ইনসাইড বাংলাদেশ

কেমন আছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:২১ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

রাজধানী শহর ঢাকায় নাগরিকদের বিনোদনের জন্য যতগুলো পার্ক আছে তার মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান একটি। ইতিহাস-ঐতিহ্যের জ্বলন্ত সাক্ষী আর গাছ-পালা বেষ্টিত এই নগর উদ্যানে। প্রতিদিন কম করে হলেও দশ হাজার দর্শনার্থী আসেন এখানে ঘুরতে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ-তরুণী আর শিশুদের সংখ্যা বেশি হলেও নানা বয়সী মানুষই এখানে আসেন। ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে হয় কয়েক গুন। আজ মঙ্গলবার আশুরার সরকারী ছুটিতে দুপুরের পর থেকেই বাড়তে থাকে দর্শনার্থীর সংখ্যা। অবকাশ বা সুস্থ্য বিনোদনের জন্যে আসা এসব দর্শনার্থীরা কি সন্তুষ্টি নিয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন পার্ক দর্শণ শেষে? 

সরেজমিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, টিএসসি এলাকা হয়ে উদ্যানের ভেতরে ঢোকার আগেই চোখে পড়ে মূল ফটকের দুই পাশে অস্থায়ী ভাতের হোটেলসহ চা, সিগারেট ও ভাঁজা-পোড়ার দোকান। এসব দোকান মাড়িয়ে উদ্যানের ভেতর প্রবেশ করাই যেন ছোট-খাট একটা যুদ্ধের সমান। ভেতরে ঢুকলেই বাতাসের সাথে নাকে এসে লাগবে দুর্গন্ধ। ডান পাশ ধরে হাটতে থাকলে কিছু দূর পরেই চোখে পড়বে মুক্তমঞ্চ। সেখানে দিন রাত মানুষ থাকে। মুক্ত মঞ্চের ভেতরে এসে দাড়াতেই নাকে লাগবে গাঁজার গন্ধ। বিভিন্ন দলে দলে ভাগ হয়ে সেখানে গাজা সেবন করছেন অনেকেই। এর মধ্যে এক দম্পতি তাদের ছোট্ট সন্তানকে ঘুরতে নিয়ে এসে সেখানে ঢুকে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতেই পড়লেন বলে মনে হয়।

শুধু মুক্তমঞ্চের ভেতরে নয় বাহিরেও চলে অবাধে গাঁজা সেবন এবং সেখানে খুচরা গাঁজা বিক্রিও করা হচ্ছে দায়িত্বরত আনসার ও পুলিশের চোখ ফাঁকি। খোজ নিয়ে জানা যায়, সেখানে এক সময় প্রকাশ্যেই গাঁজা বিক্রি করত মালতি নামে এক মহিলা। গাঁজা বিক্রির অপরাধে তাকে বেশ কয়েকবার জেলও খাটতে হয়েছে। জেল থেকে বেড়িয়ে এসে কিছুদিন ভালো ছিলেন তারপর আবার গাঁজা বিক্রি করেছেন।

এছাড়া কালী মন্দিরের পেছনটায়ও নিয়মিত নেশার আসর বসাসহ সংঘটিত হয় নানা অনৈতিক কর্মকান্ড। উদ্যানের ভ্রাম্যমান চা বিক্রেতা শরিফের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যা সাতটার পরে এখানে কোন দর্শনার্থী থাকা নিষেধ। তাই সন্ধ্যা হতে হতেই এই  জায়গা খালি হয়ে যায়। তখন এক নতুন রুপে আবির্ভাব হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। শরীফ আরো জানান, সন্ধ্যার পরে কালী মন্দিরের  পেছনে পতিতা নারীদের আনাগোনা শুরু হয় এবং খদ্দের পেলে সেখানেই করেন তারা অনৈতিক কর্মকান্ড।

এদিকে উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, একুশে বই মেলার সময় অস্থায়ীভাবে তৈরী করা টয়লেটগুলো এখনো সেখানে রয়ে গেছে, নিয়ে যাওয়া হয়েছে শুধু টিনের কাঠামো। বাকি রিঙ, স্ল্যাব আর গর্ত রয়ে গেছে সেভাবেই। সেসব গর্তে দিনে এক-দুইজন দর্শনার্থী পড়ে আহত হন বা শুকনো মল গায়ে মেখে যাওয়ায় পড়েন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে।

হাটতে হাটতে যখন আপনি শিখা চিরন্তনের সামনে  গিয়ে পৌছুবেন ঠিক তার আগে বাম পাশে রাধাচূড়া,কৃষ্ণচূড়াসহ জারুল গাছের ছায়া বেষ্টিত বিশাল জায়গা চোখে পড়বে। সেসব গাছ থেকে নাম জানা,অজানা অনেক পাখির ডাক আপনাকে মুগ্ধ করবে। কিন্তু সেই  ছায়া ঘেড়া নীবির পরিবেশে আপনি গিয়ে বসতে পারবেন না। ছায়া ঘেড়া সম্পুর্ন জায়গা জুরে ছোট ছোট ঢিবির মতো করে ফেলে রাখা হয়েছে লাল মাটি। ছায়া ঘেরা ওই জায়গার আগে আছে একটা বিশাল খাল। যেটায় ফেলা হয় ময়লা আর সারা দিন আগুন লাগিয়ে রাখা হয়। ময়লা পচা ও পোড়ার গন্ধে মাঝে মাঝে ওই খালের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। এবার ডান পাশে নজর দিলেই চোখে পড়বে অনেক বড় কিন্তু অগভীর পুকুর। সেই পুকুরের মাঝে সুউচ্চ গ্ল্যাস টাওয়ার। ওই গ্ল্যাস টাওয়ারকে বলা হয় স্বাধীনতা স্তম্ভ। ঠিক এই জায়গাটাতেই দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এই স্মৃতি স্তম্ভ্য ঘিরে যে লেক করা হয়েছে সেটিতে দর্শনার্থীদের ফেলানো বিভিন্ন ময়লা পরিবেশ দূষণ করছে। স্বাধীনতা স্তম্ভের পাশেই রয়েছে স্বাধীনতা জাদুঘর। খুব অল্প মূল্যে সেখান টিকেট সংগ্রহে জেনে আসা যায় দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের আদি-অন্ত।

শিখা চিরন্তন এলাকাটা বেশ পরিপাটি মনে হলেও তার পাশের টিলাতেই বসে নিয়মিত মাদকের আড্ডা। চোখে পরে পার্কে ঘুরতে আসা অনেকের উপরেই হিজড়ারা চালায় চাঁদাবাজি। ঘুরতে আসা প্রেমিক যুগল থেকে শুরু করে বিবাহিত দম্পতিরাও বাদ যায় না এদের হাত থেকে। পার্কে ঘুরতে আসা নব্য বিবাহিত আদনান-অন্তরা দম্পতি জানান, হিজড়াদের কারণে অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় মাঝে মধ্যেই। তারা অনেক টাকা দাবি করে বসে। না দিলে, বিভিন্নভাবে হেনস্থা করে। এরা একটা উৎপাতে পরিনত হয়েছে। 

উদ্যানে সার্বক্ষনিক বেশ কিছু পুলিশ ও আনসার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন। এসব অনিয়ম ও দুর্ভোগ নিয়ে কথা হয় দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্যের সাথে। তিনি বলেন, আগের থেকে উদ্যানের পরিবেশ অনেক ভাল এখন। পরিবেশগত সমস্যার ব্যপারটায় আমরা  কিছু করতে পারবো না। তবে, মাদক বিক্রির ব্যাপারটা আমাদের চোখে পড়ে না। চোখে পড়লে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবৈধভাবে বসা খাবার হোটেল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসব দোকান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অনুমতি নিয়ে বসানো হয়। মাস বা সপ্তাহে তাদের দেওয়া হয় নির্দিষ্ট পরিমান টাকা। তারাই প্রসাশনসহ অন্যান্যদের ম্যানেজ করে রাখে। এই জন্য কোন ঝামেলা হয় না।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৯ মে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা যেন কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে না যায় বা না সমর্থন করে এমন নির্দেশনা থাকলেও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই চলছে।

জানা গেছে, আনোয়ারায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। তবে এর মধ্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান কাজী মোজাম্মেল হককে (আনারস) ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এম এ মান্নান চৌধুরীকে (মোটরসাইকেল) সমর্থন দিচ্ছেন। ভোট ছাপিয়ে উপজেলা নির্বাচন পরিণত হয়েছে সাবেক ও বর্তমান দুই মন্ত্রীর লড়াইয়ের মঞ্চ। তবে দুই নেতার বাইরে আলাদাভাবে প্রচারণা এগিয়ে নিচ্ছেন দুবারের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী (দোয়াত কলম)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা ডেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করে। ওই সভায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাকে সমর্থন দেন। একই দিন রাতে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনীসহ বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল করেন ওয়াসিকার অনুসারীরা। 

তবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী কাজী মোজাম্মেল হক উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনী পরিবেশের মোড় ঘুরে যায়। মোজাম্মেলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেকে থাকায় জমে উঠেছে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আমেজ।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে আনোয়ারায় তিন পক্ষ একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে আছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রীর প্রার্থী এম এ মান্নানকে জেতাতে ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এককাট্টা হলেও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মাঠে নেমেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হককে জেতাতে। ওই দুই প্রার্থীর বাইরে জেলা-উপজেলার বেশ কিছু নেতাকে নিয়ে মাঠে আছেন তৌহিদুল হক চৌধুরী।

উল্লেখ্য, আনোয়ারা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৭৪টি ভোটকেন্দ্র আছে। তার মধ্যে স্থায়ী ভোটকক্ষ ৪৮৪টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৫০টি। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ২২১ জন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপিপুত্রের দাপটে অন্যরা কোণঠাসা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম দিপুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনকে নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার করার ফলে অন্য প্রার্থীরা তাদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

প্রার্থীদের অভিযোগ, দিপু বাবার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তার সমর্থকরা পদে পদে হয়রানি করছে অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। প্রশাসনকে নিজেদের কাজে লাগানো, অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের হুমকি, প্রচারণায় বাধাসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড করছেন ভোটের মাঠে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তার বাবা মোরশেদ আলম। সম্মেলনের মাধ্যমে লায়ন জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচন আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের পক্ষে ভোট করার দায়ে লায়ন জাহাঙ্গীরকে পদ থেকে বহিষ্কার করেন এমপি মোরশেদ। এরপর নিজের পছন্দের বাহার উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করেন তিনি। এ ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন মোরশেদ। কোনো সম্মেলন ছাড়াই তিনি এসব কমিটি দিচ্ছেন। সব মিলেয়ে সেনবাগে রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্বাভাবিক করে তুলেছে এমপি পরিবার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিগুলোও তাদের দখলে।

জানা গেছে, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই অন্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি এবং দলীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিচ্ছেন সাইফুল আলম দিপু ও তার অনুসারীরা। নির্বাচনে ১, ৬,৭ ও ৮ নং ইউনিয়নসহ অন্য ইউনিয়নেও অন্য প্রার্থীর এজেন্ট প্রবেশ না করার জন্যও প্রতিনিয়ত চাপ ও হুমকি দিচ্ছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতা জানান, তার বিপক্ষে গিয়ে অন্য প্রার্থীর ভোট করায় তাদের সরকারি বরাদ্দ টিআর, কাবিখা এবং দলীয় পদপদবি না দেওয়ার চাপ দিচ্ছেন দিপু। এজন্য প্রশাসন দিয়েও নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) দেশের ১৫৭টি উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২য় ধাপে সেনবাগসহ নোয়াখালীতে মোট ৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন মোট ১৫ জন প্রার্থী৷ তারা সবাই ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল আলম দিপু ছাড়াও চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু, বর্তমান চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হাসান মঞ্জুর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সদস্য মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম জাকির হোসেন জুয়েল ও টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর আলম মানিক।

উপজেলা নির্বাচন   নোয়াখালী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানে সেনা অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র, কার্তুজ, সামরিক পোশাক ও অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রুমা উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডেবাছড়ার গভীর অরণ্যে কেএনএফ আস্তানা গেড়েছে- এমন খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টা ব্যাপী গুলি বিনিময়ের পর সেখান থেকে কেএনএফের দু’জন সদস্যের লাশ ও একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তিনিও মারা যান। নিহতদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছে। ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ সেখানে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানজুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

বান্দরবান   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নিয়ে মতবিনিময় সভা

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস। 

 

মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।


ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য   মতবিনিময়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।

 
রোববার (১৯ মে) মোটরসাইলে প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

 
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে প্রচার কাজ চালিয়েছেন। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঙ্ঘন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’

পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আচরণ বিধি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন