নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৯ এএম, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জমে উঠেছে জামাই-শ্বশুরের নির্বাচনী লড়াই। মহাজোটের মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙল নিয়ে নির্বাচন করছেন রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। অপরদিকে সিংহ প্রতীক নিয়ে ভোট চাইছেন তার শ্বশুর এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা।
সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে এই দুইজন নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারণে মহাজোটের অনান্য শরিকরা বিভ্রান্ত। শরিকদল এবং স্থানীয় জাতীয় পার্টিও এখান জামাই শ্বশুরকে ঘিরে দুই ভাগে বিভক্ত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন। মহাজোটে জামাই-শ্বশুরের ‘দ্বন্দ্বে’ আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ তার পক্ষে আছে বলে স্থানীয়রা বলছে।
এছাড়াও এই আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে ভোটের লড়াইয়ে আছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া। এই আসন থেকে দুইবারের সাংসদ তিনি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। মহাজোটের প্রার্থীদের জটে ভোটের মাঠে তারই লাভ হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মৃধা ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালেও সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। এবারও দলীয় মনোনয়নের জন্য শুরু থেকেই দৌড়ঝাঁপ করছিলেন তিনি। এরমধ্যে দলীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা তাঁর জামাতা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া দলের মনোনয়ন বাগিয়ে নেন। জাতীয় পার্টির তৎকালীন মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের স্বাক্ষরসহ প্রত্যয়ন নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় লাঙল প্রতীক বরাদ্দ পান তিনি। অপরদিকে জিয়াউল হক মৃধা সে সময় দলীয় প্রত্যয়ন না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এ বিষয়ে রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘উনি (মৃধা) মনোনয়ন ফরমে স্বতন্ত্র প্রার্থী লিখে জমা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এখন যদি উনি মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নিজেকে দাবি করে থাকেন তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে উনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। আইন তো সবার জন্য সমান থাকবে।’
অন্যদিকে বর্তমান সাংসদ জিয়াউল হক মৃধার দাবি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীই তার পক্ষে আছেন। এলাকায়ও তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভোটে তিনিই জয়ী হবেন।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/এমআর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।