নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৯
গতকাল রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা কে কি করছে সব খবর আছে আমার কাছে।
বৈঠকে উপস্থিত একজন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে জানান যে, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি মোবাইল ফোন বের করে কয়েকটি ছবি দেখান। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সঙ্গে বিদেশে আওয়ামী লীগের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ক্লাবে সময় কাটাচ্ছেন।
আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, টেন্ডার মাফিয়া জি কে শামীমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দুয়েকজন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে হাস্যোজ্বল ছবি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এছাড়া আমার কাছে ভিডিও আছে। সেটাও দেখাতে পারি।
গতকালকের বৈঠকে উপস্থিত থাকা দুয়েকজন নেতার ছবিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে বলে ওই সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জানান। তারা লজ্জিত হবেন এজন্য প্রধানমন্ত্রী সেই ছবিগুলো দেখাননি।
তিনি বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এই ছবিগুলো আসল ছবি। কোন ফেইক বা ইমপোজ করা ছবি নয়। আমার কাছে সব খবর আছে। আমি কাউকেই ছাড়বো না।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।