নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৬ পিএম, ০৯ এপ্রিল, ২০১৯
এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে মানিকজোড় হিসেবে খ্যাত ‘আনিস-বাবলু’র খোঁজ নেই জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টির ঘরের লড়াই তুঙ্গে থাকলেও নিরাপদ দূরত্বে আছেন সেই আনিস-বাবলু। তারা দুজনই চট্টগ্রামের অধিবাসী। রাজনীতিতে একসাথে পথ চলতে অভ্যস্ত থাকলেও জাপার চড়াই-উৎরাইতে দু’জন একসাথেই ছিলেন। আওয়ামী লীগের গত মেয়াদের মন্ত্রিসভায় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রথমে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর জিয়াউদ্দিন বাবলু কিছুদিন জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে সাংগঠনিক ব্যর্থতার অজুহাতে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে বহাল আছেন।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে রওশন-কাদের ইস্যু নিয়ে জাপায় যে টানাপোড়েন চলছে তাতে আনিস-বাবলু নিরাপদ দূরত্বে আছেন। একসময় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এরশাদের খুব প্রিয়ভাজন থাকলেও ওয়ান ইলেভেন প্রেক্ষাপটে জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ায় এরশাদের সাথে তাঁর সর্ম্পকের অবনতি ঘটে। সর্বশেষ আওয়ামী লীগের গত মেয়াদে মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভায় গেলে তাতে অসন্তুষ্ট হন এরশাদ। আর এদিকে, এরশাদের স্নেহের জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আওয়ামী ঘরানার খ্যাতি পাওয়ায় দলের নেতাকর্মীরা তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখতে থাকে। সরকারের সাথে অত্যধিক মাত্রায় মাখামাখিতে এরশাদও বেশ অসন্তুষ্ট হন। এসব কারণে জাপার রাজনীতি থেকে ক্রমান্বয়ে ছিটকে পড়েন আলোচিত জুটি আনিস-বাবলু।
জাপার একাধিক সূত্র জানায়, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এরশাদের ভাগ্নি জামাই হওয়ার সুবাদে পারিবারিক কারণেই জাপার রাজনীতিতে চুপসে গেছেন। তাদের মতে, জিয়াউদ্দিন বাবলু জাপার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করলে পারিবারিক অশান্তির সূত্রপাত ঘটতে পারে। সে বিবেচনা থেকেই আপাতত জাপার রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ডাকসুর সাবেক এ জিএস। তবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জাপাতে এরশাদের অযাচিত হস্তক্ষেপ এর কারণে বিরক্ত হয়ে দলীয় রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তবে জাতীয় সংসদে এলাকার জন্য কম বেশি ভূমিকা রাখছেন সাবেক এই মন্ত্রী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আনিস-বাবলু জুটি যে কোন সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে ফিরতে পারেন। তাঁরা দুজনেই স্ব-উদ্যোগে যোগাযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের সাথে। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সবুজ সংকেত পেলেই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন ক্ষমতাসীন দলটিতে। তবে এ খবরের সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য। তাদের মতে, এরশাদের ঘনিষ্ঠ দুজনই। সারের (এরশাদ) শেষ বয়সে তারা জাপা ছেড়ে অন্য কোথাও যাবেন না । একাধিক সূত্র জানায়, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বর্তমানে নিজ ব্যবসা বাণিজ্য এবং এলাকার রাজনীতি নিয়ে বেশি সময় পার করছেন। অন্যদিকে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুও ইউনিয়ন ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে বেশ সময় দিচ্ছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।