নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৮ মার্চ, ২০১৯
বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে তৎপর হয়েছেন জোবায়দা রহমান। জোবায়দা তারেক জিয়ার স্ত্রী। লন্ডন থেকে সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে তিনি ফোনে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। এসব আলাপে জোবায়দা ‘মানবিক’ কারণে এবং চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়ার সাময়িক মুক্তি চেয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার একবছর একমাস পর ডা. জোবায়দার তৎপরতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য জোবায়দা পেশায় একজন চিকিৎসক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে তারেক জিয়ার সহধর্মিনী বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন, এরকম অন্তত তিনজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের কাছে তিনি বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন বলে জানা গেছে। ডা. জোবায়দার পরামর্শেই বেগম জিয়াকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়নি বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। কারাগারে যেসব চিকিৎসকেরা বেগম জিয়াকে নিয়মিত দেখেন তাদের অন্তত একজনের সঙ্গে ডা. জোবায়দার কথা বলার নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ডা. জোবায়দা প্রভাবশালী এক সাবেক মন্ত্রীর সঙ্গে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে অন্তত দুবার ফোনে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। সূত্রমতে, এসময় জোবায়দা অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন এবং কথাবার্তার একপর্যায়ে তিনি বেগম জিয়ার মুক্তি চেয়ে কেঁদে ফেলেন। এছাড়াও ডা. জোবায়দা প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একজনের সঙ্গে কথাও বলেন। তিনি (ডা. জোবায়দা) যেকোনো শর্তে বেগম জিয়ার একমাসের মুক্তি চান। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে, দুজনের কেউই জোবায়দাকে আশ্বস্ত করার মতো কোনো খবর দিতে পারেননি। তবে দুজনেই বলেছেন, বেগম জিয়াকে সব ধরনের চিকিৎসা সুবিধা দিতে সরকার কোনো কার্পণ্য করেনি। জানা গেছে, জোবায়দা বেগম জিয়াকে ইউনাইটেড অথবা অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার অনুরোধ করেছেন। একটি সূত্র বলছে, সরকারের সঙ্গে ডা. জোবায়দার আলোচনায় যেন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় সেজন্য তারেক জিয়া বিএনপির নেতৃবৃন্দকে এখন কথাবার্তায় ‘সংযমী’ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গতকাল ফোনে তারেক ‘উটকো’ এবং ‘বাড়তি’ বক্তব্য না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, দলের মহাসচিবকেও তারেক জিয়া ফোন করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আগামী কদিন কোনো কর্মসূচী না দেওয়া নির্দেশ দেন তারেক জিয়া।
সরকারের সঙ্গে ডা. জোবায়দার যোগাযোগের খবরটি নিশ্চিত করে বিএনপির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘আমরা এখন বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা ছাড়া কিছুই ভাবছি না। এটাই আমাদের প্রধান ইস্যু।’ তিনি অবশ্য বলেন, ‘সরকার বিষয়টি নিয়ে আগের চেয়ে অনেক নমনীয়।’
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।