নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০১৯
আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা ৩৭ বছর পূর্ণ করে ৩৮ বছরে পা রাখছেন। ১৯৮১ সালে ১৭ মে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে এক ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ পরিবেশে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। হাল ধরেছিলেন এক বিধ্বস্ত রাজনৈতিক দলের। সেখান থেকে আজ আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। টানা দশ বছর ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের যারা চরম সমালোচক, তারা স্বীকার করেন, শেখ হাসিনার একক কারিশমার কারণেই আওয়ামী লীগের এই অর্জন। শেখ হাসিনার একক রাজনৈতিক কৌশলের কাছেই পরাজিত বিরোধী দল। শেখ হাসিনার বিচক্ষণতার কারণেই আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে। রাজনীতিতে এখন শেখ হাসিনার প্রতিপক্ষ বলতে কিছুই নেই। দলে এবং দেশে তার নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব। এমনকি প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক দলও শেখ হাসিনাকে দেশের প্রধান নেতা হিসেবেই মানেন। এই বাস্তবতায় পুরো জাতি শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। শেখ হাসিনার এই যে উথান, তার রাজনৈতিক বিকাশ, রাজনীতিতে নিজেকে সংহত করা, এর জন্য কি করো অবদান আছে? আজকের রাষ্ট্রনায়ক যিনি একাধারে বিশ্বনেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তার এই উত্থানের পেছনে কাদের অবদান রয়েছে? এটা কি শুধুই শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুন আর দুরদর্শিতা? নাকি তার এই উত্থানের পেছনে আর কারো অবদান রয়েছে?
শেখ হাসিনা নিজেই বলেন, তার রাজনীতিতে এই সফলতা বা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরনের জন্য যে তিনি সুযোগ পেয়েছেন এটা সম্ভব হয়েছে কিছু মানুষের জন্য। এবং সেই মানুষগুলো কারা? আসুন জেনে নেওয়া যাক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির অনুপ্রেরণার সবচেয়ে বড় উৎস। শেখ হাসিনা কোন রাখডাক রেখেই বলেন, তিনি কিছু নন। তিনি শুধুমাত্র জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করছেন। জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেই অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণই তার একমাত্র লক্ষ্য। সে লক্ষেই তিনি কাজ করছেন। সেজন্য শেখ হাসিনার রাজনৈতিক, আত্মসামাজিকসহ সমস্ত কর্মসূচী জাতির পিতাকে অনুসরণ করেই। জাতির পিতা যা যা করতে চেয়েছিলেন, এক যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশকে তিনি যেভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, সেইভাবেই এগিয়ে নিতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি নতুন কিছুই সংযোজন করতে চান না। অবশ্যই তার রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বেশি অবদান জাতির পিতার।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা: শেখ হাসিনা তার রাজনীতির বিভিন্ন বাঁকে বারবার স্বরণ করেছেন তার মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে। তিনি সবসময় বলেছেন, তার মায়ের ধৈর্য্য, প্রতিকূলতায় বিচক্ষণতা এবং বিপদে খেই হারিয়ে না ফেলে সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার শিক্ষা তিনি তার মায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনে দেখি মায়ের মতো মেয়েও সাহসী এবং ততটাই ধৈর্য্যশীল। এমন রাজনৈতিক শিক্ষা তিনি তার পরিবার থেকেই পেয়েছেন। পরিণত, বিচক্ষণ এবং বিশ্ব নেতৃত্বে জায়গা করে নেওয়া শেখ হাসিনার আজকের অবস্থানের পেছনে অবশ্যই তাঁর মা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের অবদান রয়েছে। শেখ হাসিনার আজকের অবস্থানের জন্য অবশ্যই তিনি তাঁর কাছে ঋণী থাকবেন।
শেখ রেহানা: শেখ হাসিনা তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতায় অকপটে স্বীকার করেছেন যে তিনি রাজনীতি করতে পারতেন না এবং রাজনীতিতে তিনি সফল হতে পারতেন না যদি তাঁর বোন তাঁর পাশে না থাকত। তাঁর বোন একাধারে তাঁর পরামর্শদাতা, তাঁর সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু এবং তাঁর সবচেয়ে বড় সাহসের আশ্রয়, সবচেয়ে বড় স্বান্তনার আশ্রয়। শেখ হাসিনা একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যখন তিনি মুষড়ে পড়েন, যখন তাঁর মনে হয় যে তখন শেখ রেহানাই তাঁকে সাহস দেন, স্বান্তনা দেন। বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনের সময় শেখ রেহানা প্রমাণ করেছেন যে, তিনি শেখ হাসিনার জন্য কতটা প্রয়োজনীয়, কতটা জরুরী এবং শেখ হাসিনা তাঁর উপর কতটা নির্ভর। আজকে শেখ হাসিনা যে আজকের এই অবস্থায় তাতে শেখ রেহেনার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল: শেখ হাসিনার আজকের অবদানের পেছনে তাঁর দুই সন্তানের অবদানও অনস্বীকার্য। কারণ শেখ হাসিনা যখন ৮১ সালে রাজনীতিতে এসেছিলেন তখন তাঁর দুই সন্তানকে সুশিক্ষা দেয়ার জন্য ভারতের দেরাদুনে বোর্ডিং স্কুলে রেখে পড়াশোনা করাতে হয়েছিল। ওই দুই সন্তান মায়ের ভালোবাসা, মায়ের আদর না পেয়ে বড় হয়েছে। কিশোর বয়সে মাতৃস্নেহ বঞ্চিতদের মানসিক অবস্থা কি হতে পারে সেটা বুঝার জন্য কোনো বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার হয় না। কিন্তু এই দুটি সন্তানই দেশের জন্য উৎসর্গকৃত প্রাণ। তাঁর মায়ের দেশপ্রেম এবং দেশের জন্য তাঁর মায়ের জীবন উতসর্গ করাকে তাঁরা মেনে নিয়েছে এবং মাকে সাহস জুগিয়েছে, নিজেদের কষ্ট চেপে রেখেছে। শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক জীবনের এত ব্যস্ততায় তাঁর দুই সন্তানের প্রতি নজর দিতে পেরেছেন খুবই কম। তারপরও তাঁরা মায়ের যে নির্দেশনা, মায়ের যে আকাঙ্ক্ষা সেই আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী তাঁরা যোগ্য সন্তান হিসেবে গড়ে উঠেছে।
আজকে বাংলাদেশের যে দুটি বড় অর্জন একটি হলো- তথ্য প্রযুক্তি খাতে অনন্য সাধারণ একটি জায়গায় যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ যে অটিজমের ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে সে দুটির ক্ষেত্রেই শেখ হাসিনার দুই সন্তানের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতিকে সুপরামর্শ দেন বলেই জানা যায়। কাজেই আজকে যে বিশ্ব নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার আবির্ভাব সেখানে অবশ্যই তাঁর দুই সন্তানের অবদান অনস্বীকার্য।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিকাশ ও রাজনৈতিক অমরত্বের পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান যেটা শেখ হাসিনাই সবসময় বলেন তৃণমূলের শক্তি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ভালোবাসা। তৃণমূলের সাহস এবং তৃণমূলের নিঃশর্ত সমর্থন এবং ভালোবাসা। যে ভালোবাসায় শেখ হাসিনা বারবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। যে ভালোবাসায় তিনি প্রতিপক্ষকে পর্যদুস্ত করেছেন। যে ভালোবাসায় তিনি পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশের এক অবিসংবাদিত নেতায়।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি রাজনীতির খবর মির্জা আব্বাস
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড লু বিএনপি আওয়ামী লীগ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুশীল সমাজ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এনবিআর কাস্টমস জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার দরকার নেই। সরকারেরও দরকার নেই। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিয়েছে, আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। সেদিনও দেখলাম পল্টন ময়দান থেকে একে একে দৌড়াতে দৌড়াতে অলিগলি কোথায় দিয়ে যে পালিয়েছে, কেউ চিন্তাও করেনি।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। যদি তারা আবারও জ্বালাও-পোড়াও করে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে পালিয়ে যাওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। ২০০৭ সালে আর রাজনীতি করব না এই মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের মূল নেতা পালিয়ে আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবরও বক্তব্য দিয়েছিল আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। শেষ পর্যন্ত দেখলাম দৌড়াতে দৌড়াতে তারা পালিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে এসে কেউ আবারও বিএনপিকে মদত দেবে সে পরিস্থিতি এখন বিশ্বে নেই। যারা দাপট দেখাতো তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথাই ইসরায়েল শুনে না।
এসময় ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের বিএনপি
মন্তব্য করুন
জামায়াতকে নিয়ে নতুন বিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে বিএনপি। স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিএনপির ভেতরে যেমন শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব অন্তঃকলহ তেমনই বিএনপি যাদের সঙ্গে নির্বাচন প্রতিরোধের আন্দোলন করেছিল তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতদ্বৈততা। বিএনপির নেতৃত্বের একটি বড় অংশ জামায়াতকে নিয়ে আবার প্রকাশ্য আন্দোলনের পক্ষে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভাতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং সেই বৈঠকে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য জোটের ব্যাপারে তাদের ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানিয়েছেন।
আগামীকাল দুদিনের সফরে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর এটি প্রথম সফর। নানা কারণেই এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর নিয়ে যেরকম উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ত, এখন সে রকম পরিস্থিতি নেই। ডোনাল্ড লু এর বাংলাদেশ সফর নিয়ে রাজনীতির মাঠে আলাপ আলোচনা আছে। তবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এর কেউই এই সফরকে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না।
আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার দরকার নেই। সরকারেরও দরকার নেই। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিয়েছে, আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। সেদিনও দেখলাম পল্টন ময়দান থেকে একে একে দৌড়াতে দৌড়াতে অলিগলি কোথায় দিয়ে যে পালিয়েছে, কেউ চিন্তাও করেনি।