নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮
রংপুর এবং ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনী খরচের টাকা নেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের হাতে। এরশাদ সিঙ্গাপুরে অবস্থান করায় মহাবিপাকে পড়েছে রংপুর জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা। প্রতিদিনের প্রচার-প্রচারণা এবং ক্যাম্প খরচ দেয়ার মত টাকা নেই জাতীয় পার্টির নেতাদের হাতে।
রংপুরের নির্বাচন পরিচালনা করছেন মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান। তিনিও প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণার খরচ যোগাতে। রংপুর সদর আসন লাঙ্গলের ঘাঁটি হলেও এরশাদের অনুপস্থিতিতে তা অনেকটা নড়বড়ে হয়ে গেছে। সমন্বয়হীনতার কারণে বিএনপি প্রার্থী বেশ কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, একই চিত্র ঢাকা-১৭ আসনের ক্ষেত্রে। ঢাকা-১৭ আসনে কোন ধরনের প্রচার-প্রচারণা নেই জাপা চেয়ারম্যানের। অনেকটা নামকাওয়াস্তে চলছে প্রচার। তবে এ আসনে এরশাদের প্রার্থিতা থাকা না থাকা নিয়েও প্রতিনিয়ত চলছে গুজব। এখানেও এরশাদের অনুপস্থিতি বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে জাপার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। টাকা নেই, কর্মীদের তৎপরতাও নেই ঢাকা-১৭ আসনে।
এ বিষয়ে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা ফয়সাল চিশতী জানান, টাকা অবশ্যই বড় একটি ফ্যাক্টর। তবে তিনি বলেন, এ আসনের মানুষ স্যার (এরশাদ) কে ভালবাসে। এখানে টাকা দিয়ে ভোট হয়না। তার অভিমত, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন এইচ এম এরশাদ। তবে তার একথার সাথে দ্বিমত পোষণ করেন জাতীয় পার্টির অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য দেলোয়ার হোসেন। তার মতে, স্যারের উপস্থিতি হয়তো আমাদের শক্তি হতো।
রংপুরে দলের সিনিয়র নেতা মোহাম্মদ ইয়াসির জানান, ভাঙা মন নিয়ে নির্বাচনের মাঠে আছি। প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুদ্ধ করে নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকতে হচ্ছে তবে তার ধারণা দলের চেয়ারম্যান দেশে ফিরলে এ চিত্র পাল্টে যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।