ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বীভৎস যত গণহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ২৫ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংসতম গণহত্যার দিন আজ। একাত্তরের এই দিনে পাক হানাদারবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল। যুগে যুগে দেশে দেশে এমন আরও কিছু গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তেমনি কিছু গণহত্যার ইতিহাস এখানে তুলে ধরা হলো-

নানকিং গণহত্যা

নানকিং গণহত্যা ইতিহাসে `দ্য নানকিং ম্যাসাকার` কিংবা `রেপ অব নানকিং` নামে কুখ্যাত হয়ে আছে। ১৯৩৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৯৩৮ সালের জানুয়ারির শেষ ভাগ পর্যন্ত দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে জাপানি সেনাবাহিনী অন্তত ৩ লাখ চীনা নাগরিককে হত্যা করে। চীনের তত্‍কালীন রাজধানী নানকিং শহরটিকে একেবারে গুঁড়িয়ে দেয় তারা। শুধু হত্যাই নয়, ধর্ষণ ও লুটতরাজও চলতে থাকে সমানতালে। বলা হয়ে থাকে, ওই সময়টাতে এক তলোয়ারে ১০০ মানুষকে জবাই করতো জাপানি সেনারা। বীভৎস ওই হত্যাযজ্ঞের কারণে আজও চীনাদের কাছে ঘৃণার পাত্রই হয়ে আছে জাপানীরা।

হলোকাস্ট

হলোকাস্ট শব্দের বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় সবকিছু জ্বালিয়ে দেওয়া। তবে শব্দটি এখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের ওপর চালানো গণহত্যাকেই বোঝায়। ১৯৪১ সাল নাগাদ ইউরোপের বেশকিছু দেশ দখল করে নিয়েছিল জার্মানরা।  জার্মানিসহ দখলকৃত দেশগুলো থেকে বন্দি করা হয় লাখ লাখ ইহুদিকে। পোল্যান্ড ও জার্মানির বন্দিশালাগুলোতে কখনো গুলি কিংবা রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগে হত্যা করা হয় কয়েক লাখ ইহুদিকে। বন্দিশালায় অমানুষিক পরিশ্রম, খাবার আর চিকিৎসার অভাবেও মারা যায় বহু ইহুদি। জার্মানদের বছর চারেকের হত্যাযজ্ঞে প্রায় ৬০ লাখ নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়।

কম্বোডীয় গণহত্যা

কম্বোডিয়ায় ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল বামপন্থী খেমাররুজ সরকার। এই চার বছরে বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার নামে প্রায় ২০ লাখ সাধারণ কম্বোডীয়কে হত্যা করে তারা। ক্ষমতায় এসেই খেমাররুজরা আগের সরকারের অধীনে কাজ করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হত্যা করতে শুরু করে। এরপর সাধারণ জনতাও তাদের টার্গেটে পরিণত হয়। কেউ সরকারের কোনো অনিয়মের প্রতিবাদ করলেই হত্যা করা হতো তাকে। একপর্যায়ে খোদ খেমাররুজ সদস্যদের মধ্যেই এই হত্যাযজ্ঞ ছড়িয়ে পড়ে। বিদেশিদের গুপ্তচর হতে পারে এই সন্দেহের বশে কয়েক হাজার খেমেররুজ সদস্যকে তখন হত্যা করা হয়। সরকারের অব্যবস্থাপনা আর স্বেচ্ছাচারীতার কারণে চরম অর্থনৈতিক সংকট থেকে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়। ছড়িয়ে পড়ে মহামারিও। প্রাণ হারাতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। শেষ পর্যন্ত ভিয়েতনামের সরকারি বাহিনীর হাতে খেমাররুজ সরকারের পতন হয়।

বসনীয় গণহত্যা

বাঙালীদের মতোই স্বাধীনতার দাবিতে রক্ত দেওয়া আরেক জাতি হলো বসনীয়রা। ১৯৯২ সালের এপ্রিলে যুগোস্লাভিয়া থেকে নিজেদের স্বাধীন দেশ ঘোষণা করে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা। স্বাধীনতার এই দাবি দমিয়ে রাখতে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায় সার্ব সেনাবাহিনী। তিন বছর ধরে চলা এই গণহত্যায় এক লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এই তিন বছরের হত্যাযজ্ঞের মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস ছিল সেব্রেনিত্‍সা গণহত্যা। ১৯৯৫ সালের জুলাইয়ে জাতিসংঘ ঘোষিত সেইফ জোন সেব্রেনিত্‍সায় নিয়োজিত শান্তিরক্ষী বাহিনীর সামনেই সেখানে বসবাসরত নারী ও পুরুষদের আলাদা করা হয়। সাত থেকে আট হাজার কিশোর ও পুরুষকে সেখানেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এরপর নারী ও কিশোরীদের বাসে করে পাঠানো হয় সার্ব-অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় যৌন নিপীড়ন।

জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাযজ্ঞ

ভারতে ব্রিটিশ শাসকদের নৃশংস দমন পীড়নের অন্যতম উদাহরণ হলো জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাযজ্ঞ। ১৯১৯ সালের এপ্রিলের ১৩ তারিখে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজিনাল ডায়ার পাঞ্জাবের অমৃতসরের বিক্ষোভরত নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল। পরিণতিতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন প্রায় হাজারখানেক নিরস্ত্র মানুষ। এই ঘটনা সম্পর্কে ডায়ার ব্রিটিশ সরকারকে যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন তার বর্ণনা ছিল এরকম:

‘সরু একটি গলির ভেতর দিয়ে আমি উদ্যানে ঢুকলাম। রাস্তা সরু হওয়ায় আমাকে আমার সাঁজোয়া গাড়ি রেখে আসতে হয়েছিল। পার্কে ঢুকে দেখলাম হাজার পাঁচেক মানুষ। একজন মানুষ একটি উঁচু বেদিতে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে নেড়ে ভাষণ দিচ্ছে। আমি সাথে সাথে বুঝলাম মানুষের তুলনায় আমার সাথে সৈন্যদের সংখ্যা অনেক কম। আমি গুলির নির্দেশ দিলাম। দু’শ থেকে তিনশ লোক মারা যায়। একহাজার ছশ পঞ্চাশ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। সন্ধ্যে ছয়টার দিকে আমি সেনা সদর দপ্তরে ফিরে যাই।’

কিন্তু ভারত সরকারের হিসেব অনুযায়ী, সেদিন জালিয়ানওয়ালাবাগে ছিলেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এরমধ্যে শান্তিপ্রিয় তীর্থযাত্রীরাও ছিলেন। ডায়ারের রিপোর্টে নিহতের সংখ্যা বলা হয় ৩৭৯। কিন্তু ভারতের করা তদন্তে এই সংখ্যা প্রায় এক হাজার।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রেস্তোরাঁয় নারী কর্মীদের যেসব কাজ নিষিদ্ধ করল সৌদি

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

খাদ্যে বিষক্রিয়া প্রতিরোধে রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলোতে নারী কর্মীদের নকল নখ ও চোখের পাপড়ি এবং নেইল পলিশের ব্যবহার নিষিদ্ধ জারি করেছে সৌদি আরব।

একইসঙ্গে ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা জমে যেন খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে না পারে এ লক্ষে কানের দুল বা হাতঘড়ি যেগুলো ঢিলেঢালাভাবে পরা হয়ে থাকে, সেগুলোও রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলোতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

শনিবার (১১ মে) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

সৌদি সংবাদমাধ্যম আখবার২৪ জানিয়েছে, সৌদি আরবের পৌর, গ্রামবিষয়ক ও আবাসন মন্ত্রণালয় মাংস ও দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্যের কাছে সুগন্ধি এবং আফটার শেভ দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গহনা, কানের দুল বা হাতঘড়িসহ যেসব অলঙ্কার ঢিলেঢালাভাবে পরা হয় সেগুলোও রেস্তোরাঁ এবং খাবারের দোকানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেননা এগুলোয় ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা জমে থাকতে পারে। যার ফলে এসব খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টির উৎস হতে পারে। তবে কান ছিদ্র করে পরা গোলাকৃতির দুল এবং খোদাই করা নয় এমন ধরনের আংটি পরতে অসুবিধা নেই।

সৌদি আরব রেস্তোরাঁ ও খাবার সরবরাহকারী দোকানে বিশেষত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের স্থানগুলোতে পরিচ্ছন্নতার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে নারী কর্মীদের জন্য এ নির্দেশনা বাধ্যতামূলক করেছে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এমন নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, খাবার তৈরি ও পরিবেশনে জড়িত কর্মীদের আরও কিছু অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এগুলো হলো- ধূপমান, খাবার খাওয়া, হাঁচি দেওয়া এবং দস্তানা না পরে রান্নার আগে খাবার স্পর্শ করা।

সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি রেস্তোরাঁয় বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে ৭৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর সেখানে একজন মারা যান। এরপরই এমন নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অসুস্থদের মধ্যে বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৯ জন সৌদি আরবের নাগরিক। এছাড়া বাকিরা বিদেশি।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ৭৫ জনের মধ্যে ৬৯ জন সৌদি আরবের নাগরিক ও অন্যরা বিদেশি।

সংবাদমাধ্যম জানায়, ২৫ এপ্রিল রিয়াদ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় খাদ্যে বিষক্রিয়ার কয়েকটি ঘটনা শনাক্ত করে। পরে তদন্তে এজন্য খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হয়। এ ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শাখা ছাড়াও রিয়াদ ও আল খারজ শহরের সবকটি শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়।


রেস্তোরাঁ   নারী কর্মী   নিষিদ্ধ   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: চতুর্থ দফার ভোট সোমবার

প্রকাশ: ০৫:২৬ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবার নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। সাত দফার মধ্যে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত যাচ্ছে সোমবার (১৩ মে) । এই পর্বে দেশটির ১০ রাজ্যের ৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে। 

 এ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫, তেলেঙ্গানার ১৭, উত্তরপ্রদেশের ১৩, মহারাষ্ট্রের ১১ এবং মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ৮ টি করে আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া বিহারের ৫টি আসনে, উড়িষ্যা ও ঝাড়খন্ডে চারটি করে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের একটি আসনে ভোট হবে। 

লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা অধীর চৌধুরী, সমাজবাদি পার্টির শীর্ষ নেতা অখিলেস যাদবসহ ১ হাজার ৭১৭ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে এ দফায়। 

পশ্চিমবঙ্গের যে ৮ আসনে ভোট হবে সেগুলো হলো- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম ও বোলপুর। 

এসব আসনে তারকা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহা, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, মহুয়া মৈত্র, রাজমাতা অমৃতা রায়, অভিনেত্রী শতাব্দী রায় ও বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

লোকসভা নির্বাচনের তিন দফার ভোটে মোট ২৮৩টি  আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট হবে আগামী ২০ মে। ষষ্ঠ ও সপ্তম দফার ভোট হবে যথাক্রমে ২৫ মে ও ১ জুন। একযোগে ফলাফল প্রকাশ হবে আগামী ৪ জুন।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এভারেস্টে আরোহীর সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দিলো নেপাল সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারকে এভারেস্ট ও অন্যান্য শৃঙ্গ আরোহণে অনুমতির সংখ্যা সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছেন নেপালের সুপ্রিম কোর্ট। এপ্রিলের শেষদিকে এই রায় জারি করা হলেও এটির সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছে এই সপ্তাহে। 

শুক্রবার (১১ মে) দেশটির আইনজীবী দীপক বিক্রম মিশ্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, পাহাড়ের ‘ধারণক্ষমতা’কে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ও প্রতি বছর সর্বোচ্চ কতজনকে আরোহণের অনুমতি দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত।

বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের মধ্যে ৮টিই রয়েছে হিমালয়ের দেশ নেপালে। প্রতি বছরের বসন্তে বিশ্বের শত শত অভিযাত্রীকে এসব শৃঙ্গ আরোহণের জন্য স্বাগত জানায় নেপাল সরকার। বছরের এই সময়টাতে হিমালয়ের তাপমাত্রা তুলনামূলক উষ্ণ ও বাতাস শান্ত থাকে।

জানা গেছে, পর্বতারোহীর সংখ্যা কমানোর জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী দীপক বিক্রম মিশ্র। তিনি এএফপিকে বলেছেন, হিমালয়কে দীপক খুব বেশি চাপ দিচ্ছি ও এটিকে কিছুটা অবকাশ দেওয়া দরকার। আদালত নেপালের পাহাড় ও পরিবেশ সম্পর্কে জনসাধারণের উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আদালত পর্বতারোহীদের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি পর্বতাঞ্চলের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্যও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

দীপক মিশ্র আরও বলেন, আদালত জরুরি উদ্ধার অভিযানে হেলিকপ্টার ব্যবহারের উপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হেলিকপ্টারগুলো পর্বতারোহীর দলগুলোকে বেস ক্যাম্পে ও বিপজ্জনক জায়গায় আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।

নেপাল বর্তমানে যেসব আরোহী ১১ হাজার মার্কিন ডলার দিতে পারেন তাদের সবাইকেই এভারেস্টে আরোহণ করার অনুমতি দেয়। গত বছর দেশটি এভারেস্টের জন্য ৪৭৮টি অনুমতি দিয়েছিল, যা রেকর্ড পরিমাণ। এ বছর এখন পর্যন্ত ৯৪৫ জন পর্বতারোহীকে অনুমতি দিয়েছে নেপাল, যার মধ্যে ৪০৩ জন অভিযানে রয়েছেন।


এভারেস্টে   নেপাল   সুপ্রিম কোর্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিজেপি ছাড়া কেউ সরকার গড়তে পারবে না: মোদি

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কংগ্রেস এবং তৃণমূলকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে মোদী বলেছেন,  বিজেপি ছাড়া কেউ দেশে সরকার গড়তে পারবে না।

কংগ্রেসের যে শাহজাদা আছেন, তার বয়সের চেয়ে কম আসন পাবে কংগ্রেস। আর তৃণমূলের তো প্রধান বিরোধী দল হওয়ারও ক্ষমতা নেই, রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে এমন মন্তব্য করেন মোদী।

রবিবার (১২ মে) হুগলির সভায় মাদারস ডে উপলক্ষ্যে মোদি বলেন, 'পশ্চিমের দুনিয়া আজকের দিনে মাদারস ডে পালন করে। আমাদের কাছে ৩৬৫ দিনই মায়ের পুজোর দিন।'  

হুগলির সভায় মোদী সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বলেন, 'সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে, সারা দেশ দেখছে। সব রকম চেষ্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, কোনও অত্যাচারী বাঁচবে না।'

তৃণমূলের দুর্নীতিকে কটাক্ষ করে বলেন, ' বাংলার যুবদের ভবিষ্যৎ বেচে দিয়েছে। মা-বাবাদের স্বপ্ন বেচে দিয়েছে। এই সরকারে মন্ত্রীরা জেল খাটছেন। বাড়ি থেকে নোটের পাহাড় বেরোচ্ছে। আপনারা সাজা দেবেন না ওদের?'

আরও বলেন, 'রামমন্দির তৈরি হয়েছে বলেও তৃণমূল রেগে গিয়েছে। রামমন্দির তৈরি হয়েছে বলে ওদের ঘুম উড়ে গিয়েছে। যা খুশি তাই বলছে। পাঁচশো বছর ধরে এই মন্দিরের জন্য আমাদের পূর্বজেরা সংঘর্ষ করেছেন। ওঁদের ত্যাগকে অপমান করবেন না। ভগবান রামকে বর্জন- এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়। মা মাটি মানুষের পার্টি ভোটব্যাঙ্কের জন্য বাংলার অপমান করছে।'

এছাড়াও, বাংলায় ৪০০ আসন পাওয়ার আশা করছেন নরেন্দ্র মোদী।

রবিবার রাজ্যে পর পর চারটি সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রথমে তিনি গিয়েছিলেন ভাটপাড়ায়, অর্জুন সিংহের গড়ে। সেখানে প্রচার সেরে মোদী চলে গিয়েছেন হুগলির চুঁচুড়ায়। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচার করছেন তিনি।


বিজেপি   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিকি হ্যালিকে ‘রানিং মেট’ ভাবছেন না ট্রাম্প

প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে নিকি হ্যালিকে রানিং মেট হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। কিন্তু রিপাকলিকান দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিকি হ্যালিকে রানিং মেট হিসেবে বিবেচনা করছেন না বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শনিবার (১১ মে) এমন কথা বললেন। নিউজ সাইট অ্যাক্সিয়সের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

ট্রাম্পের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, নিকি হ্যালিকে ভিপি পদে বিবেচনা করা হচ্ছে না। 

এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজনের বরাত দিয়ে অ্যাক্সিয়স নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পকে জিতাতে নিকি হ্যালিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করলে তিনি এ পদে বিবেচিত হতে পারেন। এছাড়া ট্রাম্পের কারাদণ্ড এড়াতে তিনি যদি অর্থ সহযোগিতা করেন তাহলে ট্রাম্প তাকে এ পদে বিবেচনা করতে পারেন। 

নিকি হ্যালি দক্ষিণ ক্যারোলিনার সাবেক গভর্নর এবং জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত মার্চে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী পদে ট্রাম্পের কাছে হেরে যান। 

এদিকে ট্রাম্পের এমন মন্তব্য নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি তিনি। তবে তিনি স্বীকার করেছেন তার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়াকে ট্রাম্প সব সময়ই ছোট করে দেখেছেন। 


নিকি হ্যালি   ডোনাল্ড ট্রাম্প   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন