ইনসাইড পলিটিক্স

দেরি করে ফেলেছে জামাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

জামাতের সবকিছু অনেক দেরি হয়ে গেছে। জামাত এখন যেটা করছে সেটা অনেক আগেই করা উচিৎ ছিল। এখন এসব করে কোন লাভ হবে না বলে মনে করেন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বিজেপি নেতা আন্দালিব রহমান পার্থ।

বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে আলাপচারিতায় আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে জামাতের যে পরিবর্তন হওয়ার প্রয়োজন ছিল জামাত সেভাবে পরিবর্তন হতে পারেনি। এজন্যই এখন তাদের মূল্য দিতে হচ্ছে। একাত্তরের ভূমিকার জন্য অনেক আগেই তাদের ক্ষমা চাইতে হতো। পরিবর্তিত রাজনীতির সঙ্গে যদি একটি দল পরিবর্তিত হতে না পারে, সেক্ষেত্রে সে দলের কী অবস্থা হতে পারে জামাত তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।’ তিনি বলেন, ‘এতো সুযোগ পাওয়ার পরও তারা ক্ষমা চায়নি। অনেক যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে তাদের অবস্থান সুষ্পষ্ট করে ব্যক্ত করা উচিৎ ছিল।’

২০ দলের ঐক্যজোটের ব্যাপারে পার্থ বলেন, ‘এখানে জামাত কোন ফ্যাক্টর না। আমরা বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করেছি। কাজেই এখানে জামাত থাকলো কি থাকলো না, সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়।’ তিনি মনে করেন, জামাত যদি নতুন রূপে আবির্ভূত হয় বা আগের মতোই থাকে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামাত কোন বড় ফ্যাক্টর না। বাংলাদেশের মানুষ জামাতকে নিয়ে কোন বড় স্বপ্ন দেখে না।’

 

বাংলা ইনসাইডার/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তৃতীয় ধাপেও ভোটের মাঠে সক্রিয় বিএনপি নেতারা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূল নেতাদের ঠেকাতে পারছে না বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোটের মাঠে দলটির তৃণমূল নেতারা। কড়া সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে ভোটের মাঠে রয়েছেন। বিএনপি যাদেরকে বহিষ্কার করছে এমন সাত জন প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। 

তৃতীয় ধাপেও বিএনপির নেতাকর্মীদের বেশির ভাগই কেন্দ্রের নির্দেশনা মানছেন না। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত আছে- বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোটের মাঠে আছেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মী।

রোববার (১২ মে) তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। সোমবার প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে এ ধাপে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার।

তৃতীয় ধাপে তিন পদে মোট ১ হাজার ৫৮৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬১৮ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪০০ জন।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সোমবার চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর থেকে ২৭ মে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন। ২৯ মে এ ধাপে ভোট নেওয়া হবে।

ময়মনসিংহ বিভাগে মাঠে বিএনপি প্রার্থীরা

জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ত্রিশালে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জুয়েল ও বিএনপির সাবেক এমপি আবদুল খালেকের ছেলে আনোয়ার সাদাত ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন।

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জহিরুল আলম সোহাগ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে থাকছেন বলে জানিয়েছেন।

খুলনায় রয়ে গেলেন বিএনপির সবাই

খুলনার ডুমুরিয়ায় বিএনপির তিন প্রার্থীই ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন। তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মনিমুর রহমান নয়ন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গাজী আবদুল হালিম ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহিনুর রহমান শাহিন।

রংপুর বিভাগে মাঠে বিএনপি-জামায়াতের ৫ প্রার্থী

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় প্রার্থী রয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য মোকাররম হোসেন সুজন এবং গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লিপ্টন।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বিএনপি নেতা মোকারম হোসেন। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হক শাহীন শিকদার ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রার্থী রয়েছেন উপজেলা জামায়াতের সদস্য আবদুস সালাম সুজা।

প্রার্থী আছে সিলেটেও

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা জাকির হোসেন সুমন সিলেটের বিয়ানীবাজারে নির্বাচন করছেন।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এনবিআর-কাস্টমসের হয়রানির বিষয় মন্ত্রিসভায় তোলা হবে: নানক

প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

এনবিআর ও কাস্টমসের সমস্যা এবং সেবাগ্রহীতারদের হয়রানির বিষয়টি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। 

সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসে ব্যবসা করা বাঙালিরাও এনবিআর ও কাস্টমসের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করেছি। সমস্যা যখন চিহ্নিত হয়েছে সমাধান হতে বাধ্য। সুতরাং আমরা সমাধানের সূত্রগুলো বের করব এবং সমাধানগুলো খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, রোববার কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। তিনি এনবিআর এবং কাস্টমসের হয়রানি নিয়ে কথা বলেছেন। এছাড়া সাংবাদিকরা রয়েছেন অনেক কথা আছে, যেগুলো আমি বলতে পারব না। সমস্ত জায়গা থেকে একটি অভিযোগ আসছে। আমি সম্প্রতি ওমরাহ হজ করে এসেছি। সৌদি আরবে ব্যবসায়ীরা জোর করেই আমার সঙ্গে বসে ছিলেন। বাঙালি ব্যবসায়ীরা সেখানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকেও একই ধরনের অভিযোগ এসেছে।

তিনি জানান, দুটি বিষয় আছে, একটি হলো রেমিটেন্স পাঠানো, আর আরেকটি তারা যে ব্যবসা করে, তারা যেসব মালামাল পাঠায় তা নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসে ও এনবিআরে সমস্যা পোহাতে হয় তাদের। সর্বসাকুল্যে আমি বলব এনবিআর এবং কাস্টমসের যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এটা বড় সমস্যা। আমি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, পোশাক শিল্পকে আমরা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছি না, সমাজ পরিবর্তনেও আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দারিদ্র্য বিমোচনেও আপনারা মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বিজিএমইএ'র দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত না করে বাইরে কোথাও শিল্প করতে দেওয়া যাবে না, এটা শিল্পনীতি হতে পারে না। আপনারা নগদ সহায়তা প্রদান ২০২৬ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার দাবি জানিয়েছেন। আমাদের টার্গেটে পৌঁছাতে হলে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে এই নগদ সহায়তার বিষয়টি থাকতে হবে।

এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হয়রানির জায়গা এনবিআর। এনবিআরের চেয়ারম্যান অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। কিন্তু তার নিচে যারা আছে... আলোর নিচে যেমন অন্ধকার সেই অন্ধকার। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে অডিট হয় না। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে আমদানি- রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এতে করে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা আমাদের মাল আমদানি করতে পারছি না, রপ্তানিও করতে পারছি না।

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনি কোন বাধা থাকে না। কিন্তু যোগাযোগ না করলেই হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা যাতে আইন মেনেই সুন্দর সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারি তার দাবি জানাচ্ছি। আমরা হয়রানিমুক্ত ব্যবসা করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাহিরে শিল্প করা যাবে না। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে মাত্র তিনটি চালু হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু না করেই বাহিরে শিল্প করা যাবে না, এমন নির্দেশনা দিলে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই সার্কুলার তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় ২০২৬ সাল পর্যন্ত পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বহাল রাখার দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি। পাশাপাশি সোর্স ট্যাক্স ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানান তিনি।

এনবিআর   কাস্টমস   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে’

প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার দরকার নেই। সরকারেরও দরকার নেই। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিয়েছে, আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। সেদিনও দেখলাম পল্টন ময়দান থেকে একে একে দৌড়াতে দৌড়াতে অলিগলি কোথায় দিয়ে যে পালিয়েছে, কেউ চিন্তাও করেনি।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। যদি তারা আবারও জ্বালাও-পোড়াও করে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে পালিয়ে যাওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। ২০০৭ সালে আর রাজনীতি করব না এই মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের মূল নেতা পালিয়ে আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবরও বক্তব্য দিয়েছিল আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। শেষ পর্যন্ত দেখলাম দৌড়াতে দৌড়াতে তারা পালিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে এসে কেউ আবারও বিএনপিকে মদত দেবে সে পরিস্থিতি এখন বিশ্বে নেই। যারা দাপট দেখাতো তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথাই ইসরায়েল শুনে না।

এসময় ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৩০ জনের

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটে ১৩০ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া এই ধাপে ৬ জন প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপে ২৮ জন, দ্বিতীয় ধাপে ২১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

রোববার (১২ মে)  এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

তিনি জানান, চেয়ারম্যান পদে ৭৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ছয় প্রার্থী। এদের মধ্যে ভাণ্ডারিয়ার সব পদ, গোসাইরহাটে ভাইস চেয়ারম্যান ও সোনাগাজী এবং দাগনভুঞা উপেজলায় মহিলা ভাইস পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবার তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন; মোট ১৫৮৮ জন প্রার্থীনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৪৫টির মতো উপজেলায় ৮ মে ভোট হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।


উপজেলা   নির্বাচন   প্রার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকার বিরোধী আন্দোলন: জামায়াতকে একমঞ্চে চায় ১২ দলীয় জোট

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচন দাবিতে আগামীর আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীকে একমঞ্চে চায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অন্যতম মিত্র ১২ দলীয় জোট। তাদের পরামর্শ, বিএনপির বাইরে সাংগঠনিকভাবে জামায়াত শক্তিশালী। তাই মাঠের আন্দোলন সফল করতে হলে জামায়াতসহ বাম-ডান ও ইসলামী ঘরানার সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।

তারা বলেন, ২৮ অক্টোবরের আগে একমঞ্চ থেকে আন্দোলন পরিচালনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমরা তখন একমঞ্চে প্রায় চলেও এসেছিলাম। কিন্তু যুগপতেরই দুএকটি শরিক দল ও জোটের বিরোধিতার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। ২৮ অক্টোবর জামায়াতও মাঠে ছিল। কিন্তু পৃথকভাবে তারা কর্মসূচি করেছে। ওইদিন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।

রোববার (১২ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে তাদের এমন পরামর্শ দেন ১২ দলের কয়েকজন নেতা।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর একদফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনের পর চার মাস পেরিয়ে গেলেও যুগপৎভাবে কোনো কর্মসূচি মাঠে গড়ায়নি। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে মিত্রদের পরামর্শ নিতে তাদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে এ দিন ১২ দলের পর একই স্থানে এলডিপির সঙ্গেও বৈঠক করেছে দলটি।

গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর ১২ ও ১৩ জানুয়ারি যুগপতের শরিকদের সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ডের ভার্চুয়ালি সিরিজ বৈঠক হয়। যেটাকে তখন বিএনপি ও শরিকদের পক্ষ থেকে ‘সৌজন্য বৈঠক’ বলা হয়েছিল। সেখানে সরকারি নানামুখী চাপ ও প্রলোভন সত্ত্বেও নির্বাচনে না যাওয়া এবং যুগপৎ আন্দোলন অব্যাহত রাখায় বিএনপির পক্ষ থেকে মিত্রদের সাধুবাদ জানানো হয়।

জানা গেছে, বৈঠকের শুরুতে বিএনপির পক্ষ থেকে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্দোলনের নতুন কী কর্মসূচি নেওয়া যায়- সে ব্যাপারে ১২ দল নেতাদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়। তখন জোটের কয়েকজন নেতা নির্বাচন বর্জন করে যুগপৎ কিংবা যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা সবাইকে নিয়ে ঈদুল আজহার পর ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার পরামর্শ দেন। এ সময় বিক্ষিপ্তভাবে দুএকজন নেতা ঢাকায় একমঞ্চ থেকে সমাবেশ এবং ঢাকার বাইরে সব মহানগরে একই আদলে সমাবেশের মতো কর্মসূচির প্রস্তাব করেন।

বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করেছে। এটা আমাদের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। আমরা মাঝে মাঝেই বসি, আলোচনা করি। দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের দামবৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে মানুষের দুর্ভোগ, দেশের অর্থনীতির দুরবস্থা, দুর্নীতি-অনাচার, সীমান্ত সংকট, সীমান্তে মানুষ হত্যা, সীমান্তে অনুপ্রবেশসহ নানা বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, আগামীতে আন্দোলন কীভাবে গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে কী ধরনের কর্মসূচি নেওয়া যায়, তা চেয়েছে। আমরা সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এ কর্মসূচি গ্রহণ করব।


জামায়াত   জোট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন