লিভিং ইনসাইড

এই বর্ষায় আপনার গাছের যত্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

খুব সাধ করে খোলা ছাদ বা ছোট্ট বারান্দাটিতে নিজের হাতে বাগান বানিয়েছেন আপনি। সেখানে পছন্দের কতো গাছ আপনার, তাদের যত্মআত্তির কোনো কমতিও নেই আপনার। কিন্তু এই যে বর্ষার সময়ে আপনি দেখলেন শখের গাছগুলো নষ্ট হচ্ছে, কখনো পঁচে যাচ্ছে। এখন বুঝতে পারছেন না এই সময়ে আলাদা করে আবার গাছের যত্ন কীভাবে করা যাবে। তাই আপনাকে জানাচ্ছি এই বর্ষার মৌসুমে আপনি গাছ আর বাগানের যত্ন কীভাবে নেবো-

গাছকে ছায়ায় রাখবেন

বর্ষার সময়ে কিছু কিছু গাছের জন্য বেশ ক্ষতি হতে পারে। ক্যাকটাস বা সাকুলেন্ট সদস্যদের গাছ বেশি পানি সহ্য করতে পারে না। তাই এদের খোলা আকাশের নিচে না রাখাই ভালো। এই জাতীয় গাছগুলোকে ছায়ার মধ্যে বা ঘরের মধ্যে রাখা উচিত বর্ষায়।

পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গাছে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা। যেকোনো ঘরোয়া গাছের জন্য এমন টব বা পাত্র বাছাই করবেন যেটায় পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনমত ছিদ্র থাকে। আর ছাদে গাছ লাগানোর জন্য আজকাল বড় আকারের ড্রাম ব্যবহার করা হয়। সেগুলোতেও ছিদ্র রয়েছে কিনা খেয়াল রাখুন।

বৃষ্টির পর টবে পানি জমা দেখা যায় তাহলে টব একদিকে কাত করে পানি ফেলে দিতে হবে। আর মাটি না শুকালে একটু খুচিয়ে দিতে হবে যাতে সম্পূর্ণ মাটি শুকিয়ে যায়। আর যদি গাছের মাটি শুকানোর ব্যবস্থা না থাকে তাহলে বৃষ্টির সময় ঘরে এনে রাখাই ভালো। কারণ পানি জমলে সেখান থেকে ডেঙ্গুসহ অন্য পানিবাহিত রোগগুলো বাড়বে। তাই নিয়মিত গাছের টবগুলি দেখা দরকার যেন পানি না জমে।

গাছে পানি না দেওয়াই ভালো

আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে বর্ষামৌসুমে কি গাছে পানি দেবো কি দেবো না। বর্ষায় গাছে পানি না দেওয়াই ভালো। অতি বৃষ্টির ফলে গাছে পানির ঘাটতি পূরণ হয়। তাই গাছের মাটি না শুকানো পর্যন্ত পানি দেওয়া উচিত নয়। একটা কথা মাথায় রাখা উচিত পানির অভাবে গাছ মরে না কিন্তু পানির পরিমাণ বেশি হলে গাছ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

টবে মাটি দিয়ে ভরাট করা

গ্রীষ্মের সময়ে আমরা যেমন টবের মাটি কয়েক ইঞ্চি নিচ পর্যন্ত ভরাট করি কিন্তু বর্ষাকালে বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য টবে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়া উচিত যাতে পানি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

মাটি তৈরি করা

অতিবৃষ্টির সময়ে অবশ্যই এমন ধরণের মাটি নির্বাচন করতে হবে যাতে মাটি খুব দ্রুত পানি শুষে নিতে পারে। আর তাই এর জন্য এঁটেল মাটি ব্যবহার করা উপযোগী। মাটি তৈরির ক্ষেত্রে মাটির সাথে সার মেশানোর সাথে সাথে বালু ও নুড়িপাথর বেশি পরিমাণে মিশিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোকোডাস্ট বা পার্লাইট মিশিয়ে মাটি তৈরি করে নিতে হবে।

গাছের টব সরিয়ে দেওয়া

অনেক সময় পিপড়া বা অন্যান্য ছোট ছোট পোকা টবের নিচে বাসা তৈরি করে। এসব পোকামাকড় গাছের অনেক ক্ষতি করে। তাই গাছের টব সরিয়ে নিয়ে পোকামাকড় ধ্বংস করতে হবে।

সার দেবো কি দেবো না

বর্ষাকালে সার না দেওয়াই ভালো। কেননা বৃষ্টির পানিতে যে পরিমাণে নাইট্রোজেন বা অন্যান্য উপাদান থাকে তা গাছের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। তাই সার দেয়া উচিত নয়। যদি একান্তই সার দেওয়া দরকার মনে হয় তাহলে জৈব সার দিতে হবে। অন্য কোনো রাসায়নিক সার না দেয়াই ভালো।

কীটনাশক

সারের মতোই বর্ষাকালে কীটনাশক ব্যবহার না করাই ভালো। তবে পোকামাকড় নিধনে জৈব কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত। ৫ মিলিলিটার নিমের তেল, ১০ ফোঁটা সাবান পানি ও পানি মিশিয়ে পাতায় স্প্রে করে দিতে হবে। গাছে যদি মুকুল ধরে তখন কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত তাতে অন্যান্য মুকুল বা পাতায় পোকা আক্রমণ করার আশংকা কমে যায়। ফানজিসাইড বর্ষাকালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রতি ৭ দিন অন্তর অন্তর ফানজিসাইড স্প্রে করা। কারন এই বর্ষায় বৃষ্টির পানি জমে ছত্রাক হয়ে থাকে ফলে গাছের ডাল পালা নষ্ট হয়ে যায়। তাই হাতের কাছে যেকোন ফানজিসাইড স্প্রে করে দেওয়া উচিত।

খুটি দিয়ে দিন

ঝড় বৃষ্টি হলে অনেক সময় গাছ বিশেষ করে চারা গাছ একদিকে হেলে যায়। তাই গাছের অবস্থান ঠিক রাখার জন্যে গাছের সাথে খুটি দিয়ে বেধে দিতে হবে।

মৃত ডালপালা ছাঁটাই করে নিন

এটি মূলত বর্ষার প্রথম বৃষ্টির পরপরই করণীয় একটি কাজ। আপনার বাগানের সমস্ত গাছের যত মৃত ডাল বা শাখা প্রশাখা বিদ্যমান তার সবকিছুই ছেঁটে ফেলুন। এতে করে বর্ষায় নতুন করে আপনার গাছে ফুল এবং পাতা আসার সম্ভাবনা বহুগুণে বেড়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রেও আপনার সতর্ক থাকা দরকার। মরা ডালপালা কাটতে গিয়ে গাছের উপর যেন অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না হয় সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নে মোবাইল অ্যাপস

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানুষের মন যেমন আনন্দিত হয়, তেমনি মন খারাপও  হয়। কিন্তু মন খারাপ বা বিষণ্নতাভাব যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তখন মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে নজর দিতে হবে। এবার হাতের স্মার্টফোনে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে মন থাকবে চাঙা ও সুস্থ।

জাতিসংঘের ২০২২ সালের একটি প্রতিবেদনে হয়, বিশ্বজুড়ে প্রায় ১শ কোটি মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশের অর্ধেক মানুষ কোনো না কোনো মানসিক রোগে ভুগছে। এজন্য মানসিক স্বাস্থ্য সংকটকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া যেমন জরুরি, তেমনি হাতের স্মার্টফোনের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নও নেয়া সম্ভব।

গুগল প্লে কিংবা অ্যাপ স্টোরে মানসিক স্বাস্থ্যের নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক কিছু অ্যাপ রয়েছে। যেমন: সিজোফ্রেনিয়া, উদ্বেগ, বিষণ্নতা প্রভৃতি। এসব মেন্টাল হেলথ অ্যাপের মাধ্যমে মানসিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা ও তা দূর করার বিভিন্ন পদ্ধতি অনুশীলন করা যায়।

মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবচাইতে জনপ্রিয় অ্যাপ হলো ‘ডেলিও’ নামের অ্যাপটি। এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর কাছ থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয়ের ওপর অনেক তথ্য গ্রহণ করে থাকে। সেখান থেকে কারো প্রতিদিনের মন-মানসিকতার অবস্থা, ‘মুড সুইং’, মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের কারণ খুঁজে বের করাসহ বিভিন্ন রকম তথ্য-উপাত্ত তৈরি করে। এসব বিষয়ের ওপর বিবেচনা করে, পরবর্তীতে এই অ্যাপগুলোর পরামর্শে নির্দিষ্ট জীবনযাপনের পদ্ধতি অনুসরণ করলে মানসিকভাবে অনেকটাই সুস্থ থাকা যায়।

অন্যদিকে, হেডস্পেস অ্যাপ মূলত বেশি ব্যবহার করা হয় তাৎক্ষণিক মানসিক সংকট দূর করার জন্য। যদি কেউ তার চিন্তা-ভাবনা কিংবা আচরণের অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন দেখতে পান, তাহলে এই অ্যাপটি তার অসাধারণ সঙ্গী হিসেবে সহায়তা করবে। অনেক বেশি বিষাদ, দুশ্চিন্তা কিংবা সম্পর্কের টানা-পোড়েনের মধ্যে থাকলেও অনেকে এই অ্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

তবে পেশাদার মনোবিদের বিকল্প হিসেবে এই অ্যাপগুলোকে ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিক পর্যায়ের মানসিক সমস্যায় এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে কারও অবস্থা যদি মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে অ্যাপের ওপর নির্ভর না করে, অবশ্যই নিবন্ধিত মনোচিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।


মানসিক   স্বাস্থ্য   অ্যাপস  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

অতিরিক্ত চিন্তা বন্ধের কৌশল

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানুষের মন ভালো থাকলে যেমন বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা আসে, ঠিক তেমনই মন খারাপের প্রভাব পড়ে নিত্যকাজের ওপর। মন খারাপ থেকে সৃষ্টি হয় উদ্বেগ যা পৌঁছাতে পারে ডিপ্রেশনেও।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা আমাদের মানসিক চাপ তৈরি করে। অল্পকিছু চিন্তা দিয়ে তা শুরু হয়, এক পর্যায়ে চলে যায় বহুদূর। তবে এসব অতিরিক্ত চিন্তা দূর করে মনকে শান্ত করার কিছু প্রাচীন জাপানি কৌশল রয়েছে। সেগুলো মানলে পাবেন অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তি।

শিরিন-ইয়োকু
মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক জগতের শান্ত পরিবেশে নিজেকে নিয়ে যান। ‘শিরিন-ইয়োকু’ বা ‘ফরেস্ট বাথিং’ হল আমাদের ডিজিটাল জটিল অংক থেকে বেরিয়ে প্রকৃতির সতেজ শ্বাস গ্রহণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সবুজের মধ্যে সময় কাটালে স্ট্রেস হরমোন কমে যায়। ফলে মন শান্ত হয় এবং শান্ত চিন্তার পরিবেশ তৈরি করে। তাই অতিরিক্ত চিন্তা আসলে পার্কে হাঁটাহাঁটি করুন বা তাজা বাতাসে শ্বাস নিন। দেখবেন ঝরঝরে পাতাগুলো আপনার মনে প্রশান্তি এনে দেবে।

শোগানাই
‘শোগানাই’ ধারণাটি বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ‘এটি সাহায্য করবে না’। যার সহজ অর্থ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যা রয়েছে, তার একটি সচেতন গ্রহণযোগ্যতা। যখন আমরা মেনে নিতে পারি, অতিরিক্ত চিন্তা অতীতের ঘটনাগুলোকে পরিবর্তন করবে না বা ভবিষ্যতের ফলাফলগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করবে না, তখন মানসিক দৃঢ়তা শিথিল হয়ে যায়। ‘যদি এমন হতো’ বাদ দিয়ে আমরা যখন ভাববো যা হয়ে গেছে তা আর ফিরবে না, তখন অতিরিক্ত চিন্তাও আর আসবে না।

গামন
‘গামন’ হল, ‘সহনশীলতা’ বা ‘অধ্যবসায়’। এটি অতিরিক্ত চিন্তাভাবনাকে দূর করে দেয়। সহনশীলতা মানুষকে পরিস্থিতির আলোকে মানিয়ে নিয়ে সহায়তা করে। তাই নিজের মধ্যে সহনশীলতা কম থাকলে তা বাড়িয়ে ফেলুন খুব দ্রুত। তখন অল্পতেই অতিরিক্ত চিন্তা থেকে পাবেন মুক্তি। আর চিন্তামুক্ত হয়ে কাজে মন দিলে সফলতা আসবে অতি দ্রুত।


অতিরিক্ত চিন্তা   কৌশল  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

অতিরিক্ত ঘুমে স্বাস্থ্যের উপরে পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাধারণত ঘুমের ক্ষেত্রে অনেকেরই আলাদা চাহিদা থাকে, তবে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমানো মাঝে মাঝে শরীরের ভেতরের সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করতে পারে। নিয়মিত চেয়ে অনেক বেশি ঘুমানোর সময় দেখে অতিরিক্ত ঘুমানোকে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনি কীভাবে বুঝবেন যে আপনি যথেষ্ট বেশি ঘুমাচ্ছেন?

২০১৪ সমীক্ষা অনুসারে, ঘুম অসংখ্য শারীরিক এবং মনস্তাত্ত্বিক ক্রিয়াকলাপে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানসম্পন্ন ঘুমকে সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বলে মনে করা হয়। অতিরিক্ত ঘুমকে সাধারণত প্রতি রাতে নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমানো হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। তবে ব্যক্তিভেদে ঘুমের চাহিদা পরিবর্তিত হতে পারে, তাই আপনার সাধারণ ঘুমের ধরণ এবং ঘুম থেকে ওঠার পরে আপনি কেমন অনুভব করেন তা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

ঘুমের ধরন ব্যক্তিভেদে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয় এবং বয়স, জেনেটিক্স, জীবনধারা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের মতো কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। যদিও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ঘুমের প্রস্তাবিত পরিমাণ সাধারণত প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা, তবে কারও কারও ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই কম বা বেশি প্রয়োজন হতে পারে।

স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, প্রতি রাতে প্রয়োজনীয় ঘুমের পরিমাণ বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়, যেমন দিনের অভ্যাস, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং ঘুমের ধরন। যদিও প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অনেকেরই ছয় ঘণ্টা ঘুমালেই পর্যাপ্ত হতে পারে তবে অন্যরা, যেমন ক্রীড়াবিদদের অতিরিক্ত সময় ঘুমানো প্রয়োজন হতে পারে। মাঝে মাঝে, কঠোর কার্যকলাপ বা ভ্রমণের মতো পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘুমের প্রয়োজন হতে পারে।

অত্যধিক ঘুম বা হাইপারসোমনিয়া হলো মানুষের জন্য স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘুমানো। অতিরিক্ত ঘুমের ফলে কিছু লক্ষণ শরীরে ফুটে ওঠে। তার মধ্যে রয়েছে ক্রমাগত ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং সকালে ঘুম থেকে উঠতে অসুবিধা। হাইপারসোমনিয়া, নারকোলেপসি বা স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো অবস্থার কারণে ঘুমের সময় বর্ধিত হতে পারে। অতিরিক্ত ঘুমের ফলে মাঝে মাঝে বিষণ্ণতা এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আবার মাঝে মাঝে দীর্ঘ সময় ঘুমানো উদ্বেগের কারণ নাও হতে পারে, তবে ক্রমাগত অতিরিক্ত ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যার মধ্যে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং দুর্বল স্মৃতিশক্তি ও ইমিউন ফাংশনের ঝুঁকি রয়েছে।

এমনকি ঘুমের সময়কে প্রভাবিত করতে পারে বয়স, জীবনযাত্রার অভ্যাস, ভেতরগত স্বাস্থ্যের অবস্থা, ওষুধ, স্ট্রেস লেভেল এবং শব্দ ও আলোর এক্সপোজারের মতো পরিবেশগত কারণে। ঘুমের গুণমান উন্নত করতে নিয়মিত ঘুম থেকে ওঠার সময়সূচী সেট করুন, ঘুমানোর সময় আরামদায়ক রুটিন তৈরি করুন এবং ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন। বিছানায় যাওয়ার আগে আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার এড়ানোর চেষ্টা করুন।


অতিরিক্ত ঘুম   স্বাস্থ   স্লিপ ফাউন্ডেশন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বৃষ্টির দিনে ঘরের যত্ন

প্রকাশ: ০৮:০৫ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

রিমঝিম বৃষ্টি কমবেশি সবার ভালো লাগলেও কাজ বাড়িয়ে দেয় গৃহিণীর। কেননা বৃষ্টির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ঘরের পরিবেশ হয়ে ওঠে স্যাঁতসেঁতে। তাই বৃষ্টির দিনে ঘরের জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি যতে্নর। কয়েকদিন একটানা তাপদাহের পর শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টিতে আনন্দের পাশাপাশি ভোগান্তিও কম নয়। অতি আর্দ্রতায় ঘরের ইন্টেরিয়র-এক্সটেরিয়রের ক্ষতি, মশা, ঘরে মোল্ড পড়া, পোকামাকড়সহ বিভিন্ন সমস্যা লেগেই থাকে। তাই এ সময়ে ঘরের জন্য দরকার বাড়টি যত্ন। বর্ষায় অন্দরের পরিবেশ ঠিক রাখার টিপস চলুন জেনে নেয়া যাক……………….

 

১. বর্ষা শুরুর আগে অথবা একেবারে দরজা, জানালা বা গ্রিল তৈরির শুরুতেই টিনের দরজা বা জানালায় কোটিং রং ব্যবহার করা উচিত।

২. কোনো কারণে দেয়ালে ফাটল ধরলে দেয়াল ড্যাম হয়ে যেতে পারে। তাই এগুলো পরীক্ষা করে ফাটল ঠিক করতে হবে। ভালো হয় দেয়ালে ওয়েদার প্রুফ পেইন্ট ব্যবহার করলে।

৩. বর্ষায় অনেক সময় কাঠের আলমারিতে ফাঙ্গাস পড়ে। আবার দেখা যায় আলমারি পেছনের বোর্ড ফুলে গিয়ে কাঠ বেঁকে যায়। তাই বৃষ্টির দিনে আসবাবপত্র দেয়াল থেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। ঘর মোছা, কাপড় ধোয়া সব ক্ষেত্রে জীবাণুনাশক ব্যবহার করা ভালো।

৪. বারান্দায় রাখা ফুলের টবগুলো সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। অনেক সময় বারান্দায় বৃষ্টির ছাটে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়। তাই ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখতে হবে। টবে পানি জমে মশা এবং পোকার আক্রমণ হতে পারে। আবার প্রচণ্ড বাতাসে বারান্দায় ঝুলে থাকা বা ছাদের রেলিংয়ে রাখা টবগুলো ভেঙে কিংবা ওপর থেকে পড়ে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই টবগুলোকে এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে আলো-বাতাস নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

৫.বর্ষায় কার্পেট ব্যবহার না করাই ভালো বরং এগুলো প্লাস্টিকে মুড়িয়ে তুলে রাখুন শুষ্ক কোনো জায়গায়।

৬. প্রতিদিন মুছে পরিষ্কার রাখতে হবে লেদারের সোফা। একইভাবে মাঝে মাঝে পরিষ্কার করতে হবে লেদারের অন্যসব আসবাবও।


বৃষ্টি   ঘর   যত্ন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বিবাহবিচ্ছেদে উৎসব করে যে দেশের নারীরা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিচ্ছেদ মানেই অসহনীয় এক পৃথিবী, বিচ্ছেদ মানেই ‘জীবনের শেষ’ এ রকম মনে করে না মৌরিতানিয়ার নারীরা। বিচ্ছেদের পর ওই নারীর সৌজন্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তার পরিবার। স্বামীর ‘যন্ত্রণা’ পেরিয়ে মেয়েরা নিজের ঘরে আরেকবার ফিরে আসার সুযোগ পাওয়ায় দেশটিতে বিচ্ছেদ উদ্যাপন করা হয়।

পরিবারের সব সদস্যরাই বিষয়টি স্বাভাবিক চোখেই দেখেন। তারা মনে করেন, ভালোর জন্যই মেয়ে আবার পরিবারে ফিরে এসেছে। এই ফিরে আসাকে তারা ‘কলঙ্কমুক্ত’ জীবনের সুযোগ হিসেবেও দেখেন। তাই একটি ব্যর্থ সম্পর্কের ইতি ঘটায় আনন্দে। সব আয়োজন শেষ হলে বিচ্ছেদী নারী অবিবাহিতদের কাতারে চলে যান।

আরও পড়ুন: নারীর প্রতি এক পৃথিবী সম্মান থাকুক প্রতিটি পুরুষের

মরুভূমির তরুণী মেহেদি শিল্পী একাগ্রচিত্তে আলপনা আঁকছেন তার আজকের খদ্দের ইসেলেখে জেইলানির হাতে। তিনি খুবই সতর্ক, কোনোভাবেই যেন ভেজা মেহেদিতে দাগ না পড়ে! ঠিক যেমনটি ছিলেন বিয়ের আগের দিন। এবার কিন্তু তার বিয়ে হচ্ছে না। হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ!

বিবাহ বিচ্ছেদ উপলক্ষে পরদিন হবে উৎসব। জেইলানির মা এই আনন্দে নিমন্ত্রণ করেছেন শহরবাসীকে। উল্লসিত কণ্ঠে বলছেন, তার মেয়ে এবং মেয়ের প্রাক্তন দুজনেই ভালোভাবে বেঁচে আছে।

মায়ের কথা শুনে হাসলেন জেইলানি। তিনি তখন সামাজিক প্ল্যাটফর্ম স্ন্যাপচ্যাটে মেহেদির ছবি পোস্ট করতে ব্যস্ত। মেহেদির ছবি পোস্ট করা বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার আধুনিক সংস্করণ হয়ে উঠেছে। যদিও মৌরিতানিয়ায় এটি বহু পুরোনো সংস্কৃতি।

বিচ্ছেদের উৎসবে আগে ছিল নাচ, গান আর ভোজ। এখন সেলফি প্রজন্মে এসে যুক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। আলপনা আঁকা কেক। মেয়েরা এখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্ব ভরে আনন্দের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়।

আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের কত দিন পরে নতুন সম্পর্কে জড়াবেন!

অনেক দেশের সংস্কৃতিতে বিবাহবিচ্ছেদকে লজ্জাজনক হিসেবে দেখা হয়। তবে পশ্চিম আফ্রিকার সুন্দর দেশ মৌরিতানিয়ায় এটি কেবল স্বাভাবিকই নয়, নারীদের কাছে আনন্দের উপলক্ষ! কারণ, শিগগিরই তার আবার বিয়ে হবে। বহু শতাব্দী ধরেই সেখানে নারীরা আরেক নারীর বিবাহ বিচ্ছেদে উৎসব করে।

মৌরিতানিয়ার ২০১৮ সালের এক সরকারি রিপোর্টে দেখা যায়, এক তৃতীয়াংশ বিয়ে ডিভোর্সের পরিণতি পেয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ শতাংশ নারী আবার বিয়ে করেছেন। আর ২৫ শতাংশ বিয়ে করেনি।

মৌরিতানিয়া প্রায় শতভাগ মুসলিম দেশ। এখানে ঘন ঘন বিবাহবিচ্ছেদ হয়। অনেকে ৫ থেকে ১০ বার বিয়ে করে। কেউ কেউ ২০ বারেরও বেশি!

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দেশটিতে বিবাহবিচ্ছেদের হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। তবে মৌরিতানিয়ায় এ প্রসঙ্গে খুব বেশি নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই। এর আংশিক কারণ হচ্ছে, এখানে বিবাহবিচ্ছেদ প্রায়শই মৌখিক হয়, নথিভুক্ত নয়।

দেশটিতে বিবাহবিচ্ছেদ এতটা সাধারণ কেন—সে প্রসঙ্গে দেশটির সমাজবিজ্ঞানী নেজওয়া এল কেত্তাব বলেন, মৌরিতানীয় সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মৌর সম্প্রদায় তাদের বাবার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে শক্তিশালী মাতৃতান্ত্রিক প্রবণতা পেয়েছে। দেশটির যাযাবর সম্প্রদায় নারীদের মর্যাদার কথা ছড়িয়ে দিয়েছে বহুদিকে। অন্যান্য মুসলিম দেশের তুলনায় মৌরিতানিয়ার নারীরা বেশ স্বাধীন।

তিনি আরো বলেন, দেশটিতে বিয়েকে পেশা হিসেবেও নেয়া যায়।

আরও পড়ুন: যুগের পরিবর্তনে আধুনিক সম্পর্কের দৃষ্টি ভঙ্গিতেই কি বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ?

এখানে বিশেষ পরিস্থিতিতে নারীরাও বিবাহ বিচ্ছেদের পদক্ষেপ নিতে পারেন। অনেক নারী আছেন যারা কখনোই বিবাহবিচ্ছেদের কথা ভাবেন না। এরপরও বিচ্ছেদ যদি ঘটেই যায়, তাহলে নারীদের সমাজে সমস্যায় পড়তে হয় না। কারণে এখানে এমন নারীদের কেউ নিন্দা করে না, বরং সমর্থন জানায়। সমাজই পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলে।

আরও পড়ুন: দাম্পত্যে বয়সের ব্যবধান কতটা ঝুঁকির?

উল্লেখ্য, মৌরিতানিয়া হলো যাযাবর, উট আর আকাশ ভরা তারা ও উজ্জ্বল চাঁদের দেশ। কখনো কখনো ১০ লাখ কবির দেশও বলায় একে। হয়তো এ কারণেই এখানে বিবাহবিচ্ছেদও কাব্যিক!


বিবাহবিচ্ছেদে   উৎসব   নারী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন