নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০১ মার্চ, ২০১৯
রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, নতুন নির্বাচনের দাবিও নয় বরং বেগম জিয়ার মুক্তির জন্যই দেনদরবার করছে বিএনপি। বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় বেগম জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের কোনো আগ্রহ নেই। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে এখন বেগম জিয়ার মুক্তির কোনো সম্ভাবনাই নেই। তবে আবদুল আউয়াল মিন্টুর ঘনিষ্ঠরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এরকম ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে তারেক জিয়া দেশে ফিরলেই কেবল বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের উদ্যোগের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আইনী প্রক্রিয়ার ব্যাপার। এখানে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কিছু নেই।’ তিনি এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনার কথাও অস্বীকার করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অস্বীকার করলেও দলের গুরুত্বপূর্ণ অন্তত তিনজন ব্যক্তির সঙ্গে আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং শামীম ইস্কান্দারের সঙ্গে যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়ে মিন্টু ভারত এবং মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আবদুল আউয়াল মিন্টু বেগম জিয়ার মুক্তির পক্ষে ৫টি যুক্তি দেখিয়েছেন সেগুলো হলো-
১. বেগম জিয়া খুবই অসুস্থ। এখন তাঁর মুক্তি না দিলে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে পারে।
২. বেগম জিয়া আর রাজনীতি করবেন না। রাজনৈতিক তৎপরতায় যুক্ত হবার মত শারিরীক সামর্থ্য তার নেই। তাই তাকে মুক্তি দিলে সরকারের কোন সমস্যা হবে না।
৩. বেগম জিয়াকে মুক্তি দিলে বিএনপিও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন বন্ধ করে দেবে। ফলে সরকার নির্বিঘ্নে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
৪. বেগম জিয়াকে মুক্তি দিলে প্রধানমন্ত্রীর ইমেজ আরো বাড়বে। মানবিকতার জন্য তিনি আরো প্রশংসিত হবেন।
৫. বেগম জিয়ার মুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি পর্বের চির অবসান হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মিন্টু সরকারকে বলেছেন, বেগম জিয়া মুক্তি পেলে দেশেই থাকবেন এবং তার চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ নিয়েই সময় কাটাবেন। তাই তাকে মুক্তি দিয়ে সরকার নতুন কোন দু:চিন্তার মধ্যে পরবে না। অবশ্য বিএনপির মূল নেতারাও এই উদ্যোগ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। তবে, তারা মনে করছেন, যেভাবেই হোক বেগম জিয়ার মুক্তিই এখন সবচেয়ে বড় কথা।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।