ইনসাইড বাংলাদেশ

ফিরে দেখা লোডশেডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৫৮ এএম, ২৫ মে, ২০১৭


Thumbnail

জৈষ্ঠের তাপদাহে অতিষ্ট জনজীবন। তার ওপর লোডশেডিং। হাঁসফাঁস অবস্থা। অসহনীয় হয়ে উঠছে জীবন। বর্তমান অবস্থা দেখে মানুষ ভুলে গেছে বিগত বছরগুলোতে লোডশেডিংয়ের কথা।

২০০১-২০০৬ সালের কথা মনে আছে? বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ অলিখিত এক দ্বৈত শাসনের কবলে পড়েছিল। বিশেষভাবে, ক্ষমতাশীল হাওয়া ভবনের অবৈধ হস্তক্ষেপ, চাঁদাবাজি ও স্বজনপ্রীতির কারণে অনেক পরিকল্পনার মত সাময়িক বিদ্যুৎ পরিকল্পনার বেশিরভাগ টাকাও লুঠপাট হয়েছিল। সারাদিনে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ যেত হয়তো অনেকে ভুলে গেছেন। মনে করিয়ে দেই, বিএনপি আমলে বিদ্যুৎ একটু আসলেই ঈদের নতুন জামা পাওয়ার মতো আনন্দ লাগতো মানুষের ঘরে।

জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানির সমস্যা যে কত ভয়াবহ হয়েছিল তা সকলের জানা । তারপরও জানানো ভালো, ২০০৫ সালে সারাদেশে প্রতিদিন ৯শ’মেগাওয়াট লোডশেডিং হতো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতহীন অবস্থা সারাদেশে জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। ২০০১-২০০৬ সালের মাঝামাখি মাত্র ১৬% উৎপাদন বৃদ্ধি পায় অথচ আমরা সবাই জানি, বিগত কয় বছরে জনসংখ্যা এবং বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের ফলে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। গত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই করুণ অবস্থার ফল বর্তমান অবস্থাকে অনেকটাই প্রভাবিত করেছে তা বলাটা ভুল হবে কি?

বিএনপি সরকারের আমলে রাজধানীর শনির আখড়ায় বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে রাস্তায় নেমে আসা সাধারণ মানুষের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচতে হয়েছে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ স্থানীয় সাংসদ সালাহ উদ্দিন আহমেদকে। রমজানে দেশের বিভিন্ন স্থানেই বিদ্যুতের দাবিতে রাস্তায় নেমে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ মানুষ।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর বড় কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে তাদের পাঁচ বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন খাতে। বিতরণ ও সঞ্চালনের ওই পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল অপ্রয়োজনীয় ও পরিকল্পনার বাইরে। সে সময় একটি মাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র যেটি টঙ্গিতে স্থাপন করা হয়েছিল সেই ৮০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্র স্থাপনেও বিপুল পরিমাণ টাকা লুটপাট হয়। নিম্নমানের কাজ ও দুর্বল মেশিনপত্রের কারণে কেন্দ্রটি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনের মাত্র ছয় ঘণ্টা পর বন্ধ হয়ে যায়। কেন্দ্রটি সেই সময় ৮১ বার বন্ধ হয়েছে এবং এখনও বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পুরো জোট আমলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মানোন্নয়ন ও মেরামত বাবদ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে। মূলত কাজের কাজ কিছুই করা হয়নি। খুলনা শিকলবাহা কেন্দ্রটি মেরামতের নামে কয়েক বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত খুলনা ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে তিন কিস্তিতে ৪৪৭ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। খুলনা ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩শ’ কোটিটাকার মেরামত কাজ হয়েছে। শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২৪ কোটি টাকা খরচ করে দু দফা মানোন্নয়ন করাহলেও উৎপাদন এক মেগাওয়াটও বাড়েনি। বরং ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে পাঁচ লাখের বেশি খুঁটি কেনা হয় এবং তা ছিল দুর্নীতির একটি বড়খাত। বিএনপি সরকার ৫ বছর শুধু খাম্বা কিনেছে, বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যর্থ হয়ে জোট সরকার বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে গিয়ে অতিরিক্ত ১ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা গচ্চা দিয়েছে। রাজধানীতে ডেসার বিদ্যুৎ উপসঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার সংস্কার প্রকল্পে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

বর্তমান অবস্থা একটু ভালোভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে দেশে সর্বমোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৫,৬২২ মিলিয়ন কিলোওয়াট আওয়ার। সারাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৮৮.৪৪ শতাংশই আসে গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো থেকে। এছাড়া শতকরা ৪.০২ ভাগ আসে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি থেকে, শতকরা ৩.৮৯ ভাগ ফার্নেস অয়েল চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি থেকে, শতকরা ২.০৪ ভাগ ডিজেল তেলনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি থেকে এবং ১.৬১ ভাগ আসে পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি থেকে।


২০১১ সালে পিডিবির গ্রাহকসংখ্যা ছিল ২,১৫৯.৮৭৯। এর মধ্যে গৃহস্থালী গ্রাহক ৪২.৭%, বাণিজ্যিক ৮.১৭%,শিল্প ৪১.০২%, কৃষি (সেচ) ৫.৬১% এবং অন্যান্য ২.৫%। ২০০৯ সালে পিডিবির গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১,৯২২,৩৬১। ২০১০-১১ অর্থ বছরে পিডিবির রাজস্ব আয় ছিল ১৫৭.১১৭ মিলিয়ন টাকা। ১৯৯৯ সালে আয় হয় মাত্র ২৩,৮৬২ মিলিয়ন টাকা।

২০১৬ দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় রেকর্ড সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৩৪৮ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৭৩০ মেগাওয়াট। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১০ হাজার ৪৭১ মেগাওয়াট। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট থেকে ২০১৫তে তা ১১ হাজার ২৭১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে এই সরকার।

এটা অস্বীকার করা যায় না যে, বর্তমানে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কিন্তু এটাও মানতে হবে বিএনপির আমল থেকে আওয়ামী লীগের সময় বিদ্যুতের যন্ত্রণা অনেকটাই কম পাচ্ছে সাধারণ জনগণ।

বাংলা ইনসাইডার/টিআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সম্পর্ক কীভাবে সুদৃঢ় করব সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে: সাবের হোসেন চৌধুরী

প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সামনের দিকে সম্পর্ককে কীভাবে আরও সুদৃঢ় করব সেটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

 

বিস্তারিত আসছে…


সাবের হোসেন চৌধুরী   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ


Thumbnail মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নুসরাত জাহান তনু

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মুক্তাগাছায় সবাইকে চমকে দিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ইসরাত জাহান তনু।   উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (স্বতন্ত্র) হিসেবে ফুটবল প্রতীক নিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়ালেও তিনি তার নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

জানা যায়, উপজেলার খামারের বাজার এলাকার কলাকান্দা গ্রামের মৃত-ডাঃ এএল এম গোলাম আরহামের বড় মেয়ে মোছা: জান্নাতুল আমান (তনু) অরফে ইসরাত জাহান। তনু বিয়ে করেছেন দুইটি। তবে দুইজনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে এখন তিনি তার বাবার বাড়িতেই এক মেয়ে সন্তান ও মাকে নিয়ে বসবাস করছেন।

 

ইসরাত জাহান তনু তার নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদ ও মামলার তথ্য গোপন করেছেন অভিযোগ তুলে,ইসরাত জাহানের প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন তনুর সাবেক স্বামী মোঃ খাইরুল ইসলাম মনির।

 

ইসরাত জাহান পেশায় একজন গৃহিনী হলেও নির্বাচনী হলফনামায় তিনি নিজেকে একজন ব্যবসায়ী দাবি করেছেন কিন্তু উপজেলায় তার নামে কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি।

 

নির্বাচনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর ইসরাত জাহান তনুর জমা দেওয়া মনোনয়নের হলফনামা সূত্রে জানা যায়, ইসরাত জাহান তনুর শিক্ষাগত যোগ্যতা এম.এস.এস পাশ। ব্যবসার সুবাদে তিনি বছরে দুই লাখ টাকা আয় করেন। বর্তমানে তার নগদ এগারো লাখ টাকা জমা রয়েছে। তবে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া কোন ধরনের জমি কিংবা কোনো ধরনের আবাদি কৃষি জমি নেই।

 

তবে হলফনামার সঙ্গে বাস্তবে তার কোনো মিল নেই। কারণ তথ্য গোপন করেছেন তিনি।  তনুর সম্পদ বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা যায়,তনুর বর্তমানে নগদ ও অন্যান্য সব কিছু মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালিক তিনি।

 

হলফনামায় কোনো কৃষি বা আবাদি জমি নাই উল্লেখ করলেও মুক্তাগাছা উপজেলা ভূমি অফিসে তনুর নিজের করা নাম খারিজ রিভিউ আবেদন বিশ্লেষণ করে জানা গেছে,উপজেলার শশা মৌজায় খারিজ নং-বি.এস-১৭৪১ এবং ৬০৪৩ নং দাগে দলিল মূল্যে প্রাপ্ত হয়ে ০.১৯৫০ একর জমি রয়েছে।

 

এছাড়া সূত্র বলছে, ঘাটাইল উপজেলায় শাহপুর মৌজায় জমি ১২ শতাংশ জমির উপর তনুর ৩ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে এবং কলাকান্দায় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২০ শতাংশ জমি রয়েছে তনুর। 

 

এছাড়াও তার নামে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (সি.আর মামলা নং- ৪১ /২০২৪) মমলা রয়েছে, যা তিনি হলফনামায় উল্লেখ না করে তথ্য গোপন করেছেন। তনুর হলফনামায় দেয়া অন্যান্য তথ্যের মধ্যেও গড়মিল পাওয়া গেছে। 

 

উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসরাত জাহান (তনু) এবং জান্নাতুল আমান (তনু) একই ব্যক্তি দাবি করে, তনুর সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলাম মনির বলেন, তনুর বাবা মৃত- ডাঃ এএল এম গোলাম আরহান তনুর জন্মের পর তার নাম রেখেছিলেন জান্নাতুল আমান (তনু), পরে জাতীয় পরিচয়পত্রে সে তার নাম পরিবর্তন করে হয়ে যান ইসরাত জাহান। আর জান্নাতুল আমান (তনু) নামটি সে জন্মনিবন্ধনে ব্যবহার করে থাকেন জমিজমা ক্রয়-বিক্রয় করার ক্ষেত্রে। আসলে দুইটি নাম একইজনের। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেই তনু এই পথ বেছে নিয়েছেন। তার প্রতারণার শিকার আমিও হয়েছি। তার মত মানুষ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে,তার দ্বারা মানুষ প্রতারিত হবেন। যেকারণে আমি তার প্রার্থীতা বাতিল চাইছি। প্রয়োজনে আমি উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিব।

 

ইসরাত জাহান (তনু) এবং জান্নাতুল আমান (তনু) একই ব্যাক্তি কি না? জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসরাত জাহান বিষয়টি এড়িয়ে যান।

 

হলফনামায় তথ্য গোপনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার এই সব বিষয়ে কোনো মন্তব্য নাই।। আমি নির্বাচন নিয়েই আপাতত ব্যস্ত। আর এগুলা সব আমি নির্বাচনের পর বিস্তারিত বলবো। এগুলা নিয়ে নিউজ করার মত আসলেই কিছু নাই তারপরও আপনার যেটা ভালো মনে হয় করেন।’

 

হলফনামায় তথ্য গোপন করার পরেও কিভাবে তার মনোনয়নপত্র বৈধতা পেলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা  সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহামুদা হাসান বলেন, তার হলফনামায় দেওয়া তথ্য যাচাইবাছাই করে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি যদি তার হলফনামায় তথ্য গোপন করে থাকেন এবং তা প্রমাণিত হয়,তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 


উপজেলা নির্বাচন   হলফনামা   তথ্য গোপন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যকরের নির্দেশ ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশ: ১২:২৯ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশব্যাপী নো হেলমেট, নো ফুয়েল কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭-এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বিআরটিএর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত উন্নয়নের পরও সড়ক, মহাসড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা কেন?

শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশেই আজ থেকে মোটরসাইকেলে হেলমেট বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের কথাও বলেন ওবায়দুল কাদের।

সভায় ঢাকার দুই সিটি মেয়র, বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।


‘নো হেলমেট   নো ফুয়েল’   নির্দেশ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে একহাত নিলেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪৩ বছরের পুরনো গাড়ি সড়কে চলার ঘটনায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে এক হাত নিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  তিনি বলেন, সড়কে ৪৩ বছরের পুরনো গাড়ি কি করে চলে? এতদিন কি তাহলে বিআরটিএ ঘুমিয়ে ছিল?

বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গত ২২ এপ্রিল মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বেলা সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগর এলাকায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। পরে জানা গেছে, ওই বাসটি ছিল ৪৩ বছরের পুরোনো। লক্কড়ঝক্কড় বাসটি রাস্তায় চলছিল ফিটনেস ছাড়াই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা শহরে লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি। গাড়িগুলো গরীব গরীব চেহারার। ঢাকার চেয়ে গ্রামের গাড়িগুলো ভালো।

সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান প্রমুখ।


বিআরটিএ   চেয়ারম্যান   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ থেকে সৌদি পৌঁছেছেন ১৮ হাজার ৬৫১ জন হজযাত্রী

প্রকাশ: ১২:১৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ থেকে চলতি বছর এখন পর্যন্ত (১৪ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) ১৮ হাজার ৬৫১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। মোট ৪৭টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩,৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ১৪ হাজার ৯০৪ জন। এখন পর্যন্ত ৭৬ হাজার ৫৬০টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা ও সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ৯ মে আর শেষ হজ ফ্লাইট ১০ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।

হেল্পডেস্কের তথ্যমতে, ৪৭টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ১৩টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ১৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

এর আগে গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মাধ্যমে চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন। চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে যাবেন ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৮০ হাজার ৬৯৫ জন।


বাংলাদেশ   সৌদি   হজযাত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন