নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
নির্বাচনের পর নির্বাচন এবং রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে ঘনঘন কূটনীতিকদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির নেতারা। এটা নিয়ে কূটনীতিকরা এখন বিব্রত এবং অনেকটা বিরক্ত বটে। কুটনীতকরা মনে করছেন যে, এতে নতুন সরকারের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি তৈরি হতে পারে এবং নতুন সরকারের কাছে একটি ভুল বার্তা যেতে পারে। প্রত্যেকটা দেশই জানে বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করে বাণিজ্য বৃদ্ধিই হলো কূটনীতিকদের এখন প্রধান লক্ষ্য। তাছাড়া কূটনীতিকরা মনে করছেন যে সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার যেভাবে মানবতার ডাকে সাড়া দিয়েছে তা বিস্ময়কর এবং এই ক্ষেত্রে তাঁরা সরকারকে কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতি বা চাপের মধ্যে ফেলতে চায় না। তাই কূটনীতিকরা এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির আমন্ত্রণ, বৈঠকের প্রস্তাব, নালিশ ইত্যাদির ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন, যুক্তরাজ্যে, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশের রাষ্ট্রদূতেরা বৈঠকে মিলিত হয়। সে বৈঠকে ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি নেতারা যে নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনা ও বৈঠকের কথা বলছে, সেগুলোর ব্যাপারে অনাগ্রহ দেখানো এবং সেগুলোতে অংশগ্রহণ না করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, সর্বশেষ ড. মঈন খানের বাসায় বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির নেতারা। সেখানে তাঁরা নির্বাচনের বিভিন্ন কারচুপি, অভাব, অভিযোগ ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই বৈঠকের পর বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের যে কোর আছে সেখানে এই মনোভাব ব্যক্ত করা হয়, নির্বাচন এখন ডেড ইস্যু। নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে এবং সারাবিশের প্রায় সব দেশ এই সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। বিদেশি কূটনীতিকরা মনে করছেন যে, এখন বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন নিয়ে যে অভিযোগ বা আপত্তি সেগুলো আদালত বা সাংবিধানিক পথে মীমাংসা হওয়া উচিৎ। সেটা নিয়ে কূটনীতিকদের কিছু করার দরকার নেই।
কূটনীতিকরা মনে করেন একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে এবং নির্বাচনের ত্রুটি-বিচ্যুতি মীমাংসা করার জন্য আইনী প্রক্রিয়া রয়েছে এবং সে আইনী প্রক্রিয়ায় সেটা হওয়া উচিৎ। এখানে কূটনীতিকদেরকে বিতর্কে জড়ানো উচিৎ নয়। কারণ কূটনীতিকরা মনে করছেন এর ফলে যেটা হবে যে, সরকারের সঙ্গে একটা ভুল বুঝাবুঝি তৈরি হতে পারে। এই ভুল বুঝাবুঝিতে দুই দেশের সম্পর্কে একটা নেতিবাচক ধারণার জন্ম হতে পারে। তাছাড়া বাংলাদেশ এখন আগের অবস্থানে নেই। আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করত। তাঁদের ঋন বা তাঁদের সহযোগিতা ছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট তৈরি করাই মুশকিল ছিল। ফলে দাতারা যেকোনো শর্ত আরোপ করতে পারতেন। এখন বাংলাদেশের সেই অবস্থান নেই। এখন কূটনীতিকরা আগের মতো চাপ প্রয়োগ করতে পারেন না। দ্বিতীয় বিষয় যেটা কূটনীতিকরা মনে করছেন যে, নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ হয়েছে। এটাই হলো সবচেয়ে বড় কথা। নির্বাচনে যে কারচুপির অভিযোগ ওঠেছে সেই কারচুপির অভিযোগের কোনো দালিলিক প্রমাণ তাঁরা দিতে পারেননি। তৃতীয়ত; কূটনীতিকরা মনে করছে যে, কূটনীতিকদের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী কূটনীতিগত দায়িত্ব সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে যে নানারকম অনিয়ম, অভিযোগ, অনুযোগ ইত্যাদি নিয়ে মীমাংসা করার দায়িত্ব হলো আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মীমাংসা হবে। এটা কূটনীতিকদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। কূটনীতিকরা যদি এটিতে হস্তক্ষেপ করে সেটা হবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ। এজন্য কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে একাধিক দেশ এধরণের বৈঠকে এখন বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে যোগদানের ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত সপ্তাহে ড. মঈন খানের বাসায় যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল সে বৈঠকেও একাধিক দেশের কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করেনি। সম্প্রতি ড. কামাল হোসেন কূটনীতিকদের নিয়ে একটি বৈঠকের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি এখন ব্যস্ত, তিনি এখন বৈঠক করতে আগ্রহী নন। কূটনীতিকরা এখন বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টকে বুঝাতে চাইছেন যে, এখন একটি দেশে নির্বাচিত সরকার এসেছে। নির্বাচিত সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করে কিনা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে কিনা, সেইসব বিষয়গুলো এবং দেশে স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সে বিষয়গুলো নিয়ে তাঁরা সরকারের সঙ্গে সংলাপ করতে আগ্রহী। সরকারকে পরামর্শ এবং সরকারের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে আগ্রহী। তাঁরা নির্বাচন বা কাউকে ক্ষমতায় বসানো, সরকারের সমালোচনা করা ইত্যাদি বিষয়ে তাঁরা অনাগ্রহী। এজন্যই তাঁরা মনে করছেন যে, এরপর থেকে যদি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো বৈঠকের আহ্বান জানানো হয় প্রথমে তাঁরা বৈঠকের ইস্যুগুলো জানতে চাইবে এবং ইস্যুগুলো যদি রাজনৈতিক ইস্যু হয় তাহলে সেক্ষেত্রে তাঁরা বৈঠকগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাবেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার মনে করেছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। তা হয়নি, বরং আরও বেড়েছে। সরকার দেশকে পরিকল্পিতভাবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
রোববার
(১২ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ
সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
গত
বুধবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন
করে বিএনপি।
বিএনপি
মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের পূর্বে বহু নেতাকর্মীকে একতরফাভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর
তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। এখনো গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতা কারাগারে
রয়েছেন। বিরাজনীতিকরণ করতে ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মূল
উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল যেন না থাকে। মানুষের সর্বশেষ আশা ভরসারস্থল হচ্ছে
কোর্ট, কিন্তু সেখানেও কেউ কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।
সাংবাদিকের
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, এটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। সরকার দেশকে পরিকল্পিতভাবে
একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এটি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। একটি রাষ্ট্র তখন
ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়, যখন অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙে যায়, রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট
হয়ে যায়। গোটা রাষ্ট্র একটি নৈরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না। তাও আবার
ক্ষমতাসীন দলের ছাড়া সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা টাকা পাচার করে সেটি বিনিয়োগ করেছে বিদেশে, অথচ বাংলাদশের
মানুষের অবস্থা খারাপ।
ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কে আসলো তাতে ইন্টারেস্ট নেই। জনগণই বিএনপির শক্তি। সরকার মনে করছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য খুবই খারাপ। তাকে হাসপাতালে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টাই তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র চার সংসদ সদস্যের চার স্বজন প্রার্থী হয়েছেন। ওই চার সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলেও তাঁরা আওয়ামী লীগের নেতা। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোটাররা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে কুমিল্লার চারটি আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় চার নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন।
কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল মজিদের স্ত্রী রেহানা বেগম হোমনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। রেহানা বেগম কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
জানতে চাইলে রেহানা বেগম বলেন, ‘২০১৯ সালেও আমি চেয়ারম্যান হয়েছি নৌকা প্রতীক নিয়ে। এবার দল সবার জন্য প্রার্থিতা উন্মুক্ত রেখেছে। নেতা-কর্মীদের চাপে প্রার্থী হয়েছি।’
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে আহসানুল আলম সরকার উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৯ সালেও আহসানুল চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। আহসানুল আলম সরকার মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই মামুনুর রশিদ কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
কুমিল্লা-৫ ( বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এম এ জাহেরের বড় ভাইয়ের ছেলে আবু তৈয়ব ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তৃতীয় ধাপে প্রার্থী হয়েছেন। আবু তৈয়ব কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।
স্বজনদের প্রার্থী হওয়া বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. আবদুল মজিদ ও জাহাঙ্গীর আলম সরকারে ভাষ্য, প্রার্থীরা গতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। তাই এবারও তাঁরা প্রার্থী।
সংসদ
সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, দল প্রার্থিতা সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছে। সারা দেশে বড়
নেতাদের ভাই, ছেলে, স্ত্রী, সন্তানেরা প্রার্থী হয়ে ইতিমধ্যে অনেকে জয়ী হয়েছেন। দেবীদ্বারের
তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মামুনুরকে চান। অনেকটা একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন সংসদ সদস্য এম
এ জাহের।
মন্তব্য করুন
আগামী ১৪ ও ১৫ মে দুদিনের ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে তাঁর। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম গুঞ্জন বা এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করলেও এবার তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতিতে তেমন কোন উত্তেজনা বা আতঙ্কও নেই যেমনটি ছিল নির্বাচনের আগে আগে। তবে ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে নতুন করে আশার বুক বাঁধছে বিএনপি। রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে দলটির মধ্যে। এরই মধ্যে বিএনপি গত শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশ করেছে। পাশাপাশি সরকারবিরোধী দেশের সব সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু করেছে দলটি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধ নিরসন না হতেই উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল আওয়ামী লীগে বিভক্তি বাড়ছে, বাড়ছে সহিংসতা। এবার উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক নৌকায় নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকি দলটি কেন্দ্রীয়ভাবেও কাউকে সমর্থন দেয়নি। এর ফলে নির্বাচনে দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন। যদিও দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু সে নির্দেশনা মানছেন আওয়ামী লীগের কেউই। বরং মন্ত্রী-এমপিরা তাদের পরিবারের সদস্য বা মাই ম্যানদের পক্ষে সরাসরি ভূমিকা রাখছে। এর ফলে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে। আর যার ফলে বাড়ছে কোন্দল, বাড়ছে সহিংসতা। সংসদ নির্বাচনের পর পরই দলীয় প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে যেমন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল উপজেলা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই রকম আশঙ্কা করা হচ্ছে।