নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের মৃতের খবর বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে গোটা বিশ্বের মানুষকে শকাহত করেছে। বিবিসি অনলাইন,বার্তা সংস্থা এএফপি, রয়টার্স, টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে, গুগল নিউজের ওয়ার্ল্ড ক্যাটাগরিতে শীর্ষে রয়েছে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের খবর। নিউইয়র্ক টাইমস ছাড়াও মিরর, ইয়াহু নিউজ, দ্য কুইন্ট, গার্ডিয়ান নিউজ, আল–জাজিরা, এনডিটিভি, টেলিগ্রাফের মতো সংবাদমাধ্যমগুলো খবর প্রকাশ করেছে। ফেসবুক ও টুইটারেও ব্যাপকভাবে শেয়ার করছেন এই দুটি মাধ্যমের সিটিজেন জার্নালিস্ট আর এই মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
গত বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুরিহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবনে আগুন লাগে। রাতে পৌনে একটার দিকে পাশের কয়েকটি ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের মৃতদেহ এবং অর্ধশতাধিক আহতকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিমতলী ট্রাজেডির পরে সবার প্রত্যাশা ছিল এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না; কিন্ত মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে মর্মান্তিক এত মৃত্যু দেখতে হচ্ছে। নিমতলী ঘটনার পরে যে কথা এসেছিল তা হলো আন্ত বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব।
যা হোক নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ফায়ার ব্রিগেড দক্ষতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, সর্বোপরি সিটি কর্পোরেশশের এখানে কি ধরনের দায়িত্ব পালনের কথা ছিল? যারা চকবাজার বা নিমতলীতে কেমিক্যাল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তারা কিংবা তাদের প্রতিষ্ঠানসমূহ এসব কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা! কিন্তু সবাই তা করে না, দেখার যাদের কথা তারাও সঠিক সময়ে দেখেন না। তাহলে এ ধরনের ঘটনার জন্য নিয়মানুযায়ী তারাও দায়ী হবেন। আর নিয়মবহির্ভূত ব্যবসার সুযোগ যারা করে দিয়েছেন সেই নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ দায় এড়িয়ে যাবেন নানা বাহানায়, কারণ দেশের বিদ্যমান আইনে তার সুযোগ আছে।
পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনামাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব চিন্তিত ও বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন, সারারাত তিনি ঘুমাতে পারেননি। ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন চুড়িহাট্টা মোড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় এ তথ্য জানান। দেশের অভিভাবকের অবস্থা এমন হবে তাতে অবাক হবার কিছু নেই কারণ তিনি স্বজন হারানোর কী কষ্ট তা খুব ভালো করেই জানেন। তাই তাঁকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়।
অন্যদিকে, সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পুলিশ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বিস্ফোরক অধিদপ্তর ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ আর আশাসবাণী শুনানো হচ্ছে। বাস্তবে এটি করা ছাড়া তাঁদের সামনে আর কোন পথও নেই। আন্তরিকতা থাকলেও আসলে সবাই অসহায় দেশের ত্রুটিপূর্ণ আইনী ব্যবস্থা আর সরকারের আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়ের অভাব। জানমালের ক্ষতির জন্য হয়তো দায়সারা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন কী কেউ আছে যিনি তাঁর নিজ সন্তান বা স্ত্রী-কন্যা বা বাবা-মায়ের জীবনের বিনিময়ে কোটি টাকার অনুদান নেবো! কখন নেবো? কেন নেবো?
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। এর পরেই শেখ হাসিনার সরকার নগর সরকারের পরিকল্পনা হাতে নেয়। কিন্তু ২০১৩ সালে ৫ও ৬ই মে হেফাজতের শাপলা চত্তরের সমাবেশ এবং তৎপরবর্তী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরে অজ্ঞাত কোন কারণে নগর সরকারের পরিকল্পনা থেকে সরকার পিছিয়ে আসে। কিন্তু নগরীতে পরিসেবা বা সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে মাঝে মাঝে দেশের বিভিন্ন নগরীতে চকবাজারের এমন সব ঘটনা ঘটে যাতে করে নিজেদের দায় এড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কৌশলে দায় এড়ায়। কিন্তু দেশ ও জনগনের জানমালের অপূরণীয় ক্ষতির সম্পূর্ণ দায়ভার গিয়ে পড়ে সরকারের রাজনৈতিক নেতাদের ঘাড়ে।
কাজটা যদিও বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধার মত কঠিন তবুও নগর সরকারের নিয়ে আলাপ করা যায়। মনে করি ঢাকা মহানগরীর কোন এলাকায় পানির সংকট। পানি সরবরাহের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার, সিটি কর্পোরেশনের নয়। তেমনি পয়ঃনিষ্কাশনের সমস্যায় হয়তো কোন এলাকার মানুষ নাকাল। নগরবাসী যান স্থানীয় সিটির ওয়ার্ড কমিশনারের কাছে, যদিও তাঁর কোন হাত নেই এই সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে। একইভাবে এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে থানা-পুলিশের কাজের জন্য, বিদুত, গ্যাসের সরবরাহের জন্য নগরবাসী যান স্থানীয় সিটির ওয়ার্ড কমিশনারের স্মরনাপন্ন হন, যদিও তাঁদের কিছুই করার নেই এসব ক্ষেত্রে। এমন অনেক বিষয় আছে যা নিস্পত্তি করার ক্ষমতা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নেই কিন্তু ঘটনার সব দায় গিয়ে পড়ে রাজনীতিবিদের ঘাড়ে, সরকারের বদনাম হয়। এই যে পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয় কারও উপরেই কিন্তু সিটি কর্পোরেশন বা স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, কিন্তু দায় সব তাঁদের, তাঁদের নেতার।
উন্নত দেশের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, শক্তিশালী নগর সরকার ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিসেবা দেওয়ার জন্য নিয়োজিত সব সংস্থার কর্মীদের সংশ্লিষ্ট নগর সরকারের অধীন ন্যাস্ত করা হয়। নগর সরকারের প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি নগর সরকারের অধীন ন্যাস্ত অন্যান্য সব সংস্থার কর্মীদের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন বা এসিআর লেখেন। এই এসিআর এর উপর ভিত্তি করে যেহেতু বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের পদোন্নতি, বেতনের বিশেষ বৃদ্ধি, ইত্যাদি হয় তাই নগর সরকারের অধীন ন্যাস্ত অন্যান্য সব সংস্থার কর্মীরা নগর সরকারের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন, দায়িত্ব পালনে সযত্ন হন বা বাধ্য হন। ফলে সংশ্লিষ্ট নগরীতে পরিসেবা দেওয়ার জন্য নিয়জিত সকল সংস্থার কাজে সমন্বয়ের অভাব খুব কমে যায়। তবে সমন্বয় না থাকলেও তাঁর সত্যিকার দায় নগর সরকার এড়াতে পারে না। এই দায় থেকেই তারা জবাব্দিহীতার মধ্যে চলে আসে। ভারতের পশ্চিম উনত দেশে এঁর চলন আছে। প্রতবেশী দেশ ভারতে ইউনিয়ন পর্যায়েও এঁর পরীক্ষামূলক গবেষণায় সফলতা দেখা গেছে। একটা উদাহরন দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হতে পারে। মনে করুণ কোন জেলা শহরের পৌরসভায় বিদ্যুৎ, পুলিশ, গ্যাস, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, ইত্যাদি বিভিন্ন বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মীরা কাজ করেন। বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মীরা যে নগরীর অধীনে পদায়ন করা হবে, তাঁদেরকে ডেপুটেশনে ঐ স্থানীয় সরকারের অধীন ন্যাস্ত করা হবে। তথন নগর সরকার সংশ্লিষ্ট সকল পরিসেবার ঘাটতির জন্য বা কমতি অথবা খামতির জন্য দায়ী থাকবেন। শাস্তি বা পুরস্কার দুটোই তাঁর জন্য থাকে। ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া সরকার সংশ্লিষ্ট সকল পরিসেবা আর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা যাবে না বলে উন্নত দেশগুলতে দেখা গেছে। তখন ঘুরে ফিরেই চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের মত ঘটনা ঘটবে আর বিভিন্ন দপ্তর তাঁদের দায় এড়াতে মরিয়া হয়ে বিবৃতি দেবে না, কিন্তু লোভের আগুনে প্রাণ যাবে না নিরিহ মানুষের।
নগর সরকার ব্যবস্থায় নিয়মিতভাবে নগর সরকার তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথা যেমন কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রনালয়কে অভিত করবে ঠিক তেমনি সরকারী সম্পত্তি বেহাত হওয়া, বা জানমালের ক্ষতির সম্বভাবনা বা আশংকা দেখা দিলে অনতিবিলম্বে তা কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রনালয়কে অভিত করবে। নগর সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বর্তমান সরকারের হোমওয়ার্ক করা আছে, সরকার প্রধান প্রাথমিক পর্যায়ে নব গঠিত সিটি করপরেশনে এটা পাইলটিং করতে চেয়েছিলেন। এখন মনে হয় সময় এসেছে, দেশে নগর সরকার চালু করার সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়ার। দরকার হলে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অভিজ্ঞদের নিয়ে এক বা একাধিক মতবিনিময় সভা করে তা চূড়ান্ত করা যায়।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।