নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০১৯
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যখন স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন সেসময় তার প্রতিপক্ষ কেবল বিএনপি ছিল না। তার প্রতিপক্ষ কেবল স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী ছিল না। দলের মধ্যেও তার প্রতিপক্ষের সংখ্যা কম ছিল না। দলে তার বিরুদ্ধে যারা প্রবল প্রতিপক্ষ হিসেবে গড়ে উঠেছিল, যারা শেখ হাসিনাকে বশে আনার চেষ্টা করেছিল, তারাই এখন রাজনীতিতে বশীভূত। রাজনীতি থেকে পরিত্যাক্ত। কিংবা রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছে। কিংবা আওয়ামী লীগের মূল ধারার রাজনীতি থেকে বিক্ষিপ্ত হয়েছে। তারা শেখ হাসিনার জীবনকে বিষিয়ে তুলেছিল। তার রাজনৈতিক জীবনকে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। শেখ হাসিনা রাজনীতিতে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারবেন কিনা, এরকম সংশয়ও তৈরি করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা তার অমিত সাহস, রাজনৈতিক দৃঢ়তা এবং তার ধৈর্য দিয়ে দলের ভেতর যারা তার প্রতিপক্ষ ছিল তাদের তিনি প্রতিহত করেছেন।
রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করা যতটা কঠিন তার চেয়ে কঠিন হলো দেলের ভেতরের প্রতিপক্ষকে প্রতিহত করা। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে ঘরে বাইরে যুদ্ধ করতে হয়েছে। ঘরে যাদের সাথে তিনি যুদ্ধ করেছেন তাদের কয়েকজনকে নিয়েই আমাদের এই প্রতিবেদন-
ড. কামাল হোসেন: আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যখন স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন, তখন ড. কামাল হোসেন চেয়েছিলেন যে শেখ হাসিনা একজন পুতুল হিসেবে থাকবেন আর তিনিই দল পরিচালনা করবেন। দল পরিচালনায় তার কর্তৃত্বই সম্পুর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি দল পরিচালনা করবেন এবং দল পরিচালনায় তাঁর কর্তৃত্বই সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ড. কামাল হোসেন এটাও চেয়েছিলেন যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি তাঁর কথামতো তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন, রাজনীতিতে ১৯৮১ সালের ১৭ই মে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি আস্তে আস্তে তৃণমূলের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে দলের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব গ্রহণ করতে থাকেন। তখন তাঁর সংগে প্রথম যার বিরোধ তৈরি হয় তিনি হলেন ড. কামাল হোসেন। যদিও ১৯৮১ সালের ১৫ই নভেম্বর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. কামাল হোসেনকেই প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। অস্থায়ী বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং পরাজিত হয়েছিলেন। ড. কামাল হোসেন যে তৃণমূলের আওয়ামী লীগের কর্মীদের মনের ভাষা বুঝেন না সেটা বুঝতে সময় লাগেনি। আস্তে আস্তে কামাল হোসেনের সংগে বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর মতবিরোধ গড়ে ওঠে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ড. কামাল হোসেন যেহেতু জনগণের সংগে মিশতেন না, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক ছিল না এবং সাধারণ নেতাকর্মীদের প্রতি তাঁদের বিশ্বাস এবং আস্থা ছিল না। সেজন্যই তাঁরা একরকম জনবিচ্ছিন্ন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যই শেখ হাসিনার সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধ তৈরি হয়। এই বিরোধের জের হিসেবে ১৯৯১ সালে নির্বাচনের পর ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ থেকে সরে যান।
আব্দুর রাজ্জাক: আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর জীবন যারা বিষিয়ে তুলেছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগে বামঘেষা হিসেবে ছিলেন। ড. কামাল হোসেন যেমন ছিলেন অতি ডান, আবদুল রাজ্জাক ছিলেন তেমনি অতি বাম। আওয়ামী লীগ যখন তার অর্থনৈতিক নীতি এবং কৌশল পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি থেকে মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রক্রিয়াগুলো শুরু করে তখন আব্দুর রাজ্জাক তার বিরোধীতা করেছিলেন। এই বিরোধিতার জের হিসেবে ১৯৮৩ সালে আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ ছেড়ে বাকশালও গঠন করেন। সেই সময় তিনি আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা তার নেতৃত্বের দৃঢ়তা এবং তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কাছে আব্দুর রাজ্জাক পরাজিত হন। আব্দুর রাজ্জাককে বাকশাল থেকে আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসতে হয়। আমৃত্যু তিনি তিনি আওয়ামী লীগেরই সদস্য ছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ: আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর যখন স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর শেখ হাসিনার অন্য যে কয়েকজন নেতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেও তোফায়েল আহমেদ। তিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরাধিকার মনে করতেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন তিনি। সেহেতু বঙ্গবন্ধুর গড়া আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ব তার হাতেই থাকা উচিত বলে মনে করতেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মনে করতেন, পচাত্তরের পনেরো আগস্টে যাদের ব্যার্থতা রয়েছে। যারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারেনি তাদের মধ্যে অন্যতম তোফায়েল আহমেদ। এই বিশ্বাস অবিশ্বাসের দ্বৈরথ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন জুড়েই ছিল। তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে শুধু রাজনৈতিক অবিশ্বাস তা নয়, রাজনৈতিক আলোচনাগুলোতেও তারা একে অন্যের প্রতিপক্ষ ছিল। ২০০৮ সাল পর্যন্ত তোফায়েল আহমেদকে আওয়ামী লীগের সভাপতির অন্যতম প্রতিপক্ষ মনে করা হতো। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের সংস্কারপন্থী এই নেতা পরবর্তীতে দলের কর্তৃত্ব হারান এবং শেখ হাসিনার দলের একক কর্তৃত্বই দলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এরকম আরো অনেক নেতাই আছেন, যারা আওয়ামী লীগ সভাপতির পথের কাটা হয়েছিলেন। যারা বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতির কাজকর্মে। আজ কেউ কেউ দলে আছেন, কেউ কেউ দলে নেই। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আগে এই প্রশ্ন রাজনৈতিক অঙ্গনে আসতেই পারে, শেখ হাসিনা কি তাদের ক্ষমা করেছেন? শেখ হাসিনা কি তাদের ভালোবেসেছেন?
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
আজিজ আহমেদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
কিছুদিন আগেও বিএনপি যুক্তরাষ্ট্র বলতে অন্ধ থাকত। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে ফোন আসলে বিএনপির নেতারা নাওয়া খাওয়া ভুলে ছুটে যেতেন। এমনকি কোনদিন সকালে মার্কিন দূতাবাসে প্রাতরাশ, রাতে নৈশভোজেও দেখা গেছে বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তারা অবতার হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রই বাংলাদেশে গণতন্ত্র এনে দেবে, যুক্তরাষ্ট্রই এই সরকারের পতন ঘটাবে এমন একটা স্থির বিশ্বাস ছিল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সেই মোহভঙ্গ ঘটেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনাগ্রহী বিএনপি। এটা যেন অনেকটা আঙুল ফল টকের মতো ঘটনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।