ইনসাইড পলিটিক্স

চকবাজার অগ্নিকাণ্ড, প্রধানমন্ত্রী ও নগর সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের মৃতের খবর বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে গোটা বিশ্বের মানুষকে শকাহত করেছে।  বিবিসি অনলাইন,বার্তা সংস্থা এএফপি, রয়টার্স, টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে,  গুগল নিউজের ওয়ার্ল্ড ক্যাটাগরিতে শীর্ষে রয়েছে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের খবর। নিউইয়র্ক টাইমস ছাড়াও মিরর, ইয়াহু নিউজ, দ্য কুইন্ট, গার্ডিয়ান নিউজ, আল–জাজিরা, এনডিটিভি, টেলিগ্রাফের মতো সংবাদমাধ্যমগুলো খবর প্রকাশ করেছে। ফেসবুক ও টুইটারেও ব্যাপকভাবে শেয়ার করছেন এই দুটি মাধ্যমের সিটিজেন জার্নালিস্ট আর এই মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।

গত বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুরিহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবনে আগুন লাগে। রাতে পৌনে একটার দিকে পাশের কয়েকটি ভবনে  আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের মৃতদেহ এবং অর্ধশতাধিক আহতকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিমতলী ট্রাজেডির পরে সবার প্রত্যাশা ছিল এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না; কিন্ত মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে মর্মান্তিক এত মৃত্যু দেখতে হচ্ছে। নিমতলী ঘটনার পরে যে কথা এসেছিল তা হলো আন্ত বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব।   

যা হোক নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ফায়ার ব্রিগেড দক্ষতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, শিল্প  মন্ত্রণালয়, সর্বোপরি সিটি কর্পোরেশশের এখানে কি ধরনের দায়িত্ব পালনের কথা ছিল? যারা চকবাজার বা নিমতলীতে কেমিক্যাল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তারা কিংবা তাদের প্রতিষ্ঠানসমূহ এসব কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা! কিন্তু সবাই তা করে না, দেখার যাদের কথা তারাও সঠিক সময়ে দেখেন না। তাহলে এ ধরনের ঘটনার জন্য নিয়মানুযায়ী তারাও দায়ী হবেন। আর নিয়মবহির্ভূত ব্যবসার সুযোগ যারা করে দিয়েছেন সেই নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ দায় এড়িয়ে যাবেন নানা বাহানায়, কারণ দেশের বিদ্যমান আইনে তার সুযোগ আছে। 

পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনামাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব চিন্তিত ও বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন, সারারাত তিনি ঘুমাতে পারেননি। ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন চুড়িহাট্টা মোড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় এ তথ্য জানান। দেশের অভিভাবকের অবস্থা এমন হবে তাতে অবাক হবার কিছু নেই কারণ তিনি স্বজন হারানোর কী কষ্ট তা খুব ভালো করেই জানেন। তাই তাঁকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়।

অন্যদিকে, সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পুলিশ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বিস্ফোরক অধিদপ্তর ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ আর আশাসবাণী শুনানো হচ্ছে। বাস্তবে এটি করা ছাড়া তাঁদের সামনে আর কোন পথও নেই। আন্তরিকতা থাকলেও আসলে সবাই অসহায় দেশের ত্রুটিপূর্ণ আইনী ব্যবস্থা আর সরকারের আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়ের অভাব। জানমালের ক্ষতির জন্য হয়তো দায়সারা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন কী কেউ আছে যিনি তাঁর নিজ সন্তান বা স্ত্রী-কন্যা বা বাবা-মায়ের জীবনের বিনিময়ে কোটি টাকার অনুদান নেবো! কখন নেবো? কেন নেবো?    

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। এর পরেই শেখ হাসিনার সরকার নগর সরকারের পরিকল্পনা হাতে নেয়। কিন্তু ২০১৩ সালে ৫ও ৬ই মে হেফাজতের শাপলা চত্তরের সমাবেশ এবং তৎপরবর্তী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরে অজ্ঞাত কোন কারণে নগর সরকারের পরিকল্পনা থেকে সরকার পিছিয়ে আসে। কিন্তু নগরীতে পরিসেবা বা সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে মাঝে মাঝে দেশের বিভিন্ন নগরীতে চকবাজারের এমন সব ঘটনা ঘটে যাতে করে নিজেদের দায় এড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কৌশলে দায় এড়ায়। কিন্তু দেশ ও জনগনের জানমালের অপূরণীয় ক্ষতির সম্পূর্ণ দায়ভার গিয়ে পড়ে সরকারের রাজনৈতিক নেতাদের ঘাড়ে।  

কাজটা যদিও বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধার মত কঠিন তবুও নগর সরকারের নিয়ে আলাপ করা যায়। মনে করি ঢাকা মহানগরীর কোন এলাকায় পানির সংকট। পানি সরবরাহের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার, সিটি কর্পোরেশনের নয়। তেমনি পয়ঃনিষ্কাশনের সমস্যায় হয়তো কোন এলাকার মানুষ নাকাল। নগরবাসী যান স্থানীয় সিটির ওয়ার্ড কমিশনারের কাছে, যদিও তাঁর কোন হাত নেই এই সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে। একইভাবে এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে থানা-পুলিশের কাজের জন্য, বিদুত, গ্যাসের সরবরাহের জন্য নগরবাসী যান স্থানীয় সিটির ওয়ার্ড কমিশনারের স্মরনাপন্ন হন, যদিও তাঁদের কিছুই করার নেই এসব ক্ষেত্রে। এমন অনেক বিষয় আছে যা নিস্পত্তি করার ক্ষমতা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নেই কিন্তু ঘটনার সব দায় গিয়ে পড়ে রাজনীতিবিদের ঘাড়ে, সরকারের বদনাম হয়। এই যে পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয় কারও উপরেই কিন্তু সিটি কর্পোরেশন বা স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, কিন্তু দায় সব তাঁদের, তাঁদের নেতার।       

উন্নত দেশের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, শক্তিশালী নগর সরকার ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিসেবা দেওয়ার জন্য নিয়োজিত সব সংস্থার কর্মীদের সংশ্লিষ্ট নগর সরকারের অধীন ন্যাস্ত করা হয়। নগর সরকারের প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি নগর সরকারের অধীন ন্যাস্ত অন্যান্য সব সংস্থার কর্মীদের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন বা এসিআর লেখেন। এই এসিআর এর উপর ভিত্তি করে যেহেতু বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের পদোন্নতি, বেতনের বিশেষ বৃদ্ধি, ইত্যাদি হয় তাই নগর সরকারের অধীন ন্যাস্ত অন্যান্য সব সংস্থার কর্মীরা নগর সরকারের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন, দায়িত্ব পালনে সযত্ন হন বা বাধ্য হন। ফলে সংশ্লিষ্ট নগরীতে পরিসেবা দেওয়ার জন্য নিয়জিত সকল সংস্থার কাজে সমন্বয়ের অভাব খুব কমে যায়। তবে সমন্বয় না থাকলেও তাঁর সত্যিকার দায় নগর সরকার এড়াতে পারে না। এই দায় থেকেই তারা জবাব্দিহীতার মধ্যে চলে আসে। ভারতের পশ্চিম উনত দেশে এঁর চলন আছে। প্রতবেশী দেশ ভারতে ইউনিয়ন পর্যায়েও এঁর পরীক্ষামূলক গবেষণায় সফলতা দেখা গেছে। একটা উদাহরন দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হতে পারে। মনে করুণ কোন জেলা শহরের পৌরসভায় বিদ্যুৎ, পুলিশ, গ্যাস, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, ইত্যাদি বিভিন্ন বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মীরা কাজ করেন। বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মীরা যে নগরীর অধীনে পদায়ন করা হবে, তাঁদেরকে ডেপুটেশনে ঐ স্থানীয় সরকারের অধীন ন্যাস্ত করা হবে। তথন নগর সরকার সংশ্লিষ্ট সকল পরিসেবার ঘাটতির জন্য বা কমতি অথবা খামতির জন্য দায়ী থাকবেন। শাস্তি বা পুরস্কার দুটোই তাঁর জন্য থাকে। ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া সরকার সংশ্লিষ্ট সকল পরিসেবা আর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা যাবে না বলে উন্নত দেশগুলতে দেখা গেছে। তখন ঘুরে ফিরেই চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের মত ঘটনা ঘটবে আর বিভিন্ন দপ্তর তাঁদের দায় এড়াতে মরিয়া হয়ে বিবৃতি দেবে না, কিন্তু লোভের আগুনে প্রাণ যাবে না নিরিহ মানুষের।  

নগর সরকার ব্যবস্থায় নিয়মিতভাবে নগর সরকার তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথা যেমন কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রনালয়কে অভিত করবে ঠিক তেমনি সরকারী সম্পত্তি বেহাত হওয়া, বা জানমালের ক্ষতির সম্বভাবনা বা আশংকা দেখা দিলে অনতিবিলম্বে তা কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রনালয়কে অভিত করবে। নগর সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বর্তমান সরকারের হোমওয়ার্ক করা আছে, সরকার প্রধান প্রাথমিক পর্যায়ে নব গঠিত সিটি করপরেশনে এটা পাইলটিং করতে চেয়েছিলেন। এখন মনে হয় সময় এসেছে, দেশে নগর সরকার চালু করার সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়ার। দরকার হলে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অভিজ্ঞদের নিয়ে এক বা একাধিক মতবিনিময় সভা করে তা চূড়ান্ত করা যায়।    

 

বাংলা ইনসাইডার

 

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।

কারণ, যুগপতের সব দল জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।

বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।

নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।


লিয়াজোঁ   কমিটি   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সেদিন কী বলেছিলেন বিএনপির নেতারা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। 

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চারদিন পর ২১ মে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের অধিবেশন বসে। ওই অধিবেশন ছিল ৩৪ কার্যদিবসের। মোট ৪১ দিন অধিবেশন চলে। ২১ মে এর অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের নেতা আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগ সভাপতির স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর বাসভবন শেখ হাসিনার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি করেন। পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে আসাদুজ্জামান খানের এই বক্তব্যের পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির অনেক নেতাই টিপ্পনি মূলক ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। 

আওয়ামী লীগের নেতাদের পক্ষ থেকে সুধাংশু শেখর হালদার এসব বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করে দেওয়ার জন্য স্পিকারকে অনুরোধও জানিয়েছিলেন। এই সময় যে সমস্ত বিএনপির নেতারা পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শাহ আজিজুর রহমান। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা এখন রাজনীতিতে গুরুত্বহীন। তিনি এসে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন কিছুই করতে পারবেন না।

শাহ আজিজ এটাও মন্তব্য করেছিলেন যে, বাংলাদেশের মানুষ আর কোনদিন বাকশালে ফিরে যাবে না। আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশে কোনোদিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে না। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে তিন বছরের শাসনামলেরও তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। 

এসময় বিএনপির আরেকজন সংসদ সদস্য তৎকালীন পাবনা-২ নির্বাচিত ডা. এম এ মতিন বলেছিলেন, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বহীন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব যা করেছেন তাঁর জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান জাতীয় সংসদে এই নেতা। 

যশোর-৯ থেকে নির্বাচিত তরিকুল ইসলামও ঐ অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেন এবং বক্তব্য রাখেন। এই বক্তব্যে তিনি আওয়ামী লীগের সাড়ে তিন বছর শাসনের তীব্র সমালোচনা করেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে দিলীন হয়ে গেছে। কাজেই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া যায় না। তিনি শেখ হাসিনার বিচারও দাবি করেছিলেন। 

এই অনির্ধারিত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বিএনপির আরেক নেতা তৎকালীন ঢাকা-২৮ থেকে নির্বাচিত আব্দুল মতিন চৌধুরীও আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। এই অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির নেতা কে এম ওবায়দুর রহমান শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি যেন নতুন ষড়যন্ত্র না করেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে লক্ষ্য রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। পয়েন্ট অফ অর্ডারের এই আলোচনায় অবশ্য কোন রকমের সিদ্ধান্ত হয়নি। স্পিকার এর পর মূল আলোচনার জন্য দিনের কার্যসূচিতে ফিরে যান।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, নতজানু সরকার বলেই দেশের জনগণের স্বার্থে প্রকৃতভাবে যে একটা স্ট্যান্ড ( অবস্থান) নেওয়া দরকার সেটি নিতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী সরকার।

তিনি বলেন, ফারাক্কা দিবস মনে করে দেয় জনগণের শক্তির কাছে বড় কোনো শক্তি নেই। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বহু রাজনৈতিক দল এক হয়ে লড়াই করছে, অনেকে প্রাণ দিয়েছে। বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজও নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

২৮ অক্টোবরের পর তিন দিনের মধ্যে আমাদের ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এমন তথ্য জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও সেই নিপীড়ন নির্যাতন চলছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছেন তাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার দখলদার সরকার। তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে তাদের স্বার্থ আর প্রভুদের স্বার্থ রক্ষা করা। বিশেষ একটা দায়িত্ব নিয়ে এ সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। এটা নির্বাচিত নয় এরা নির্বাচন করে না। এরা জানে, নির্বাচন করলে তাদের একটা ভূমিধস পরাজয় হবে। বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচন দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে।

তিনি বলেন, যারা সরকারের গুণগান করে, তাদের উদ্দেশ্য হলো এ সরকার টিকে থাকলে তাদের লুণ্ঠন, পাচার অব্যাহত থাকবে। তারা বেনিফিশিয়ারি হবে। এমন একটি বেনিফিশিয়ারি গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের একমাত্র কাজ হচ্ছে নিজেদের বিত্ত তৈরি করা ও অন্য দেশের স্বার্থ রক্ষা করা। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের দাবি নিজেদেরই আদায় করতে হবে। অন্য কেউ এসে করে দেবে না।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।

বিএনপি   মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   জাতীয় প্রেস ক্লাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে ভারত বিরোধিতার সাথে যুক্ত হচ্ছে মার্কিন বিরোধিতাও

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আবার ভারত বিরোধী অবস্থানে চলে গেছে। প্রথমে তারা ব্যক্তিগতভাবে, এখন প্রকাশ্যে দলগতভাবে ভারত বিরোধিতার নীতি গ্রহণ করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিনই ভারতের সমালোচনা করেছেন। ভারতের বিভিন্ন নীতির বিপক্ষে বক্তব্য রাখছেন। 

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, দলগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের মহাসচিব ভারত বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তবে ভারত বিরোধী অবস্থান করেই দলটি ক্ষান্ত হয়নি। দলের ভিতরে এখন মার্কিন বিরোধী প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এবং কৌশলের সমালোচনা করার কৌশলও বিএনপি গ্রহণ করেছে। 

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, তারা দলগত ভাবে এখন মার্কিন বিরোধিতা করবেন না। বিএনপির কিছু নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করবেন, মার্কিন নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখবেন এবং এই সমস্ত বক্তব্য দিয়ে জনমত যাচাইয়ের চেষ্টা করবেন। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন তাতে তারা বলছে, ভারতের কারণেই প্রভাবিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের ব্যাপারে নীরব অবস্থান গ্রহণ করেছিল। তবে বিএনপির কোনো কোনো নেতার দাবি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বিরোধিতার নামে এক ধরনের অভিনয় করেছে। বিএনপিকে বোকা বানিয়েছে। 

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, আওয়ামী লীগ জানে যে বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে সেই নির্বাচনে তাদের পক্ষে জয়লাভ করা কঠিন হবে। আর এ কারণে বিএনপি যেন নির্বাচন থেকে দূরে থাকে থাকে এজন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিনয় করছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির নেতা এবং সাবেক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি সরাসরি ভাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, পিটার ডি হাস ভারতের এজেন্ট হয়ে বিএনপির সাথে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনয় এত ভাল ছিল যে বিএনপির নেতারা নাকি সেটা বুঝতে পারেননি। তাঁর এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে বিএনপি থেকে কোন প্রতিবাদ করা হয়নি। 

বিএনপির আরেকজন নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর নিয়ে কোন কিছু যায় আসে না। বিএনপির একদা চীন পন্থী নেতা নজরুল ইসলাম খানও ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন। 

বিএনপির নীতি নির্ধারক মহল মনে করছেন, নির্বাচনের আগে বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এককাট্টা হয়ে যায়। ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। আর এই স্বার্থের কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কথা মতো সব কিছু করছে। এ বারের ডোনাল্ড লু’র সফর সেই ইঙ্গিত দেয় বলেও বিএনপির নেতারা স্বীকার করেছেন।

প্রশ্ন উঠেছে যে, এই বিশ্বায়নের যুগে বিএনপি যদি ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুটি প্রভাবশালী দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে এই দলটি কীভাবে অস্তিত্ব রক্ষা করবে। বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা বাংলাদেশের শক্তিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাসী। তবে বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন যে, বিএনপি নেতাদের এই ভারত বিরোধী এবং মার্কিন বিরোধী অবস্থানের সঙ্গে দলের অনেক নেতাই একমত নন। বিশেষ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান মনে করেন যে, ভারতের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধিতায় জড়ানো দলের জন্যই ক্ষতিকর হবে। তবে ড. মঈন খান চেয়ে এখন দলে ভেতর যারা ভারত বিরোধী তারাই ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছেন।

বিএনপি   ভারত বিরোধী   মার্কিন বিরোধী   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মানুষকে ভালো রাখতে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ব্যয় করছেন শেখ হাসিনা: বাহাউদ্দিন নাছিম

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি বলেছেন, দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য শেখ হাসিনা জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো ব্যয় করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা, নিষ্ঠা, সততা ও ভালোবাসার যে নিদর্শন ও আন্তরিকতা এটি বিরল।

তিনি বলেন, দেশবিরোধীরা গুজব রটিয়ে ও নানা অপকর্মের মাধ্যমে সব সময় দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন আমাদের উন্নয়নের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করে তখন এই অপশক্তির মাথা খারাপ হয়ে যায়। এই অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতকে কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাছিম বলেন, ঢাকা মেডিকেল ঢাকাসহ সারাদেশের সকল মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার আস্থার জায়গা। সেজন্য রোগীরা যাতে আরও ভালো সেবা পান, ডাক্তার-নার্সসহ চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেল কেন্দ্রিক কোনো দালাল চক্র থাকবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তাদেরকে নির্মূল করা হবে। ঢাকা মেডিকেলকে ৫ হাজার বেডে উন্নীতকরণের উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হবে।

এছাড়া হাসপাতালের শূন্য পদে নিয়োগ, নতুন পদ সৃষ্টি, হাসপাতালের মূল প্রবেশ মুখে হকার উচ্ছেদ, হাসপাতালের যুগপোযোগী পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করাসহ নানা বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটি কাজ করছে বলেও জানান বাহাউদ্দিন নাছিম।

শেখ হাসিনা   বাহাউদ্দিন নাছিম   আওয়ামী লীগ   ঢাকা-৮  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন