নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০১৯
দেশের জন্য অন্যতম বিভীষিকার দিন আজ, কারণ আজ স্বৈরাচার দিবস। ১৯৮২ সালের আজকের এই দিনে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সামরিক ফরমান জারি করে জাতীয় সংসদ ও প্রেসিডেন্টসহ মন্ত্রিপরিষদ বাতিল করে সংবিধানের কার্যকরিতা স্থগিত ঘোষণা করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন এবং দেশে স্বৈরশাসন জারি করেছিলেন।
এই দিনটাকে বিরোধী দল সবসময় গণতন্ত্র হত্যা দিবস, কালো দিবস ইত্যাদি বিভিন্ন নামে অভিহিত করতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও এবার এরশাদকে তুষ্ট করতেই বোধয় কোনো রাজনৈতিক দলেরই কোনো কর্মসূচি নেই আজকের দিনটিতে। না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, না বিএনপি, না বামদলেরও কোনো কথা নেই আজকের দিনটাকে নিয়ে। এরশাদ যে সপ্তম সংশোধনীর মাধ্যমে বৈধতা পেয়েছিলেন, সেই সংশোধনীও হাইকোর্টে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তারপরেও আজকের দিনে কেউই কোনো কথা বলছে না। যদিও দেশে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, কিন্তু স্বৈরাচার অনেকটাই বহাল তবিয়তে আছে, কেউ কোনো কর্মসূচি করেনি এই নিয়ে।
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে অবৈধ ক্ষমতা দখলের মামলা করেছিলেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে তিনি রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগে মামলাটি করেন। মামলাটি দায়ের করা হলেও যদিও তার কোন অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়। সেই হাসানুল হক ইনুও আজ এই স্বৈরাচার দিবসে নীরব। যদিও ইনু ও এরশাদ দু’জনই এখন মহাজোটের শরিক।
দেশে দেশে স্বৈরাচারদের পরিণতি কখনোই ভালো হয়নি। কিন্তু এর ব্যতিক্রম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তাকে বিশ্বে ভাগ্যবান একমাত্র স্বৈরাচার, যিনি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হবার পরও এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। ছোটখাট মামলায় তিনি দণ্ডিত হয়েছেন। কিন্তু স্বৈরাচারের বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে ২৪ মার্চকে কালো দিবস হিসেবে পালন করা হলেও এখন আর সেটিও হচ্ছে না।
আমাদের দেশের রাজনীতিতে এখনও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নামটি আকাঙ্ক্ষিত বলাই যায়। এর উদাহরণ হচ্ছে তাঁকে বশে আনার প্রাণান্ত চেষ্টা এখনো চলছে। এমনকি ৯০তে যে রাজনৈতিক দলগুলো তাঁকে হটাতে চেয়েছিল, তারাই তাকে টিকিয়ে রেখেছে তুরুপের তাস হিসেবে। তাকে তোষামদের কারণ আর কিছু না, ক্ষমতায় অধিষ্ঠ হওয়া সহজ হয়। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার অবশ্য এরশাদও কম করতে জানেন না।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী
তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান
প্রার্থী ও ৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল বুধবার বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, রংপুর বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের পাঁচজন, ঢাকা বিভাগের চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন, কুমিল্লা বিভাগের ছয়জন ও খুলনা বিভাগের চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড লু বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চীন সফর ভারত যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দলের ভেতর সুবিধাবাদী, লুটেরা এবং দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্র্যাকডাউন হবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং দলের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ এবং তার আদর্শিক জোট ১৪ দলের নেতাদের চীন সফরে হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর এই চীন সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলাপ আলোচনা। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের চীন সফরের ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছেন। তবে তারা এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় হিসেবেই মনে করছেন।