নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৩ এএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
ষাটের দশকে যে ক’জন শিল্পী আধুনিক বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করেছিলেন, তাঁদেরই একজন সংগীতজ্ঞ মাহমুদ উন নবী। তাঁর জীবন শুরু হয়েছিল জয় দিয়ে। অর্থাৎ আজ (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে জন্মগ্রহণ করেন কিংবদন্তি এই শিল্পী।
মাহমুদ উন নবীর জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারতের বর্ধমানে। ষাটের দশকে তিনি আধুনিক বাংলা গানে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেন। অদ্ভূত মোহনীয় সুর আর স্পষ্ট উচ্চারণে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতেন তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি সুরের ভূবনেই বিচরণ করেছিলেন। ‘সুরের ভূবনে আমি আজো পথচারী’ শিরোণামে অসম্ভব জনপ্রিয় একটি গানও রয়েছে তাঁর। ৭০ এর দশকে ‘হারজিৎ’ ছবির এই গান আধুনিক বাংলা গানে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এছাড়া ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে’, ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’, ‘তুমি কখন এসে দাঁড়িয়ে আছো আমার অজান্তে’-এর মত বহু কালজয়ী গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। সেসব গান শুনে আজও স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায় শ্রোতারা।
মাহমুদ উন নবী ছিলেন অসম্ভব সহজ-সরল, মিষ্টভাষী, নিভৃতচারী ও অভিমানী। এই সুরের জাদুকরকে এক সময় গানের জগত থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে’- গানের জন্য তাঁকে একুশে পদক ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে এই সম্মাননা দেয়া হয়নি। প্রচণ্ড অভিমানে গান ছেড়ে নির্বাসনে চলে যান। তবে তাঁর নাম ঘোষণা করে পদক না দেয়ার রহস্য আজও উন্মোচন হয়নি।
১৯৭৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন মাহমুদ উন নবী। ব্যক্তিজীবনে তিনি চার সন্তানের জনক। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী ও পঞ্চম তাঁর গর্বিত সন্তান।
জয় দিয়ে শুরু জয় দিয়ে শেষ। অর্থাৎ, বিজয়ের মাসে জন্ম আর বিজয়ের মাসে জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে মাহমুদ উন নবীর। ১৯৯০ সালের ২০ ডিসেম্বর তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। মাঝে পুরোটা সময় কেটেছে সুরের ভূবনে। রেখে গেছেন বহু সৃষ্টিকর্ম, জয় করেছেন অসংখ্য মানুষের হৃদয়। সৃষ্টি করে গেছেন আধুনিক বাংলা গানের মাইল ফলক।
বাংলা ইনসাইডার/এইচপি/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কয়েক
মাস আগেই মা হারিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা চেরি। মা হারানোর ব্যথা এখনো ভুলতে পারেননি
। বিশ্ব মা দিবসে মায়ের শূন্যতা ও একরাশ অভিমান নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে
পোস্ট করেছেন তিনি।
পোস্টে
মায়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে পূজা লিখেছেন, ‘ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা। মামুনি
দেখেছো? তুমি কি পচা কাজ করেছো, সকালে ঘুম থেকে উঠেই অঝরে চোখ থেকে জল পরতে দিলে
!! সারাজীবনই তো এই জল পরবে গো মা। কি করে থামাবো? উফ খুব কষ্ট হচ্ছে মামুনি। আর লিখতে
পারছি না, বুকটা ফেটে যাচ্ছে। ভালো থেকো মামুনি আর মনে রেখো তোমার হাতের লাঠিটা অনেক
মিস করি অনেক অনেক অনেক।’
পেইজের
পাশাপাশি ফেসবুক আইডিতেও একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। এতে লিখেছেন, ‘আমি তো এতো ভেঙ্গে
পরার মতো মেয়ে না। তবে আজকে কেন এতো ভেঙ্গে পড়ছি। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা।’ চলতি
বছরের ২৪ মার্চ সকালে মিরপুরের নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায়।
মন্তব্য করুন
বর্তমানে
ব্যস্ত সময় পার করছেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। সর্বশেষ সিনেমা ডাবল
এক্সএলের পর ওয়েব সিরিজ 'হীরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার' এ ফরিদান ও তার মা রেহানার
দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।
বিখ্যাত
অভিনেত্রী রেখা সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সোনাক্ষীর অভিনয়ের প্রশংসা করে নিজেকে সোনাক্ষীর
দ্বিতীয় মা বলে অভিহিত করেছেন। সোনাক্ষীর মাকে রেখা বলেন, ও আমার মেয়ে, আপনার মেয়ে
নয়।
পিঙ্কভিলায়
এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী জানান, 'হীরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার'- এর প্রিমিয়ারের
সময় রেখা তার কাজের প্রশংসা করেছিলেন। এমনকি রেখা নিজেকে তার দ্বিতীয় মা হিসেবেও
বলেন।’
রেখার
প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সোনাক্ষী বলেন, ‘রেখা ব্যক্তি হিসাবে অনেক সুন্দর। তার মতো
একজনের কাছ থেকে মেয়ে ডাক শুনতে অবাক লেগেছে।’
মন্তব্য করুন
ঢাকাই
চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের বিগ বাজেটের সিনেমা ‘তুফান’ মুক্তি পাবে আসন্ন
ঈদুল আজহায়। মুক্তির আগেই পুরোদমে চলছে এই ছবির শুটিং। ইতোমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে তুফানের
পোস্টার ও টিজার। যা বেশ সাড়া ফেলেছে দর্শকদের মাঝে।
তবে এরই মধ্যে আইন ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে যাচ্ছে ‘তুফান’ এমনটাই দাবি করছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড।
কয়েকদিন আগেই প্রকাশ পেয়েছে ‘তুফান’ ছবির টিজার। সিনেমাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেন্সর ছাড়পত্র বিহীন টিজার প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম। তিনি জানান, সেন্সর বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই নারায়ণগঞ্জে ‘গুলশান’ সিনেমা হলে গতকাল ১০ মে দুপুর ১২টার শোতে দেখানো হয় ‘তুফান’ সিনেমার টিজার। বিষয়টি নজরে এসেছে তাদের।
খালেদা বেগম বলেন, ‘সেন্সর বিহীন টিজার প্রদর্শনের বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমাদের ইন্সপেক্টর যাবে সেখানে। সেন্সর ছাড়পত্র বিহীন সিনেমা প্রদর্শন করা বেআইনি। নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও অন্য কোথাও চলে কি না সেটাও আমরা দেখছি। সারা বাংলাদেশে আমাদের ইন্সপেক্টর মাত্র তিনজন। যে কারণে সবগুলো প্রেক্ষাগৃহে দেখা মুশকিল। তারপরও যেখানে এমন বেআইনি প্রদর্শন হবে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
জানা গেছে, একজন গ্যাংস্টারের গল্পে তৈরি হয়েছে তুফান সিনেমা। যেখানে উঠে আসবে নব্বই দশকের চিত্র। সে সময়ের এক নামকরা গ্যাংস্টারের কাহিনী নিয়েই এগিয়ে যাবে তুফানের গল্প।
মন্তব্য করুন