নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯
‘‘আওয়ামী ওলামা লীগ’ নামে এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠন নেই।’
সোমবার (২১ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. মো. আবদুস সোবহান মিয়ার (গোলাপ) সই করা প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এমন কথা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ (সোমবার) বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘আওয়ামী ওলামা লীগ’-এর ব্যানারে একটি সংবাদের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এই সংবাদে ‘আওয়ামী ওলামা লীগ’-এর বরাতে বিপিএল ক্রিকেট নিষিদ্ধের দাবি করা হয়েছে।
সেই বিজ্ঞপ্তির ব্যাপারে বলেন,‘ আমরা অত্যন্ত স্পষ্টতার সাথে বলতে চাই- আওয়ামী ওলামা লীগ নামে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠন অথবা এই নামে কোনো পর্যায়ে কোনো ধরনের কমিটি নাই এবং প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো ধরনের কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী ওলামা লীগের নামে এই ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও বে-আইনি।’
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ওই প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে এই ধরনের অনৈতিক ও বে-আইনি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আওয়ামী ওলামা লীগের নাম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের নীতি বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, এর আগে আওয়ামী ওলামা লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিপিএল ও আইপিএল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে তারা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন