ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনে জয় মুখ্য নয়, সকল শিক্ষার্থীর অংশীদারিত্ব চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

‘ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী হওয়াটা কোন ছাত্র সংগঠনের মুখ্য উদ্দেশ্য হতে পারে না। আমি মনে করি ডাকসু নির্বাচন হওয়াটাই সকল ছাত্র সংগঠনের বিজয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিজয়। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়াটা গৌণ, সকল শিক্ষার্থীদের অংশীদারিত্বই মুখ্য বিষয়।’

দীর্ঘ ২৮ বছর পর আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ের দেশের অন্যতম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রলীগের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিয়ে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে আলাপচারিতার চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তাঁর সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো। সাক্ষাৎকারটি নেন কাবিদুল ইসলাম রুদ্র।

বাংলা ইনসাইডার: ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে, বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে গণতান্ত্রিক স্থবিরতা তৈরি হয়েছিল, রাজনৈতিক চর্চার যে বন্ধ্যাত্বের সৃষ্টি হয়েছিল সেখান থেকে জাগরণের দ্বার হিসেবে দেখছি এ নির্বাচনকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে আমি মনে করি এই নির্বাচনটি হচ্ছে ঢাবির ঘুরে দাঁড়ানোর একটি আহ্বান। আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের গ্রহণ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। একাডেমিক ক্যালেন্ডার কেমন হবে, এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজ কিভাবে পরিচালিত হবে, গবেষণার বিষয়গুলো কিভাবে নির্ধারিত হবে, শিক্ষার্থীরা কিভাবে মুক্তির চেতনায় অঙ্গিকারে নিজেদেরকে শাণিত করবে সে বিষয়গুলো ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই প্রতিধ্বনিত হওয়া সম্ভব। সে জায়গা থেকে আমরা ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। একাডেমিক ক্যালেন্ডারে যেমন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার তারিখ উল্লেখ থাকে ঠিক তেমনিভাবে ডাকসু নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ থাকবে সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।

এতদিন ধরে ডাকসু নির্বাচন না হওয়ার কারণ হিসেবে কী দেখছেন?

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনাকারী সংগঠন ডাকসু। এর নির্বাচন হওয়ার জন্য অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সিনেট সিন্ডিকেট, ছাত্র সংগঠন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেই ধাপগুলোর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ছাত্র রাজনীতিতে ডাকসুর প্রভাব অনেক বেশি। ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ’৯০ এর পর আর ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ’৯১ তে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ক্যাম্পাসে একক দখলের রাজনীতির ধারা শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অগণতান্ত্রিক হয়ে উঠার সেটিই সূচনা। তারপরও এতদিন ডাকসু নির্বাচন না হওয়ার পিছে সকল রাজনৈতিক দলের দায় রয়েছে বলে আমি মনে করি। পাশাপাশি দায় রয়েছে শিক্ষকদেরও। ছাত্র সংগঠনগুলো আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে প্রতিটা ক্ষেত্রেই ছাত্রদের লড়াকু ইতিহাস রয়েছে কিন্তু যাদের নিয়ে তারা রাজনীতি করে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। এছাড়াও, ছাত্র সংগঠনগুলো ডাকসুর মাধ্যমে অতি রাজনীতি করতে চেয়েছে। এর ফলে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যহত হওয়ার আশঙ্খাও তৈরি হয়েছে অনেক সময়। ডাকসুর মাধ্যমে ছাত্র সংগঠনের মধ্যে যেন অতি রাজনীতি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যেন বিরাজনীতিকরণ না হয় তা এড়াতেই এতদিন ডাকসু নির্বাচন আলোর মুখ দেখেনি। ছাত্র আন্দোলনের একজন কর্মী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে পারিনি বলে আমার মনবেদনা আছে, আমি আমার সে ব্যর্থতা স্বীকার করি। এই ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীসহ রাজনৈতিক কর্মীরা একটি দায়মুক্তির সুযোগ পেয়েছে।

আওয়ামী লীগ গত দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা সত্তেও ডাকসু আলোর মুখ দেখেনি। কিন্তু কেন?

আমি বলবো এটা আমাদের ব্যর্থতা নয়, এটা আমাদের সীমাবদ্ধতা। গত ১০ বছরে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরির প্রক্রিয়া বিরাজমান ছিল। কেননা অনেক ছাত্র সংগঠনই ইতিপূর্বে ছাত্র রাজনীতির মৌলিক শর্তগুলো লঙ্ঘন করেছে। এমন অনেক ছাত্র সংগঠন আছে যারা তাদের নেতৃত্ব অছাত্রদের হাতে তুলে দিয়েছে। অনেক ছাত্র সংগঠন আবার স্বাধীনতা বিরোধী চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী। অন্যদিকে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাদের পার্টি অফিসও বানাতে চেয়েছে। মূলত এসব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যেই বিলম্ব হয়েছে।

ডাকসু নির্বাচনকে ঢাবি ছাত্রলীগের পরিকল্পনা কী?

আমাদের প্রথম চাওয়া ডাকসু নির্বাচনটা হোক। নির্বাচনের পরিবেশকে সুন্দর ও ফলপ্রসূ করার জন্য আমরা গঠনতন্ত্র কমিটির কাছে ইতিমধ্যেই আমাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছি। সেখানে আমরা বলেছি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের স্বার্থে আমরা সকল ছাড় দিতে প্রস্তুত রয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বের সর্বাধুনিক কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, সকল অযৌক্তিক বর্ধিত হল ফি ও পরীক্ষার ফি বাতিল, গণপরিবহনের সুব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ, ক্যান্টিনে পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা এসব প্রত্যাশা পূরণই ঢাবি ছাত্রলীগের পরিকল্পনা।

ছাত্রলীগ থেকে কারা নির্বাচন করবেন? সে ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কি?

ছাত্রলীগের কর্মীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কর্মী হওয়াটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়, গর্বের। তবে দায়িত্বশীল জায়গা থেকে আমাদের চেষ্টা থাকবে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য, এখানকার মেধাবী ও তরুণদের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মকাবেলা করতে সক্ষম তাদেরকেই আমরা ছাত্রলীগের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেবো। কারা নির্বাচন করবে, কারা করবে না তা আমাদের কাছে একেবারেই গৌণ। আমাদের গণতান্ত্রিক ফোরাম রয়েছে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত রয়েছে, সেটির আলোকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অন্যান্য ছাত্র সংগঠন সহাবস্থানের দাবি জানাচ্ছে, এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?

আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে পূর্ণ সহাবস্থান, পূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল যে ১৪টি ছাত্র সংগঠন আছে, প্রত্যেকটি অবাধেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

অনেকেই অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একক আধিপত্য রয়েছে, এ ব্যাপারে কী বলবেন?

ঢাবির হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের আধিপত্য রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছে ছাত্রলীগের জনপ্রিয়তা রয়েছে, এটাই আমাদের আত্মতৃপ্তির বিষয়, অনুপ্রেরণার কারণ। ভালো কাজের মাধ্যমে ছাত্রলীগকে শুভবোধের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

ছাত্র ইউনিয়নের একজন শীর্ষ নেতা (লিটন নন্দী) দুইবার মাস্টার্স করা শিক্ষার্থী ও ইভেনিং শিক্ষার্থীদেরও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন। কীভাবে দেখছেন?

ছাত্রদের দাবি আদায়ে অতীতে তাদের লড়াকু ইতিহাস রয়েছে। এখনো তারা ছাত্রদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। তারা এমন কোন প্রস্তাব দিয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে আমি মনে করি, যারা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাদের মধ্য থেকেই ছাত্রদের প্রতিনিধি আসা উচিৎ, বাকিটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত।

ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কি কোন ইশতেহারের তৈরি হয়েছে? ইশতেহারে কী কী প্রাধান্য পাবে?

ছাত্রদের অধিকার আদায়ে ছাত্রলীগ সবসময় তৎপর। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কিছুদিন আগে ‘বি ইউনিট’ এর পরীক্ষা পুনরায় নেয়ার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। নির্বাচনী তফসিল এখনো ঘোষিত হয়নি। সেক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই আমরা আমাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বের সর্বাধুনিক কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, সকল অযৌক্তিক বর্ধিত হল ফি ও পরীক্ষার ফি বাতিল, গণপরিবহনের সুব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ, ক্যান্টিনে পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা এগুলো আমাদের ইশতেহারে প্রাধান্য পাবে।

মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডাকসু থেকে ছাত্রলীগের অনেক ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব বের হয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন নেতৃত্ব বের হওয়া কি সম্ভব?

ডাকসুর নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতারাই পরবর্তীতে জাতীয় রাজনীতিতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। শুধুমাত্র ভিপি কিংবা জিএস না, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটে যারাই নির্বাচিত হবে তারা প্রত্যেকেই জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক ভূমিকা সংযোজন করার সক্ষমতা রাখে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে, এটি আমাদের প্রত্যাশা। যে সাধারণ শিক্ষার্থী ভোট দিল, তার হয়তো কোন প্রাপ্তি হয়নি কিংবা ডাকসুর সঙ্গে কোন সাংগাঠনিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়, কিন্তু সে যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলো তাতেই তার নৈতিক জাগরণ হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার সংগ্রামে সেও নিয়োজিত হলো। আমি মনে করে ডাকসু নির্বাচনে এবার শুধুমাত্র ২২ জন শিক্ষার্থীই নির্বাচিত হবে না বরং ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর প্রাণের স্ফুরণ হবে। এটিই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।

কারণ, যুগপতের সব দল জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।

বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।

নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।


লিয়াজোঁ   কমিটি   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সেদিন কী বলেছিলেন বিএনপির নেতারা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। 

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চারদিন পর ২১ মে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের অধিবেশন বসে। ওই অধিবেশন ছিল ৩৪ কার্যদিবসের। মোট ৪১ দিন অধিবেশন চলে। ২১ মে এর অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের নেতা আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগ সভাপতির স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর বাসভবন শেখ হাসিনার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি করেন। পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে আসাদুজ্জামান খানের এই বক্তব্যের পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির অনেক নেতাই টিপ্পনি মূলক ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। 

আওয়ামী লীগের নেতাদের পক্ষ থেকে সুধাংশু শেখর হালদার এসব বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করে দেওয়ার জন্য স্পিকারকে অনুরোধও জানিয়েছিলেন। এই সময় যে সমস্ত বিএনপির নেতারা পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শাহ আজিজুর রহমান। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা এখন রাজনীতিতে গুরুত্বহীন। তিনি এসে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন কিছুই করতে পারবেন না।

শাহ আজিজ এটাও মন্তব্য করেছিলেন যে, বাংলাদেশের মানুষ আর কোনদিন বাকশালে ফিরে যাবে না। আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশে কোনোদিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে না। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে তিন বছরের শাসনামলেরও তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। 

এসময় বিএনপির আরেকজন সংসদ সদস্য তৎকালীন পাবনা-২ নির্বাচিত ডা. এম এ মতিন বলেছিলেন, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বহীন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব যা করেছেন তাঁর জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান জাতীয় সংসদে এই নেতা। 

যশোর-৯ থেকে নির্বাচিত তরিকুল ইসলামও ঐ অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেন এবং বক্তব্য রাখেন। এই বক্তব্যে তিনি আওয়ামী লীগের সাড়ে তিন বছর শাসনের তীব্র সমালোচনা করেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে দিলীন হয়ে গেছে। কাজেই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া যায় না। তিনি শেখ হাসিনার বিচারও দাবি করেছিলেন। 

এই অনির্ধারিত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বিএনপির আরেক নেতা তৎকালীন ঢাকা-২৮ থেকে নির্বাচিত আব্দুল মতিন চৌধুরীও আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। এই অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির নেতা কে এম ওবায়দুর রহমান শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি যেন নতুন ষড়যন্ত্র না করেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে লক্ষ্য রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। পয়েন্ট অফ অর্ডারের এই আলোচনায় অবশ্য কোন রকমের সিদ্ধান্ত হয়নি। স্পিকার এর পর মূল আলোচনার জন্য দিনের কার্যসূচিতে ফিরে যান।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, নতজানু সরকার বলেই দেশের জনগণের স্বার্থে প্রকৃতভাবে যে একটা স্ট্যান্ড ( অবস্থান) নেওয়া দরকার সেটি নিতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী সরকার।

তিনি বলেন, ফারাক্কা দিবস মনে করে দেয় জনগণের শক্তির কাছে বড় কোনো শক্তি নেই। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বহু রাজনৈতিক দল এক হয়ে লড়াই করছে, অনেকে প্রাণ দিয়েছে। বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজও নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

২৮ অক্টোবরের পর তিন দিনের মধ্যে আমাদের ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এমন তথ্য জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও সেই নিপীড়ন নির্যাতন চলছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছেন তাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার দখলদার সরকার। তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে তাদের স্বার্থ আর প্রভুদের স্বার্থ রক্ষা করা। বিশেষ একটা দায়িত্ব নিয়ে এ সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। এটা নির্বাচিত নয় এরা নির্বাচন করে না। এরা জানে, নির্বাচন করলে তাদের একটা ভূমিধস পরাজয় হবে। বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচন দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে।

তিনি বলেন, যারা সরকারের গুণগান করে, তাদের উদ্দেশ্য হলো এ সরকার টিকে থাকলে তাদের লুণ্ঠন, পাচার অব্যাহত থাকবে। তারা বেনিফিশিয়ারি হবে। এমন একটি বেনিফিশিয়ারি গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের একমাত্র কাজ হচ্ছে নিজেদের বিত্ত তৈরি করা ও অন্য দেশের স্বার্থ রক্ষা করা। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের দাবি নিজেদেরই আদায় করতে হবে। অন্য কেউ এসে করে দেবে না।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।

বিএনপি   মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   জাতীয় প্রেস ক্লাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে ভারত বিরোধিতার সাথে যুক্ত হচ্ছে মার্কিন বিরোধিতাও

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আবার ভারত বিরোধী অবস্থানে চলে গেছে। প্রথমে তারা ব্যক্তিগতভাবে, এখন প্রকাশ্যে দলগতভাবে ভারত বিরোধিতার নীতি গ্রহণ করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিনই ভারতের সমালোচনা করেছেন। ভারতের বিভিন্ন নীতির বিপক্ষে বক্তব্য রাখছেন। 

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, দলগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের মহাসচিব ভারত বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তবে ভারত বিরোধী অবস্থান করেই দলটি ক্ষান্ত হয়নি। দলের ভিতরে এখন মার্কিন বিরোধী প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এবং কৌশলের সমালোচনা করার কৌশলও বিএনপি গ্রহণ করেছে। 

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, তারা দলগত ভাবে এখন মার্কিন বিরোধিতা করবেন না। বিএনপির কিছু নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করবেন, মার্কিন নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখবেন এবং এই সমস্ত বক্তব্য দিয়ে জনমত যাচাইয়ের চেষ্টা করবেন। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন তাতে তারা বলছে, ভারতের কারণেই প্রভাবিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের ব্যাপারে নীরব অবস্থান গ্রহণ করেছিল। তবে বিএনপির কোনো কোনো নেতার দাবি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বিরোধিতার নামে এক ধরনের অভিনয় করেছে। বিএনপিকে বোকা বানিয়েছে। 

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, আওয়ামী লীগ জানে যে বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে সেই নির্বাচনে তাদের পক্ষে জয়লাভ করা কঠিন হবে। আর এ কারণে বিএনপি যেন নির্বাচন থেকে দূরে থাকে থাকে এজন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিনয় করছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির নেতা এবং সাবেক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি সরাসরি ভাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, পিটার ডি হাস ভারতের এজেন্ট হয়ে বিএনপির সাথে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনয় এত ভাল ছিল যে বিএনপির নেতারা নাকি সেটা বুঝতে পারেননি। তাঁর এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে বিএনপি থেকে কোন প্রতিবাদ করা হয়নি। 

বিএনপির আরেকজন নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর নিয়ে কোন কিছু যায় আসে না। বিএনপির একদা চীন পন্থী নেতা নজরুল ইসলাম খানও ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন। 

বিএনপির নীতি নির্ধারক মহল মনে করছেন, নির্বাচনের আগে বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এককাট্টা হয়ে যায়। ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। আর এই স্বার্থের কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কথা মতো সব কিছু করছে। এ বারের ডোনাল্ড লু’র সফর সেই ইঙ্গিত দেয় বলেও বিএনপির নেতারা স্বীকার করেছেন।

প্রশ্ন উঠেছে যে, এই বিশ্বায়নের যুগে বিএনপি যদি ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুটি প্রভাবশালী দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে এই দলটি কীভাবে অস্তিত্ব রক্ষা করবে। বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা বাংলাদেশের শক্তিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাসী। তবে বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন যে, বিএনপি নেতাদের এই ভারত বিরোধী এবং মার্কিন বিরোধী অবস্থানের সঙ্গে দলের অনেক নেতাই একমত নন। বিশেষ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান মনে করেন যে, ভারতের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধিতায় জড়ানো দলের জন্যই ক্ষতিকর হবে। তবে ড. মঈন খান চেয়ে এখন দলে ভেতর যারা ভারত বিরোধী তারাই ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছেন।

বিএনপি   ভারত বিরোধী   মার্কিন বিরোধী   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মানুষকে ভালো রাখতে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ব্যয় করছেন শেখ হাসিনা: বাহাউদ্দিন নাছিম

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি বলেছেন, দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য শেখ হাসিনা জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো ব্যয় করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা, নিষ্ঠা, সততা ও ভালোবাসার যে নিদর্শন ও আন্তরিকতা এটি বিরল।

তিনি বলেন, দেশবিরোধীরা গুজব রটিয়ে ও নানা অপকর্মের মাধ্যমে সব সময় দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন আমাদের উন্নয়নের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করে তখন এই অপশক্তির মাথা খারাপ হয়ে যায়। এই অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতকে কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাছিম বলেন, ঢাকা মেডিকেল ঢাকাসহ সারাদেশের সকল মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার আস্থার জায়গা। সেজন্য রোগীরা যাতে আরও ভালো সেবা পান, ডাক্তার-নার্সসহ চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেল কেন্দ্রিক কোনো দালাল চক্র থাকবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তাদেরকে নির্মূল করা হবে। ঢাকা মেডিকেলকে ৫ হাজার বেডে উন্নীতকরণের উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হবে।

এছাড়া হাসপাতালের শূন্য পদে নিয়োগ, নতুন পদ সৃষ্টি, হাসপাতালের মূল প্রবেশ মুখে হকার উচ্ছেদ, হাসপাতালের যুগপোযোগী পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করাসহ নানা বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটি কাজ করছে বলেও জানান বাহাউদ্দিন নাছিম।

শেখ হাসিনা   বাহাউদ্দিন নাছিম   আওয়ামী লীগ   ঢাকা-৮  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন