নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০১৯
শ্রীলঙ্কায় সিরিজ হামলায় নিহত হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান। তার বয়স হয়েছিল মাত্র আট বছর। সাংসদ শেখ সেলিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই। সে হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও নাতি ছিল জায়ান।
জায়ানের সঙ্গে পারিবারিক নানা অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন সময় দেখা হতো প্রধানমন্ত্রীর। তাকে দাদু বলে ডাকতো শিশু জায়ান। আদুরে জায়ান প্রধানমন্ত্রীকে দেখলেই জড়িয়ে ধরতো। জায়ানের যে গুনে প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে মুগ্ধ হতেন, শিশু জায়ান অদ্ভূত সুমধুর কন্ঠে কোরয়ান তেলওয়াত করতো। জায়ানের পরিবার জায়ানের এই গুনে মুগ্ধ ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলেও তিনি শিশু জায়ানের কাছ থেকে সুরা শুনতে চাইতেন। অনেক সময় জায়ানই বলতো, আমি তো ওযু করে আসিনি। সে দৌড়ে ওযু করে আসতো। সেসব স্মৃতি এখনো দগদগে প্রধানমন্ত্রীর মনে। জায়ানের মামা আন্দালিভ রহমান পার্থও বলেছেন এই গুনের কথা।
খুবই চঞ্চল প্রকৃতির ছিলেন জায়ান। সারাক্ষন বাড়ি মাতিয়ে রাখতেন। পড়াশুনা শেষে ব্যাট বল দিয়ে নেমে যেতেন। বাড়ির সামনে ক্রিকেট খেলতো জায়ান।
মায়াবী এই শিশুটির মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী চোখের পানি আটকে রাখতে পারেননি। তিনি বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে ব্রুনেই রয়েছেন। শ্রীলঙ্কায় সিরিজ হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি জানান, তার পরিবারের সদস্যরাও এই ঘটনায় আক্রান্ত। শুরুতে শিশু জায়ান নিখোঁজ ছিল। কিন্তু পড়ে জানা যায় যে তার মৃত্যু হয়েছে। এই খবরটি শোনার পরই প্রধানমন্ত্রী বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন বলেও জানা যায়।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার শ্রীলঙ্কার প্রধান প্রধান গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। শেখ সেলিমের মেয়ে, জামাতা ও তাদের দুই বাচ্চা শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সকালে যখন হামলা চালানো হয় তখন শেখ সেলিমের জামাতা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স ও নাতি জায়ান একটি হোটেলে নাস্তা করছিল। হামলার পর মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্সকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু শিশু জায়ানের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে হসপিটালে তাকে মৃত পাওয়া যায়।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন