কালার ইনসাইড

সেকরেড গেমস ২: দর্শক যা মিস করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ১৭ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

নেটফ্লিক্সের ওয়েব কন্টেন্টকে যদি কৌরব ধরি আর পাণ্ডব ধরি হল বেইজড ফিল্ম কন্টেন্ট তাহলে নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার অশ্বত্থামা অবশ্যই সেকরেড গেমস। ওয়েব কন্টেন্ট বনাম থিয়েটার কন্টেন্টের লড়াই ইন্ডিয়া পর্যন্ত এসেছে তাই নেটফ্লিক্সের স্বাভাবিকভাবেই শুরুটা হতে হতো দুর্দান্ত। সেই শুরুটা তাদের এনে দিয়েছিল সেকরেড গেমসই। এক ধাক্কায় নেটফ্লিক্স পৌঁছে গিয়েছিল সাউথ এশিয়ার অনলাইন বেইজড ইয়ং কম্যুনিটির ঘরে ঘরে। সেকরেড গেমস সিজন ওয়ান শুধু ইন্ডিয়ার পার্স্পেক্টিভ থেকে নয় বরং নেটফ্লিক্সের পার্স্পেক্টিভ থেকেও দারুণ সংযোজন ছিল। 

অনুরাগ কশ্যপ ও বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের মতো দুজন ক্রিয়েটিভ জিনিয়াস একসাথে হাত লাগালে স্বাভাবিকভাবেই যেকোনো গল্প, যেকোনো ক্রিয়েটিভ প্রসেস অসামান্য হতে বাধ্য। হলোও তাই, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ও সাইফ আলি খানের হাত ধরে বিক্রম চন্দ্রের বইটি প্রাণ পেলো নেটফ্লিক্সের পর্দায়। ভারতীয় উপমহাদেশের মিথগুলোকে সঙ্গী করে গণেশ গায়তোন্ডে ও সরতাজ সিং এর দুটি চরিত্র দর্শককে ঘুরিয়ে নিয়ে আসলো মুম্বাইয়ের ৪০ বছরের রাজনীতি, আন্ডারওয়ার্ল্ড, ধর্মকেন্দ্রিক ব্যবসা-দাঙ্গা ও ২৫ বছর ধরে বুনে যাওয়া একটা প্ল্যান। ২৫ দিনে বলে যাওয়া এই গল্পকে দু-ভাগে ভাগ করে দুটো সিজনের ১৬টি এপিসোডে দেখানো হয়েছে। প্রতিটি এপিসোডের নাম মিথিক চরিত্র বা উপাদান থেকে নেয়া, যে নামের গভীর সংযোগও থাকে গল্পের সাথে। প্রথম সিজনে গণেশ আর সরতাজের হাত ধরে যে মাস্টারপ্ল্যানের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল সেটিই পূর্ণতা পায় এই সিজনে এসে। কিন্তু কতটা পূর্ণতা পেল?

দ্বিতীয় সিজনের শুরুতেই আমরা গণেশকে আবিষ্কার করি কেনিয়ার সমুদ্র উপকূলে। কিন্তু সে কীভাবে এলো, কেন এলো সেটি এখনো ধোঁয়াশার জালে। ভারতীয় অ্যাম্বাসির ঝানু কর্মকর্তা কুসুম দেবী যাদব আর গুরুজির স্নেহধন্য ত্রিবেদীর হাত ধরে কেনিয়ায় পা রাখে গণেশ গায়তোন্ডে। তার মাঝে এখনো ঈসাকে হত্যা করার ক্ষোভ, আর অ্যাম্বাসির কুসুম চায় গণেশকে ব্যবহার করে ঈসার মাধ্যমে শহীদ খানকে খুঁজে পেতে। কে এই শহীদ খান সেটির উত্তর আমরা শেষের দিকে পেয়ে যাই। সময়টা নব্বই এর দশকে, গণেশ কেনিয়ায় তার ব্যবসা শুরু করে, ওদিকে মুম্বাইতে গ্যাং-গ্রুপ এগুলোর পেছনে পুলিশ লেগেছে খুব ভালো করেই। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়ছিল সে সময়ে। বর্তমান টাইমলাইনে সরতাজদের হাতে তখন মাত্র ১২ দিন সময়, এর মাঝে মুম্বাইকে রক্ষা করতে হবে পাশাপাশি অনেক প্রশ্নের উত্তরও খুঁজতে হবে। ‘সিদুরি’ পর্বে আমরা দেখা পাই গিলগামেশ মহাকাব্যের জ্ঞানী-বিজ্ঞ নারী সত্তা সিদুরিকেই, অর্থাৎ সরতাজের হাত ধরে দেখা পাই আশ্রমের প্রধান বাতিয়া এবেলমেনের। এই নারী গুরুজির কতোটা আপন সেটিও আমরা জানতে পারি পরে গিয়ে। ওদিকে গণেশ দেখা করতে যায় গুরুজির সাথে। ক্রোয়েশিয়ায় গুরুজির আশ্রমে আমরা দেখা পাই ম্যালকম, ভোসলেসহ তরুণ বাতিয়াকেও। তখনও গণেশ ভোসলে বাদে আর কাউকেই চেনে না। কিন্তু আমরা দর্শকরা জানি এদের প্রত্যেকের সাথে জড়িত গণেশ। ওদিকে সরতাজ আবিষ্কার করে তার পিতা দিলবাগ সিংও গুরুজির স্নেহধন্য ছিলেন। গণেশের সাথে দিলবাগের দেখাও হয়ে যায় আশ্রমে একদিন। গুরুজি সত্যযুগের স্বপ্ন দেখেন, কলিযুগ থেকে সত্যযুগে তিনি যেতে চান। কিন্তু সত্যযুগে যেতে হলে বলিদান দিতে হয় অনেককিছু। তাই তিনি তার স্নেহধন্যদের তৈরি করে নিতে চান সে কাজের জন্য। যে গণেশ মুম্বাই দাপিয়ে বেড়িয়েছে সে গুরুজির আশ্রমে এসে যেন বিশ্রাম খুঁজে পায়। তার তৃতীয় পিতা হিসেবে গুরুজিকে সম্মান করে এমনকি আশ্রমে দৈহিক সান্নিধ্যে সে গুরুজিকে কামনা করে। ওদিকে সরতাজ জানতে পারে মুম্বাইয়ে নিউক্লিয়ার এটাক হতে যাচ্ছে আর এই এটাক করতে যাচ্ছে শহীদ খান। সে আন্দাজ করে আশ্রমের সাথে, গায়তোন্ডের সাথে এই এটাকের কোন যোগসূত্র রয়েছে, যোগসূত্র রয়েছে তার পিতার সাথেও। সে আশ্রমে গিয়ে তথ্য আবিষ্কার করতে গিয়ে নিজেই আশ্রম থেকে দেয়া নেশাদ্রব্যে এডিক্ট হয়ে যায়। সে নেশাদ্রব্য তৈরির ইতিহাসও আমরা দেখতে পারে ফ্ল্যাশব্যাকে গণেশের টাইমলাইনে। গুরুজির সত্যযুগে নিয়ে যাবার জন্য গণেশকে সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত করেন, দিলবাগ সিং-ম্যালকম-বাতিয়া-ভোসলে-ত্রিবেদী সকলেই এই মাস্টারপ্ল্যানে কোন না কোনভাবে যুক্ত হয়ে যায়। আর সরতাজ তখনও শহীদ খানের খোঁজে, এই শহীদ খানকে সাহায্য করেছে ম্যালকম। অর্থাৎ গুরুজির প্ল্যান বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে শহীদ খানের হাত ধরে। কিন্তু গায়তোন্ডে সেখানে বিপক্ষে চলে যায়। সে নিজেকে অশ্বত্থামা দাবী করে, কিন্তু আমরা দিলবাগ সিং এর নোটবুকে লেখা পাই দিলবাগ সিংকে গুরুজি অশ্বত্থামা বলেছিলেন। গণেশকে সবদিক থেকে ধোঁকা দেয়া হয়, একসময়ের মুম্বাইয়ের ত্রাস গণেশকে আমরা দেখি গুটিয়ে যেতে। কিন্তু গণেশ মৃত্যুর আগে ঠিকই সরতাজকে জানিয়ে যায় ব্লাস্টের কথা, গুরুজির প্ল্যান নাকি গণেশের চাওয়া কোনটা সফল হয় সেটিই দর্শক জানতে চাচ্ছিল কিন্তু শেষে গিয়েও সেটির উত্তর পাওয়া হল না।

সেকেন্ড সিজন অনেকদিক থেকেই প্রথম সিজনে বেঁধে দেয়া সুরের কাছাকাছি যেতে পারে নি। এর অনেকগুলো কারণই আছে। যার মাঝে প্রধান কারণ হল অতিরিক্ত সাবপ্লট এবং সেসব সাবপ্লটের ফিনিশিং না দেয়া।

এই সিজনে আসা সাবপ্লটগুলো-

- শহীদ খান সাবপ্লট

- ত্রিবেদী সাবপ্লট ( বাপ ত্রিবেদী)

- শহীদ খানের মা- সরতাজের মা এর সম্পর্কের কানেকশনের সাবপ্লট

- দিলবাগ সিং এর সাবপ্লট

- সরতাজ আর তার স্ত্রীর সাবপ্লট

- যাদব স্যারের সাবপ্লট

- মাজিদের সাবপ্লট

- পারুলকার আর ভোসলের সাবপ্লট

- জোজো আর জামিলার সাবপ্লট

- ম্যালকমের সাবপ্লট

- মুত্থুর সাবপ্লট

এসবের মাঝে একটা-দুটো বাদে সবগুলোই আনফিনিশড রেখে দেয়া হয়েছে সম্ভাব্য সিজনের জন্য অবশ্যই। যার কারণে প্রথম সিজনে স্ট্যাবলিশ করা অনেককিছুই হারিয়ে গিয়েছে। স্ট্যাবলিশড সাবপ্লট, ক্যারেক্টার অনেককিছুই এ সিজনে পাত্তাই পায় নি। বান্টি, কান্তা বাই, পারুলকার, ভোসলে, ত্রিবেদী এই ক্যারেক্টারগুলো একেবারেই স্ক্রিনটাইম পায় নি আর পেলেও কোন ভালো ফিনিশিং পায় নি। গুরুজি আর বাতিয়ার চরিত্রও একেবারেই একরৈখিক ছিল। এই দুটো চরিত্রই ওশো ও মা আনন্দ শীলার অনুকরণে করা। ওশোর রাজনীশ মুভমেন্ট, আশ্রম, নিজস্ব কাল্ট প্রতিষ্ঠা, বিভিন্ন টেরোরিস্ট এক্টিভিটিতে তাঁর অনুসারীদের আবিষ্কার করা সবকিছুই মিলে যায় গুরুজির ফিকশনাল চরিত্রের সাথে। সেদিক থেকে জোজো আর যাদব এই দুই চরিত্রে সুরভিন ও আম্রুতা এই দুই নারী চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। অন্যদিকে শাহিদ খানের স্ক্রিনটাইমই ছিল না বলতে গেলে, আমি নিশ্চিত এই চরিত্র তৃতীয় সিজনের প্রধান চরিত্র হবে কেননা চিত্রায়নে রনভীর শোরের মতো অনবদ্য অভিনেতা আছেন, তাকে ওয়েস্ট করার কোন মানেই হয় না। মূল চরিত্রের কথা বললে প্রথম সিজনে গণেশ যতটা উজ্জ্বল ততটাই অনুজ্জ্বল ছিলেন মনে হল দ্বিতীয় সিজনে এসে, আর প্রথম সিজনে গণেশের আড়ালে পড়ে যাওয়া সরতাজ এবার যেন জ্বলে উঠেছেন স্বমহিমায়। নাওয়াজের অভিনয় নিয়ে কিছুই বলার নেই তবে ওর চরিত্রের গভীরতা কমে গেছে মনে হল। হয়তো সোর্স ম্যাটেরিয়াল প্রথম সিজনেই সব ফুরিয়ে ফেলেছেন অনুরাগ। তা নাহলে অনুরাগের কাজ ঠিক অনুরাগের মতো হল না বলতে হবে। গায়তোন্ডের টাইমলাইন থেকে গতি একেবারেই হারিয়ে গেছে বলে মনে হল, স্রেফ লাফিয়ে লাফিয়ে সময় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়া বাড়তি কিছু ছিল না। অন্যদিকে বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের জায়গায় আসা নীরজা ঘেওয়ানের নির্দেশনা অপূর্ব লেগেছে। সরতাজের টাইমলাইন ও গল্প দুটোতেই দারুণ গতি ছিল। সবমিলিয়ে গতবার যেমন গায়তোন্ডের গল্প সরতাজের গল্পকে কমপ্লিমেন্ট করেছিল সেরকমটা এবার হয়নি বলেই হয়তো অগোছালো ঠেকছে সবকিছু। দুজন নিজেদের মতো করে নিজেদের গল্প বলে গেছেন বলেই কি এই অবস্থা নাকি এডিটিং এ গিয়ে সব গড়বড় হয়েছে বোঝা গেল না ঠিক। তৃতীয় সিজনের জন্য সাবপ্লট গোছানো আছে, সরতাজ-শহীদ খান-দিলবাগ-বাতিয়া কেন্দ্রিক গল্প হবার কথা। তবে গণেশকে যদি আবার গল্পে নিয়ে আসতে হয় সেক্ষেত্রে দারুণ কিছু করেই ফিরিয়ে আনতে হবে। গণেশকে গণেশের মতো ব্যবহার না করতে পারলে নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার এই অশ্বত্থামা সামনেই হয়তো মুখ থুবড়ে পড়বে। দ্রোণাচার্য (অনুরাগ কশ্যপ) কী শুনছেন?

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মেয়েকে প্রকাশ্যে আনলেন তারকা দম্পতি রাজ-শুভশ্রী

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ওপার বাংলার তারকা দম্পতি রাজ-শুভশ্রী। ছেলে ইউভানের জন্মের অল্প সময়ের মধ্যে তাকে প্রকাশ্যে এনেছিলেন। এদিকে গত বছরের ৩০ নভেম্বর শুভশ্রী দ্বিতীয়বার মা হওয়ার সুখবর জানান ভক্তদের কিন্তু মেয়ে ইয়ালিনিকে লাইমলাইট থেকে দূরেই রেখেছিলেন।

তবে শুক্রবার (১৭ মে) ইনস্টাগ্রামে শুভশ্রী দুই সন্তানের ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘সকালের কথারা।সেখানে দেখা যাচ্ছে জানালার পাশে বসে বোনের সঙ্গে গল্প করছে ইউভান।

ছোট্ট ইয়ালিনির মাথায় একটা দুইটি নয়, চারটি ঝুঁটি বেঁধে বসে আছে বাবা রাজের কোলে। আর বোনকে গল্প বলে শোনাচ্ছে ইউভান। এই মনোমুগ্ধকর মুহূর্ত ভক্তদের নজর কেড়েছে।


তারকা   দম্পতি   রাজ   শুভশ্রী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পদ হারাতে যাচ্ছেন নিপুণ

প্রকাশ: ০৩:২১ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে কেন্দ্র করে ঢাকাই সিনেমার নায়িকা নিপুণ আক্তার ফের আলোচনায়। এবারে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পদ হারাতে যাচ্ছেন তিনি। গণমাধ্যমে শিল্পী সমিতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় সদস্যপদ হারাতে পারেন নিপুণ।

নিপুণের সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সমিতির কার্যকরী সভা শেষে এমনটা জানিয়েছেন সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (২০২৪-২৬) মেয়াদি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট আবেদন করেন। এ বিষয়ে সমিতির পদক্ষেপ কী হতে পারে তা নিয়ে বৈঠক করেন সদস্যরা।

বৈঠক শেষে ডি এ তায়েব বলেন, ‘রিট করা নিয়ে আমরা এখনো ভাবছি না। আমাদের কাছে নোটিশ এলে আইনিভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।’ এর একদিন আগে সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’সহ নানা কুরুচিপূর্ণ ভাষায় নিপুণ গালাগালি করেন বলেন জানান ডিএ তায়েব।

বিষয়টি তুলে তিনি বলেন, নিপুণ আক্তার গণমাধ্যমে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যা বলেছেন, তা কুরুচিপূর্ণ, মানহানিকর। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমিটির সবাই। তার সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে। ৭ দিনের মধ্যে যদি তিনি উত্তর না দেন অথবা উত্তর যথোপযুক্ত মনে না হয়, তাহলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।


চলচ্চিত্র   শিল্পী   সমিতি   নিপুণ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আবেদনময়ী লুকে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ খোলামেলা রূপেই ধরা দেন। তার আবেদনময়ী লুক দর্শকদেরও উচ্ছ্বসিত করে। তিনি একেবারে ন্যাচারাল লুকে সকলের সামনে হাজির হয়েছেন।

সম্প্রতি চিত্রনায়িকা নুসরাত ভ্রমণে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া। সেখানে সিডনির পথে পথে হেঁটে বেড়াতে গিয়ে তিনি পরেছেন এক আবেদনময়ী পিংক কালারের ফুল খচিত ড্রেস।

আর এসব ছবি ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করে ইংরেজিতে একটি ক্যাপশন লিখেছেন ফারিয়া। যার অর্থ দাঁড়ায়, ‘সেই শেষ দিন আমি মন দিয়ে কাঁদব বলে ঠিক করলাম। সেই সকালের পর, আমি এই ফুলের মতোই ফুটেছিলাম।

সবশেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রমুজিব: একটি জাতির রূপকার’- দেখা গেছে নুসরাত ফারিয়াকে। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত সিনেমাটিতে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফের পেছাল কঙ্গনার ইমার্জেন্সি সিনেমা

প্রকাশ: ১২:১৩ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত বছর ভারতের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর লুকে চমকে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওত। তখনই জানিয়েছিলেন, লুকটিইমার্জেন্সিসিনেমার। এরপর সিনেমাটির একাধিক মুক্তির তারিখ জানানো হয়। তবে আলোর মুখ দেখেনিইমার্জেন্সি এবার আরও একধাপ পেছাল এর মুক্তির তারিখ।

মুক্তির তারিখ পিছিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মণিকর্ণিকা ফিল্মস জানায়, “আমাদের রানি কঙ্গনা রানাওতের জন্য আমাদের হৃদয় ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। তিনি এখন দেশ জাতির সেবাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। দেশের সেবায় তিনি দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। সে কারণেইমার্জেন্সি মুক্তির তারিখ স্থগিত রাখা হলো। মুক্তির নতুন তারিখ পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।

সিনেমাটির মুক্তির তারিখ নিয়ে দুবার পেছানো হলো। এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর মুক্তির দিন ঠিক ছিল। সিনেমার কাহিনি পরিচালনার দায়িত্বে আছেন কঙ্গনা নিজে। সর্বশেষ আগামী ১৪ জুন মুক্তির দিন ধার্য করা হয়।

মূলত ১৯৭৫ সালের জুন মাস থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত, একটানা ২১ মাস ভারতে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। সে সময়কালই ধরা পড়েছে সিনেমায়।


কঙ্গনা   ইমার্জেন্সি   সিনেমা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কানের লাল গালিচা মাতালেন ঐশ্বরিয়া রাই

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফ্রান্সের কান সৈকতে আবারও বসেছে সিনেমার বর্ণিল আয়োজনকান চলচ্চিত্র উৎসব ১২ দিনব্যাপী ৭৭তম আসর চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। বিশ্বের সব জনপ্রিয় তারকারা এই উৎসবে নজরকাড়া লুকে হাজির হচ্ছেন। কানের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কান চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিনে লাল গালিচায় সবাইকে মুগ্ধ করেছেন ঐশ্বরিয়া। রেড কার্পেটে অভিনেত্রী হেঁটেছেন ফাল্গুনি-শেন পিককের কালো-সোনালি গাউন পরে। গাউনের লম্বা টেইল নজর কেড়েছে সবার। এদিন ঐশ্বরিয়ার পোশাকে অন্যমাত্রা যোগ করেছে তার পোশাকের সাদা স্লিভস। আর পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে গোল্ডেন কানের দুল পরেছিলেন এই বলিউড সুন্দরী।

মেয়ে আরাধ্যার হাত ধরেই ফ্রান্সে হাজির হন তিনি। প্লাস্টার জড়ানো হাতে তাকে মুম্বাই এয়ারপোর্টে দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। রেড কার্পেটেও প্লাস্টার হাতেই দেখা মিলল তার। বরং আরও প্রশংসা পেয়েছেন ঐশ্বরিয়া।

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন দুই দশকের বেশি সময় ধরে কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। প্রথমবার ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারী সোনার গয়নাসহ নীতা লুল্লা শাড়িতে হাঁটেন রেড কার্পেটে। সেই বছরই তার সিনেমাদেবদাসসেখানে প্রিমিয়ার হয়েছিল। তিনি অভিনেতা শাহরুখ খান এবং পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই উৎসবে হাজির থেকেছেন এই অভিনেত্রী।


কান   লাল গালিচা   ঐশ্বরিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন