ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে স্পটলাইট: আলো ছড়াতে পারেন ইমাম-বাবর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯


Thumbnail

আগামী ৩০ মে থেকে ইংল্যান্ডের শুরু হবে ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর বিশ্বকাপ। রণকৌশল ঠিক করার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের শক্তিমত্তা পরখ করে নিচ্ছে অংশগ্রহণকারী দশটি দল। একই সঙ্গে চলছে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ইনসাইডার-এর বিশেষ আয়োজন, বিশ্বকাপে, বিশ্ব কাঁপে…। কাউন্ট ডাউন স্টোরিতে এবার থাকছে বিশ্বকাপের বিশাল মঞ্চে কোন কোন তারকা ক্রিকেটার থাকবেন স্পটলাইটে। এবার থাকছে ১৯৯২ সালে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। আজ থাকছেন পাকিস্তানের দু’ব্যাটসম্যান ইমাম উল হক ও বাবর আজম।

বড় মঞ্চে মহাতারকা হতে পারেন বাবর আজম: বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান বাবর আজম। তিনি ২০১২ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচালা শুরু হয় তাঁর। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে রান করে চলেছেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ভারতের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে নিজের আর্দশ মানেন বাবর। নিজের আইডলকে পেছনে ফেলে একটি রেকর্ডও গড়েছেন পাকিস্তানি এই ক্রিকেটাররা। টি-টোয়েন্টি মাত্র ২৭ ম্যাচে হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন কোহলি। ভারতের অধিনায়ককে টপকে গেছেন বাবর। ২৫ ম্যাচে হাজার রানের নতুন রেকর্ড গড়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

এছাড়া গত বছর অক্টোবরে নতুন আরো একটি রেকর্ড গড়ে টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে পঞ্চাশের উপর গড়ে (কমপক্ষে ২০ ইনিংস) রান করা একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি। দেশের হয়ে ২৯ টি-টোয়েন্টিতে বাবরের গড় ৫৩.৭৩।

ওয়ানডেতে অন্যরকম এক রেকর্ড আচে বাবর আজমের। ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ারে প্রথম তিন সেঞ্চুরি করেন টানা তিন ইনিংসে। জহির আব্বাস ও সাঈদ আনোয়ারের পর পাকিস্তান তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা তিন ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছেন বাবর। এছাড়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সবচেয়ে বেশি রানের (৩৬০) রেকর্ড তাঁর দখলে। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি ককের (৩৪২)।

পাকিস্তানের হয়ে এপর্যন্ত ৫৭ ইনিংসে ৮ সেঞ্চুরি ও ১০ হাফসেঞ্চুরিতে বাবর রান করেছেন ২ হাজার ৪৬২। ধারাবাহিতার প্রতীক হওয়া ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বিশ্বকাপের মঞ্চে তারকা থেকে হতে চান মহাতারকা।

ইমাম উল হক, নিজ প্রতিভায় মুগ্ধ করতে চান বিশ্বকে: পাকিস্তানের ৯২’র বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন ইনজামাম উল হক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। তাঁরই ভাতিজা ইমাম উল হক। কিন্তু চাচা নয় নিজ প্রতিভার গুনে খেলে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।

চাচা পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক। ইমাম দলে ডাক পেলে শুরু হয় সমালোচনা। অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করে সেই সমালোচনা জবাব নেন বাঁহাতি এই ওপেনার। বিশ্বের ১৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। আর পাকিস্তানের দ্বিতীয়। এর আগে ১৯৯৫ সালে ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন সেলিম ইলাহি।

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের নজর কাড়নে তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ব্যাট হাতে শাসন করেছেন বোলারদের। আর ২০১৭ সালৈ বাংলাদেশ অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২৩ ইমার্জিং কাপে হাঁকিয়েছেন দুটি সেঞ্চুরি।

২৪ ওয়ানডেতে ৫ করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি আছে ইমামের। ৫২.৪১ গড়ে ওয়ানডেতে তাঁর মোট রান ১ হাজার ১৫৩। আসন্ন বিশ্বকাপের নিজের প্রতিভায় বিশ্বকে মুগ্ধ করতে চান বাঁহাতি এই ওপেনার।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপ: কার হাতে উঠবে এবারের শিরোপা?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন। এর পরেই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সেই মহাযুদ্ধ। যেখানে হাতের কব্জির জোর যার বেশি লড়াইয়ের আধিপত্যটাও তারই দখলে।

আসন্ন জুন মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। ক্রিকেট পাড়ায় বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট কে ঘিরে ইতোমধ্যেই একটা সাজ সাজ রব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যান্য বারের তুলনায় দলের সংখ্যা ও সমীকরণ ভিন্ন হওয়ায় এবারের আসনটা বেশ জাঁকজমক হবে বলেই ধারণা করছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা।

তবে টুর্নামেন্টটি এখনও শুরু না হলেও টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালিস্ট-ফাইনালিস্ট কারা হবে অথবা কার হাতে উঠতে পারে এবারের শিরোপা, এ নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাধারণ ভক্ত- সকলেই যেন দল ও তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স অনুযায়ী নিজেদের প্রেডিকশন সাজিয়ে ফেলেছেন। 

এই যেমন উসেইন বোল্ট। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের অন্যতম সেরা এই দৌড়বিদের মতে, এবারের বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখন পর্যন্ত দুইবার শিরোপা জিতেছে উইন্ডিজরা। তবে এখন আর টি-২০তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই দাপটটা আর নেই। তবুও আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই ফেবারিট মানছেন বোল্ট। 

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধনের সময় বোল্ট বলেন, 'আমি সব সময়ই আমার ঘরের দলের পক্ষে। আমাদের বড় হিটার আছে কয়েকজন। যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তাহলে অবশ্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজ (জিতবে)।’

এছাড়া কুড়ি ওভারের বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর আগেই বিশ্বকাপের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন বাছাই করেছেন উইন্ডিজের কিংবদন্তি কার্টলি অ্যামব্রোস। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, ছেলেরা ধারাবাহিক ও স্মার্ট ক্রিকেট খেলা শুরু করলে আমরা ট্রফি জিততে পারব। এটা (বিশ্বকাপ জেতা) সহজ হবে না। তবে আমরা দুই দেশের মধ্যে একটি, যারা দুইবার শিরোপাটি জিতেছি। তাই আমরা এটাকে তিন বানানোর চেষ্টা করব। আর ঘরের মাঠে কোনো দল এই শিরোপা জিততে পারেনি। তাই ছেলেদের ভালো করার জন্য এসব অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং আশা করি, তারা পারবে।’

তবে পাকিস্তানি কিংবদন্তি হাফিজের গলায় ভিন্ন সুর। তিনি বলেন, আমার মন বলছে পাকিস্তানকে এক নম্বরে (সেমিফাইনালের জন্য) রাখতে। যদি আমি খেলার কৌশল ও ফরমেশন নিয়ে চিন্তা করি, তবে ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজে তুলনামূলক ভালো খেলবে। স্বাগতিক ক্যারিবীয়রাও ভালো করবে, পাশাপাশি সমান পারফর্ম করতে পারে ইংল্যান্ড।’

বাবর আজমদের দুর্বলতা নিয়ে এই সাবেক অলরাউন্ডার বলেন, বিশ্বকাপে ভালো করার মতো সঠিক ফরমেশন এবং মাইন্ডসেট নেই তাদের। কারণ, দলে কার ভূমিকা কি সেটাও অনির্ধারিত, যার ফলে দলের কোনো নিয়ন্ত্রণও নেই।

‘এ ছাড়া ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২-২ ফল, মোটেও পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলছে না। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, পাকিস্তান তাদের পুরো শক্তি নিয়ে খেলেছে। দুর্ভাগ্যবশত সমর্থক হিসেবে আমরা যে ফল প্রত্যাশা করেছি, সেটি আসেনি।’

বাবরদের পিছিয়ে থাকার যুক্তি দেখালেও ঠিকই তারা সেমিফাইনালে খেলবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী দেন হাফিজ। এ ছাড়া তার দৃষ্টিতে সেমিতে খেলতে যাওয়া বাকি তিন দল হচ্ছে- ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড।

তবে ক্রিকেট বোদ্ধাদের এমন আগাম ভবিষ্যৎবাণী অথবা বার্তার তারপর আসলেই কে হচ্ছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের চ্যাম্পিয়ন তা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন মানিয়ে নিয়ে সেখানকার মাটিতে নিশ্চিতভাবেই এশিয়ার থেকে ইউরোপের দলগুলো ভালো করবে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাড়তি সুযোগ পাবে ভারত-পাকিস্তান সহ বেশ কিছু দল। তাই এবার দেখার পালা আসলেই কারা হচ্ছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট, ফাইনালিস্ট এবং চ্যাম্পিয়ন।


টি-২০ বিশ্বকাপ   শিরোপা   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মাঠে গড়ানোর পূর্বেই বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশ: ০৬:৫১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে দল ঘোষণার পর অন্যান্য দলের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। কারণ দেশটির মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি বলেই মনে করছেন টাইগাররা।

তবে সিরিজের ম্যাচগুলো মাঠে গড়ানোর আগেই দেখা দিয়েছে শঙ্কা। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সিরিজের ভেন্যু প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স মাঠের বেশিরভাগ স্থাপনাই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে শঙ্কার মুখে পড়েছে আসন্ন এই সিরিজ।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পিটার ডেলা পেনা এক টুইট বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ ২১ মে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ঝড়ের কারণে হিউস্টন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে অস্থায়ীভাবে যেসব স্থাপনা বসানো হয়েছিল, তা–ও ধ্বংস হয়ে গেছে।’

আগামী ২১ মে থেকে ‍যুক্তরাষ্ট্রের ওই ভেন্যুতে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের সিরিজ শুরুর সূচি নির্ধারিত। পরবর্তীতে ২৩ ও ২৫ মে হবে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ। তার আগে আজ (শনিবার) বাংলাদেশ দলের প্রথমবার অনুশীলন করার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেটিও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে, মূল সিরিজ ঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে কি না তৈরি হয়েছে সেই অনিশ্চয়তা!

এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ১.৪০ মিনিটের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই দলে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটার, ট্রাভেলিং রিজার্ভ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচিং স্টাফের সদস্যরাও ছিলেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৪টায় হিউস্টনের জর্জ বুশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল এয়ারপোর্টে পৌঁছায় টাইগাররা। এরপরই টেক্সাস শহরটিতে শুরু হয় বজ্রসহ লাগাতার বৃষ্টি। যার কারণে সেখানে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, হারিকেনের প্রভাবে হওয়া ঝড়ে হিউস্টনে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, বৃহস্পতিবার সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ মাইল। শুক্রবার পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল অন্তত ৯ লাখ বাসাবাড়ি। গোটা দিন অন্ধকারে ছিল ৬ লাখ আবাসন। এমনকি কিছু কিছু জায়গায় বন্যার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ চারের শেষ লড়াইয়ে মুখোমুখি চেন্নাই-ব্যাঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় শেষ মুহুর্তে এসে পৌঁছেছে আইপিএলের ১৭তম আসর। ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছে তিন দলের প্লে-অফ। বাকি শুধুমাত্র একটি। আর এই শেষ দল হিসেবে প্লে-অফে ওঠার লড়াইটা যেন বর্তমানে পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। যেখানে আজ শনিবার (১৮ মে) রাতে ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস এবং শিরোপা খরায় থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।

যে জিতবে শেষ চারে তারাই যাবে। এমন সমীকরণ মাথায় রেখে আজ মাঠে নামছে চেন্নাই-ব্যাঙ্গালুরু। ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়।

চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ব্যাঙ্গালুরু জয় পেলে গ্রুপ পর্ব শেষে চার দলের পয়েন্ট হবে সমান। লখনৌ সুপার জায়ান্টস, দিল্লি ক্যাপিটালস, চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুরুর পয়েন্ট হবে সমান ১৪ করে। তার মধ্যে লখনৌ ও দিল্লির নেট রান রেট চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুরুর থেকে কম। তাই এরই মধ্যে দিল্লি-লখনৌ আসর থেকে ছিটকে গেছে।

বাকি দুই দলের মধ্যে চেন্নাই কিছুটা এগিয়ে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই তাদের নামের পাশে আছে ১৪ পয়েন্ট। তাই ব্যাঙ্গালুরুকে হারাতে পারলে কোনো হিসেব ছাড়াই প্লে অফের টিকিট পাবে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল।

এছাড়া কোনো কারণে যদি খেলা মাঠে না গড়ায় বা পরিত্যাক্ত হয় তাহলেও প্লে অফ নিশ্চিত করবে চেন্নাই। এমনকি আজকের ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে হারলেও সুযোগ থাকবে চেন্নাইয়ের।

এদিন ব্যাঙ্গালুরু যদি আগে ব্যাটিং করে ২০০ রান করে তাহলে চেন্নাইকে অন্তত ১৮৩ রান করতে হবে। এমন হলে ১৮ রানের চেয়ে কম ব্যবধানে হারলেও প্লে অফে যাবে গায়কোয়াড়ের দল। আর চেন্নাই আগে ব্যাটিং করে যদি ২০০ রান করে। তাহলে ১৮ ওভার ১ বলের মধ্যে সেই রান তাড়া করে জিততে হবে ব্যাঙ্গালুরুকে। এর বেশি বল খেললে কোহলিরা ম্যাচ জিতলেও নেট রান রেটের ব্যবধানে প্লে অফে যাবে চেন্নাই।

তবে অঘোষিত ফাইনালে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে প্রকৃতি। ম্যাচের সময় বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা আছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের খবর বলছে—বিকালের পর থেকে ব্যাঙ্গালুরু ও তার আশে-পাশের এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ।

বৃষ্টিতে যদি ভেসে যায় এই ম্যাচ তাহলে আসর থেকে ছিটকে যাবে ব্যাঙ্গালুরু। অন্যদিকে প্লে অফ নিশ্চিত হবে চেন্নাইয়ের। কোহলিদের জন্য আবহাওয়া অফিসের খবর শঙ্কার বড় কারণ। তবে তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর হচ্ছে এই মাঠের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। পৃথিবীর অন্যতম সেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় এখানে। তাই বৃষ্টি থামলে খুব বেশি সময় লাগবে না মাঠ প্রস্তুত করতে।


চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসির বার্সাচুক্তির সেই ন্যাপকিন পেপারের মূল্য ১১ কোটি

প্রকাশ: ০৪:২০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যে ন্যাপকিন পেপারের মাধ্যমে বার্সার সাথে চুক্তি করেছিলেন আজকের ফুটবল বিশ্বের মহাতারকা লিও মেসি, সেই ন্যাপকিন পেপার অবশেষে নিলামে বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) ব্রিটিশ নিলাম হাউস বোনহামস-এর নিলামে পেপারটির বিক্রি হয়েছে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

জানা গেছে, বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল- এই লেখাটি ছিল সেই ন্যাপকিন পেপারে।

শুক্রবারের সেই নিলামে ন্যাপকিন পেপারের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩ লাখ ডলার। তবে ধারণা চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে এই নেপকিন পেপারটি। এটি নিলামে যে দামে বিক্রি হয়েছে, সেখান থেকে একটি অংশ অনলাইন নিলামের প্রশাসনিক ফি হিসেবে দিতে হবে—এটি ‘ক্রেতার প্রিমিয়াম’।

ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপার। বার্সার সঙ্গে মেসির প্রথম চুক্তিপত্র হিসেবে এই ন্যাপকিন পেপারকে বিবেচনা করা হয়। ১৩ বছর বয়সী মেসি এই ন্যাপকিন পেপারে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রায়ালের জন্য পরিবারের সঙ্গে বার্সেলোনায় যান মেসি। সঙ্গে ছিলেন দুই আর্জেন্টাইন প্রতিনিধি ফাবিয়ান সোলদিনি ও মার্তিন মনতেরো এবং গাজ্জোলি। ট্রায়ালে সবাইকে চমকে দেন মেসি। তাই চুক্তির আশা নিয়ে রোসারিওতে ফেরে তার পরিবার।

সেই সময়ের বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান গাসপার্ত অবশ্য হরমোনজনিত সমস্যায় ভোগা ১৩ বছর বয়সী একটি ছেলের সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছিলেন। তাকে রাজি করানোর জন্য বার্সেলোনার তখনকার টেকনিক্যাল সেক্রেটারি কার্লো রেক্সাসকে চাপ দেন গাজ্জোলি ও মিনগেলা। শেষ পর্যন্ত চুক্তির কথা লেখা হয়েছিল ওই ন্যাপকিন পেপারে।


লিও মেসি   বার্সালোনা   চুক্তি   ন্যাপকিন পেপার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শান্ত-লিটনকে নিয়ে হাথুরুর ভাবনা কি?

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ১৯তম দল হিসেবে ইতোমধ্যেই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপের পূর্বে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হিউস্টনে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আর এজন্যই গতকাল শুক্রবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

তবে যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দেওয়ার আগে বিসিবির বিশেষ আয়োজন ‘দ্য রেড অ্যান্ড গ্রিন স্টোরির’ দ্বিতীয় অংশে বিশ্বকাপ দলে থাকা বাংলাদেশ দলের ১৫ ক্রিকেটারকে নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন টাইগারদের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

অধিনায়ক নাজমুলকে নিয়ে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘শান্ত আমাদের নেতা। খুব ভালো নেতা, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে জানে। ড্রেসিংরুমে সে ছেলেদের সঙ্গে মেশে, মাঠে সে খুবই প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ।আমার মনে হয় প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে তার হাতে এবার বড় দায়িত্ব। আমি নিশ্চিত সে এই চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য প্রস্তুত।’

সাম্প্রতিক সময়ে অফফর্মে থাকা লিটনকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘লিটন আমাদের অন্যতম সেরা ব্যাটার। এই বিশ্বকাপে তার ব্যাটিং থেকে আমি বড় কিছু প্রত্যাশা করি। সে খুবই প্রতিভাবান অ্যাথলেট। অন্যতম সেরা ফিল্ডারও। যেকোনো পজিশনে ফিল্ডিং করতে পারে, স্লিপে, আউটফিল্ডে যেকোনো জায়গায়। খুবই শান্ত থাকে, খেলাটা খুব ভালো বুঝে। দলকে ট্যাকটিক্যালিও সহযোগিতা করে।’

স্কোয়াডে থাকা সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয় ও তানজিদ হাসান তামিমদের নিয়েও বেশ আশাবাদী হাথুরুসিংহে।


নাজমুল হোসেন শান্ত   বাংলাদেশ ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   হাথুরুসিংহে   লিটন দাস বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন