নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ১৫ অগাস্ট, ২০১৯
মুক্ত ও উদারপন্থীরা সংস্কৃতিপ্রেমী হবেন এটাই স্বাভাবিক। যেমনটি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি ছিল বঙ্গবন্ধুর বিস্তর আগ্রহ। বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী এমনকি অভিনয়শিল্পীদেরও সবসময় উৎসাহ দিতেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প ‘বিএফডিসি’। শুধু প্রতিষ্ঠাই করেননি। বাংলাদেশের একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন হাজার বছরের এই শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধুর অভিনীত ছবির নাম ‘সংগ্রাম’।
চাষি নজরুল ইসলাম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ‘সংগ্রাম’ ছবিতে ছোট্র একটি চরিত্রে দেখা গিয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে। সে সময়ের চিত্রনায়ক কামরুল আলম খান খসরুকে খুব স্নেহ করতেন বঙ্গবন্ধু।
দেশ স্বাধীনের আগে খসরু ছিলেন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তার হাত ধরেই ১৯৬৯ সালে মুসলিম লীগের এনএসএফ গুণ্ডা বাহিনী ঢাকা থেকে উৎখাত হয়েছিল। বীরত্বের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে এরপর তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। স্নেহ করতেন বলেই একদিন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামকে নিয়ে সোজা বঙ্গবন্ধুর কাছে চলে আসেন খসরু। সে সময় চাষী নজরুল ইসলাম নায়ক খসরুকে নিয়ে ‘সংগ্রাম’ ছবি নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এই ছবির চিত্রনাট্যের শেষ দিকে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশের সামরিক বাহিনী বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করছে। এই দৃশ্য কীভাবে ধারণ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। একপ্রকার দুঃসাহস নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন খসরু। সে সময় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁদের কথোপকথন চাষী নজরুল ইসলাম এক সাক্ষাৎকারে বর্ননা করেছিলেন এভাবে-
খসরু: আপনার কাছে একটা কাজে আইছি।
বঙ্গবন্ধু: কী কাজ? ক?
খসরু: আমরা আর্মির মার্চ পাস্টের একটা দৃশ্য করব। আপনি স্যালুট নিবেন।
বঙ্গবন্ধু: চুপ, আমি ফিল্মে অ্যাক্টিং করবো না। (ধমকের সুরে)
খসরু: এটা তো অ্যাক্টিং হইল না।
বঙ্গবন্ধু: অ্যাক্টিং হইল না কী? যা, এখান থেকে। (আবারো ধমকের সুরে)
খসরু: না আপনাকে করতেই হবে। আপনি না হলে সিনেমাটা শেষ করতে পারব না।
বঙ্গবন্ধু: মান্নানরে ডাক দেখি। (তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নান)
(স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নান এসে খসরু ও চাষী নজরুলকে নিজের রুমে নিয়ে গেলেন।)
খসরু: বঙ্গবন্ধুরে অ্যাক্টিং করতে হইব।
আবদুল মান্নান: বঙ্গবন্ধু অ্যাক্টিং করব, এ-ও সম্ভব?
খসরু: সম্ভব না হইলে কিন্তু আপনারে অ্যাক্টিং এ দাঁড় করাইয়া দিমু। আপনি বঙ্গবন্ধুরে উল্টাপাল্টা কিছু বইলেন না। শুধু বলবেন, অ্যাক্টিং করা যায়।
(সবাইকে নিয়ে মন্ত্রী আব্দুল মান্নান আবার ফিরে গেলেন বঙ্গবন্ধুর রুমে)
বঙ্গবন্ধু: কী তাইলে?’
আবদুল মান্নান: ওই ঠিকই আছে। তয় করবেন কবে?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে বঙ্গবন্ধু রাজি হলেন কাজটি করে দিতে। খসরুকে বললেন, “যা, করে দেব।”
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পিলখানায় শুটিংয়ের ব্যবস্থা হল। মার্চপাস্টের বিশাল আয়োজন। একবার মিস হলে সব শেষ। এক চান্সেই শট ওকে করতে হবে। বঙ্গবন্ধু মঞ্চে গিয়ে দাঁড়ালেন। পেছনে সারি বেঁধে বসলেন জিয়াউর রহমান, কেএম সফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফসহ সেনাবাহিনীর সব শীর্ষ কর্মকর্তারা। মঞ্চের সামনে প্যারেড করে স্যালুট দিয়ে এগিয়ে চলেছে সুসজ্জিত সেনাদল। পরিচালকের কথা মতো স্যালুট গ্রহণের জন্য কপালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন বঙ্গবন্ধু। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর অধৈর্যের সুরে পরিচালকের সাথে কথোপকথন-
বঙ্গবন্ধু: এই, কতক্ষণ হাত তুইলা রাখব রে।
চাষী নজরুল: আর অল্প কিছুক্ষণ।
বঙ্গবন্ধু: আরে কী করস না করস তোরা।
এভাবেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ধারণ হলো সংগ্রাম ছবির শেষ দৃশ্য। চাষী নজরুল ইসলামের পরিচালনায় সুচন্দা, খসরু ও বঙ্গবন্ধু অভিনীত মুক্তিযুদ্ধের ছবি সংগ্রাম মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
এবার
শরিফুল রাজের নায়িকা হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। গত সেপ্টেম্বরে নির্মাতা
হিমু আকরাম তার সিনেমা ‘আলতাবানু
কখনো জোছনা দেখেনি’র নায়িকা হিসেবে স্বস্তিকার নাম ঘোষণা করেছিলেন।
কিন্তু এই অভিনেত্রীর বিপরীতে
কে অভিনয় করবেন, তা জানাননি। অবশেষে
জানা গেল নায়কের নাম।
সিনেমাটিতে
স্বস্তিকার বিপরীতে অভিনয় করবেন রাজ। তবে বিষয়টি
নিয়ে এখনই কথা বলতে
নারাজ নির্মাতা। আর রাজের বিষয়টি
নিশ্চিত করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া। প্রযোজনা সংস্থার সূত্রে, স্বস্তিকার বিপরীতে শরিফুল রাজ চূড়ান্ত। ইতোমধ্যে
সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এখন দিন-তারিখ
দেখে শুটিংয়ে নামার অপেক্ষা।
এদিকে
বহু নাটক নির্মাণ করেছেন
হিমু আকবর। এবার নিজের গল্পেই
প্রথম সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন তিনি।
চিত্রনাট্য লিখেছেন হিমু আকরাম, মোহাম্মদ
নাজিম উদ দৌলা ও
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
সৈয়দপুর,
সুন্দরবন, রাজেন্দ্রপুরের শালবনে এর দৃশ্যধারণ হবে
বলে জানা গেছে। তারকাবহুল
এই সিনেমায় স্বস্তিকা-রাজের পাশাপাশি ইরেশ যাকের, মামুনুর
রশীদ, সোহেল মণ্ডলসহ অনেকেই অভিনয় করবেন।
শরিফুল রাজ নায়িকা স্বস্তিকা মুখার্জি
মন্তব্য করুন
মৃণাল
সেনের অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘পদাতিক’। সত্তরের দশকে
মুক্তি পাওয়া এ সিনেমার নামে
তৈরি হয়েছে মৃণাল সেনের বায়োপিক। বানিয়েছেন সৃজিত মুখার্জি। এতে মৃণালের চরিত্রে
অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের চঞ্চল চৌধুরী। সিনেমাটির টিজার প্রকাশ পেয়েছে ১৪ মে। যেখানে
প্রথম ঝলকেই চমকে দিয়েছেন এ
অভিনেতা।
১ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের টিজারের শুরুতেই দেখানো হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে চির বিদায় জানানো হচ্ছে। গলায় মালা দিয়ে শ্মশান ঘাটের দিকে নেওয়া হচ্ছে। হাজারো মানুষের ভিড়ে সেখানে উপস্থিত আছেন মৃণাল সেন। যার চরিত্রে দেখা গেছে চঞ্চল চৌধুরীকে।
টিজার
অল্প সময়ের হলেও, নির্মাতা সৃজিত বার্তা দিয়েছেন বিপ্লব, বিদ্রোহ, সংসার, জীবন ও সিনেমার।
এতে অল্প সময়েই মুগ্ধ
করেছেন চঞ্চল। ‘পদাতিক’-এ মৃণালের স্ত্রী
গীতা সেনের চরিত্রে অভিনয় করবেন মনামী ঘোষ। পরিচালকের ছেলে
কুণাল সেনের চরিত্রে দেখা যাবে সম্রাট
চক্রবর্তীকে। এ ছাড়া যুবক
মৃণালের চরিত্রে দেখা যাবে কোরক
সামন্তকে। সিনেমাটি এ বছর মুক্তির
কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
‘কান
চলচ্চিত্র উৎসব’ বিশ্বের শোবিজ অঙ্গনের অন্যতম বড় চলচ্চিত্র উৎসব।
দক্ষিণ ফ্রান্সের রিজোর্ট শহর কান-এ
প্রতি বছর সাধারণত মে
মাসে এই উৎসব হয়ে
থাকে। এই উৎসবের ৭৭তম
আসরের পর্দা উঠেছে।
১২
দিনব্যাপী আনন্দঘন পরিবেশে তারকাদের এ মিলনমেলা চলবে
২৫ মে পর্যন্ত। এ
উপলক্ষ্যে হলিউড-বলিউডসহ বিশ্বের নামিদামি তারকায় ভরে ওঠে কান
শহর। প্রথমবারের মতো এবার কান
চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা।
ভাবনা বুধবার (১৫ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাকে নজরকাড়া পোশাক ও চোখ ধাঁধানো অভিনব লুকে দেখা গেছে। ভাবনার সেই পোস্টে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। পুরো সাজে রয়েছে স্নিগ্ধ আমেজ। কারুকাজ করা নীল রঙের শাড়িতে অভিনেত্রীকে বেশ আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
এবারের
লোকসভা নির্বাচনের অন্যতম চমক ছিলেন হিমাচলের
মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াত। ১৪ মে তিনি
তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
কঙ্গনা
রানাওয়াত ২০২২-২৩ অর্থবছরে
মোট ৪ কোটি ১২
লাখ ৯৫ হাজার ৭৭০
টাকা আয় করেছেন। ২০২১-২২ অর্থবছরে তিনি
১২ কোটি ৩০ লাখ
৯২ হাজার ১২০ টাকা আয়
করেছিলেন।
তার
দেওয়া সম্পত্তির খতিয়ান অনুযায়ী বলিউডের কুইনের কাছে এখন ২
লাখ টাকা আছে। দুটি
মার্সিডিজ এবং একটি বিএমডব্লিউ
গাড়ি আছে। বর্তমানে তার
এই বিএমডব্লিউর বাজার দর ৯৮ লাখ
২৫ হাজার ৩৫৬ টাকা। তার
একটি মার্সিডিজ বেঞ্জের দাম ৫৮ লাখ
৬৫ হাজার ৭৭১ টাকা। আরেকটি
মার্সিডিজের দাম ৩ কোটি
৯১ লাখ ২২ হাজার
৭১৮ টাকা। এছাড়া তার একটি স্কুটিও
আছে, যার মূল্য ৫৩
হাজার ৮২৭ টাকা।
প্রায়
পাঁচ কোটি টাকার সোনার
গহনা আছে কঙ্গনার। ৫০
লাখ টাকার রুপার গহনা, ৩ কোটি টাকার
হিরা আছে কঙ্গনার। ফলে
কঙ্গনা রানাওয়াতের মোট অস্থাবর সম্পত্তির
মূল্য ২৮ কোটি ৭৩
লাখ ৪৪ হাজার ২৩৯
টাকা ৩৬ পয়সা।
কঙ্গনা
রানাওয়াতের মানালিতে একটি, মুম্বাইতে একটি এবং চণ্ডীগড়ে
চারটি বাড়ি আছে। তার এই
বাড়িগুলোর দাম যথাক্রমে ২১
কোটি ৭৮ লাখ ৫৬০
টাকা, ২ কোটি ৫০
লাখ টাকা, ৫৫ লাখ টাকা,
৭৫ লাখ টাকা, ৫৮
লাখ টাকা এবং ৫৮
লাখ টাকা।
তবে তার নামে যে বিপুল সম্পত্তি আছে সেটাই নয়। কঙ্গনা রানাওয়াতের মাথায় কিন্তু বিপুল ঋণের বোঝাও আছে। কঙ্গনার মোট ঋণ ১৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৬ হাজার ৬৮১ টাকা।
মন্তব্য করুন
ফলাফল
বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী
সমিতির নতুন নির্বাচন দাবি
করেছেন পরাজিত সম্পাদক প্রার্থী নায়িকা নিপুণ আক্তার। ফলাফল বাতি চেয়ে তিনি
এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের
করেছেন।
বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি হবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
মন্তব্য করুন