নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
বিদেশে পলাতক শুধু তারেক জিয়া একা নয়, বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ও দণ্ডিত ১৩৭ জনকে ফেরত চায় বাংলাদেশ। পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয়ের একটি সাব কমিটি এই তালিকা হালনাগাদ করেছে। বিদেশে পলাতক বিভিন্ন মামলায় দণ্ডিত ও অভিযুক্তদের ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক এই কমিটির সভাপতি। আইনমন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই কমিটিতে রয়েছেন। এই কমিটি বিদেশে পলাতক বিভিন্ন ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া দ্রুততর করার জন্য একটি সাব কমিটি গঠন করেছে। সাব কমিটির সদস্যরা বৈঠকের মাধ্যমে বিদেশে পলাতক বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ও দণ্ডিতদের তালিকা হালনাগাদ করেছে। আগামী মার্চ মাসে আন্তঃমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
১৩৭ জনের তালিকায় যে সমস্ত নতুন নাম যুক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা হারিস চৌধুরী, বিএনপি নেতা শাহ মো ফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, মেজর জেনারেল আমিনসহ বেশ কয়েকজন। বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭৫’র আত্মস্বীকৃত খুনী, যারা দেশের বাইরে পলাতক আছেন তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এদের মধ্যে রয়েছে কর্নেল রশিদ, মেজর ডালিম, নূর চৌধুরীসহ আরও বেশ কজন। এদের ফিরিয়ে আনার জন্য নানা কূটনৈতিক তৎপরতাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনার জন্য যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেককে যেন বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা যায় সেজন্য ইন্টারপোলের কাছে বাংলাদেশ তিন দফা আবেদনও করেছিল। তবে এ ক্ষেত্রেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, ‘তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা সময়ের ব্যাপার। আমরা যত দ্রুত সম্ভব তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনবো।’
’৭৫’র খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য মূল প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, যেসব দেশে তারা আশ্রয় নিয়েছে সেসব দেশে মৃত্যুদণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা সফরে গিয়ে সেখানে অবস্থানকারী নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কথা বললে তাকে আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু কূটনৈতিক সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, যেহেতু তাকে বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে, কানাডারি আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাউকে সে দেশে ফেরত দেয়া হয় না। তবে তারেক জিয়ার ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই। তিনি সর্বশেষ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় তার ব্যাপারে এমন প্রতিবন্ধকতা নেই। তাকে খুব সহসাই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে এই কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারেক জিয়া ছাড়াও বিএনপির যেসব নেতারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডিত হয়ে পলাতক রয়েছেন তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলেন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিস চৌধুরী, তিনি বিভিন্ন দেশে পালাক্রমে থাকেন বলে পররাষ্ট্র দপ্তরে তথ্য রয়েছে। তাকে ফেরত পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ আরব আমিরাতের দুবাইতে অবস্থান করছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত হয়েছে। তাকেও ফিরিয়ে আনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও এই মামলায় অভিযুক্ত আরেক আসামী মেজর জেনারেল আমিনও এখন আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত তথ্য পেয়েছে। তাকেও দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন এবং সেটি এখনও মিমাংসা হয়নি। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, সরকার এসকে সিনহাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে আবেদন করেছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তির জন্য তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা দরকার বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন মামলায় দণ্ডিত ও অভিযুক্ত যেসব আসামী বিদেশে পলাতক রয়েছে তাদেরকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের আগামী বৈঠকে এ ব্যাপারে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিশেষ করে ৭৫’র খুনী এবং ২১ আগস্টের দণ্ডিতদের যেন দ্রুত ফিরিয়ে আনা যায় এ ব্যাপারে সরকার ত্বড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
আজিজ আহমেদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
কিছুদিন আগেও বিএনপি যুক্তরাষ্ট্র বলতে অন্ধ থাকত। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে ফোন আসলে বিএনপির নেতারা নাওয়া খাওয়া ভুলে ছুটে যেতেন। এমনকি কোনদিন সকালে মার্কিন দূতাবাসে প্রাতরাশ, রাতে নৈশভোজেও দেখা গেছে বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তারা অবতার হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রই বাংলাদেশে গণতন্ত্র এনে দেবে, যুক্তরাষ্ট্রই এই সরকারের পতন ঘটাবে এমন একটা স্থির বিশ্বাস ছিল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সেই মোহভঙ্গ ঘটেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনাগ্রহী বিএনপি। এটা যেন অনেকটা আঙুল ফল টকের মতো ঘটনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।