ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার পর কে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

জার্মান সফরে গিয়ে ডয়েচে ভেলে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁর অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি আর দায়িত্ব পালন করতে চান না। এটাই তাঁর শেষ মেয়াদ।

প্রধানমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎকারের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন মহল আর দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে আলাপ-আলোচনা, জল্পনা-কল্পনা। ২০২৩ সাল পর্যন্ত রয়েছে বর্তমান সরকারের মেয়াদ। এই মেয়াদের পর তাহলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন- তা নিয়ে এখনই আওয়ামী লীগে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচন তো অনেক পরের বিষয়। নির্বাচনের আগেই আগামী অক্টোবরে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দলের সভাপতি বিভিন্ন নেতাদের কাছে খোলামেলাভাবেই বলেছেন যে এই অক্টোবরে কাউন্সিল অধিবেশনেই তিনি সভাপতির পদ ছাড়তে চান এবং দলে আনতে চান নতুন নেতৃত্ব। যদিও এমন অভিপ্রায় তিনি আগেও করেছিলেন। কিন্তু দলের নেতাকর্মী এবং কাউন্সিলরদের আবেগ আর আপত্তির মুখে তিনি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। এবার তিনি তাঁর অবস্থানে অনঢ় বলেই জানা গেছে।

তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা বলছেন, আগামী কাউন্সিলেই শেখ হাসিনা হয়তো সভাপতির পদ ছাড়বে না। তিনি সভাপতির পদে থাকলেও ২০২৩ এর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তিনি যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেন তবে আওয়ামী লীগের দল পরিচালনা বা সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি অনুযায়ী সংসদে দল বিজয়ী বা পরাজিত যাই হোক- সংসদ নেতা বা নির্বাচনে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো নেতা প্রয়োজন হবে। সেই নেতা কে হবেন তা নিয়েও আওয়ামী লীগের মধ্যে নানা মত ও চিন্তাভাবনা শোনা যাচ্ছে।

দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেছেন, আগামী অক্টোবরে কাউন্সিলের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ নতুন পথযাত্রা শুরু করবে। ঐ নেতা বলেছেন, অক্টোবরের কাউন্সিলে তিনি হয়তো সভাপতির পদ ছেড়ে নতুন নেতৃত্ব আনবেন। এই নেতৃত্বই ২০২৩ সালের নির্বাচনের জন্য দলকে নেতৃত্ব দেবে। এবং এখান থেকেই নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পথচলা শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হচ্ছে যে, ২০২৩ এর নির্বাচনের আগেই যদি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচন না করেন, তখন হঠাৎ করে নতুন একজন নেতা দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা এবং দলের পুরো নেতৃত্বকে গ্রহণ করা কিছুটা সমস্যা হতেই পারে। এ কারণেই তারা চিন্তা করছেন যে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী হয়তো অক্টোবরেই নতুন নেতৃত্বের একটা ইঙ্গিত দেবেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কে হবেন আওয়ামী লীগের নতুন নেতা। এ নিয়ে দলের মধ্যে নানারকম মত আর চিন্তাভাবনা আছে। তবে একটা ব্যাপারে সবাই একমত যে, বঙ্গবন্ধুর কোনো উত্তরাধিকারেরই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসা উচিৎ। কারণ আওয়ামী লীগ খুবই আবেগঘন এবং স্পর্শকাতর একটি রাজনৈতিক দল। এখানে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বাইরে অন্যকেউ নেতৃত্বে আসেল দলের অখণ্ড ঐক্য আর শৃঙ্খলা রাখা কঠিন হযে পড়বে। এবং এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ের সব নেতাই মোটামুটি নিশ্চিত যে দলের নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুর পরিবার থেকেই আসছে। এক্ষেত্রে কে দলের নেতৃত্ব দেবেন এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, আগামী কাউন্সিলে হয়তো আওয়ামী সভাপতি শেখ হাসিনা নতুন নেতৃত্ব আনবেন। এক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের পছন্দের ওপর তিনি বিষয়টি ছেড়ে দেবেন। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন যে, সজীব ওয়াজেদ জয় যেহেতু গত ১০ বছর ধরে সরকার পরিচালনা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রণয়নে বিভিন্নভাবে অবদান রাখছেন- তিনিই হয়তো আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হবেন। এর বিকল্প চিন্তাও আছে যে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও নেতৃত্বে আসতে পারেন। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মনোবিজ্ঞানী এবং এবং অটিজম বিষয়ে বিশ্বখ্যাত বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনিও দলকে সূচারুভাবে পরিচালনা করতে পারবেন বলে ধারণা অনেকের।

কেউ আবার দল পরিচালনায় শেখ রেহানার নামও নিচ্ছেন। তার নেতৃত্বেই হয়তো ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ আবার দল গঠন করবে। তবে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, সরাসরি রাজনীতিতে জড়ানোর ইচ্ছা শেখ রেহানার নেই। বরং তিনি বড়বোনের পাশে থেকেই তাকে সহযোগীতা করতে চান। এছাড়াও রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববির নামও আসছে পরবর্তী নেতৃত্বের জন্য।

তবে শেষপর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতা কে হবেন বা আদৌ শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ছাড়বেন কিনা এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। একপক্ষ মনে করছেন, ২০২৩ সালের নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ এবং প্রধানমন্ত্রীত্ব না করলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই ঐ নির্বাচন হবে এবং তাঁর পছন্দের কাউকেই প্রধানমন্ত্রী করা হবে। তাদের মতে, শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগ একে অন্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। ২০২৩ এর পরে হয়তো তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন না। কিন্তু আমৃত্যু তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিত্ব করে যাবেন বলে তারা প্রত্যাশা করেন। অনেকের ধারণা শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগের এই জনপ্রিয়তা এবং অগ্রযাত্রা ধরে রাখা কষ্টসাধ্য হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হয়তো অন্য কেউ আসবে, কিন্তু যতদিন শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবেন, তার নেতৃত্বেই এই দল পরিচালনা হবে।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ

 

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে তার গুলশানস্থ বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তবে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীন সফরে ৯ বাম নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন সফরে গেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক দল জাসদ, ওর্য়ার্কাস পার্টি ও সাম্যবাদী দলের নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না ইস্টার্নের একটি বিমানে চীনের কুংমিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান। এ সময় জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
 
সফরে যাওয়া বাম নেতারা হলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদের কার্যকারী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওয়ার্কার্স পার্টির নারী নেত্রী লুৎফুন্নেছা খান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপক তৃপ্তি বড়ুয়া ও হ মোশাহিদ প্রমুখ।
 
জানা গেছে, সফরকালে বাম নেতারা কুনমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এগ্রিকালচার সাইন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতারা রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম সম্পর্কে জানবেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। সফর শেষে আগামী ১৮ মে দেশে ফেরার কথা প্রতিনিধি দলটির।

চীন সফর   বাম দল   জাসদ   ওর্য়ার্কাস পার্টি   সাম্যবাদী দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না। 

একই সাথে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের প্রার্থিতা পর্যালোচনা করা হবে এবং তারা এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন কি না সেটি যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিগুলো থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত আওয়ামী লীগ কোন্দল কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হল কমিটি বিলুপ্ত করা এবং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া। 

এ বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছিলেন যে দলের ভেতর যারা নির্বাচন কেন্দ্রিক করেছেন সেই কোন্দল যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয় এবং যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে মিলে মিশে সকলে মিলে যেন কাজ করে। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা মান্য করেনি অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। বরং নির্বাচনের পর কর্তৃত্ব দখলের লড়াই আরও জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সে সমস্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত সহিংসতার ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে সতর্কবার্তা দেন। কিন্তু তারপরও এই বিরোধ মিটছে না। এখন আওয়ামী লীগ অ্যাকশনে যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিবদমান এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য এবং সেই সমস্ত এলাকায় কারা দায়ী তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকরা এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এবার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ অনেক জামজমকপূর্ণ ভাবে ঘটা করে করতে চায়। এ জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরপপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, দলের ভেতর যেন স্বজনরা প্রার্থী না হন। কিন্তু তারপরও যারা এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া বলে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


শৃঙ্খলা   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন