হোক, আমাদের এজেন্ট আপনার সঙ্গে শীঘ্রই দেখা করে কথা বলবে।

মোশাররফ: হুমম। আপনাদের কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্ট যদি আমার সঙ্গে দেখা করে, তবে সেটি উত্তম হয়। সেক্ষেত্রে আমি আপনাদের এজেন্ট বা আপনাদের সঙ্গে পরবর্তীতে আলোচনা করবো।

মেহমুদ: অবশ্যই। আমারা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার। আপনি যা বললেন তা আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবো। আশা করি, বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করবো। একই সঙ্গে আমরা বিভিন্ন সময়ে আমাদের এজেন্ট মারফত আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবো। আপনাদের জন্য কাজ করার ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুত।

মোশাররফ: ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ।

মেহমুদ: আপনাকেও ধন্যবাদ। এখন আমাদের উভয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময় একে অপরকে সহায়তা করতে হবে। তবেই আমাদের মিশন সফল হবে ইনশাআল্লাহ।

মোশাররফ: আমরা যেটা অনুধাবন করতে পেরেছি যে, একে অপরকে সাহায্য করতে হবে। কারণ আমরা ভীষণ বিপদের মধ্যে আছি। আমাদের সাহায্য দরকার।

মেহমুদ: অবশ্যই, অবশ্যই। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। যেভাবেই হোক বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে হবে। যেহেতু আপনি বলছেন সরাসরি সাক্ষাৎ সম্ভব নয়, তাই আমরা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করছি। যদি কোনদিন সম্ভব হয় আপনার সঙ্গে দেখা হবে।

মোশাররফ: অবশ্যই। আমি চেষ্টা করছি পাসপোর্ট ফিরে পেতে। পাসপোর্ট হাতে পেলেই আপনাদের সঙ্গে দেখা করবো।

মেহমুদ: জ্বী।

মোশাররফ: এবং আমি এখানে (ঢাকায়) আপনাদের এজেন্টের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবো।

মেহমুদ: অবশ্যই। ঢাকায় আমাদের এজেন্টের সঙ্গে আপনার সাক্ষাতের বিষয়টি আমরা দেখছি। এরপরও আপনার সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে ইনশাআল্লাহ।

মোশাররফ: আমিও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা করবো। সেক্ষেত্রে আপনি আমাকে আপনাদের পুরনো বন্ধু হিসেবে ভাবতে পারেন।

মেহমুদ: অবশ্যই। এজন্যই কিন্তু আপনার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি।

মোশাররফ: আপনার সহযোগিতার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি জানি আপনারা আমাদের ভুলে যাবেন না। যার কারণেই কিন্তু আপনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন।

মেহমুদ: অবশ্যই, অবশ্যই।

মোশাররফ: আমি আপনাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবো। বন্ধুত্বের খাতিরে হলেও আমাদের মধ্যে যোগাযোগ থাকবে।

মেহমুদ: ইনশাআল্লাহ। আপনি এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।



বাংলা ইনসাইডার/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে তার গুলশানস্থ বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তবে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীন সফরে ৯ বাম নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন সফরে গেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক দল জাসদ, ওর্য়ার্কাস পার্টি ও সাম্যবাদী দলের নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না ইস্টার্নের একটি বিমানে চীনের কুংমিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান। এ সময় জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
 
সফরে যাওয়া বাম নেতারা হলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদের কার্যকারী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওয়ার্কার্স পার্টির নারী নেত্রী লুৎফুন্নেছা খান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপক তৃপ্তি বড়ুয়া ও হ মোশাহিদ প্রমুখ।
 
জানা গেছে, সফরকালে বাম নেতারা কুনমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এগ্রিকালচার সাইন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতারা রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম সম্পর্কে জানবেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। সফর শেষে আগামী ১৮ মে দেশে ফেরার কথা প্রতিনিধি দলটির।

চীন সফর   বাম দল   জাসদ   ওর্য়ার্কাস পার্টি   সাম্যবাদী দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না। 

একই সাথে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের প্রার্থিতা পর্যালোচনা করা হবে এবং তারা এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন কি না সেটি যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিগুলো থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত আওয়ামী লীগ কোন্দল কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হল কমিটি বিলুপ্ত করা এবং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া। 

এ বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছিলেন যে দলের ভেতর যারা নির্বাচন কেন্দ্রিক করেছেন সেই কোন্দল যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয় এবং যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে মিলে মিশে সকলে মিলে যেন কাজ করে। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা মান্য করেনি অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। বরং নির্বাচনের পর কর্তৃত্ব দখলের লড়াই আরও জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সে সমস্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত সহিংসতার ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে সতর্কবার্তা দেন। কিন্তু তারপরও এই বিরোধ মিটছে না। এখন আওয়ামী লীগ অ্যাকশনে যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিবদমান এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য এবং সেই সমস্ত এলাকায় কারা দায়ী তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকরা এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এবার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ অনেক জামজমকপূর্ণ ভাবে ঘটা করে করতে চায়। এ জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরপপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, দলের ভেতর যেন স্বজনরা প্রার্থী না হন। কিন্তু তারপরও যারা এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া বলে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


শৃঙ্খলা   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন