কালার ইনসাইড

যেমন কাটছে পিয়ার ইংল্যান্ড ট্যুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০৪ পিএম, ০৯ জুলাই, ২০১৯


Thumbnail

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জান্নাতুল পিয়া। কেমন ছিল পিয়ার এই ইংল্যান্ড ট্যুর, তা নিয়ে কথা বললেন বিস্তারিত…

যাওয়ার পথে জয়া-রাজ্জাক:

বায়োস্কোপের হয়ে জিটিভির প্রযোজনায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে উপস্থাপনার জন্য আমাকে পাঠানো হলো। বিমানবন্দরেই পেয়ে গেলাম জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আবদুর রাজ্জাক আর জয়া আপুকে (অভিনেত্রী জয়া আহসান)। তাঁরা বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তারকা অতিথি হয়ে যাচ্ছেন। জয়া আহসানের সঙ্গে আগে চোরাবালি সিনেমায় কাজ করলেও এত গল্প হয়নি। আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য তাঁর চেয়ে ভালো কেউ হতে পারে না। আর রাজ্জাক ভাইও অসাধারণ মানুষ।

ইংল্যান্ড নেমে যা দেখলেন:

ওভাল- কেনিংটন বিশ্বকাপের সাজে সজ্জিত। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাকিংহাম প্যালেসে গেলাম। কাছে গিয়ে দেখলাম জয়া আহসান আর আবদুর রাজ্জাক সকাল থেকে উপস্থিত। ঠান্ডায় সবার অবস্থা কাহিল। সবার হাতে কফির মগ। ঢুকতেই কাকে যেন দেখলাম খুব পরিচিত। ও মাই গড! ব্রেট লি। ছোটবেলাতে যখন খেলা বুঝতাম না, তখন থেকেই তাঁকে খুব ভালো লাগত। ছবি তুলতে কিন্তু ভুল করিনি। পাশেই ফারহান আক্তার, মালালা ইউসুফজাই। এ রকম আরও অনেকে। ভাবলাম, এখানে কমপক্ষে একজনের সাক্ষাৎকার নিতেই হবে। যদিও তাঁরা সবাই খুব ব্যস্ত। কার নেওয়া যায়? তখনই চোখ পড়ল স্যার ভিভ রিচার্ডসের ওপর। তিনি এত বিনয়ী, অবাক না হয়ে পারলাম না। তাঁকে বললাম, আমি পিয়া, বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় হবে কি না। তিনি তখনই বললেন, ‘অবশ্যই।’ তিনি জানালেন, বাংলাদেশ খুব ভালোই করছে। এই কথোপকথনের পর ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে প্রায় এক সপ্তাহ পরে আবার দেখা হলো। তখন বললেন, ‘মিস বাংলাদেশ কেমন আছ?’ বিদেশের মাটিতে এমন সম্মান কজনই পায়।

ইংল্যান্ডের শহরগুলো:

ইংল্যান্ডের শহরগুলো বেশ চমৎকার লেগেছে। আমি আশার আগে টেনশনে ছিলাম যে, দেড় দুই মাস আমি কিভাবে দেশের বাইরে থাকবো। কারণ আমি বেশিদিন দেশের বাইরে থাকতে পারি না। একেবারেই পারি না। অনেক ট্রাভেল করি। কিন্তু বেশিদিন থাকতে পারি না। এখানকার আবহায়ওয়া চমৎকার। আমার ডারহাম খুব ভালো লেগেছে। ছোট শহর, কিন্তু ক্ল্যাসি একটা শহর। কী অসাধারণ শহর! ছবির মতো সাজানো। ছোট ছোট পুরনো সব বাড়ি, দেখতে অসাধারণ। পাহাড় ঘেরা শহর। সত্যিই অদ্ভুত সুন্দর এই শহরটি। সাউদাম্পটনের রোজ বোল স্টেডিয়াম অসাধারণ। ওখানকার আবহাওয়াও চমৎকার। ছেলেমেয়ে সবাই দারুণ স্মার্ট। সাউদাম্পটনের চেয়ে ডারহাম শহরটা খুব ছোট। ইংল্যান্ডে গেলে লন্ডনেই তো বেশি যাওয়া হয়। এইসব ছোট শহরে আগে খুব একটা যাওয়া হয়নি। এবার ঘুরে ঘুরে অনেক জায়গায় প্রথমবারের মতো যাওয়া হলো। স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গও খুব ভালো লেগেছে। আমরা অনেক ঐতিহ্য ইতিহাস বইতে পড়েছি পেপার বা টিভিতে দেখেছি। সেসব আসলে বাস্তবে ইংল্যান্ডের সেসব শহরে পাওয়া গেছে।

ধারাভাষ্যকরদের সঙ্গে সম্পর্ক:

সবার সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। অনেক দিনের জার্নি। তাদের মধ্যে যাদের কথা বলতে হয়, সাইমন ডল, হার্শা ভোগলে, মাইকেল হোল্ডিংকে একটু বেশি ভালো লেগেছে। মাইকেল হোল্ডিংকে তো সবসময় ফলো করি। মাইকেল হোল্ডিংয়ের ধারাভাষ্য আমার খুব ভালো লাগে। উনি যখন কথা বলেন, কখনোই একঘেয়েমি লাগে না। আমি তার ধারাভাষ্য মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনি। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হই। আমিও চাই তার মতো করে বলতে, যেন কারও বোরিং না লাগে। আমি চাই মানুষ যেন আমার উপস্থাপনা উপভোগ করতে পারেন। নেতিবাচক কিংবা ইতিবাচক যাই বলুক, তবুও যেন বলে। গল্পের মতো করে হোল্ডিং ব্যাখ্যা করেন। এটাই আসলে শ্রোতারা শুনতে চান। আমিও নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করছি। মাইকেল ক্লার্ক একটু বেশি মুগ্ধ করেছে, হয়তো সে গুড লুকিং তাই (হাসি)।

মায়ান্তি ল্যাঙ্গার ও জয়নব আব্বাসের সঙ্গে সখ্যতা:

মায়ান্তি ল্যাঙ্গার কিংবা জয়নব আব্বাস দুজনই খুব ভালো মানুষ। তাদের সঙ্গে সময়টা খুব ভালো কাটছে। দুইজনের উপস্থাপনা তুলনা করলে মায়ান্তি অসাধারণ। তার উপস্থাপনায় দারুণ কিছু ব্যাপার আছে। আমার মনে হয় সে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা নারী উপস্থাপক।

চ্যালেঞ্জ:

সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জটা ছিল, কোন রেস্ট পাইনি। প্রত্যেকদিন আমাদের ম্যাচ কাভার করতে হয়েছে। তাও একটা সিটি থেকে অন্য সিটিতে দৌড়াতে হয়েছে। এটা বেশ কঠিন ছিল। এই ট্রাভেলের মধ্যে নিজেকে সুন্দর কওে প্রেজেন্ট করা আরো কঠিন ছিল। এটাও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল যে এত বড় একটা দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। সেটা যেন প্রপারভাবে করতে পারি। আমি চেষ্টা করেছি প্রপারলি করার।

বাংলাদেশ সম্পর্কে গ্রেট প্লেয়ারদের মন্তব্য:

সত্যিই আমার জন্য এটা গ্রেট অপরচুনিটি। ওয়াসিম আকরাম, সৌরভ গাঙ্গুলি, মাইকেল ক্লার্ক, ব্রায়ান লারা, ওয়াকার ইউনুসদের সঙ্গে বসে থাকছি। তাদের সঙ্গে কথা বলছি, কাজ করছি। ক্রিকেট ভক্তরা যাদের ব্যাপারে অন্ধ, তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারছি। এই বয়সে এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। সত্যি কথা বলতে, আমার জন্য গ্রেট অভিজ্ঞতা। প্রত্যেকেই খুব ভালো মন্তব্য করেছেন। নানা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। স্পেশালি সৌরভ গাঙ্গুলির কথা বলতে হয়। তিনি নানাভাবে প্রশংসা করতেন। এটা বলাটা ঠিক হবে কিনা জানি না, বাংলাদেশ যেদিন ভারতের কাছে হেরে গেল। তার খুব মন খারাপ হয়েছে। তার মুখ দেখে সেটা স্পষ্ট বোঝা গেছে। তিনি বাংলাদেশ থেকে আরেকটু ফাইট আশা করেছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলিকে আমরা বরাবরই দেখেছি তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে যথেষ্ঠ পজিটিভ। তিনি মনে করেছিলেন ম্যাচটা আরো প্রতিযোগিতামূলক হবে। সাইমন ডলের কথা বলতে হয়, কোন ম্যাচের সময় তিনি আর আমি দাড়িয়ে খেলা দেখছিলাম। শ্রীলঙ্কা খুব বাজেভাবে হেরে যাচ্ছিল। হেরে যাওয়ার পরও শ্রীলংকার সাপোর্টাররা গান গাচ্ছিল। সুন্দর কওে সাপোর্ট দিচ্ছিল। আমি আর সাইমন ঢুল তা দেখছিলাম। আমি বলছিলা, শ্রীলংকার ফ্যানরা এত পজিটিভ। এত বাজেভাবে হেরে যাচ্ছে তাও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে যা দেখার মতো। তখন তিনি বলছিলেন, তোমাদের ফ্যানরাও বেশ ভালো। বাংলাদেশের খারাপ সময়ও তারা বেশ পজিটিভলি সাপোর্ট দিয়েছে। আমি তখন বলছিলাম, তারা সমালোচনাও কম করে না। তখন তিনি হাসছিল।

নতুন বন্ধু:

এখানে এসে অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। একজন ব্যারিষ্টারের সঙ্গে বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে, উনি হচ্ছেন ব্রিটিশ। একজন পকিস্তানি কমেডিয়ান কিন্তু লন্ডনে থাকেন। তার সঙ্গে বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে। ইন্ডিয়ান একজন প্রেজেন্টার আছে রিদ্ধিমা, তার সঙ্গেও বেশ ভালো সম্পর্ক হয়েছে।

ক্রীড়া উপস্থাপনায় বাংলাদেশের অবস্থান:

আমি আসলাম প্রথমবারের মতো। বাংলাদেশ থেকে কেউ প্রথমবারের মতো মাঠ থেকে সরাসরি উপস্থাপন করলো।  উন্নতির তো শেষ নেই। এরজন্য আসলে আমরা কতটা প্রাকটিস করতে পারি সেটাও একটা বিষয়। যেমন আমি ফাইনালের পরে আরো কিছুদিন থেকে যাবো লন্ডনে। কিছু কোর্স করে তারপর যাবো। উন্নতি আর ভালোর কোন শেষ নেই। ক্রিকেট বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আমার মনে হয় এটাকে লক্ষ্য করেও অনেকে উপস্থাপনায় আসতে পারেন।

প্রথমবারের মতো আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমাকে দেখে নতুন নতুন মেয়েরা যেন আসে। ক্রিকেট এমন একটা জায়গায় চলে গেছে, এটাকে পেশা হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। এজন্য নিজের কিছু প্রস্তুতি জরুরি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবকিছু এমনভাবে উপস্থাপনা করতে চাই, যেন মানুষ লাইভ দেখার অনুভূতি পায়। আমার উপস্থাপনায় মানুষ যেন এন্টারটেইন হয়, একঘেয়ে যেন না হয়।

প্রতিবন্ধকতা:

কোন প্রতিবন্ধকতাই ছিল না। বাংলাদেশ থেকে গিয়েছি। সবাই খুব সম্মান দিয়েছেন। সবাই মিস বাংলাদেশ বলে সম্বোধন করতেন। তবে প্রতিবন্ধকতার বিপরীতে বলতে হয় আমার খুব স্টাডি করতে হয়েছে। যাতে প্রতিবন্ধকতা না আসে। মাঠ, স্থান, খেলোয়ার, পূর্ব ইতিহাস নিয়ে অনেক স্টাডি করেছি। ম্যাচশেষে সব সময়ই আমাকে খেলোয়াড়দের ইন্টারভিউ নেওয়া লেগেছে। কিন্তু হেরে যাওয়া দলের খেলোয়াড়দের ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কেননা, হেরে যাওয়া দলের খেলোয়াড়দের প্রশ্ন করার ব্যাপারে আমাকে সচেতন থাকতে হয়। এমন কোনও প্রশ্ন যেন না হয়, যেটাতে ওই খেলোয়াড় ব্যথিত কিংবা বিব্রত হয়। এই কাজটা আমার জন্য কঠিন ছিল।

ভালো মুহুর্তগুলো:

যাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে শচিন টেন্ডলকার, ব্রায়ান লারা, ওয়াসিম আকরামদের মতো লিজেন্ডদের সঙ্গে দেখা হয়েছে কথা হয়েছে। তারা কেন লিজেন্ড তা কথা বলেই বোঝা যায়। অনেক বড় বড় মানুষ তারা। অন্যকে প্রশংসা করার মতো অদ্ভূত সুন্দর গুন রয়েছে। সব মিলিয়ে এত চমৎকার অভিজ্ঞতা আমার আর কখনো হয়নি। আমরা যদি রেজাল্টটা নিয়ে আসতে পারতাম। তাহলে আমার যে উপভোগ্য সময়, সেটা মনে হতো সারাদেশের মানুষেরও হতো। সেই ফিলটা হতো।

শেষে বলতে হয়:

আমি বিশ্বাস করি আমরা ৮ নাম্বারে যাওয়ার মতো দল নয়। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সমালোচনা করছে হয়তো। কিন্তু আমরা আবার এমনই জাতি। আরেকটা জয় পেলে ভুলে যাবো বিশ্বকাপের ব্যার্থতা। আর সেটা আশা করি বাংলাদেশ আবার খুব শিঘ্রই পেতে যাচ্ছে। নতুন একটা ট্যুর জিতে আসলেই বাংলাদেশ আবার প্রশংসা পাবে। আর প্লেয়ারদের ফ্যামিলি নিয়েও কিছু বলা ঠিক নয়।

স্পোর্টস উপস্থাপনা:

স্পোর্টসে উপস্থাপনা করাটা বেশ আনন্দের, চ্যালেঞ্জও বটে। তবে আমি এখানে ক্যারিয়ার গড়বো এই চিন্তা করে আসিনি। ক্যারিয়ারের কথা ভাবলে, আইনজীবী কিংবা ব্যবসা নিয়ে মনোযোগী হতাম। দুটো অপশনই আমার ছিল এবং এখনও আছে। তবে আমি সব সময়ই প্রাধান্য দিয়েছি আমার ভালো লাগাকে। স্পোর্টস ঘরানায় আসার পেছনে বিশেষ কারও অবদান কিংবা অনুপ্রেরণা বলতে গেলে আমান আশরাফ (গাজী টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক) ভাইয়ের কথা বলতেই হবে। উনি একদিন আমাকে বলছিলেন, আমরা প্রতিবছর কিছু হলেই বিদেশ থেকে মেয়েদের নিয়ে আসি। সেটা আন্তর্জাতিক হোক আর লোকাল কিছু হোক। তুমি নিজেকে প্রস্তুত করো। আমাদের এখানে কি স্মার্ট মেয়ে নেই? আমাদের কেন বাইরে থেকে মেয়ে নিয়ে আসতে হবে উপস্থাপনার জন্য?

তখন আমি ভাবলাম, সেই মেয়েটা আমি কেন নই! মনে হলো, ক্রিকেটের এই জায়গায় উপস্থাপক হিসেবে আমিও কাজ করতে পারি। খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে, যারা পছন্দকে পেশা হিসেবে নিতে পারে। আমি ক্রিকেট পছন্দ করতাম, সেই পছন্দের জায়গাতেই কাজ করতে পারছি এখন।

বাংলাদেশ দলের দুর্বলতা:

আমার মনে হয় বাংলাদেশ দলের কোন দুর্বলতা নেই। দুর্বলতা হলো সমালোচকদের। কারণ বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে, সেখান থেকে এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ারই কথা। বাংলাদেশ দলে যে নিয়মিত উন্নতি হচ্ছে। সেটা এই টুর্নামেন্টেও চোখে পড়ে। স্পেশালি সাকিব আল হাসানের কথা বলতে হয়। মুস্তাফিজও ভালো বল করেছেন। মুশফিক তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেছেন। সাকিব আসলে এতটাই ভালো পারফর্মেন্স করেছেন যে অন্য কারোটা চোখে পড়ে না। অতিদানবীয় পারফর্মেন্স করেছেন সাকিব। নতুনদের মধ্যে আমরা সাইফউদ্দীনকে পেলাম। আসলে বাংলাদেশের ভাগ্যটাও কিছুটা খারাপ ছিল। কিছু ফিল্ডিং মিস আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলেছে। শেষের দুইটা ম্যাচ টস হেরে বিপদে পড়তে হয়েছে। আল্টিমেটলি রেজাল্টটা পাইনি আমরা। ৮ নাম্বারে এসেছি আমরা। কিন্তু আমরা ৮ নাম্বারে যাওয়ার মতো দল নয়। আমাদের সেমি ফাইনালে যাওয়ার মত দল ছিল। অন্য বড় দলগুলোও যেমন ছিটকে পড়েছে। আমরাও তেমন ছিটকে পড়েছি। পুরোটা সময় জুড়েতো চোখের সামনে দেখেছি। আসলে তাদের কিছু ম্যাচ পরাজয় কেন হয়েছে বলার ভাষা নেই। যখন হেরে গিয়েছে আসলে এতটাই আবেগ কাজ করেছে।

দেশে ফেরা:

২২ তারিখ ফেরা হবে। আমি কোর্স করছি কমিউনিকেশন এবং টিভি প্রেজেন্টেশনের উপরে। এই কারণেই বিশ্বকাপ শেষেও থাকা হবে।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাবা হচ্ছেন বিশ্বখ্যাত পপ তারকা জাস্টিন বিবার

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল, অন্তঃসত্ত্বা হেইলি বিবার। বাবা হতে চলেছেন জাস্টিন বিবার। তবে এ প্রসঙ্গে একটা শব্দও বলেননি এই তারকা জুটি। এর আগেও একাধিকবার হেইলি বিবারের মা হওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছিল।

তবে এবার আর গুঞ্জন নয়। বাবা হতে চলেছেন বিশ্বখ্যাত পপ তারকা জাস্টিন বিবার। জাস্টিন ও হেইলির সুখের সংসারে আসতে চলেছে নতুন সদস্য।

বাবা হওয়ার সংবাদটি নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেন পপতারকা জাস্টিন বিবার। স্ত্রীর বেবিবাম্পের ছবি পোস্ট করে অনুরাগীদের দিলেন সুখবর। শুধু তাই নয়, খ্রিস্টান সংস্কৃতি মতে আবারও ফাদারের সামনে বিয়ে করলেন জাস্টিন ও হেইলি।

বেশ কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে হেইলি জানিয়েছিলেন, তাঁদের দাম্পত্যজীবন কাটছে সিনেমার মতো। তিনি আরও বলেন, জাস্টিনের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া খুব ভাল বলেই আপাতত সুখে সংসার করছেন তাঁরা। ২০১৮ সালে অনেকটা চুপিসারেই বিয়ে করে নেন জাস্টিন-হেইলি।

বিয়ের খবর কেউই প্রকাশ্যে আনেননি। এরপর বিয়ের চার বছর পূর্তিতে তাঁদের বিবাহের কথা স্বীকার করেন তারকা জুটি। আর বিয়ের ৬ বছর পর অবশেষে পিতৃত্বের স্বাদ পেতে যাচ্ছেন জাস্টিন।

দীর্ঘ ৮ বছরের সম্পর্কের পর বিচ্ছেদ হয় সেলেনা গোমেজ ও জাস্টিন বিবারের। তারপরই ২০১৮ সালে মার্কিন মডেল হেইলির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জাস্টিন। গোমেজ ভক্তদের দাবি, সেলেনা গোমেজের কাছ থেকে জাস্টিনকে ছিনিয়ে এনেছেন হেইলি। জাস্টিন-গোমেজ সম্পর্ক ভাঙার মুল কারিগর তিনিই। জাস্টিনের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে হেইলির সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দেন গোমেজ।

একে অপরের মুখও দেখেননি। তবে সম্প্রতি দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে। তাদের মাঝে তিক্ততার বরফও গলতে শুরু করেছে। গোমেজও মিডিয়ায় জানিয়ে দিয়েছেন, হেইলির সঙ্গে তার কোনো বিবাদ নেই। 


বাবা   জাস্টিন বিবার  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

চিত্রনায়ক সোহেলের সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বিরোধ: নেপথ্যের কাহিনী

প্রকাশ: ১১:৩৫ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

খুনের ঠিক পাচ মাস আগে আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে প্রচণ্ড ঝগড়া হয় অভিনেতা সোহেল চৌধুরীর। ঘটনাস্থল বনানীর ট্রাম্প ক্লাব। সোহেল চৌধুরী এর জের ধরে ওই রাতে আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে হত্যার হুমকি দেন। কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে মারধরের চেষ্টা করেন সোহেল। আজিজ মোহাম্মদ ট্রাম্প ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলামের কক্ষে ঢুকে যান। একপর্যায়ে তিনি বাথরুমে পালিয়েও থাকেন। পরে বান্টি ইসলাম ও ক্লাবের ব্যবস্থাপকের হস্তক্ষেপে সে দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনার পর আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি ইসলাম ও ব্যবসায়ী আশীষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এই মামলার সাক্ষীদের আদালত ও পুলিশের দেওয়া জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এ বিষয়ে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরীন বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খুন হওয়ার কয়েক মাস আগে বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর প্রচণ্ড বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও বান্টি ইসলামরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে সোহেলকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে।’

২৫ বছর আগে সোহেল চৌধুরী খুনের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আবদুল আজিজ, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা তিনজনই পলাতক। বাকি ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এই রায় ঘোষণা করেন। খালাস পাওয়া ছয়জন হলেন আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, সেলিম খান ও ফারুক আব্বাসী। রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, সোহেল চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সাক্ষীরা সত্য গোপনের চেষ্টা করেছেন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর পূর্বশত্রুতা ছিল, সেটা প্রমাণিত হয়েছে।

আসামি ও সাক্ষীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির তথ্য বলছে, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী খুন হন ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর। এর সাড়ে পাঁচ মাস আগে  তিনি চার থেকে পাঁচজন বন্ধুকে নিয়ে বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে যান। রাত তখন ২টা। ক্লাবের এক কোনায় বন্ধুদের নিয়ে বসে ছিলেন সোহেল। ক্লাবের অন্য প্রান্তে বান্ধবীদের নিয়ে চেয়ারে বসে ছিলেন আজিজ মোহাম্মদ। একপর্যায়ে আজিজ মোহাম্মদ তাঁর পূর্বপরিচিত রাবেয়া মাহফুজ ওরফে সোনালীকে গান গাইতে বলেন। তিনি আজিজ মোহাম্মদকে কয়েকটি হিন্দি গান শোনাতে থাকেন। একপর্যায়ে সোহেল চৌধুরী রাবেয়াকে গান গাইতে নিষেধ করেন।

সোহেল চৌধুরী খুন হওয়ার পর রাবেয়া মাহফুজ ১৯৯৯ সালের ১৮ মার্চ সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। সেই জবানবন্দিতে তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমার স্বামীসহ ট্রাম্প ক্লাবে নাচগান করি। এভাবে রাত দুইটার মতো বেজে যায়। ওই সময় হঠাৎ দেখি আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে। তাঁর সঙ্গে একজন বিদেশি বন্ধু ছিল। আর ছিল তিনজন বান্ধবী। আমি তখন আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে সালাম দিই। ভাই তখন আমাকে তাঁর টেবিলে বসতে বলেন। তখন আজিজ মোহাম্মদ ভাই আমাকে গান গাইতে বলেন। আমি তিন থেকে চারটা হিন্দি গানের অংশবিশেষ গাই। গান গাওয়ার একপর্যায়ে সোহেল চৌধুরী চিৎকার করে বলেন, গান থামাও।’

রাবেয়া মাহফুজ আদালতকে আরও বলেন, ‘সোহেল চৌধুরীর চিৎকারে আমি একটু ভয় পাই। তৎক্ষণাৎ সোহেল চৌধুরী আমাদের টেবিলের সামনে আসেন। তখন আমার পাশে বসা আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বান্ধবী ফারজানার উদ্দেশে সোহেল চৌধুরী বলেন, তুমি আমার সঙ্গে আসো। ফারজানা আগে সোহেলের বান্ধবী ছিল। তবে ফারজানা সোহেলের সঙ্গে যেতে রাজি হন না। তখন সোহেল চৌধুরী আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে ও ফারজানাকে গালিগালাজ করেন। ক্রমান্বয়ে সোহেল উত্তেজিত হতে থাকেন। একপর্যায়ে আজিজ মোহাম্মদ ভাই বান্টি ইসলামের অফিসের বাথরুমে যান। তখনো সোহেল চৌধুরী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের উদ্দেশে বলেছিলেন, আজ ওকে ছাড়ব না।’

মামলার আরও কয়েকজন সাক্ষীর জবানবন্দিতে ওই রাতের এ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। সোহেল চৌধুরী ওই রাতে আজিজ মোহাম্মদের কাছ থেকে যে নারীকে চলে আসতে বলেছিলেন, সেই ফারজানা ইউসুফ এ মামলায় পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। তিনি বলেছিলেন, সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল আগে। পরে আজিজ মোহাম্মদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।

ফারজানা পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, ‘১৯৮৩ সালে আমার বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে আমার মনোমালিন্য চলতে থাকে। এরপর ১৯৯৬ সালে সোহেল চৌধুরীর বোনের ননদ পাপিয়ার গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে যাই। সেদিন সোহেলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আমি কয়েকবার সোহেল চৌধুরীর বাসায় যাই। এরপর ১৯৯৮ সালে জুথি নামের এক মেয়ের একটি অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছিলাম। সেখানে প্রথম আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।’

ফারজানা বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাই আমার বান্ধবী সাথীকে সঙ্গে নিয়ে বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, আজিজ মোহাম্মদ ভাই কয়েকজন মেয়েবন্ধু, ছেলেবন্ধুসহ একত্রে বসে আছেন। আমি আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের চেয়ারের পাসে বসি। ক্লাবের বারের কাছে সোহেল চৌধুরী, কালা নাসিরসহ আরও পাঁচ থেকে সাতজন ছেলে সেখানে ছিল। এমন সময় সোনালীকে (রাবেয়া মাহফুজ) গান গাইতে বলেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই। সোনালী গান গাওয়া শুরু করেন। তখন সোহেল চৌধুরী, কালা নাসির ও তাঁর বন্ধুরা গান বন্ধ করার জন্য চিৎকার শুরু করেন।’

ফারজানা জবানবন্দিতে আরও বলেন, ‘তখন সোহেল চৌধুরী আমাকে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের কাছ থেকে তাঁর টেবিলে আসতে বলেন। আমি না যাওয়ায় তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকেও গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন আজিজ মোহাম্মদ ভাইও সোহেল চৌধুরীকে বকাবকি করতে থাকেন। তখন আমি ভয়ে পাশে গিয়ে দাঁড়াই। আর আজিজ মোহাম্মদ ভাই দৌড়ে বান্টি ইসলামের অফিসের বাথরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।’

ফারজানা আরও বলেন, ‘এ সময় হোটেলের ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) সোহেল চৌধুরী ও তাঁর বন্ধুদের নিচে নামিয়ে দেয়। তখন বান্টি ইসলাম ক্লাবে আসেন। সোহেল চৌধুরীর বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে ক্লাবের ভেতরে আসেন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। ভোররাত পাঁচটার দিকে সোহেল চৌধুরী চলে গেলে আমি আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের গাড়িতে করে বাসায় ফিরি।’

কেবল রাবেয়া মাহফুজ কিংবা ফারজানা নন, সোহেল চৌধুরীর মা নূর জাহান বেগমও আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধের কথা আদালতকে বলেছিলেন। সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে নূর জাহান বেগম বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাই আমার ছেলে সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে ট্রাম্প ক্লাবে খুব ঝগড়াঝাঁটি হয়। মারামারি হওয়ার উপক্রমও হয়। এরপর বান্টি ইসলাম এবং বোতল (আশীষ রায় চৌধুরী) নামের এক ব্যক্তির সঙ্গেও আমার ছেলের গুরুতর ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর থেকে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। আমার ছেলেকে ট্রাম্প ক্লাবে যেতে নিষেধ করে। মৃত্যুর ১৫ থেকে ২০ দিন আগে বান্টি ইসলাম ও আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের লোকেরা আমার ছেলেকে “মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে এসেছে” বলে হুমকি দিয়েছিল।’

সোহেল চৌধুরীর মা নূর জাহান বেগম আদালতকে আরও বলেন, ‘আমার ছেলের হত্যাকাণ্ডের তিন দিন আগে (১৯৯৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর) আজিজ মোহাম্মদ ভাই ব্যাংককে যান। এর তিন দিন পর আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়। আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি ইসলাম ও তাঁদের লোকজনেরা আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করেছে।’

সোহেল চৌধুরীর মা আরও বলেন, ট্রাম্প ক্লাবে অনেক অবৈধ কাজকারবার হতো। ওই ক্লাবের পাশে বড় জামে মসজিদ। মুসল্লিরা ক্লাবের অসামাজিক ও অন্যায় কাজকর্মের বিষয়ে অনেক প্রতিবাদ করেছেন, বাধা দিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প ক্লাব কর্তৃপক্ষ কোনো বাধা মানেনি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু চৌধুরী গোলাম মোহম্মদ ওরফে ওমর চৌধুরীও সে দিনের ঘটনার বিষয়ে প্রায় একই রকমের বক্তব্য পুলিশের কাছে দিয়েছিলেন। মামলার অভিযোগপত্রে রাবেয়া মাহফুজ, ফারজানা ইউসুফ, নূর জাহান বেগম ও ওমর চৌধুরী এ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ছিলেন। অবশ্য সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরীনের তথ্যমতে, এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সোহেল চৌধুরীর মা নূর জাহান বেগম বিচার চলাকালে মারা যান। বাকিরা বিচার চলাকালে সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির হননি।

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী খুনের প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন তাঁর বন্ধু আবুল কালাম। তিনিও সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি পুলিশ ও আদালতের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁর জবানবন্দিতে উঠে আসে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ। আবুল কালাম বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাত ১টার সময় সেলিম ভাইয়ের অফিসে গিয়ে কাবাব ও হুইস্কি খাই। এরপর ট্রাম্প ক্লাবে যাই। সেখানে সোহেল চৌধুরীকে পাই। এরপর তাঁর সঙ্গে আবার তাঁর বাসায় যাই। আবার সেখানে বিয়ার পান করি। পরে সোহেল চৌধুরী আমাদের নিয়ে ট্রাম্প ক্লাবে যাওয়ার আগে টেলিফোনে বান্টি ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন।’

সোহেল চৌধুরীর বন্ধু আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা ট্রাম্প ক্লাবের গেট ও লিফটের কাছে পৌঁছলে সাত থেকে আটজন লোক আমাদের লক্ষ্য করে রিভলবার ও পিস্তল দিয়ে গুলি শুরু করে। আমি পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যাই। দৌড়ে আমি ওমর ভাইয়ের (সোহেল চৌধুরীর বন্ধু) বাসার সামনে গিয়ে পড়ে যাই এবং জ্ঞান হারাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হই। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ট্রাম্প ক্লাবে গিয়ে জানতে পারি, নীরব ও দাইয়্যান (ট্রাম্প ক্লাবের কর্মচারী) সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক আব্বাসী ও আদনান সিদ্দিকী সেদিন গাড়িতে করে ক্লাবের গেটে আসেন। সোহেল চৌধুরীকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। এরপর তিনি মারা যান।’


চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা   আজিজ মোহাম্মদ   আদালত  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার মেয়ের মা হলেন পরীমণি!

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই চলচ্চিত্রের লাস্যময়ী অভিনেত্রী পরীমণি। ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেতা শরিফুল রাজকে। যদিও সে সংসার বেশি দিন টেকেনি। তবে বিচ্ছেদের পর এখন ছেলে পুণ্যকে নিয়ে নিজের মতো করে জীবনযাপন করছেন এই অভিনেত্রী। সব ব্যস্ততাও তাকে ঘিরে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এতে তিনি জানিয়েছেন, ছেলে পুণ্যের পর এবার মেয়ের মা হয়েছেন তিনি।

পরী লিখেছেন, আমার মেয়ে এলো ঘরে। আমার মেয়ে, সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। এই নামেই বিশ্ব চিনবে ওকে। ছেলের পরে মেয়ে! কী যে আনন্দ! পৃথিবীতে আসার ছদিন হলো ওর। আমার ঘরে ছেলের পাশে আলো হয়ে আছে। আমি ওকে দত্তক নিয়েছি। নিয়ম মেনে সই করার সময় মনে হলো আল্লাহ আবার আমার জন্য কিছু করলেন। জীবনে কোনোদিন কিছু নিয়ম অনুযায়ী বা পরিকল্পনা করে করিনি আমি। তাই আল্লাহ আমার জন্য যা যা চেয়েছেন, তাই মাথা পেতে নিয়েছি। ও পরীর মতোই আমার কোলে চলে এলো। কোলে যখন নিই, মনে হয় আমার নাভি কেটেই ও এসেছে। ওর ছবি এখন দিচ্ছি না। কেউ রাগ করবেন না! মা তো...আর কিছু দিন যাক।

তিনি লিখেছেন, ছেলে আসার পর থেকে বাড়ি ও বাইরের সব দায়িত্ব নিজে সামলাচ্ছি। কী করে যে পারি! ছবির কাজ একটানা করতে পারছি না। কিন্তু আমাকে তো এবার আরও কাজ করতে হবে, ছেলে আর মেয়ের জন্য। খুব শিগগিরি ‘প্রীতিলতা’র কাজ শেষ করতে হবে। ওটা আগে করতে চাই। সেই জন্য আগের চেহারায় ফিরতে হবে।

পরীমণি আরও বলেন, আমি যা মন থেকে চাই তাই করি। কে কী বলল সে সব নিয়ে কোনও দিন ভাবিনি। কে বলেছে বাবা ছাড়া সন্তান মানুষ করা যায় না? কে বলেছে জন্ম দেওয়া বাবা-মা ছাড়া সন্তান মানুষ হয় না? এই সব নিয়ম সমাজের তৈরি। এই তো আর কয়েক দিনের মধ্যেই মাতৃ দিবস নিয়ে হইচই হবে। কিন্তু সেখানেও তো পিতৃতন্ত্রের আদলে তৈরি করা মেয়েদের জয়গান। এ সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে কাজ আর সন্তানদের নিয়ে বাঁচব আমি। এখন রাতের দিকে সব শান্ত হয়ে আসার পরে এক দিকে ছেলে আর এক দিকে ঘুমন্ত মেয়ের মাঝে যখন চোখ খুলে দেখি তখন মনে হয় পরীমণির আকাশটা বড় হয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, হাতে একগুচ্ছ কাজ পরীমণির। ব্যস্ত রয়েছেন টলিউডের একটি ছবি নিয়ে। ‘ফেলু বক্সী’ নামের একটি ছবিটিতে কাজ করছেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে আছেন সোহম চক্রবর্তী ও মধুমিতা সরকার। এটি নির্মাণ করছেন দেবরাজ সিনহা।

পরীমণি   অভিনেতা শরিফুল রাজ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

রায় শুনে যা বললেন নায়ক সোহেল চৌধুরীর মেয়ে লামিয়া

প্রকাশ: ০৪:১২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন, ৬ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া অপর আসামিরা হলেন, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

এদিকে এ রায় শুনে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সোহেল চৌধুরীর কন্যা লামিয়া চৌধুরী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন,.আমার বাবা তো ফেরত আসবে না। উনারা (অপরাধীরা) যেটা করেছেন, সেটার জবাব উনাদেরই দিতে হবে। উনাদের যাবজ্জীবন হোক কিংবা যেটাই হোক বাবার মৃত্যু আমার জীবনে যে প্রভাব ফেলেছে, সেটা কোনোভাবেই পরিবর্তন হবে না। রিয়েলিটি নিয়েই আমাকে থাকতে হবে। এখন তাদের বিচারে আমাদের কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি, হবেও না।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালে মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই বছরই আসামি আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে রিট করেন। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

পরে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়।

নায়ক সোহেল চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বলিউড ভাইজান সালমানের বিপরীতে রাশমিকা মান্দানা

প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গুঞ্জন সত্যি হলো। আর সারপ্রাইজ নয় অবশেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চলে আসলো। বলিউডের নতুন জুটি হতে যাচ্ছেন বলিউড ভাইজান সালমান খান ও দক্ষিণ ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। 

সালমান খানের পরবর্তী সিনেমা ‘সিকান্দার’-এ অভিনেতার বিপরীতে দেখা যাবে দক্ষিণের এই তারকাকে। সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা প্রযোজিত এবং এ আর মুরুগাদোস পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী বছরের ঈদে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) সকালে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। যেখানে সালমান আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলেন।

এরপর রাশমিকার নাম প্রকাশ করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পোস্ট শেয়ার করে ক্যাপশনে এই নায়িকা লিখেছেন, ‘অনেকদিন ধরেই সবাই আমার নতুন কাজের খবর জানতে চেয়েছিলেন। খবর ছিল না দেখে আমি কিছুই জানাতে পারছিলাম না। এবার জানাচ্ছি। আপনাদের জন্য এটাই ছিল বড় চমক। ‘সিকান্দার’-এ আমি সালমান খানের বিপরীতে কাজ করছি। এমন একটি দুর্দান্ত কাজে আমাকে যুক্ত করার জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং সম্মানিত।’ সিনেমার শুটিং শুরু হবে এ বছরের শেষের দিকে। 

বর্তমানে রাশমিকা তার ‘পুষ্পা ২’ সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই সিনেমার কাজ শেষ হওয়ার পরেই তার নতুন সিনেমার শুটিং শুরু হবে।

 


বলিউড   রাশমিকা মান্দানা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন