নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামল থেকে রাষ্ট্রীয় শাসন কার্যক্রম পরিচালনা করতে আমলাতন্ত্রের উদ্ভাবন। রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্র পরিচালনায় কৌশল নির্মাণ করলেও সেগুলো বাস্তবায়িত হয় আমলাদের মাধ্যমে। সাধারণত আমলা বলতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বোঝায়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এসব কর্মকর্তাই রাষ্ট্রের ভালো মন্দ দেখাশুনা করে থাকেন। রাজনীতিবিদরা তাদের নীতির বাস্তবায়নে আমলাদের ওপরই নির্ভরশীল থাকেন। এজন্য আমলাদের মধ্যে এক ধরনের প্রভুত্ববাদী মানসিকতার তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমলাতন্ত্র অতিমাত্রায় প্রভুত্ববাদী চেতনায় বিকশিত হতে শুরু করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ রাজনীতিবিদদের হাতেই ছিল। সেসময় শেখ ফজলুল হক মনি বলেছিলেন- ‘আইয়ুব-মোনায়েমের কর্মচারী দিয়া শেখ মুজিবের গদি চলতে পারে না’। পুরো প্রশাসন ঢেলে সাজিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। গত ২০-২৫ ধরে রাজনীতিবিদরা নিজেরাই নির্ভরশীল হচ্ছেন আমলাতন্ত্রের ওপরে। আমলাদের মধ্যে অবৈধ উপায়ে বিত্তশালী হওয়ার লিপ্সা, সিনিয়রদের পিছনে ফেলে জুনিয়রদের উচ্চ পদে রাজনৈতিক নিয়োগ দেয়ার ফলে দক্ষ ও পেশাদার আমলারা কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। বিধিবহির্ভূতভাবে সুবিধাভোগী আমলারা পদপদবি বা অতিরিক্ত সুবিধা লাভের আশায় রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যস্ত থাকে। রাজনীতিবিদরা তাদের চাহিদামতো সেবা আমলাদের কাছ থেকে পাচ্ছে না। বরং আমলারা তাদের ইচ্ছামতো কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে নির্বাচিত সাংসদরা অনেকটা অসহায় হয়ে উঠছে আমলাদের কাছে।
এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে আমলাতন্ত্রের প্রভাব বাড়ার বিষয়টি আরো স্পষ্ট আকারে ধরা পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের সংসদ শামীম ওসমানের আমলাদের উপর ক্ষোভের বিষয়টি আরও প্রকট আকারে তুলে ধরে। আমলাদের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন আপনারা জনগণের সেবক না, জনগণের শাসক-সেটা অন্য জায়গায় চিন্তা করবেন। পরিষ্কার বলতে চাই- নারায়ণগঞ্জে না, অন্যখানে গিয়ে করেন। আমাদের নারায়ণগঞ্জকে আমরাই সুন্দর করব।’ তার এই কথাতেই এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান জনগণের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কোন কাজ করতে গেলেও সেখানে আমলাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। একজন রাজনীতিবিদ কোন কাজের ব্যাপারে মন্ত্রীকে সুপারিশ করলে, মন্ত্রীও ওই তাকে একজন সচিবকেই দেখিয়ে দেন। এসবের মাধ্যমে সচিবদের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে টিকে থাকার জন্য, ক্ষমতায় থাকার জন্য, রাজনীতিবিদদের জন্য আমলাদের ভূমিকাই বেশি। পুরো দক্ষিণ এশিয়ায়ই ঔপনিবেশিক শাসনের এটা একটা ধারাবাহিকতা। নতুন কোনো বিপ্লবী রাষ্ট্রের জন্ম হয়নি। রাজনীতিবিদরা তাদের প্রয়োজনেই আমলাদের ক্ষমতা বাড়িয়েছে। বর্তমানে আমলারা অনেক ক্ষমতাধর। তারা প্রশিক্ষিত। শাসনামলের পরিবর্তন হলেও তাদের কোনো পরিবর্তন হয়না।
তাদের মতে, বাংলাদেশের টানা তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সফলতম প্রধানমন্ত্রী। তিনি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাতে কোন সমস্যা না হলেও আমলাতন্ত্রের কারণেই অনেক কিছু বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে ওঠে না।
আমাদের রাজনীতি এখন অনেকটাই সিলেকশন নির্ভর। পছন্দের লোক বেছে নেয়া হয়। এখন এই সিলেকশন নির্ভরতা সফল করতে হলে প্রয়োজন পড়ে উন্নয়নের। এই উন্নয়ন পুরোটাই আমলাদের হাতে। সেখানে রাজনীতিবিদদের কোনো হাত নেই। এর ফলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদরা আমলাদের কাছে অনেকটাই অসহায়। ফলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদরা তথা পুরো দলই দুর্বল হয়ে পড়ছে।
সংসদীয় পদ্ধতিতে ক্ষমতা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে কেন্দ্রীভূত নয়, প্রত্যেক মন্ত্রী ও এমপিকে অভিজ্ঞ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারঙ্গম হতে হয়, নইলে আমলাতন্ত্র তার মাথায় চেপে বসে। একাদশ জাতীয় সংসদের অধিকাংশ মন্ত্রী এমপিরা নতুন এবং অনভিজ্ঞ। এর ফলে তাদের মাথার উপর ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ পেয়ে যায় আমলারা এবং সেটাই হচ্ছে। উপেক্ষিত হচ্ছে জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছা।
দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার এই প্রশ্নে রাজনৈতিক ক্ষমতা আমলাতন্ত্রের হাতে চলে যাচ্ছে। এর ফলে আমলাদের প্রতি ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগের এমপিদের ক্ষোভ বাড়ছে। আমলাতন্ত্র এখন রাজনৈতিক সার্ভিস দিয়ে তার সুবিধাগুলো নিয়ে নিচ্ছে। যার ফলে ক্ষমতা হারাচ্ছে রাজনীতিকরা। জনগণ যে উদ্দেশ্যে জননেতা নির্বাচিত করে তা পূরণ করতে হলে আমলাতন্ত্রের কাছে তাদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করতে হবে। সে প্রক্রিয়া আওয়ামী লীগ কিভাবে সম্পন্ন করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক কারাগা
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন ও চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।
দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। এ নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবে ‘ওএসডি’ করা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। এ নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।
এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। এ দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।
জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।
মন্তব্য করুন