নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৬ মার্চ, ২০১৯
আইএসে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামিমার নাগরিকত্ব বাতিলের প্রেক্ষাপটে তারেক জিয়ার ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিলের সম্ভাবনা বেড়েছে। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্রে প্রাপ্ত খবরে পাওয়া গেছে, যদি এরকম তথ্য প্রমান পাওয়া যায় যে তারেক জিয়া জঙ্গিবাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। সেক্ষেত্রে তারেক জিয়া ব্রিটেনে যে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন, তা বাতিল করা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে শামিমা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘শামিমা কোন দেশের বংশোদ্ভূত সেটা বড় কথা নয়। জঙ্গিবাদের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদেরকে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’ এই প্রেক্ষাপটে তিনি বলেছেন যে, ‘যারা ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে জঙ্গিবাদের মদদ বা পৃষ্টপোষকতা দিচ্ছেন, তাদের ব্যাপারেও ব্রিটেনের একই নীতি গ্রহণ করা হবে। ব্রিটেন তার ভূমিকে জঙ্গিবাদের লালন ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করতে দিবে না। জঙ্গিবাদের সঙ্গে তারা কোন রকম আপোস করবেন না।’
এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরে তারেক জিয়ার জঙ্গি সম্পৃক্ততার একাধিক প্রমান উপস্থাপন করবে বলে জানা গেছে। এই তথ্য প্রমানগুলো যদি সঠিক বস্তুনিষ্ঠ হয় এবং ব্রিটিশ সরকার যদি তদন্ত করে সেটি সঠিক বিবেচনা করে, সেক্ষেত্রে তারেক জিয়ার রাজনৈতিক আশ্রয় সুযোগ বাতিল হয়ে যাবে বলে কূটনৈতিক প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে। বাংলাদেশের কাছে তারেক জিয়ার জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার একাধিক প্রমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রমান হিসেবে যেটা আদালতে প্রমানিত হয়েছে। সেটা হলো, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা। এই গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক জিয়া প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে পাকিস্তান ভিত্তিক একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সহযোগিতা নিয়েছিলেন এবং এই গ্রেনেড হামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য জঙ্গিরা অস্ত্র সংগ্রহ করেছিল এবং জঙ্গিরা অপারেশন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল বলে আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এই রায়ের সত্যায়িত কপি ইতিমধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে আছে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এর সত্যায়িত অনুলিপি তৈরী করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, তারেক জিয়া যে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং সংশ্লিষ্ট রয়েছেন, সেটা প্রমানের জন্য এই তথ্যটুকুই যথেষ্ঠ।
দ্বিতীয়ত, তারেক জিয়ার সঙ্গে জঙ্গিদের মদদদাতা এবং বিশ্বের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল দাউদ ইব্রাহিমের সম্পর্ক রয়েছে এবং তার সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব রয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে পাওয়া গেছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ ইতিমধ্যে ২০০৮, ২০১০ এবং ২০১১ সালে তিনটি পৃথক প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে, দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তারেক জিয়ার আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক রয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে দাউদ ইব্রাহিম এবং তারেক জিয়ার একাধিক বৈঠক হয়েছে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশ সরকারের কাছে এরকম তথ্য প্রমাণ রয়েছে যে, ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করার সময় তারেক জিয়া বিভিন্ন জঙ্গিবাদি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, টেলিফোনে আলাপ করেছেন। বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টির জন্য তিনি তাঁদেরকে অর্থ দিয়েছেন। এই সমস্ত কাজের তথ্য প্রমাণও বাংলাদেশ সরকারের হাতে এসেছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার ব্রিটেনকে তদন্ত করতে বলবে।
চতুর্থত, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে তারেক জিয়া তাঁর রাজনৈতিক অফিস ‘হাওয়া ভবন’ একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে গোপন বৈঠন করেছেন বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পঞ্চমত, তারেক জিয়া একাধিক বক্তৃতায় বলেছেন যে, ইসলামী ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদল হলো একই মায়ের দুই সন্তান। এর মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্তরা রয়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবির মার্কিন যুক্তরাষ্টের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভূক্ত।
এই পাঁচটি ঘটনার একটি যদি ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর প্রমাণ পায় তাহলেই তারেক জিয়ার ব্রিটেনে থাকার কোনো অধিকার থাকবে না। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামিমা কিশোরী বয়সে আইএস এর প্রতি আসক্ত হন এবং তিনি ব্রিটেন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আইএস কেন্দ্রে যান। সেখানে তিনি একজনকে বিয়ে করেন এবং তাঁর দুটি সন্তান চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করে। এখন তিনি তৃতীয় সন্তান সম্ভাবা হয়ে ব্রিটেনে ফেরার আবেদন করেছেন। কিন্তু ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর তাঁর আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করে। এটার মাধ্যমে ব্রিতেন সুস্পষ্ট বার্তা দিলো যে, যারাই ব্রিটেনে থাকবে তাঁদেরকে জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্ক না রেখেই থাকতে হবে। এটা যদি প্রমাণিত হয় যে তারেক জিয়ার সঙ্গে সন্ত্রাসী সংগঠনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তিনি তাঁদের মদদদাতা এবং পৃষ্ঠপোষক তাহলে তাঁর ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়লাভের আর কোনো সম্ভাবনা থাকবে না বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এই বিষয়টি নিশ্চিত হবে বলে তাঁরা অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, শামিমার নাগরিকত্ব বাতিলের পর তারেকের রাজনৈতিক আশ্রয়লাভের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। চলতি মাসের শেষের দিকে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীনে যাবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই সফর কর্মসূচির লক্ষ্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং মতবিনিময়।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ১৪ এপ্রিল এক চিঠিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছে ৫০ সদস্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগ এবং আওয়ামী লীগের ডেটাবেজ টিমের সদস্যরা রয়েছেন।
দলীয় একাধিক সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠন গড়ে তোলা, সুশাসন, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।
৫০ সদস্যের প্রতিনিধি টিমে রয়েছেন:
আওয়ামী যুব লীগ:
সহ সভাপতি মৃনাল কান্তি জোয়ারদার ও তাজউদ্দীন আহমদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম; সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মো জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো সাফেড আসফাক আকন্দ।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ:
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, তানভীর শাকিল জয় এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, একেএম আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল মো নাফিউল করিম, আবদুল্লাহ আল সায়েম৷
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ:
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রোকসানা, মিনা মালেক, সুলতানা রেজা, মিসেস রোজিনা নাসরিন, নীলিমা আক্তার লিলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝর্না বাড়ুই, মরিয়ম বিনতে হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেনিগার হোসেন।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ:
সভাপতি আলেয়া সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, সহ সভাপতি বিনা চৌধুরী, রাফিয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন।
মহিলা শ্রমিক লীগ:
সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার, কার্যকরী সভাপতি শামসুর নাহার, সহ সভাপতি মেহেরুন নেসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিনাত রেহেনা নাসরিন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ:
সহ সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, কুহিনূর আক্তার, খাদেমুল বাশার জয়, খন্দকার মো আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো হোসাইন আহমেদ, মো আবদুল্লাহ হিল বারী, এসডিজি বিষয়ক সম্পাদক রাইসা নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আখি।
ডেটাবেজ টিম মেম্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ:
মো নুরুল আলম প্রধান, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, কাজী নাসিম আল মমিন, জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, অদিত্য নন্দী, মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।