ইনসাইড পলিটিক্স

সিরাজগঞ্জ ও পাবনার ১১ আসন: নৌকা ৬, ধানের শীষ ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

পদ্মাপাড়ের দুই জেলা সিরাজগঞ্জ ও পাবনা। সিরাজগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী আসন রয়েছে ৬টি। আর পাবনায় নির্বাচনী আসন ৫টি। সিরাজগঞ্জের ৬ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২১ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৩। এর মধ্যে নারী ভোটার ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৪ এবং পুরুষ ভোটার ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৩৯। অন্যদিকে পাবনায় মোট ভোটার ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৩২৭। এর মধ্যে নারী ভোটার ৯ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৪ এবং পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৩। বাংলা ইনসাইডারের প্রেডিকশন হলো, এই দুই জেলার ১১ আসনের মধ্যে নৌকা ৬টি এবং ধানের শীষ ৫টি আসনে জিতবে।

সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চার ইউনিয়ন)

সিরাজগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেভিওয়েট নেতা মোহাম্মদ নাসিম। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। কনকচাঁপা সুগায়িকা হলেও রাজনীতির মাঠে তিনি একেবারেই নবীন। তাছাড়া এই আসনটিতে বিএনপি একেবারেই দুর্বল। অতীতে এই আসন থেকে ধানের শীষের কোনো প্রার্থী জয় পান নি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ এখানে অত্যন্ত শক্তিশালী। ১৯৯১ সাল থেকে এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। আর মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া সৈনিক। এ পর্যন্ত ৭টি নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৫টিতেই জয় পেয়েছেন তিনি। সবকিছু মিলিয়ে এই আসনে নৌকার জয় নিশ্চিত বলেই মনে করছি আমরা।

সিরাজগঞ্জ-২ (কামারখন্দ এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছয় ইউনিয়ন)

এই আসনে আওয়ামী লীগের হাবিবে মিল্লাতের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রোমানা মাহমুদ। তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রী। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও স্বামীর পরিবর্তে রোমানা ভোটযুদ্ধে নেমেছিলেন। ওই নির্বাচনে মাত্র ২ হাজার ১২১ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারেও এই আসনে তীব্র প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে প্রার্থীদের। তবে ধানের শীষই এখানে শেষ হাসি হাসবে বলে মনে করছি আমরা। কারণ হাবিবে মিল্লাত এই আসনের বর্তমান এমপি হলেও নিজের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে রোমানা মাহমুদ নিশ্চিতভাবেই বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ভোট পাবেন। পাশাপাশি স্থানীয়দের একটি বড় অংশ সহানুভূতিশীল হয়ে তাকে ভোট দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এসব কারণে ধানের শীষই এই আসনটির দখল নিতে যাচ্ছে বলে প্রেডিক্ট করছি আমরা।

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা)

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে এবার বিএনপির প্রবীণ নেতা আবদুল মান্নান তালুকদারের বিরুদ্ধে লড়ছেন আওয়ামী লীগের নবীন প্রার্থী আবদুল আজিজ। আবদুল মান্নান এই আসন থেকে তিনবারের নির্বাচিত এমপি। অন্যদিকে আবদুল আজিজ এবারই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক। পরিচ্ছন্ন ইমেজের কারণে এলাকায় তার জনপ্রিয়তা আছে। এই এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ২২ জন। মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারাও আজিজের পক্ষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিপরীতে বিএনপির নেতা কর্মীরা এখানে অনেকটাই নিষ্প্রভ। একারণে এখানে নৌকার জয় দেখছি আমরা।

সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া উপজেলা)

এই আসনে আওয়ামী লীগের তানভীর ইমামের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের রফিকুল ইসলাম। তানভীর ইমাম এই আসনের বর্তমান এমপি। অন্যদিকে রফিকুল ইসলাম এর আগে ২০০৮ সালে এই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ওই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। তবে এবার এই এলাকায় তিনি জয় পাবেন বলে মনে করছি আমরা। কারণ এলাকার বিএনপির সমর্থন রয়েছে। বিএনপির জামায়াত এখানে একাট্টা হয়ে লড়ছে। এ কারণে এখানে নৌকার ধানের শীষের জয় দেখছি আমরা।

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালি উপজেলা)

সিরাজগঞ্জ-৫ এ এবার ভোটেযুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই নবীন প্রার্থী। নৌকার হয়ে লড়ছেন আবদুল মমিন মণ্ডল। আর বিএনপির কাণ্ডারী আমিরুল ইসলাম খান। ভোটের মাঠে নৌকার আবদুল মমিন মণ্ডলই শক্তিশালী অবস্থানে আছেন। এলাকার বর্তমান সাংসদ তাঁর বাবা আবদুল মজিদ। পারিবারিকভাবেই তারা প্রভাবশালী। অন্যদিকে আমিরুল ইসলাম বিএনপির মনোনয়ন পেলেও এই আসনে জামায়াতের আমিরুল ইসলামও ভোটের মাঠে আছেন। এ কারণে জামায়াত ও বিএনপির ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে। এ কারণে আওয়ামী লীগের মতিন মণ্ডলই এখানে জয় পাবেন বলে প্রেডিক্ট করছি আমরা।

সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর উপজেলা)

সিরাজগঞ্জ-৬ এ আওয়ামী লীগের হাসিবুর রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এম এ মুহিত। হাসিবুর রহমান এলাকার বর্তমান এমপি। এলাকায় তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। অন্যদিকে এম এ মুহিত সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ডা. এম এ মতিনের পুত্র। তিনি এবারই প্রথম নির্বাচনে লড়ছেন। হাসিবুর রহমান এক মেয়াদে সাংসদ হয়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। এই আসনে তাঁর শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে। প্রচার প্রচারণাতেও তিনি এগিয়ে আছেন। বিপরীতে এম এ মুহিত এখানে অনেকটাই ম্রিয়মাণ। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এখানে নৌকার জয় দেখছি আমরা।

পাবনা-১(সাঁথিয়া এবং বেড়া উপজেলার অংশবিশেষ)

পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুল হক। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী গণফোরামের আবু সাইয়ীদ। এই লড়াইকে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছে। আবু সাইয়ীদ সম্প্রতি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে গনফোরামে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংসদ নির্বাচিত হন। সেসময় আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তিনি সংস্কারপন্থী হওয়ায় পরবর্তীতে দলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা কমতে শুরু করে। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেন। কিন্তু নৌকার প্রার্থী শামসুল হক টুকুর কাছে হেরে যান। আবু সাইয়ীদ পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতা। এলাকায় তাঁর প্রভাব ও জনপ্রিয়তা আছে। তাছাড়া এবার তিনি ধানের শীষের হয়ে নির্বাচন করায় তিনি বিএনপিরও ভোট পাবেন। এসব কারণে এই আসন থেকে ধানের শীষ জিতবে বলে মনে করছি আমরা।

পাবনা-২ (সুজানগর ও আমিনপুর উপজেলা)

এই আসনে আওয়ামী লীগের আহমেদ ফিরোজ কবিরের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সেলিম রেজা। আওয়ামী লীগ এবার এই আসনে প্রার্থী বদল করেছে। ফিরোজ কবির এবারই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। অনভিজ্ঞ ফিরোজ কবির এলাকায় আলোড়ন তুলতে পারছেন না। অন্যদিকে সেলিম রেজা এই আসনের সাবেক সাংসদ। এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা আছে। এ কারণে এখানে ধানের শীষ জিতবে বলে প্রেডিক্ট করছি আমরা।

পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা)

এই আসনে আওয়ামী লীগের মকবুল হোসেনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের আনোয়ারুল ইসলাম। এই আসনে নৌকা জয় পেতে ব্যর্থ হবে বলে মনে করছি আমরা। কারণ মকবুল হোসেনকে নিয়ে নিজ দলের মধ্যেই বিভক্তি রয়েছে। আওয়ামী লীগের ১১ জন নেতা একাট্টা হয়ে মকবুল হোসেনকে মনোনয়ন না দিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে এই এলাকায় জামায়াত এবং বিএনপির প্রভাব রয়েছে। এ কারণে এই আসনটি ধানের শীষের দখলে যাবে বলে মনে করছি আমরা।

পাবনা-৪ (আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদী উপজেলা)

এই আসনটি ১৯৯৬ সালে থেকেই আওয়ামী লীগের দখলে আছে। এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুর রহমান। তিনি এই আসনে অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। গত তিন মেয়াদে তিনি এই এলাকার সাংসদ। অন্যদিকে বিএনপি এখানে খবই দুর্বল। এই আসনে এবার দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন হাবিবুর রহমান। তাঁর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় না নামায় ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত এবং পৌর কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বিএনপিতে দলীয় কোন্দল থাকায় এই আসনে নৌকার জয় অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করছি আমরা।

পাবনা-৫ (পাবনা সদর উপজেলা)

পাবনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের গোলাম ফারুকের প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের ইকবাল হোসেন। গোলাম ফারুক এই এলাকার বর্তমান সাংসদ। ২০০৮ এর নির্বাচনেও তিনি এই আসন থেকে জয় পেয়েছিলেন। গত ১০ বছরে তিনি এলাকায় ব্যাপক কাজ করেছেন। এলাকায় তাঁর প্রভাব ও জনসমর্থন আছে। অন্যদিকে জামায়াতের ইকবাল হোসেন একেবারেই নতুন প্রার্থী। এলাকায় খুব একটা শক্ত অবস্থানে নেই তিনি। এ কারণে এই আসনে নৌকা জয় পাবে বলে প্রেডিক্ট করছি আমরা।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপির লিফলেট বিতরণ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।

বিস্তারিত আসছে....


বিএনপি   লিফলেট   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। 

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, দল এখন আন্দোলনে ব্যস্ত, তবে আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের বিষয়টিও সম্পৃক্ত। আন্দোলন এবং সংগ্রাম একসাথেই চলবে। এই অংশ হিসেবেই আমরা দলের নেতৃত্বের পুনর্গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করছি। 

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক জিয়া যখন বলবেন তখনই কাউন্সিল করার জন্য তাদের প্রস্তুতি আছে। তবে বিএনপির একাধিক নেতা আভাস দিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ তারা একটি সংক্ষিপ্ত কাউন্সিল করতে পারেন এবং সংক্ষিপ্ত কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব পুনর্গঠন করা হতে পারে। 

বিএনপিতে এখন নীতি নির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটিতে পাঁচ সদস্য পদ শূন্য রয়েছে। আবার যারা স্থায়ী কমিটিতে আছেন এ রকম বেশ কয়েক জন এখন গুরুতর অসুস্থ এবং জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অনেকে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামের মতো নেতারা এখন এতই অসুস্থ যে তারা কোন রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের মতো অবস্থায় নেই। 

বিএনপির একজন নেতা স্বীকার করেছেন, তারা দলকে সার্ভিস দিতে পারছেন না। কিন্তু বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, অসুস্থ অবস্থায় তাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে অমানবিক। তবে বিএনপির তরুণ নেতারা মনে করেন, এটি মোটেও অমানবিক নয়। একজন পদে থাকা ব্যক্তি যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারেন তাহলে তাকে কোন আলঙ্কারিক পদ দিয়ে ওই শূন্যপদ পূরণ করা উচিত। বিএনপির মধ্যে একটি চাপ আছে যে, যারা মাঠের আন্দোলনে সক্রিয়, অপেক্ষাকৃত তরুণ তাদেরকে নেতৃত্বের সামনে আনা হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে তারেক জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। 

তারেক জিয়া বিএনপিতে তরুণদেরকে সামনে আনতে চান। তবে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন এ ধরনের ব্যক্তিদেরকে খালেদা জিয়া এখনই দল থেকে বাদ দিতে রাজি নন বলেই বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, রফিকুল ইসলাম মিয়া বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বিভিন্ন সংকটে তিনি বেগম জিয়ার পাশে ছিলেন। এ কারণেই দীর্ঘদিন রোগশয্যা থাকার পরও তাকে স্থায়ী কমিটিতে রাখা হয়েছে। যদিও তারেক জিয়া তাকে স্থায়ী কমিটি থেকে সরিয়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে দেওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার আপত্তির কারণে তিনি সেটি করতে পারেননি। 

একইভাবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকারকেও স্থায়ী কমিটিতে না রাখার ব্যাপারে তারেক জিয়ার আগ্রহ আছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ার কারণ তারেক জিয়ার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। আর এ কারণেই তারেক জিয়া কাউন্সিল করছেন না বলে অনেকে মনে করেন। কারণ এখন কাউন্সিল হলে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাকে সমঝোতা করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দের অনেক ব্যক্তিকে দলের নেতৃত্ব রাখতে হবে। সেটি তারেক জিয়া চান। খালেদা জিয়ার হাত থেকে বিএনপির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিলেও এখন তারেক বিএনপিকে খালেদা জিয়ার প্রভাব মুক্ত করতে পারেনি। তাই কাউন্সিলের জন্য তার অপেক্ষা। তবে একাধিক সূত্র বলছে, দলের নেতাকর্মী মধ্যে কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য একটি বড় ধরনের চাপ আছে।


কাউন্সিল   বিএনপি   তারেক জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বেগম খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামিনে কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

এ সময় কারাফটকে তাকে স্বাগত জানাতে শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন, পুরো দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে এই জালিম সরকার।

তারা শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, দেশের জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সবকিছুকে ধ্বংস করেছে। এই মাফিয়া আর পুতুল সরকার থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনের বিকল্প নাই। সেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান হাবিব।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে হাবিবুর রশীদ হাবিবকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাকে তিন মামলায় ৬ বছর নয় মাসের সাজা দেন আদালত।

এছাড়া দুটি মামলা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিলো। সব মামলায় জামিন শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

হাবিবুর রশিদ হাবিব   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের আগে ও পরে একই কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র: মঈন খান

প্রকাশ: ০৭:১৫ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও একই কথাই বলেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শুক্রবার (১৭ মে) কারামুক্ত বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবীর বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঈন খান বলেন, সরকার যদি ভাবে মার্কিন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে এসে কথা বলেছে আর সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, তাহলে সরকারের ধারণা ভুল। নির্বাচনে আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে।

তিনি বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও আটকের একমাত্র উদ্দেশ্য এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দেবে না। মানুষকে ভিন্নমত পোষণ করতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র দেওয়া হবে না। সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

এই সরকার সব অধিকার হরণ করেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের (সরকার) কোনো ভিত্তি নেই। এদেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এ জন্য সরকার ভীতু। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

মঈন খান বলেন, সরকার এদেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে আর সুস্থ ধরার রাজনীতি নেই। এখন আছে পরহিংসার রাজনীতি। সংঘাতের রাজনীতি।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বলে দেবে এ সরকারের পরিণতি কি হবে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের কি পরিণতি হয়ে ছিল। এ দেশের সরকারের বেলায় যে ভিন্ন কিছু হবে এটা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।

বিএনপি   ড. আব্দুল মঈন খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন জোট করতে চায় না বিএনপি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না। 

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যারা বিএনপির সঙ্গে এতদিন ছিল এবং আন্দোলন করেছে, তারা এখন নতুন করে আন্দোলনের আগে একটি লিয়াজোঁ কমিটি করতে চায়। আর আন্দোলনের লক্ষ্য এবং পথ পরিক্রমা চূড়ান্ত করতে চায়। লিয়াঁজো কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হোক, সেটিও তারা চায়। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি। নানা বাস্তবতার কারণে বিএনপির জোটবদ্ধ আন্দোলন করতে চায় না। লিয়াঁজো কমিটিও করতে চায় না। 

বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সাথে আলাপ করে দেখা গেছে, তারা যে সমস্ত শরিক দলগুলো এখন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আগ্রহী, তাদের সঙ্গে কোন আনুষ্ঠানিক ঐক্যে যেতে চায় না। এমনকি লিয়াঁজো কমিটির করতে চায় না। এর কারণ হিসেবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বলছেন, যে সমস্ত শরিক রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করতে চায়, আন্দোলনের মাধ্যমে তারা অনেকেই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা বা রাজনৈতিক ডিগবাজি দেওয়ার মাধ্যমে তারা আন্দোলনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এটি শুধু এই স্থায়ী কমিটির সদস্য নয়, বিএনপি অনেকের ধারণা।

গত বছরের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করার কারণে যারা পরিচিতি পেয়েছিল তারাই সরকারের সঙ্গে প্রকাশ্যে এবং গোপনে যোগাযোগ করেছেন। এদের মধ্যে জেনারেল ইব্রাহিমের কথা বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন। তারা বলছেন, তিনি রাজনৈতিকভাবে একেবারে এতিম ছিলেন। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করার কারণেই তাঁর রাজনৈতিক পরিচিতি হয়েছিল। আর সেই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি সরকারের সাথে গোপনে আঁতাত করেছেন। 

এর আগেও অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা প্রসঙ্গটিও বিএনপির অনেক নেতা বলে থাকেন। তাছাড়া ২৮ অক্টোবরের পর আকস্মিকভাবে মাহমুদুর রহমান মান্নার নীরবতাকেও বিএনপির নেতারা সন্দেহ করছেন। 

বিএনপির কাছে এরকম তথ্য আছে যে, আন্দোলন বানচালের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেকগুলো দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এবং তাদেরকে নানা রকম টোপ দেওয়া হয়েছিল। ভবিষ্যতেও আন্দোলন যদি বেগবান হয় তাহলে আবার টোপ দেওয়া হবে। এই সমস্ত লোভ পরিত্যাগ করে শরিকরা কতটুকু আন্দোলনের ব্যাপারে অটল থাকতে পারবে এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। আর কারণেই বিএনপি এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে জোটে যেতে চায় না।

বিএনপি মনে করে তারা আন্দোলন করবে। তাদের কর্মসূচির সঙ্গে যদি কেউ একমত পোষণ করে তাহলে তারা যুগপৎ আন্দোলন করবে। তবে আন্দোলন তাদের নিজেদেরই করতে হবে এমনটি মনে করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আর এ কারণে বিএনপি কোন রকম জোট বা লিয়াঁজো কমিটির পক্ষে নয়।

বিএনপি   যুগপৎ আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন