ইনসাইড পলিটিক্স

যেভাবে ভোটের আগেই হারলো বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

কর্মীদের জাগাতে পারছেন না বিএনপি নেতারা। নেতারা জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে বলছেন, কর্মীদের সকাল থেকে একসঙ্গে ভোটকেন্দ্রে যেতে। নেতার বলছেন ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে। কিন্তু ভোটের সময় যতই এগিয়ে আসছে, ততোই কর্মীরা গর্তে ঢুকে যাচ্ছে। বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মীরা বলছেন, নেতারা তাঁদের আগুনে ঝাঁপ দিতে বলছেন, কিন্তু রক্ষার পথ বাতলে দিতে পারছেন না। এভাবে লক্ষ্যহীনভাবে তাঁরা আর আত্মঘাতী হতে রাজী না।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা গালভরা বক্তৃতা দিয়েছেন। বলেছেন, ক’দিন পরেই সব বদলে যাবে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ডঃ কামাল হোসেন বলেছিলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন নিরপেক্ষ হয়ে যাবে।’ ড. কামালের আশ্বাসে কর্মীরা মাঠে নেমে বেকুব বনে গেছে। কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন কেউবা আহত হয়েছেন। এরপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, সেনা মোতায়েন হলেই পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যাবে। তাঁর ভাষায়, ‘আওয়ামী লীগ ভয়ে পালাবে।’ কিন্তু সেটাও হয়নি। সেনা মোতায়নের পর পরিস্থিতি বিএনপি কর্মীদের জন্য আরও খারাপ হয়েছে।

এখন বলা হচ্ছে, একটা দিন বিএনপির এবং ঐক্যফ্রন্টের হবে। সেই দিনটা হলো ৩০ ডিসেম্বর। বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতারা কর্মীদের সকাল থেকে দল বেঁধে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু কর্মীরা এখন আর নেতাদের কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না। বিএনপির অধিকাংশ কর্মীই মনে করছে, নির্বাচনে যে জোয়ার বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তুলতে চেয়েছিল, তা তুলতে পারেনি। বরং তারুণ্যকে জয় করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে নিজেদের ফেভারিট করতে পেরেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এরকম একটা ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, আওয়ামী লীগই আবার ক্ষমতায় আসছে। এজন্য তাঁরা আওয়ামী লীগের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলোর চেয়ে ধারাবাহিকতাকে প্রাধান্য দিয়েছে। ভোটের লড়াই তাই সাধারণ মানুষের উন্নয়ন, শান্তি এবং আলোকিত আগামীর বিপরীতে বিএনপির ক্লিশে আবেদনহীন আর্তনাদের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।

বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য সাধারণ মানুষ কেন ভোট দেবে? এ প্রশ্নের উত্তর সম্ভবত বিএনপির কাছেও নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প কে? এমন প্রশ্নের উত্তরেও বিএনপি নীরব। এমনকি বিএনপি কর্মীদেরও প্রশ্ন, এই নেতারা দশ মাসে বেগম জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করতে পারেনি; তারা ‘জনগণকে মুক্ত’ করবে কিভাবে। সাধারণ মানুষ মনে করছে, নতুন অশান্তির দরকার কী, যেভাবে যাচ্ছি সেভাবেই চলুক। বিএনপিপন্থী একজন বুদ্ধিজীবী বলছিলেন, ‘গণজোয়ার সৃষ্টি করতে ক্যারিশম্যাটিক নেতা লাগে। বেগম জিয়াকে জেলে পুরে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নেতৃত্বশুন্য করেছে। ফলে জনগণকে বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট উদ্বেলিত করতে পারেনি।’ আর এ কারণেই ভোটের আগেই আওয়ামী লীগের কাছে হারলো বিএনপি। ভোটটা হয়ে গেল স্রেফ একটা আনুষ্ঠানিকতা।

বাংলা ইনসাইডার/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে ভারত বিরোধিতার সাথে যুক্ত হচ্ছে মার্কিন বিরোধিতাও

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আবার ভারত বিরোধী অবস্থানে চলে গেছে। প্রথমে তারা ব্যক্তিগতভাবে, এখন প্রকাশ্যে দলগতভাবে ভারত বিরোধিতার নীতি গ্রহণ করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিনই ভারতের সমালোচনা করেছেন। ভারতের বিভিন্ন নীতির বিপক্ষে বক্তব্য রাখছেন। 

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, দলগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের মহাসচিব ভারত বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তবে ভারত বিরোধী অবস্থান করেই দলটি ক্ষান্ত হয়নি। দলের ভিতরে এখন মার্কিন বিরোধী প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এবং কৌশলের সমালোচনা করার কৌশলও বিএনপি গ্রহণ করেছে। 

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, তারা দলগত ভাবে এখন মার্কিন বিরোধিতা করবেন না। বিএনপির কিছু নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করবেন, মার্কিন নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখবেন এবং এই সমস্ত বক্তব্য দিয়ে জনমত যাচাইয়ের চেষ্টা করবেন। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন তাতে তারা বলছে, ভারতের কারণেই প্রভাবিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের ব্যাপারে নীরব অবস্থান গ্রহণ করেছিল। তবে বিএনপির কোনো কোনো নেতার দাবি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বিরোধিতার নামে এক ধরনের অভিনয় করেছে। বিএনপিকে বোকা বানিয়েছে। 

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, আওয়ামী লীগ জানে যে বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে সেই নির্বাচনে তাদের পক্ষে জয়লাভ করা কঠিন হবে। আর এ কারণে বিএনপি যেন নির্বাচন থেকে দূরে থাকে থাকে এজন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিনয় করছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির নেতা এবং সাবেক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি সরাসরি ভাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, পিটার ডি হাস ভারতের এজেন্ট হয়ে বিএনপির সাথে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনয় এত ভাল ছিল যে বিএনপির নেতারা নাকি সেটা বুঝতে পারেননি। তাঁর এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে বিএনপি থেকে কোন প্রতিবাদ করা হয়নি। 

বিএনপির আরেকজন নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর নিয়ে কোন কিছু যায় আসে না। বিএনপির একদা চীন পন্থী নেতা নজরুল ইসলাম খানও ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন। 

বিএনপির নীতি নির্ধারক মহল মনে করছেন, নির্বাচনের আগে বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এককাট্টা হয়ে যায়। ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। আর এই স্বার্থের কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কথা মতো সব কিছু করছে। এ বারের ডোনাল্ড লু’র সফর সেই ইঙ্গিত দেয় বলেও বিএনপির নেতারা স্বীকার করেছেন।

প্রশ্ন উঠেছে যে, এই বিশ্বায়নের যুগে বিএনপি যদি ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুটি প্রভাবশালী দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে এই দলটি কীভাবে অস্তিত্ব রক্ষা করবে। বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা বাংলাদেশের শক্তিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাসী। তবে বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন যে, বিএনপি নেতাদের এই ভারত বিরোধী এবং মার্কিন বিরোধী অবস্থানের সঙ্গে দলের অনেক নেতাই একমত নন। বিশেষ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান মনে করেন যে, ভারতের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধিতায় জড়ানো দলের জন্যই ক্ষতিকর হবে। তবে ড. মঈন খান চেয়ে এখন দলে ভেতর যারা ভারত বিরোধী তারাই ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছেন।

বিএনপি   ভারত বিরোধী   মার্কিন বিরোধী   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মানুষকে ভালো রাখতে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ব্যয় করছেন শেখ হাসিনা: বাহাউদ্দিন নাছিম

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি বলেছেন, দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য শেখ হাসিনা জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো ব্যয় করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা, নিষ্ঠা, সততা ও ভালোবাসার যে নিদর্শন ও আন্তরিকতা এটি বিরল।

তিনি বলেন, দেশবিরোধীরা গুজব রটিয়ে ও নানা অপকর্মের মাধ্যমে সব সময় দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন আমাদের উন্নয়নের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করে তখন এই অপশক্তির মাথা খারাপ হয়ে যায়। এই অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতকে কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাছিম বলেন, ঢাকা মেডিকেল ঢাকাসহ সারাদেশের সকল মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার আস্থার জায়গা। সেজন্য রোগীরা যাতে আরও ভালো সেবা পান, ডাক্তার-নার্সসহ চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেল কেন্দ্রিক কোনো দালাল চক্র থাকবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তাদেরকে নির্মূল করা হবে। ঢাকা মেডিকেলকে ৫ হাজার বেডে উন্নীতকরণের উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হবে।

এছাড়া হাসপাতালের শূন্য পদে নিয়োগ, নতুন পদ সৃষ্টি, হাসপাতালের মূল প্রবেশ মুখে হকার উচ্ছেদ, হাসপাতালের যুগপোযোগী পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করাসহ নানা বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটি কাজ করছে বলেও জানান বাহাউদ্দিন নাছিম।

শেখ হাসিনা   বাহাউদ্দিন নাছিম   আওয়ামী লীগ   ঢাকা-৮  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন কমিশন একদিন বিশ্বের রোল মডেল হবে: ইসি হাবিব

প্রকাশ: ০৫:৩৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে। তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।

একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম। আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।

ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন। আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন। 

ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।

যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেয়। 

অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান হাবিব খান।


নির্বাচন কমিশন   ইসি হাবিব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না...

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার শ্রীকান্ত উপন্যাসে লিখেছিলেন, বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়। রাজলক্ষী-শ্রীকান্তের প্রেম উপাখ্যানে বিরহ পর্বে শরৎচন্দ্রের এই মন্তব্যটি অমর। সাম্প্রতিক সময়ে এই মন্তব্যটি নতুন করে মনে পড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরের প্রেক্ষিতে। ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশে এটি প্রথম সফর নয়। এর আগেও তিনি দুবার এসেছিলেন। এককভাবে এসেছিলেন ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে। সেই সফর আর এই সফরের মধ্যে যে পার্থক্য সেটি ব্যাপক বিস্তর এবং দুই মেরুর অবস্থান।

ডোনাল্ড লু বিশ্ব রাজনীতিতে আলোচিত পাকিস্তানের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে। ইমরান খানের অভিযোগ, ডোনাল্ড লু ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই বক্তব্যকে অস্বীকার করা হয়নি। এর পরেই ডোনাল্ড লু বিশ্ব রাজনীতিতে বিশেষ করে উপমহাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।

বাংলাদেশের নির্বাচনের আগেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সরব। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন; অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে তাকে অত্যন্ত সরব দেখা গেছে। ২৮ অক্টোবরের পর তিনি তিনটি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছিলেন। দুই দফায় বাংলাদেশে এসেছিলেন। একবার এসেছিলেন এককভাবে। যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে নতুন ভিসা নীতি গ্রহণ করে তখন তিনি জিল্লুর রহমানের তৃতীয় মাত্রা টকশোতে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তার আগ্রহ এবং নির্বাচন নিয়ে তার অবস্থান সকলের কাছেই সুস্পষ্ট ছিল।

অনেকেই মনে করতেন যে, ডোনাল্ড লু হয়ত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেবে, পাকিস্তানে যেভাবে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের পরে এবার ডোনাল্ড লু’র সফর সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রায়। তিনি ক্রিকেট খেললেন, ফুচকা খেলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন। সব পুরনো স্মৃতি ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বার্তাও দিলেন। কিন্তু পুরনো বন্ধুদেরকে একেবারে ভুলে গেলেন। যারা নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ছিলেন তাদের সঙ্গে একধরনের বিচ্ছেদের বার্তা দিয়েই ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করলেন। এ যেন বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়।

কারণ নির্বাচনের আগে বিএনপি এবং সুশীল সমাজ ডোনাল্ড লু’র প্রেমে পাগল হয়ে গেছিল এবং ডোনাল্ড লু কে তারা মনে করতেন ত্রাতা হিসেবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে যখন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করেছিলেন, সেই সফরে তিনি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। বাংলাদেশের সুশীলদের- বিশেষ করে বদিউল আলম মজুমদার, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জিল্লুর রহমান, আদিলুর রহমান খানদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গভীর সম্পর্কের কথা সকলেই জানত এবং তারা বাংলাদেশে যেন একেকজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিকেন্দ্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত ছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী কী করতে পারে, নির্বাচনের পর কী কী হতে পারে, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে সরকারের কী পরিণতি হবে- ইত্যাদি নিয়ে এইসব সুশীলদের বাক্যবাণ জাতিকে শিহরিত করেছিল, আতঙ্কিত করেছিল। কিন্তু এবার তারা দেখাও পেলেন না ডোনাল্ড লু’র। তাদের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে বড়ো প্রেম তা এবার কাছে টানে নাই দূরে ঠেলে দিয়েছে।

একইভাবে বিএনপির আন্দোলনের ভারকেন্দ্র ছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রই বিএনপির আন্দোলনকে সফল করবে, বিশেষ করে ২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আসার পর থেকেই আস্তে আস্তে বিএনপি উজ্জীবিত হতে শুরু করে। কিন্তু ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে পিটার ডি হাস যে বিভিন্ন স্থানগুলোতে গেলেন সেখানে পুরনো প্রেমের কোন চিহ্ন ছিল না। বিএনপি নেতারাও এখন ডোনাল্ড লু’র সাথে সাক্ষাৎ করতে না পেরে ডোনাল্ড লুকেই অপ্রয়োজনীয় বলছেন, গুরুত্বহীন বলছেন। অথচ এই ডোনাল্ড লু ছিল এক সময় বিএনপির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।

বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়- এই বক্তব্যটি শুধুমাত্র যে প্রেম ভালোবাসার রোমান্টিকতার জন্য প্রযোজ্য তা নয়, এতদিন পরে প্রমাণ হল- কূটনীতির মাঠেও বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়।


ডোনাল্ড লু   বাংলাদেশ   রাজনীতি   বিএনপি   বদিউল আলম মজুমদার   মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

গণতন্ত্রকে সংহত কর‍তে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গণতন্ত্রকে সংহত কর‍তে হলে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন (১৯৮১)’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না বিএনপি আরও দুর্বল হোক। কারণ গণতন্ত্রকে সংহত কর‍তে হলে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন রয়েছে। তারা সেই দায়িত্বটি পালন করুক সেটিই আমরা চাই।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে বাইরে থাকার যে পথ অনুসরণ করছে, এতে করে বিএনপির জন্য আকাশটা ছোট হয়ে আসছে। সেই পথে যদি থাকে তাহলে এক সময় বিএনপি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আসলে বিএনপি এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে। আগে দেখতাম দুই একজন নেতা খেই হারায়। গয়েশ্বর বাবু খেই হারায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী আবোল তাবোল বলে। এখন দেখি আরো সিনিয়র নেতারাও আবোল তাবোল বলে, খেই হারিয়ে ফেলেছে। আসলে কেউ যখন আশার আলো দেখে না, তখন তারা খেই হারিয়ে ফেলে। বিএনপির অবস্থা হচ্ছে সেটি।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ বিএনপির নেতারা কোনো কিছুই দেখতে পায় না। কালকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘুরে যাওয়ার পর তাদের (বিএনপি) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। উনারা আশা করেছিলেন কী না কী বলে। অনেক চেষ্টাও করেছিলেন দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য। কিন্তু তাদের আশায় গুড়ে বালি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে তারা সম্পর্ককে আরো গভীর করতে চায়, সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমরাও সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এজন্য বিএনপির নেতাদের মাথা খারাপ। এখন তারা নানা ধরনের কথা বলছে।

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজির সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগের নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. সুমন সরদার, মহাসচিব এম এ বাশার, কো-চেয়ারম্যান সেহেলী পারভীন প্রমুখ।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ   গণতন্ত্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন