ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাড়তি ওজন নিয়েও বাইশ গজ কাঁপিয়েছেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:২৪ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে সচেতনতা ইদানিং খুব বেশি দেখা গেলেও পূর্বে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ছিল খুবই বাজে। বিশাল দেহ আর পেট নিয়েও অনেকে ২২ গজে দাপট দেখিয়েছেন। তাদের এই স্থূলাকার শরীর ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত না হলেও দিব্যি ব্যাট-বল নিয়ে খেলে গেছেন বছরের পর বছর।

এদের মধ্যে বাড়তি ওজনকে কেউ কেউ তোয়াক্কা না করে যেমন জিতেছেন বিশ্বকাপ। তেমনি কেউ বা রেকর্ড গড়েছেন রানের বন্যা বইয়ে। ক্রিকেট ইতিহাসের তেমনি বিশাল বপুর ক্রিকেটারদের নিয়ে আজকের প্রতিবেদন। যাদের ভুড়ি কিংবা বাড়তি ওজন দমিয়ে রাখতে পারেনি বাইশ গজে।

ডোয়াইন লেভেরক (বারমুডা)

তিনি ক্রিকেট মাঠের বিখ্যাত এক ‘মোটা’। বিশালদেহী এই ক্রিকেটারকে অবশ্য খুব অল্প সময়ের জন্য দেখেছে বিশ্ব ক্রিকেট। ২০০৭ বিশ্বকাপে নামিবিয়া দলের হয়ে এসেছিলেন তিনি। গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বিশাল ১২৭ কেজি ওজনের শরীর নিয়ে স্লিপে ঝাঁপ দিয়ে রবিন উথাপ্পার অবিস্মরণীয় এক ক্যাচ ধরে আলোচিত হন ডোয়াইন লেভেরক। বাস্তব জীবনে তিনি নাকি একজন জেলার – মানে জেলখানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা।

রমেশ পাওয়ার

আধুনিক ক্রিকেটে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস বরাবরই দারুণ। যদিও, এই তালিকায় ব্যতিক্রম রমেশ পাওয়ার। ভারতীয় এই স্পিনার কিছুদিন জাতীয় দলেও খেলেছেন বিশাল শরীর নিয়ে। সব সময় সানগ্লাস পরে বোলিং করতেন। ওজন আর এই সানগ্লাস বাদে তাঁকে মনে রাখার মত আর কোনো কারণ নেই। খেলোয়াড়ী জীবন শেষ করে এখন তিনি পুরোদস্তর কোচ বনে গেছেন।

অর্জুনা রানাতুঙ্গা

শ্রীলঙ্কার তো বটেই, ক্রিকেটের ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা একজন অধিনায়ক তিনি। বাড়তি ওজন রানাতুঙ্গার ক্যারিয়ারে কখনোই বাঁধা হয়নি। বরং সাহসী ব্যাটিং ও নেতৃত্বগুন দিয়ে তিনি ১৯৯৬ সালে তিনি শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দেন। খেলোয়াড়ী জীবন হিসেবে ক্রিকেট প্রশাসন সামলেছেন। এখন ব্যস্ত রাজনীতিতে।

ইনজামাম উল হক

ক্রিকেট ইতিহাসে মোটাদের মধ্যে তিনিই সেরা। সাবেক এই পাকিস্তানি অধিনায়ক ছিলেন অলস ব্যাটিং আভিজাত্যের অপর নাম। পাকিস্তানের হয়ে জিতেছেন ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ। অকল্যান্ডের সেমিফাইনালে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৩৭ বলে ৬০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। ওয়ানডেতে এখনো তিনি পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। টেস্টে রানের দিক থেকে তাঁর আগে আছেন কেবল ইউনুস খান ও জাভেদ মিয়াঁদাদ। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে এখন এখন বোর্ডের চাকরি করেন ইনজি।

সামিট প্যাটেল (ইংল্যান্ড)

বাড়তি ওজন সব সময় ভাল নয়। ইংল্যান্ড দলে খেলা সামিত প্যাটেল মোটামুটি কার্যকর একজন স্পিনিং বোলিং অলরাউন্ডার ছিরেন। কিন্তু, ফিটনেসের ইস্যুতে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। ২০১১ বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। যদিও, এখনো কাউন্টি খেলেন, খেলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট।

আকরাম খান (বাংলাদেশ)

তাঁকে কে না চেনে! বাংলাদেশের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী অধিনায়ক আকরাম খান ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় জুড়েই বিশাল বপু নিয়েই খেলেছেন। শরীরের বাড়তি মেদ কখনোই আলোচনায় আসেনি ব্যাট হাতে পারফরম্যান্সের জন্য। দু’টি বিশ্বকাপ তিনি খেলেছেন বাংলাদেশের হয়ে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন বোর্ড পরিচালক হিসেবে।

মার্ভ হিউজ (অস্ট্রেলিয়া)

দশাসই একটা গোঁফ আর লাগামহীন মুখ – অস্ট্রেলিয়ান এই পেসারকে ব্যাখ্যা করতে এটুকুই যথেষ্ট। তিনি ছিলেন স্লেজিং শিল্পী। ক্রিকেট মাঠে স্লেজিং তাঁর হাত ধরেই নতুন এক মাত্রা পায়। পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ একবার তাঁকে বলেছিলেন, ‘মার্ভ, ইউ আর আ বিগ, ফ্যাট বাস কন্ডাক্টর।’ কয়েক বল পরেই মিয়াঁদাদ আউট হয়ে গেলেন। আউট হয়ে যখন মাঠ ছাড়ছেন তখন মার্ভ সামনে এসে বললেন, ‘টিকিট প্লিজ।’

রাহকিম কর্নওয়াল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

সাড়ে ছয় ফিট উচ্চতা। ওজন ১৪০ কেজি। এই বিশাল দেহী ক্রিকেটার রাহকিম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক প্রস্তুতি ম্যাচে ৫৯ রান করে আলোচনার ঝড় তুলেছিলেন। অ্যান্টিগার এই তরুণের নাম হয়ে যায় ‘মাউন্টেন ম্যান’। যদিও, এখন অবধি ক্যারিবিয়ানদের জাতীয় দলে খেলা হয়নি তাঁর। যদিও, ক’দিন আগেই খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের হয়ে ভারতের ‘এ’ দলের বিপক্ষে।

শিগগিরই তিনি ক্যারিবিয়ানদের হয়ে খেলে ফেললে অবাক হওয়ার কিছু থাকছে না। কারণ, ভারতের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন তিনি। তাঁর মূল পরিচয় হল তিনি একজন অফ স্পিনার। এর সাথে ব্যাটিংও পারেন দারুণ। ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ৫৫ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে পেয়েছেন ২৬০ টি উইকেট।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিলামের আগেই আইকন হিসেবে দল পেলেন মুস্তাফিজ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরেই আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। যা চলবে ২৯ জুন পর্যন্ত।

আর এই বৈশ্বিক আসরের দুদিন পরেই শ্রীলংকায় গড়াবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল)। আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া এ আসরের আগে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। তবে নিলামের আগেই আইকন ক্রিকেটার হিসেবে মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে ভিড়িয়েছে ডাম্বুলা থান্ডার্স।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুস্তাফিজকে দলে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডাম্বুলা। ফ্যাঞ্চাইজিটি লিখেছে, ‘বিদেশি আইকন ক্রিকেটার হিসেবে মুস্তাফিজকে পরিচিত করে দিতে পেরে ডাম্বুলা থান্ডার্স গর্বিত।’

সম্প্রতি ডাম্বুলার মালিকানায় পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ইম্পেরিয়াল স্পোর্টস গ্রুপ এই ফ্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা কিনেছে। শ্রীলংকার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির গত আসরে রানার্সআপ হওয়া ডাম্বুলা অরা এখন নাম বদলে ডাম্বুলা থান্ডার্স।

এলপিএলের পরবর্তী আসর শুরু হবে আগামী ১ জুলাই। আর ২১ জুলাই ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে আসরটির।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, নেই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরেই আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। কুড়ি ওভারের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের নবম আসরে এবার অংশ নিচ্ছে ২০টি দল। যার মধ্যে ১৭টি দল ইতোমধ্যেই নিজেদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। বাকি ছিল নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

তবে এবার বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। সোমবার আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য তরুণ ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দিয়ে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। ফলে বাদ পড়েছেন অলরাউন্ডার রোয়েলফ ফন ডার মারওয়ে ও ব্যাটার কলিন অ্যাকারম্যানের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। তাদের পরিবর্তে বাঁহাতি স্পিনার টিম প্রিঙ্গেল, তরুণ পেসার কাইল ক্লেইন এবং হার্ড-হিটিং ওপেনার মাইকেল লেভিটকে বেছে নিয়েছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে নেপালে খেলা একটি টি-২০ ত্রিদেশীয় সিরিজে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে একটি ঝলমলে সেঞ্চুরি করেছিলেন লেভিট। ৬২ বলে ১১টি চার ও ১০টি ছক্কায় খেলেছিলেন ১৩৫ রানের ইনিংস।

নিয়মিত অধিনায়কের ভূমিকায় আবারো নেদারল্যান্ডসকে নেতৃত্ব দেবেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার স্কট এডওয়ার্ডস। তারকা অলরাউন্ডার বাস ডি লিডে ডাচ দলের প্রধান খেলোয়াড়।

দল নিয়ে প্রধান কোচ রায়ান কুক বলেছেন, ‘আমরা একটি সুন্দর ভারসাম্যপূর্ণ দল নির্বাচন করতে পেরেছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যে কন্ডিশনে মুখোমুখি হব তাতে পারফর্ম করতে সক্ষম হব।’

বিশ্বকাপে এবার বাংলাদেশের গ্রুপে পড়েছে নেদারল্যান্ডস। যেখানে তাদের সঙ্গে আরো রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, এবং নেপাল। আগামী ৪ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ডাচদের বিশ্বকাপ। তাদের ম্যাচটি গড়াবে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে।

নেদারল্যান্ডসের টি-২০ বিশ্বকাপের স্কোয়াড: স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), আরিয়ান দত্ত, বাস ডি লিড, ড্যানিয়েল ডোরাম, ফ্রেড ক্লাসেন, কাইল ক্লেইন, লোগান ফন বেক, ম্যাক্স ও’দৌদ, মাইকেল লেভিট, পল ফন মিকারেন, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, তেজা নিদামানুরু, টিম প্রিঙ্গেল, বিক্রম সিং, ভিভ কিংমা এবং ওয়েসলি বারেসি।


নেদারল্যান্ডস   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার কোপায় আলবিসেলেস্তেদের স্কোয়াড যেমন হবে

প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে লাতিন ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের শীর্ষ টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আর সবমিলিয়ে এবার প্রশ্ন উঠেছে কেমন হবে আলবিসেলেস্তাদের কোপার স্কোয়াড।

টুর্নামেন্টের ১৫বারের শিরোপাজয়ীদের লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা। সেভাবেই প্রস্তুত হচ্ছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। এখনো স্কোয়াড ঘোষণা করেনি বিশ্বজয়ীরা। দেরি হওয়ার মূল কারণ কয়েকজন ফুটবলারের ইনজুরি।

কোপা আমেরিকার স্কোয়াড ঘিরে নানা জল্পনা-কল্পনার মাঝে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির জনপ্রিয় গণমাধ্যম টিওয়াসি স্পোর্টস। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বকাপজয়ী ৭ ফুটবলারকে দলে নিয়ে আসছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। এর মধ্যে রয়েছেন রদ্রিগো ডি পল, আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্দেজ, এজেকুয়েল প্যালাসিওস, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, জিওভান্নি লো সেলসো এবং অবশ্যই লিওনেল মেসি।’

আর গোলকিপার হিসেবে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ফ্রাঙ্কো আরমানি এবং ওয়াল্টার বেনিতেজের সঙ্গে বিবেচনায় আছেন জেরোনিমা রুল্লি। রক্ষণে থাকতে পারেন ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওতামেন্দি, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, জার্মান পাজেল্লা, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, নাহুয়েল মলিনা ও মার্কাস আকুনা। আর মিডফিল্ডে থাকতে পারেন এনজো ফার্নান্দেজ, আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, রদ্রিগো ডি পল, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, জিওভান্নি লো সেলসো এবং এজেকুয়েল প্যালাসিওস, গুইডো রদ্রিগেজ।

আক্রমণভাবে লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার সঙ্গে থাকতে পারেন লাউতারো মার্টিনেজ, হুলিয়ান আলভারেজ, পাওলো দিবালা, নিকো গঞ্জালেস এবং আলেহান্দ্রো গারনাচো।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   কোপা আমেরিকা   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লিটন-সৌম্য: বিশ্বকাপে কে হবেন তামিমের সঙ্গী?

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। তবে ইদানিং যেন দুঃসময়ের ঘোর থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না তিনি।
 
সর্বশেষ টাইগারদের ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজে সুযোগ পাওয়া প্রথম তিন ম্যাচে লিটন দাসের রান ছিল যথাক্রমে- ১, ২৩, ১২। টানা অফ ফর্মে থাকা এই ওপেনার এমন পারফরম্যান্সের কারণে পরের দুই ম্যাচের একাদশেই ছিলেন না। তার জায়গায় তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করেছেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার।

আর লিটনের এমন বাজে ফর্মের কারণে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একাদশ থেকে লিটন বাদ পড়েছেন কি না, এমন প্রশ্ন উঠেছে। ফলে দলে তার জায়গা নিয়েও চলছে নানা গুঞ্জন।

তবে গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচের পর টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। শান্ত বলেছেন, ‘আমাদের টপ অর্ডারে ভালো ব্যাটিং করার সামর্থ্য আছে। আমরা এই সিরিজে সব কিছু ট্রাই করেছি। এটা পরিকল্পনাই ছিল লিটনকে দুটি ম্যাচ বিরতি দিয়ে সৌম্যকে সুযোগ দেওয়া। ৩ জনেরই একাদশে থাকার সুযোগ আছে, প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে বেছে নেব।’

এরপর তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচেই সিরিয়াস ছিলাম। আমরা কোনো ম্যাচ হারতে চাইনা। আমাদের টপ অর্ডার ভালো শুরু করলে, দল ভালো অবস্থায় থাকবে। ছন্দ সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি বিশ্বকাপের আগে ছন্দ ফিরে পাবে তারা।’

ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট প্রসঙ্গে শান্তর বক্তব্য, ‘আমাদের দেশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হয়। এই জিনিসটাতে সময় দিতে হবে। আমরা যদি লম্বা সময় ধরে ভালো উইকেটে খেলা শুরু করি, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর... তারপর আপনি দেখবেন প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে।’

অধিনায়ক শান্তর এমন বক্তব্যের পর ক্রীড়াঙ্গনে একটা গুঞ্জন উঠেছে যে, এবারের বিশ্বকাপে লিটন হয়তো ধারাবাহিক হবেন না। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, কিছু ম্যাচে লিটনকে খেলানো হতে পারে, আবার কিছু ম্যাচে সৌম্যকে দিয়ে ট্রাই করা হতে পারে।

আর লিটন-সৌম্যের অন্য প্রান্তের প্রশ্ন উঠলে এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে সেখানে তানজিদ তামিমই থাকছেন। কারণ সম্প্রতি সময়ে তার পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মত এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে উড়ন্ত সূচনাও করেছিলেন তিনি। স্ট্রাইক রেটও ছিল ১৪০ এর আশেপাশে। আর এমন পারফরম্যান্সের কারণেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন তামিম ওপেনিংয়ে ফিক্সড থাকছেন। তার সাথে প্রতিপক্ষ বিবেচনায় লিটন বা সৌম্যকে খেলানো হতে পারে।

এদিকে এরই মধ্যে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ১৭টি দল স্কোয়াড প্রকাশ করেছে। তবে বাকি তিনটি দল এখনো তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেনি। আর সেই তিনটি দলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। যদিও আইসিসিকে একটি স্কোয়াডের তালিকা ইতোমধ্যেই পাঠিয়েছে বিসিবি। কিন্তু এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে আজ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা করার কথা থাকলেও, আজ সেটি হচ্ছে না। আর তার কারণ হচ্ছে তাসকিন আহমেদের এমআরআই রিপোর্ট। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টায় বহুল প্রতিক্ষিত বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে। সোমবার দুপুরে এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিসিবির মিডিয়া বিভাগ।

টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাব্য দল:

লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক),  সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, শেখ মাহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন/তানভীর ইসলাম, তাসকিন আহমেদ/হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।


লিটন কুমার দাস   সৌম্য সরকার   বাংলাদেশ   বিসিবি   তানজিদ তামিম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইউনাইটেডকে হারিয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার আর্সেনালের

প্রকাশ: ০২:৫৬ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ইপিএলে জমে উঠেছে শিরোপার লড়াই। রোববার (১২ মে) নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান পুনরায় দখল করেছে গানাররা। এর আগে ফুলহামকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করে ম্যান সিটি।

আর্সেনালের এই জয়ে ৩৭ ম্যাচ খেলে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে তারা। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলা সিটির পয়েন্ট ৮৫।

রোববার (১২ মে) ওল্ড ট্রাফোর্ডে আর্সেনালকে আতিথেয়তা দেয় ম্যান ইউনাইটেড। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে ভালো সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী আর্সেনালকে আটকাতে পারেননি তারা বেশিক্ষন। ম্যাচের ২০ মিনিটেই দারুণ ছন্দে থাকা ট্রোসার্ডের গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। কাই হার্ভাটজের বাড়ানো বলকে দারুনভাবে কাজে লাগান বেলজিয়ান এই উইংগার।

বিরতির আগে ইউনাইটেডের খেলায় মরিয়া ভাব ফুটে ওঠে। ৪৩তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে ডি-বক্সে ঢুকে আলেসান্দ্রো গার্নাচো বাইলাইন থেকে কাটব্যাক করেন। কিন্তু বল তার কোনো সতীর্থের কাছে পৌঁছানোর আগেই রুখে দেন গোলরক্ষক ডেভিদ রায়া।

দ্বিতীয়ার্ধেও চলতে থাকে আক্রমন-পাল্টা আক্রমন। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ইউনাইটেড এবং ৭৯ মিনিটে আর্সেনাল দারুন সুযোগ সৃষ্টি করলেও কেউ জালে বল জড়াতে পারেননি। ফলে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল।

আগামী সপ্তাহে শেষ রাউন্ডে ঘরের মাঠে এভারটনের মুখোমুখি হবে আর্সেনাল। আর শিরোপার আরেক দাবিদার সিটি বাকি দুই ম্যাচ খেলবে টটেনহাম হটস্পার ও ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে। 


ইপিএল   শিরোপা   আর্সেনাল   ম্যান সিটি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন