নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ১১ জুলাই, ২০১৯
বাবার বাড়িতে ঘরে ঢুকে দুই সন্তানের জননী এক বিধবাকে নিপীড়ন করেছে ইকবাল হোসেন (৩০) নামে দুই কন্যাসন্তানের জনক। বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে ইকবাল হোসেনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেন উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ধেরুয়াহাটি গ্রামের আলীমুদ্দিনের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধুনট থানা থেকে আদালত ইকবাল হোসেনকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্র থেকে জানা যায়, ধেরুয়াহাটি গ্রামের দুই সন্তানের জননী এক বিধবাকে একই গ্রামের ইকবাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিযে আসছে। কিন্তু প্রেমে সাড়া না পেয়ে তাকে দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে ইকবাল। ওই নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি ইকবালের পরিবারকে জানানো হয়। এতে ওই নারীর ওপর ক্ষুব্ধ হয় ইকবাল।
গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইকবাল হোসেন ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কৌশলে পালিয়ে যায় ইকবাল।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে ধুনট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় ইকবাল হোসেন ও তার ভাই আল-আমিন এবং আল মাহমুদকে আসামি করা হয়েছে
ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেছেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে। তথ্য প্রমান হাতে আসলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলা ইনসাইডার/বিকেডি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন