নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
ঢাকার পার্শ্ববর্তী গাজীপুর জেলায় রয়েছে পাঁচটি আসন। এই আসনগুলোতে ঐতিহ্যগতভাবেই আওয়ামী লীগের আধিপত্য বেশি। ১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচনকে আওয়ামী লীগের জন্য বিপর্যয়কর হিসেবে অভিহিত করা হয়। কিন্তু ওই দুই নির্বাচনেও গাজীপুরের আসনগুলোতে ভালো করেছিল আওয়ামী লীগ। তবে এবার গাজীপুরের সবগুলো আসনেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এই জেলার পাঁচ আসনের সামগ্রিক ঘটনা প্রবাহ এবং অতীত নির্বাচনের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বাংলা ইনসাইডার প্রেডিকশন করছে এখানে নৌকা ৪টি এবং ধানের শীষ ১টি আসন পেতে পারে।
গাজীপুর-১
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলা এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ১৮ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই আসন। এখান থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী। বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে তাঁর সন্তান ইরাদ আহমেদ চৌধুরীর আপত্তিকর মন্তব্যের জের ধরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সম্প্রতি ওই বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া হয়। গাজীপুর-১ আসনের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে তানভীর আহমেদের প্রভাব ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। অন্যদিকে আ ক ম মোজাম্মেল হক সংসদ সদস্য হয়ে এলাকায় বদনাম কুড়িয়েছেন। দলেও তাকে নিয়ে বিভক্তি রয়েছে। একারণে বাংলা ইনসাইডারের প্রেডিকশন হলো, এবারের নির্বাচনে এই আসন থেকে ধানের শীষের তানভীর আহমেদ জয় পেতে যাচ্ছেন।
গাজীপুর-২
এই আসনটির নির্বাচনী এলাকায় রয়েছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৫টি ওয়ার্ড এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা। এই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জাহিদ আহসান। আর বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন সালাহউদ্দিন সরকার। জাহিদ আহসান হলেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে। আহসান মাস্টারের প্রতি এলাকাবাসীর সম্মান এবং ভালোবাসা রয়েছে। তাছাড়া জাহিদ আহসান গত দুই মেয়াদে এই আসনের সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকেই তাঁর প্রভাব রয়েছে। একারণে আমাদের প্রেডিকশন হলো ধানের শীষ এখানে হেরে যাবে এবং নৌকা জয় পাবে।
গাজীপুর-৩
এই আসনটি জেলার শ্রীপুর উপজেলা এবং গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাউয়ালগর ও পিরুজালী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখান থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবাল হোসেন। অন্যদিকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হয়েছেন ইকবাল সিদ্দিকী। তবে বিএনপি ইতিমধ্যেই ইকবাল সিদ্দিকীকে প্রত্যাখ্যান করেছে। একারণে বাংলা ইনসাইডার মনে করছে এই আসনটি নৌকার দখলে যাবে।
গাজীপুর-৪
গাজীপুর-৪ আসনটি কাপাসিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি তাজউদ্দীন আহমেদের এলাকা। এখান থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন শাহ রিয়াজুল হান্নান। অন্যদিকে নৌকার হয়ে লড়ছেন তাজউদ্দীন কন্যা সিমিন হোসেন রিমি। এলাকায় পারিবারিকভাবেই তাজউদ্দীন পরিবারের প্রভাব এবং জনপ্রিয়তা রয়েছে। একারণে বাংলা ইনসাইডারের প্রেডিকশন হলো, এই আসনটি এবারো নৌকার দখলেই থাকবে।
গাজীপুর-৫
এই আসনটি গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চারটি ওয়ার্ড এবং কালীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। এখান থেকে নৌকার প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপির ফজলুল হক মিলন। মেহের আফরোজ চুমকি এই এলাকার বর্তমান সাংসদ। দশম জাতীয় সংসদে মহিলা শিশু প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শহীদ ময়েজউদ্দিন আহমেদের মেয়ে। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন চুমকি। একারণে নির্বাচনী এলাকায় তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। একারণে আমাদের প্রেডিকশন হলো, নৌকার প্রার্থীই এই আসনে জয় পেতে যাচ্ছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।