ইনসাইড বাংলাদেশ

বেনাপোলে উচ্চ শুল্কহারে আমদানি হ্রাস, রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৪১ পিএম, ২৭ মে, ২০১৯


Thumbnail

বেনাপোলে বন্দরে উচ্চ শুল্কহারের পণ্য আমদানি ব্যাপকভাবে কমেছে । কিন্তু রাজস্ব আদায় সেই হারে কমেনি । গত বছর থেকে চাল ও স্টোন বোল্ডার ব্যাতিত পণ্যের আমদানি ৩১.৩৮ ভাগ কমলেও সামগ্রিক রাজস্ব কমেনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বেনাপোলের গত বছরের আদায়ের উপর এ বছর লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি হয়েছে ২৭ ভাগ । স্বাভাবিক আমদানি প্রবণতা বজায় থাকলে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৪.৩৮  ভাগ বেশি রাজস্ব আদায় হতো ।

গত অর্থবছরে মে মাসে ২০ তারিখ পর্যন্ত রাজস্ব আহরণ ৩৫৬৮.৩০ কোটি টাকা এবং বর্তমান অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ ৩৫৭৭.৫৪ কোটি টাকা । ব্রোকেন স্টোন ও বোল্ডার আমদানি বন্দরে সংরক্ষণ করতে গিয়ে উচ্চ শুল্কহারের পণ্য প্রবেশে বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। একই সময়ে ব্রোকেন স্টোন ও বোল্ডার ব্যতীত অন্যান্য শুল্কযুক্ত পণ্যের সামগ্রিক আমদানি হ্রাস ১৭.৪৯ ভাগ । একই সময়ে চাল ব্যতিত ২৫ ভাগ শুল্কহারের পণ্যের সামগ্রিক আমদানি হ্রাস ১২.২৮ ভাগ । ১০ ভাগ শুল্কহার যুক্ত পণ্যের আমদানি কমেছে ২০ ভাগ ।

স্টোন বোল্ডার ব্যতিত পণ্যে গত অর্থবছরের একই সময়ের স্বাভাবিক আমদানি প্রবণতা (৩১.৩৮ ভাগ) অব্যহত থাকলে শুল্কহার যুক্ত পণ্যে অতিরিক্ত রাজস্ব আহরিত হত প্রায় ১০৯৮ কোটি টাকা । আহরণযোগ্য রাজস্ব হতো ৪৬৬৭ কোটি টাকা এবং সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি ৩০.৮ ভাগ ।

শুণ্য শুল্কহারের পিয়াজ, তুলা, মসুর ডাল ইত্যাদি আমদানি পরিমানে বেড়েছে যথাক্রমে ২৫.৭৬%, ৪৩.৯৭%ও ১০০%। নিম্ন শুল্কহারের পণ্য স্পঞ্জ আয়রন, ফ্লাই অ্যাস ইত্যাদির আমদানি পরিমানে বেড়েছে যথাক্রমে ২০.৯২% ও ১০০%। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সিরামিক ও তৈরি পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল মেশিনারি ও ইকুইপমেন্ট, ল্যাকটোজেন, লোহা ও স্টিলের তৈরি পণ্য, রাবার টায়ার ও অটোপার্টস আমদানি হ্রাস পেয়েছে যথাক্রমে ৪৮.১৩%, ১৯.৯৭%, ৮.৫১%, ৩৫.৫৩%, ৭.১৭% এবং ২৩.৮৪% । বাণিজ্যিক পণ্যের উল্লিখিত খাত গুলোতে, আমদানিতে গত অর্থবছরের চেয়ে অন্তত ১৪৫.৪৮ কোটি টাকা কম রাজস্ব আহরিত হয়েছে। চেসিস আমদানিতে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৪.৩১ ভাগ ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে চলতি অর্থ বছরে আমদানি-রফতানি হ্রাস পাওয়ার পারিপার্শ্বিক কারন রয়েছে। ভারতের পেট্রোপোলে বিভিন্ন সংগঠনের ঘন ঘন বনধ ডাকা, ভারতের বিভিন্ন পার্কিং এ যানজট ও পণ্যবাহী ট্রাকের অপর্যাপ্ততা, বাংলাদেশ এবং ভারতীয় উভয় দিকে জাতীয় নির্বাচন আমদানি-রফতারি উপর প্রভাব ফেলেছে। স্থলবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি না পাওয়া, স্থান সংকট, বন্দরের উন্নয়ন আশানুরূপ না হওয়া, অপ্রতুল অবকাঠামো, পণ্য হ্যান্ডেলিং ইকুইপমেন্টের অভাব ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনা,সার্বিক প্রশাসন ও নিরাপত্তায় অব্যবস্থাপনার কারণে আমদানি কার্যক্রমে গতিহীনতা দৃশ্যমান।

সাপ্টার আওতায় রেয়াতী সুবিধায় ছাড়করণে শুল্ককরের উপর প্রভাব পড়েছে। আমদানি-রফতানি পণ্যবাহি ট্রাক পথিমধ্যে বিজিবি কর্তৃক হয়রানির শিকার ও অযথা পণ্যবাহি ট্রাক আটক করার ফলে আশংকাজনক হারে উচ্চ মূল্যের পণ্য আমদানি হ্রাস পেয়েছে। বেনাপোলে বিএসটিআই ও বিসিএসআইআর এর শাখা অফিস না থাকায় পণ্যের গুণগতমান নির্ধারণে বিলম্বিত হচ্ছে ফলে আমদানি-রফতানি ব্যাহত হচ্ছে। ভারতে বাজারজাত পণ্যেও উপর জি.এস.টি আরোপিত হওয়ায় আমদানি-রফতানির উপর প্রভাব পড়েছে।

ঝঅঝঊঈ এর আওতায় ঊীপযধহমব ড়ভ ফড়পঁসবহঃ দিতে হয় বলে আমদানিকারকগণ ঋধনৎরপং, গড়ঃড়ৎ ঢ়ধৎঃং, গধৎনষব ংষধন ইত্যাদি পণ্য এ দপ্তরের মাধ্যমে খালাস না করে অন্য বন্দর দিয়ে আমদানি করছে। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা বলেন, চলতি অর্থ বছরে কাস্টম কর্তৃপক্ষ আইন প্রয়োগে মনোজোগ দেয়ায় কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বেনাপোল বন্দরের পরিবর্তে অণ্য বন্দর দিয়ে মালামাল আমদানি করায় বেনাপোল বন্দরে কিছুটা রাজস্ব আদায় হ্রাস পেয়েছে। তবে আগামী জুন মাসের মধ্যে তা কাটিয়ে উঠবে বলে আশা করছেন কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ।

নিবিড় পর্যবেক্ষন ও মনিটরিং এর কারনে বেনাপোল কাস্টম হাউস চট্টগ্রাম ও মোংলা কাস্টম হাউজের তুলনায় প্রতি মেট্রিকটনে অধিক পরিমান রাজস্ব আদায় করেছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, পাথর ও বোল্ডারের মত  শুল্কহারের পণ্য আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে । এ বছর ভোমরা স্থল বন্দরে সকল পণ্য আমদানির সুবিধা দেয়া হয়েছে। ভোক্তা ও অংশীজন একই হওয়ায় ভোমরার রাজস্ব বৃদ্ধি পেলে বেনাপোলে কমবে। ব্যাপক সংস্কার ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বন্দরের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে ।  তেত্রিশ দিনের লীড টাইম কমে তিন ঘন্টা হয়েছে। বেনাপোল বিমুখ অনেক সংগঠিত আমদানিকারক সাম্প্রতিক সময়ে আবার বন্দর অভিমূখী হচ্ছে ।  শুল্কায়ন ও খালাস সহজিকরণ করায় বর্তমানে বন্দর দৈনিক একহাজার (১০০০) ট্রাক হ্যান্ডেলিং করার সক্ষমতা অর্জন করেছে । আমদানি কমা স্বত্ত্বেও নিবিড় মনিটরিং এবং যথাযথ মূল্যায়ন এবং পরীক্ষণের ফলে রাজস্ব আদায় তুলনামূলক বেড়েছে । অধিকন্তু যে পরিমান পণ্য বেনাপোল কাস্টম হাউসে আমদানি হয়েছে, সে তুলনায় পূর্বের রেকর্ড ও ঐতিহ্য অনুসারে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ


Thumbnail মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নুসরাত জাহান তনু

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মুক্তাগাছায় সবাইকে চমকে দিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ইসরাত জাহান তনু।   উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (স্বতন্ত্র) হিসেবে ফুটবল প্রতীক নিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়ালেও তিনি তার নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

জানা যায়, উপজেলার খামারের বাজার এলাকার কলাকান্দা গ্রামের মৃত-ডাঃ এএল এম গোলাম আরহামের বড় মেয়ে মোছা: জান্নাতুল আমান (তনু) অরফে ইসরাত জাহান। তনু বিয়ে করেছেন দুইটি। তবে দুইজনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে এখন তিনি তার বাবার বাড়িতেই এক মেয়ে সন্তান ও মাকে নিয়ে বসবাস করছেন।

 

ইসরাত জাহান তনু তার নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদ ও মামলার তথ্য গোপন করেছেন অভিযোগ তুলে,ইসরাত জাহানের প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন তনুর সাবেক স্বামী মোঃ খাইরুল ইসলাম মনির।

 

ইসরাত জাহান পেশায় একজন গৃহিনী হলেও নির্বাচনী হলফনামায় তিনি নিজেকে একজন ব্যবসায়ী দাবি করেছেন কিন্তু উপজেলায় তার নামে কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি।

 

নির্বাচনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর ইসরাত জাহান তনুর জমা দেওয়া মনোনয়নের হলফনামা সূত্রে জানা যায়, ইসরাত জাহান তনুর শিক্ষাগত যোগ্যতা এম.এস.এস পাশ। ব্যবসার সুবাদে তিনি বছরে দুই লাখ টাকা আয় করেন। বর্তমানে তার নগদ এগারো লাখ টাকা জমা রয়েছে। তবে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া কোন ধরনের জমি কিংবা কোনো ধরনের আবাদি কৃষি জমি নেই।

 

তবে হলফনামার সঙ্গে বাস্তবে তার কোনো মিল নেই। কারণ তথ্য গোপন করেছেন তিনি।  তনুর সম্পদ বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা যায়,তনুর বর্তমানে নগদ ও অন্যান্য সব কিছু মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালিক তিনি।

 

হলফনামায় কোনো কৃষি বা আবাদি জমি নাই উল্লেখ করলেও মুক্তাগাছা উপজেলা ভূমি অফিসে তনুর নিজের করা নাম খারিজ রিভিউ আবেদন বিশ্লেষণ করে জানা গেছে,উপজেলার শশা মৌজায় খারিজ নং-বি.এস-১৭৪১ এবং ৬০৪৩ নং দাগে দলিল মূল্যে প্রাপ্ত হয়ে ০.১৯৫০ একর জমি রয়েছে।

 

এছাড়া সূত্র বলছে, ঘাটাইল উপজেলায় শাহপুর মৌজায় জমি ১২ শতাংশ জমির উপর তনুর ৩ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে এবং কলাকান্দায় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২০ শতাংশ জমি রয়েছে তনুর। 

 

এছাড়াও তার নামে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (সি.আর মামলা নং- ৪১ /২০২৪) মমলা রয়েছে, যা তিনি হলফনামায় উল্লেখ না করে তথ্য গোপন করেছেন। তনুর হলফনামায় দেয়া অন্যান্য তথ্যের মধ্যেও গড়মিল পাওয়া গেছে। 

 

উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসরাত জাহান (তনু) এবং জান্নাতুল আমান (তনু) একই ব্যক্তি দাবি করে, তনুর সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলাম মনির বলেন, তনুর বাবা মৃত- ডাঃ এএল এম গোলাম আরহান তনুর জন্মের পর তার নাম রেখেছিলেন জান্নাতুল আমান (তনু), পরে জাতীয় পরিচয়পত্রে সে তার নাম পরিবর্তন করে হয়ে যান ইসরাত জাহান। আর জান্নাতুল আমান (তনু) নামটি সে জন্মনিবন্ধনে ব্যবহার করে থাকেন জমিজমা ক্রয়-বিক্রয় করার ক্ষেত্রে। আসলে দুইটি নাম একইজনের। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেই তনু এই পথ বেছে নিয়েছেন। তার প্রতারণার শিকার আমিও হয়েছি। তার মত মানুষ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে,তার দ্বারা মানুষ প্রতারিত হবেন। যেকারণে আমি তার প্রার্থীতা বাতিল চাইছি। প্রয়োজনে আমি উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিব।

 

ইসরাত জাহান (তনু) এবং জান্নাতুল আমান (তনু) একই ব্যাক্তি কি না? জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসরাত জাহান বিষয়টি এড়িয়ে যান।

 

হলফনামায় তথ্য গোপনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার এই সব বিষয়ে কোনো মন্তব্য নাই।। আমি নির্বাচন নিয়েই আপাতত ব্যস্ত। আর এগুলা সব আমি নির্বাচনের পর বিস্তারিত বলবো। এগুলা নিয়ে নিউজ করার মত আসলেই কিছু নাই তারপরও আপনার যেটা ভালো মনে হয় করেন।’

 

হলফনামায় তথ্য গোপন করার পরেও কিভাবে তার মনোনয়নপত্র বৈধতা পেলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা  সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহামুদা হাসান বলেন, তার হলফনামায় দেওয়া তথ্য যাচাইবাছাই করে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি যদি তার হলফনামায় তথ্য গোপন করে থাকেন এবং তা প্রমাণিত হয়,তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 


উপজেলা নির্বাচন   হলফনামা   তথ্য গোপন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যকরের নির্দেশ ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশ: ১২:২৯ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশব্যাপী নো হেলমেট, নো ফুয়েল কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭-এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বিআরটিএর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত উন্নয়নের পরও সড়ক, মহাসড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা কেন?

শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশেই আজ থেকে মোটরসাইকেলে হেলমেট বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের কথাও বলেন ওবায়দুল কাদের।

সভায় ঢাকার দুই সিটি মেয়র, বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।


‘নো হেলমেট   নো ফুয়েল’   নির্দেশ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে একহাত নিলেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪৩ বছরের পুরনো গাড়ি সড়কে চলার ঘটনায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে এক হাত নিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  তিনি বলেন, সড়কে ৪৩ বছরের পুরনো গাড়ি কি করে চলে? এতদিন কি তাহলে বিআরটিএ ঘুমিয়ে ছিল?

বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গত ২২ এপ্রিল মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বেলা সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগর এলাকায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। পরে জানা গেছে, ওই বাসটি ছিল ৪৩ বছরের পুরোনো। লক্কড়ঝক্কড় বাসটি রাস্তায় চলছিল ফিটনেস ছাড়াই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা শহরে লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি। গাড়িগুলো গরীব গরীব চেহারার। ঢাকার চেয়ে গ্রামের গাড়িগুলো ভালো।

সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান প্রমুখ।


বিআরটিএ   চেয়ারম্যান   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ থেকে সৌদি পৌঁছেছেন ১৮ হাজার ৬৫১ জন হজযাত্রী

প্রকাশ: ১২:১৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ থেকে চলতি বছর এখন পর্যন্ত (১৪ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) ১৮ হাজার ৬৫১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। মোট ৪৭টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩,৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ১৪ হাজার ৯০৪ জন। এখন পর্যন্ত ৭৬ হাজার ৫৬০টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা ও সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ৯ মে আর শেষ হজ ফ্লাইট ১০ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।

হেল্পডেস্কের তথ্যমতে, ৪৭টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ১৩টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ১৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

এর আগে গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মাধ্যমে চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন। চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে যাবেন ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৮০ হাজার ৬৯৫ জন।


বাংলাদেশ   সৌদি   হজযাত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছেন ১৮০ জন পুলিশ সদস্য

প্রকাশ: ১১:৪৩ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের ১৮০ সদস্য। আগামী এক বছরের জন্য প্রেষণে তারা শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করবেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-২ শাখার উপসচিব সিরাজাম মুনিরা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করার জন্য পুলিশ বাহিনীর ১৮০ জন সদস্য এবং ১৯ জন সদস্যকে বিকল্প হিসেবে তাদের যোগদানের প্রকৃত তারিখ থেকে এক বছরের জন্য প্রেষণে নিয়োগের সরকারি মঞ্জুরি জ্ঞাপন করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, পুলিশ পরিদর্শক, উপপরিদর্শক (এসআই), উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই), কনস্টেবল, চিকিৎসা কর্মকর্তা, গাড়িচালক, সুইপার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদে কর্মরতরা রয়েছেন।


বাংলাদেশ পুলিশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন