নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯
১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘১৪ দল অব্যাহত না রাখলে সরকার বিপদে পড়বে’। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন যে, ‘আমরা অপেক্ষা করছি, আমরা দেখছি এবং এখন পর্যন্ত ১৪ দলের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। আমরা মনে করি যে, সরকার তার বিবেচনাবোধ থেকে ১৪ দল অব্যাহত রাখবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেছেন ১৪ দলের শরিকদের বিরোধী দলে থাকাই ভালো। এ ব্যাপারে তার মন্তব্য চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এটা তার নিজস্ব মতামত। ১৪ দলের আদর্শিক অবস্থান এবং সংগ্রামের ইতিহাস হয়তো ওবায়দুল কাদের জানেন না। সেজন্য তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।’
রাশেদ খান মেনন দুঃখ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে বিজয় উৎসব করলো। এ বিজয় তো শুধু আওয়ামী লীগের একার বিজয় নয়। এটা ১৪ দলের বিজয়। ১৪ দল যদি না থাকতো তাহলে আওয়ামী লীগ এ বিজয় অর্জন করতে পারতো কিনা আমার সন্দেহ আছে।’
হেফাজতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের কারণেই কি তারা মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি তা মনে করি না। আমি জানি যে আওয়ামী লীগের মধ্যে কিছু কিছু শক্তি আছে যারা ধর্ম ব্যবসায়ী ও মৌলবাদীদের সঙ্গে আঁতাত করতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের যে মূল নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ আস্থা রয়েছে। আমরা মনে করি তিনি যতক্ষণ আছেন, ততক্ষণ ১৪ দল অব্যাহত থাকবে।
আওয়ামী লীগ এককভাবে উপজেলা নির্বাচন করবে ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এককভাবে নির্বাচন করাই ভাল। জাতীয়ভাবে নির্বাচন করতে অনেক সমস্যা হয়। আমাদের দুইজন প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ হারিয়ে দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনেই যখন এত টানাপোড়েন হয়, তখন উপজেলা নির্বাচনে তো আরও অনেক সমস্যা। তাই উপজেলা নির্বাচন আলাদাভাবে হবে এবং আমরাও আলাদাভাবে নির্বাচন করবো।’
আপনারা কি বামদের সঙ্গে কোন ঐক্য করতে যাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। আমরা নিজেরাই বাম। অতি বাম হয়ে কোন লাভ নেই। আমরা ১৪ দলে আছি। ১৪ দলে থাকবো। আমরা এটার শেষ দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারণা খুব শিগগিরই ১৪ দলের মূল নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নেবেন। যে আদর্শ এবং নীতির ভিত্তিতে ১৪ দল গঠিত হয়েছিল সে নীতি ও আদর্শ রেখে ১৪ দল অব্যাহত রাখবে। কারণ আওয়ামী লীগের স্বার্থেই ১৪ দলকে অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।’
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।