ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্ব কাঁপিয়েও বিশ্বকাপ জোটেনি যাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১২ জুলাই, ২০১৯


Thumbnail

যুগে যুগে ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছে অনেকে। কেউ ব্যাট হাতে, কেউ বল হাতে। কেউ ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছে সব পেয়ে, কেউ বা বিদায় নিয়েছে খালি হাতে। বিশ্ব কাঁপিয়েও বিশ্বকাপের সান্নিধ্য পায়নি এমনও রয়েছেন অনেক। যাদের ছোঁয়া না পেয়ে অতৃপ্ত খোদ ট্রফি নিজেই।

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সম্মানের এই ট্রফি না পেয়েই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন অনেক কিংবদন্তি। ক্রিকেটবিশ্ব দাপিয়ে বিশ্বকাপ জোটেনি এমন কিছু ক্রিকেট কিংবদন্তিকে নিয়ে আজকের প্রতিবেদন। 

গ্রাহাম গুচ (ইংল্যান্ড)

১৯৭৬ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ১২৫ ওয়ানডে খেলেছেন ইংল্যান্ডের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন তিনি। ১৯৯২ সালে দলের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারই পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে তাঁকে।

ইয়ান বোথাম (ইংল্যান্ড)

ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম। কিন্তু একবারও বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখা হয়নি তাঁর। বল হাতে প্রতিপক্ষের ত্রস ছিলেন তিনি। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচে ১৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই পেসার। লোয়ার মিডেল অর্ডারে ব্যাটিং করে দলকে বড় রান সংগ্রহে অবদান রাখতেন তিনি।

ওয়াকার ইউনিস (পাকিস্তান)
পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলার ওয়াকার ইউনিস। বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত, ওয়ানডে ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি পাঁচ উইকেট পাওয়া একমাত্র বোলার তিনি। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পাকিস্তান শিরোপা ঘরে তুললেও ফাইনালে ম্যাচের আগে ইনজুরিতে পড়ে দল থেকে ছিটকে পড়েন ওয়াকার। বিশ্বকাপ জেতা হয়নি তাঁর। ১৯৯৯ সালে আবারও ফাইনালে পাকিস্তান জায়গা করে নিলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরাজিত হতে হয় তাদের।

সৌরভ গাঙ্গুলি (ভারত)

১৯৯৯-২০০৭ পর্যন্ত ভারতের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছিলেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। ২০০৩ সালে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের সেই আসরে একাই তিনটি শতক হাঁকিয়েছিলেন এই বাঁহাতি। সেইবার তাঁর অধীনে ভারত ফাইনালে উঠলেও শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি।

ব্রায়ান লারা (উইন্ডিজ)

টেস্ট ক্রিকেটে উইন্ডিজ সাবেক অধিনায়ক ব্রায়ান লারার রেকর্ড সকলেই জানা। তবে উইন্ডিজ এই কিংবদন্তী ওয়ানডে ফরম্যাটেও ছিলেন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান। একদিনের ক্রিকেটে দশ হাজারেরও বেশি রান রয়েছে তাঁর। উইন্ডিজের হয়ে ২৯৯ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে পাঁচবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একবারও ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি তাঁর।

ল্যান্স ক্লুজনার (দক্ষিণ আফ্রিকা)

আফ্রিকান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন ল্যান্স ক্লুজনার। ব্যাটে বলে দুর্দান্ত এই ক্রিকেটার বিশ্বকাপ জিততে পারেননি একবারও। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে তাঁর সামর্থ্য দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু সেমিফাইনালে গিয়ে বাদ পড়তে হয়েছে তাঁদের। ১৭১ ওয়ানডে খেলা এই অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে রান নিয়েছেন ৪১ গড়ে সাড়ে তিন হাজারের ওপর রান। বল হাতে ২৯ গড়ে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৯২টি।

জ্যাক ক্যালিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)

ল্যান্স ক্লুজনারের পরে আসে আরেক দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসের নাম। ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৭৩ উইকেট এবং ১১ হাজার রান রয়েছে তাঁর। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সানাথ জয়সুরিয়ার পর একমাত্র অলরাউন্ডার ক্যালিস যিনি কিনা দশ হাজার রান এবং ২৫০ উইকেটের মালিক। কিন্তু বিশ্বকাপ শিরোপা একবারও জিততে পারেননি তিনিও।

কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা)

২০১৫ সালের বিশ্বকাপেই নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যর প্রমাণ দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা। গত বিশ্বকাপে আসরে চারটি শতক হাঁকিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে শচিন টেন্ডুলকারের পর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। কিন্তু এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান একবারও বিশ্বকাপের শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেননি।

এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সও জিততে পারেননি কোন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫৩.৫০ গড়ে রান সংগ্রহ করেছেন এই ব্যাটসম্যান। ৩১ বলে উইন্ডিজদের বিপক্ষে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুততম শতকটি হাঁকিয়েছেন তিনি।

শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের কিংবদন্তী শহীদ আফ্রিদি দলের হয়ে ৩৯৮ ওয়ানডে খেলেছেন। ১৯৯৯ সালে দ্রুততম শতকের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। তাঁর গড়া ৩৭ বলের সেই শতকটি ভেঙ্গেছেন ভিলিয়ার্স। ব্যাট হাতে আট হাজারের বেশি রান সংগ্রহ করেছিলেন আফ্রিদি। লেগ স্পিন দিয়ে প্রতিপক্ষকে কাবু করতে বেশ পটু ছিলেন তিনি। তাঁর নামের পাশে রয়েছে ৩৯৫টি উইকেট। বিশ্বকাপের শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি তাঁরও।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হাজার কোটি টাকায় নতুন রূপে সাজবে লর্ডস

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক মাঠ ক্রিকেটের তীর্থভূমিতে রয়েছে ক্রিকেটের হাজার হাজার রেকর্ড। এই স্টেডিয়ামের সংস্কারের পরিকল্পনার নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নতুন রূপে সাজতে খরচ হতে পারে প্রায় হাজার কোটি টাকা

ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (বিবিসি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুনরায় লর্ডসের সংস্কার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন এই সংস্কার কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৮ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯০৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বাড়ানো হবে আসন সংখ্যা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আরও ১ হাজার ১০০ আসন বাড়তে পারে। ভেঙে দেওয়া হতে পারে বর্তমানের অ্যালেন স্ট্যান্ড। এক তলা বাড়িয়ে করা হবে পুনর্নির্মাণ। একই সঙ্গে চতুর্থ স্তর বসানো হবে ভার্ন স্ট্যান্ডের ওপর।

ক্রিকেটের আইন প্রণেতা মেরিলবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) বলছে, পুনঃসংস্কারে অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হচ্ছে। ক্লাবটির সদস্যদের ভোটে গত সপ্তাহে পাশ হয় পুনর্নির্মাণ প্রকল্প। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চলতি বছর সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়ার কথা লডর্সের পুনর্নির্মাণ কাজ।

চলতি বছরের শুরুতে লর্ডস ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানায় মিডলসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব। এ ক্লাবটি মূলত ক্রিকেটের আইন প্রণেতা এমসিসির অধীনে পরিচালিত হয়।

এর আগে ২০২১ সালে লর্ডসের কম্পটন ও এদরিচ স্ট্যান্ড পুনঃসংস্কার করা হয়। তখন ব্যয় হয়েছিল ৫ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭৭৬ কোটি ৫ লাখ টাকা।


ইংল্যান্ড   ক্রিকেট মাঠ   লর্ডস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টি সিরিজ: সন্ধ্যায় জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:৫২ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আজ শুক্রবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। চতুর্থ এই ম্যাচটি মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। যে কারণে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই এই সিরিজ খেলছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে সিরিজে সবচেয়ে বড় আলোচনায় দলের টপ অর্ডার। লিটন দাস-শান্তরা রান খরায় ভুগছেন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য পেসার তাসকিন আহমেদ বলছিলেন, ‘ব্যাটিং বা বোলিং যেদিনই খারাপ হয় বাইরের সমর্থক বা বাইরের যারাই আছেন, সবার থেকে বেশি হতাশ কিন্তু আমরা হই। কারণ, দিন শেষে আমাদেরই খেলতে হয় এবং আমরা কিন্তু ধারাবাহিকভাবে কাজ করেই যাচ্ছি যে কীভাবে আমাদের ব্যাটিং-বোলিং আরও উন্নতি করা যায়।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলে আবার মিথ্যা আত্মবিশ্বাস যোগ হচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নে তাসকিন বলেন, 'আসলে ফেইক (মিথ্যা) কনফিডেন্স নয়। ভালো করলে যেকোনো জায়গায়ই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। হ্যাঁ, হয়তো আমরা জানি না যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন কেমন হবে। ড্রপ ইন উইকেটে খেলা হতে পারে। আমাদের বেশির ভাগ খেলোয়াড়েরই যুক্তরাষ্ট্রে খেলার অভিজ্ঞতা কম। ওইভাবে মানিয়ে নিতে হবে।'



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্রীড়াঙ্গনে নতুন বিস্ময়, আসছে ‘বিশ্ব ফুটবল দিবস’

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা কোনটি? এমন প্রশ্নের জবাবে যে কেউ খুব সহজেই ‘ফুটবল’ নামটি সবার আগে বলবে। আর তাই এবার সেই ফুটবলের জন্য বিশেষ দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। আর এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন এক বিস্ময়।

জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র যেখানে ১৯৩টি। সেখানে ফিফার সদস্য ২১১ টি দেশ। এমনই তুমুল জনপ্রিয় আর সর্বজনবিদিত এই খেলার জন্য এবার মে মাসের ২৫ তারিখ বিশ্ব ফুটবলের দিবস ঘোষণা করেছে।

ইএসপিএনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সদস্যদেশগুলোর ভোটে চলতি বছর থেকে বিশ্ব ফুটবল দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ফুটবল দিবস হিসেবে ২৫ মে নির্ধারণ করার পেছনেও আছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব। ১৯২৪ সালের একই তারিখে মেতে প্যারিসে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ফুটবল ইভেন্ট শুরু হয়েছিল। সেটি ছিল ফুটবলে বিশ্বের সব অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব থাকা প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। এমন ঐতিহাসিক দিবসের ১০০ বছর পূর্তিতে পালন করা হবে বিশ্ব ফুটবল দিবস।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্ব ফুটবল দিবসের রেজল্যুশন উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে লিবিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি তাহের এল-সনি। রেজ্যুলেশন উপস্থাপনায় তিনি বলেন, এটি নিছক একটি খেলার চেয়েও বেশি কিছু, যা সব বয়সীরা রাস্তায়, গ্রামে, স্কুলে এবং পল্লিতে আনন্দের জন্য ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে খেলে থাকে।

তিনি বলেন, 'বিশ্বের খেলাধুলা অঙ্গনে ফুটবলের ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থান’ আছে। ‘জাতীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক-অর্থনৈতিক বাধা কাটিয়ে ফুটবল বিশ্বজুড়ে সর্বজনীন ভাষা হিসেবে কাজ করে।’

রেজ্যুলেশনে ফুটবলের বৈশ্বিক পরিধি এবং  বাণিজ্য, শান্তি ও কূটনীতির মতো বিভিন্ন সামাজিক খাতে এর প্রভাবকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। সেইসঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে ফুটবলের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ফুটবলের উন্নয়ন ও প্রসারে খেলার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার মূলনীতি এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয় ফুটবল সংস্থার কার্যক্রমের কথা উল্লেখ ছিল সেই রেজ্যুলেশনে। 

ডেনিস ফ্রান্সিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদে ১৯৩টি সদস্যদেশ সর্বসম্মতিক্রমে ২৫ মে বিশ্ব ফুটবল দিবসের পক্ষে ভোট দেয়। বিশ্ব ফুটবল দিবসের রেজল্যুশনে সব দেশ, জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, একাডেমিয়া, সুশীল সমাজ এবং প্রাইভেট সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিশ্ব ফুটবল দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়।


ক্রীড়াঙ্গন   বিস্ময়   ‘বিশ্ব ফুটবল দিবস’  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে লঙ্কানদের তারকায় ঠাসা স্কোয়াড

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার বড় চিন্তার নাম ছিল ইনজুরি। আইপিএলে নাম লিখিয়েও খেলেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আবার মাথিশা পাথিরানা টুর্নামেন্টের মাঝপথে এসে বিদায় জানিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসকে। তবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ঠিকই দেখা গেল দুই তারকাকে। নিজেদের সেরা সব তারকাকেই বিশ্বকাপের জন্য জড় করেছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। 

শক্তিশালী এই স্কোয়াডে অভিজ্ঞতার পুরো মূল্যায়নই করেছে লংকান ক্রিকেট বোর্ড। অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাশুন শানাকা, দুশমান্থ চামিরাদের নিয়ে শক্ত স্কোয়াড দাঁড় করিয়েছে তারা। রিজার্ভেও আছে ভানুকা রাজাপাকসের মতো হার্ডহিটার আর বিজয়কান্থ বিশ্বকান্থের মতো রহস্যময় স্পিনার। 

যথারীতি দলের অধিনায়ক থাকছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আর সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন চারিথ আসালাঙ্কা। নিজের ৬ষ্ঠ আসরে খেলতে যুক্ত হচ্ছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। পুরো দলে সাবেক আর বর্তমান অধিনায়কদের মেলাই বসিয়েছে দলটি। সাবেক অধিনায়কদের মধ্যে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের পাশাপাশি আছেন দাশুন শানাকা। এছাড়া বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস আর বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও আছেন বিশ্বকাপের দলে।  

পুরো দলে চমক বলতে গেলে দুনিথ ভেল্লালাগে। ২১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার জাতীয় দলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেননি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করে জায়গা পেয়ে গিয়েছেন নুয়ান থুসারাও। তিনি যাচ্ছেন ৮ টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। 

এবারের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে নিজেদের প্রবল এই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের। গ্রুপ-ডি তে লঙ্কানরা আছে টাইগারদের সঙ্গেই। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কার গ্রুপেও আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। জুনের ৩ তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে পরের ম্যাচ ৮ জুন। এরপর ১২ জুন নেপাল ও ১৭ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে দলটি। 


বিশ্বকাপ   তারকা   স্কোয়াড   শ্রীলঙ্কা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হোসেলু ম্যাজিকে ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

প্রকাশ: ০৯:৪৬ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

চ্যাম্পিয়নস লীগে রিয়ালের ম্যাচ মানেই যেন নাটকীয়তা। আর এই নাটকীয়তার আরেকবার প্রমাণ দিল ‘দ্য গ্যালাক্টিকো’রা। বৃহস্পতিবার (৯ মে) চ্যাম্পিয়নস লীগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিথকে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ২-১ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা। ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও শেষ ৩ মিনিটে হোসেলুর করা ২ গোলে শেষ পর্যন্ত ফাইনালের পথে পা দেয় রিয়াল।

এতে দুই লেগ মিলিয়ে বায়ার্নকে ৪:৩ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল নিশ্চিত করে রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী ১ জুন যুক্তরাজ্যের ওয়েম্বলি স্টোডিয়ামে ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।

তবে, এ ম্যাচটা এগোচ্ছিল অনেকটা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বনাম মানুয়েল নয়্যার লড়াইয়ের আবহে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল দুজনের একজন হতে যাচ্ছেন ম্যাচের নায়ক। তবে ভিনিসিয়ুস বা নয়্যার নন, রিয়াল-বায়ার্ন চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল দ্বিতীয় লেগের নায়ক বদলি নামা হোসেলু।

৩৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারই এক গোলে পিছিয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদকে ৩ মিনিটের মধ্যে এনে দিয়েছেন দুই গোল। শেষ দিকের মহামূল্যবান যে দুটি গোল রিয়ালকে তুলে দিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।

ম্যাচের ৬৮ তম মিনিটে আলফানসো ডেভিসের করা দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। এতে আশায় বুক বাধে বায়ার্ন সমর্থকরা। কিন্তু তারও ছিল শঙ্কা। কেননা বরাবরই শেষ মুহুর্তে যে কোন কিছু ঘটাকে অভ্যস্ত রিয়াল। এর আগেও ২০২১-২২ মৌসুমের সেমিফাইনালে শেষ ১০ মিনিটের করা ৩ গোলে ম্যান সিটিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল দলটি। এবারও ঠিক হলো তাই।

ম্যাচের ৮১ মিনিটে ভালভার্দের বদলি হিসেবে নামেন হোসেলু। আর মাঠে নেমেই ৮৮ মিনিটে রিয়ালকে ঘুরে দাঁড়ানোর সেই মুহূর্তই এনে দেন হোসেলু। ভিনিসিয়ুসের শট সোজাসুজি হাতেই পেয়েছিলেন বায়ার্ন গোলকিপার নয়্যার। কিন্তু এর আগ পর্যন্ত চারটি গোলের সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দেওয়া নয়্যার এ দফায় বল হাত ফসকে ফেলেন। সুযোগসন্ধানী হোসেলু খুব কাছে থাকায় বল জালে জড়াতে একদমই ভুল করেননি।

পরের গোলটি আসে ৯১তম মিনিটে। তাও নাটকীয়ভাবে। নাচোর কাছ থেকে পাওয়া বল আন্টনি রুডিগার বাড়ান হোসেলুর দিকে, যিনি বল জালে জড়িয়ে উল্লাস শুরু করতে না করতেই অফসাইডের পতাকা তোলেন রেফারি। তবে ভিএআর চেকে দেখা যায় রুডিগার-হোসেলু দুজনই অনসাইডে ছিলেন। পুরো রিয়াল মাদ্রিদ ডাগআউট গোলের আনন্দে মাঠে ঢুকে পড়ে। হোসেলু হয়ে ওঠেন উৎসবের মধ্যমণি।

অথচ ম্যাচের প্রথম ভাগ এবং দ্বিতীয়ার্ধের বড় অংশজুড়ে একের পর এক আক্রমণ করেও গোলের দেখা মিলছিল না রিয়ালের। ঝাঁপিয়ে পড়লেও কিছুই করার ছিল না লুনিনের। তবে শেষ পর্যন্ত রিয়ালকে ওই গোল হজমের স্তব্ধতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়নি। কারণ, শেষ দিকে একজন হোসেলু ছিলেন মাঠে!


চ্যাম্পিয়নস লীগ   সেমিফাইনাল   রিয়াল   বায়ার্ন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন